আইন-আদালত
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তাজুল ইসলাম ছাড়াও ট্রাইব্যুনালে আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামিম, বিএম সুলতান মাহমুদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা ভোগ করবেন। বাকি চার প্রসিকিউটরের মধ্যে মিজানুল ইসলাম অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামিম ও বিএম সুলতান মাহমুদ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও আব্দুল্লাহ আল নোমান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা পাবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ওষুধ কোম্পানি থেকে চিকিৎসকদের কমিশন অবৈধ: আজাদ খান
ওষুধ কোম্পানি থেকে চিকিৎসকদের কমিশন নেওয়া শুধু অনৈতিক নয়, অবৈধ বলেও মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, আমি নিজে একজন ডাক্তার। ডাক্তারদের কমিশন নেওয়া খালি অনৈতিক না বরং অবৈধও। এটা কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ থাকবে। কাজেই আমাদের রিপোর্টে ওরকম পিনপয়েন্ট না থাকলেও বিষয়টি থাকবে।’
সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. আজহারুল ইসলাম খান বলেন, আমরা অংশীজনদের থেকে জানতে চেয়েছি সাধারণ মানুষের বিশেষ করে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ করে ফেলে কিংবা প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে কি কি ধরনের সমস্যা আছে মানুষের চিকিৎসার পেছনে অতিরিক্ত ব্যয় কীভাবে কমানো যায় সেসব বিষয়ে আমরা কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নিজেদের দক্ষ চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে কিন্তু আমাদের আরেকটু সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। এবং রোগীকে চিকিৎসার বিষয়ে কিংবা ফলোআপের বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারলে বাইরে রোগী যাওয়ার প্রবণতা কমে আসবে। সেসব বিষয়ে আমরা কাজ করবো।
সভায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার চেয়েছেন অংশীজনেরা। একইসাথে মানহীন প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চিকিৎসাখাতে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূরীকরণসহ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের নানা সংকট নিয়ে আলোচনা উঠে আসে।
এ ছাড়া সভায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন খ্যাতনামা চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, বেসরকারি মেডিকেলসংশ্লিষ্ট কর্মী ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা তাদের পেশাগত জীবনের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা পেশ করেন। তুলে ধরেন নানা বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনার চিত্র। তবে সভায় ছিলেন না রোগীদের কোনো প্রতিনিধি। এনিয়েও ক্ষোভ জানান বক্তারা।
বক্তারা দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে উন্নত করতে হলে বাজেটে চিকিৎসাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ মেডিকেল এডুকেশনের ওপর জোর দেয়ার তাগিদ দেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. আবু মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, অধ্যাপক ডা. আজহারুল ইসলাম খান, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, উমাইর আফিফ প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
দুইদিনের রিমান্ডে সাবেক সচিব ইসমাইল
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. তারেক জুবায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার উদ্দেশে বিমানবন্দরে আসেন সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেন। পরে তাকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফাতর দেখিয়ে আদালতে হাজির করে এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে বিমানবন্দর থানার পুলিশ। আসামিপক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ইসমাইল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
সচিব ইসমাইল হোসেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (প্রশাসন) ১১তম ব্যাচের সদস্য। তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সড়কের নৈরাজ্যে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত: উপদেষ্টা নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সড়ক ও পরিবহন খাতে যে নৈরাজ্য চলছে, তার সঙ্গে একটি পলিটিক্যাল (রাজনৈতিক) প্রভাব জড়িত।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর রমনায় বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতি বন্ধ হয়নি। আগে এক দল ছিল, এখন অন্য দল করছে।
তিনি বলেন, সড়কের নৈরাজ্যের সঙ্গে একটা পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত। তাই খুব সহজে সমাধান হবে না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। দুর্নীতির সঙ্গে যেহেতু রাজনৈতিক কর্মী ও নেতারা জড়িত, তাই সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা রাখতে হবে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের উন্নয়ন জনবান্ধন ছিল না বলেই মানুষ সুবিধা পায়নি। ভবিষ্যতে জনবান্ধন উন্নয়নের জন্য সাধারণ মানুষের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে পলিসি ডেভেলপ করা হবে।
পরিবহন মালিকদের উদ্দেশে অনুষ্ঠানে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, কোনো পুরাতন বাস রাখা হবে না। সময় দেওয়া আছে, এর মধ্যে ব্যবস্থা নেন।
তিনি আরও বলেন, সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে স্থায়ী পরিকল্পনা করা হচ্ছে। উচ্ছেদ করে দেওয়া নয়, পরিকল্পিত সমাধান করার চিন্তা করা প্রয়োজন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা নতুন করে তদন্ত করা উচিত: হাইকোর্ট
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ৭৯ পৃষ্ঠার এ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
গত ১ ডিসেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শিশির মনির।
রায় ঘোষণার পর আইনজীবী শিশির মনির বলেছিলেন, যে ট্রায়াল করা হয়েছিল, সেটি ছিল অবৈধ। কারণ আইনের ভিত্তিতে সেই ট্রায়াল হয়নি। একইসঙ্গে আদালত বলেছেন, কোনো সাক্ষীর সঙ্গে কোনো সাক্ষীর কোনো কোলাবরেশন নেই।
শোনা সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে সাজা দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য সকলের আপিল নিয়ে ডেথ রেফারেন্স রিজেক্ট করে সবাইকেই বেকুসুর খালাস দিয়েছেন। তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সবাইকে বেকুসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালত কোনো পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন এই বলে, এ ধরনের মামলায় পরস্পর কেউ দেখেছেন, কেউ স্বচক্ষে দেখেছেন, এই মর্মে কোনো এভিডেন্স নেই। যাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, তাদের টর্চার করে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একইসঙ্গে মুফতি হান্নান দুটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা বলেছিলাম, ৪০০ বছরের ইতিহাসে ভারতীয় উপমহাদেশে দ্বিতীয় জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে কাউকে সাজা দেওয়ার নজির নেই। আজ আদালত বললেন, দ্বিতীয় জবানবন্দি তিনি যেটি করেছিলেন, সেটিও পরে তিনি প্রত্যাহার করেন। এজন্য এ জবানবন্দির কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়, পলকের স্বীকারোক্তি
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন যে, ভবনে আগুন লাগার কারণে ইন্টারনেট বন্ধ হয়নি, শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল।
গতকাল (বুধবার) ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় জিজ্ঞাসাবাদে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন পলক। আজ চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় কোনো দুর্ঘটনার কারণে বা কোন ভবনে আগুন লাগার কারণে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল না। সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক স্বয়ং স্বীকারোক্তি দিয়েছেন শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেটের সব গেটওয়ে বন্ধ রাখা হয়। ইন্টারনেট বন্ধ রাখার উদ্দেশ্য ছিল গণহত্যার বিষয় যেন কেউ জানতে না পারে।
জুলাইয়ে কোটা আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধ করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলককে গত ১২ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গতকাল তাকে তদন্ত সংস্থায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।