অর্থনীতি
৯ ব্যাংকের সাথে লেনদেন স্থগিত করল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

৯টি ব্যাংক থেকে ইস্যুকৃত সকল প্রকার পে-অর্ডার, চেক, ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস শাকুর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, উপযুক্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের সকল কার্যক্রমে নিম্নোক্ত ব্যাংগুলো থেকে ইস্যুতব্য সকল প্রকার পে-অর্ডার, চেক, ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
৯টি ব্যাংক হলো- গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিলসি, ইউনিয়ন ব্যাংক পিলসি, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক পিলসি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিলসি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিলসি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিলসি, পদ্মা ব্যাংক পিলসি, ন্যাশনাল ব্যাংক পিলসি, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক পিলসি।
এতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
কাফি

অর্থনীতি
ছয়দিনে যমুনা সেতুতে ১৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা টোল আদায়

যমুনা সেতু দিয়ে গত ছয়দিনে দুই লাখ ৪০ হাজার ১৫২টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩০০ টাকা।
সোমবার (১৬ জুন) যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ১০ জুন যমুনা সেতু দিয়ে ২৬ হাজার ৮৪৯ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৬২ হাজার ৭৫০ টাকা। ১১ জুন ৩১ হাজার ৯৯৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭০০ টাকা। ১২ জুন ৩৮ হাজার ৫৩৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৬৯ হাজার ২০০ টাকা।
১৩ জুন সেতু দিয়ে ৪৯ হাজার ১৮২টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ২০০ টাকা। ১৪ জুন ৫১ হাজার ৫৯৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা ও ১৫ জুন ৪১ হাজার ৯৮৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার ২০০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, ‘সেতুর দুই পাশ দিয়ে ৯টি করে বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে দুই পাশে দুটি করে বুথ দিয়ে আলাদাভাবে মোটরসাইকেলের জন্য পারাপার হচ্ছে।
অর্থনীতি
একদিনে যমুনা সেতুতে ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা টোল আদায়

গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ৪১ হাজার ৯৮৯টি যানবাহন পারাপার করেছে। এসব যানবাহন থেকে ৩ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার ২০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
এদিকে ঈদের ১০ দিন পর সোমবারও (১৬ জুন) ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে রাজধানী ঢাকায় যাচ্ছে মানুষ। তবে আজ কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। গত দুদিন যমুনা সেতুর দুই পাশেই যানজট ও ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে ঢাকামুখী মানুষকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৪ জুন) রাত ১২টা থেকে রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ হাজার ৯৮৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৯ হাজার ১৮৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ২২ হাজার ৮০০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় ১ কোটি ৬৭ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, যমুনা সেতুর দুই পাশ দিয়ে ৯টি করে মোট ১৮ বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে দুইপাশেই ২টি করে বুথ দিয়ে আলাদাভাবে মোটরসাইকেলের জন্য পারাপার হচ্ছে।
কাফি
অর্থনীতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ

তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বেড়েই চলেছে। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
সম্প্রতি ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অটেক্সার হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ৪ মাসে ২ হাজার ৬২১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ১০.৬৫ শতাংশ বেশি।
একইসঙ্গে এপ্রিল পর্যন্ত ৪ মাসের রপ্তানি আয়ের হিসাবে চীনকে টপকে মার্কিন বাজারে শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের জায়গা নিয়েছে ভিয়েতনাম। চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্র আমদানি করেছে ৪৩৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের পোশাক। যা বছর ব্যবধানে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম থেকে মার্কিন বাজারে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৫০৮ কোটি ৯১ লাখ ডলারের মূল্যের। যা ১৬.০৬ শতাংশ বেড়েছে বছর ব্যবধানে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে বাজার দখলে অনেক পিছিয়ে থাকলেও আয় বৃদ্ধির বিচারে অবশ্য সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। বছর ব্যবধানে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানির আয় ২৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। যা শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ ভিয়েতনামের প্রায় দ্বিগুণ।
চলতি বছরের প্রথম চার মাসে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে ২৯৮ কোটি ৩১ লাখ টাকার পোশাক। বাংলাদেশের পর সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ভারতের, ২০ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর ইন্দোনেশিয়ার আয় ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ কোটি ১১ লাখ ডলারে।
একই সময়ে মার্কিন বাজারে পাকিস্তানি পোশাকের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ। আর গত এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে রপ্তানি হয়েছে ১২৩ কোটি ৯ লাখ ডলার।
এ ছাড়া কম্বোডিয়ার রপ্তানি আয় ১৯.৫৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলারে।
কাফি
অর্থনীতি
রিজার্ভ বেড়ে ২৬.১৫ বিলিয়ন ডলার

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রোববার (১৫ জুন) পর্যন্ত দেশের মোট (গ্রস) রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার ৬১৫ কোটি ডলার বা ২৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্দেশিত হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী, এ সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৮৬ কোটি ৩৮ লাখ ডলার বা ২০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৭ মে পর্যন্ত দেশের মোট (গ্রস) রিজার্ভ ছিল প্রায় ২ হাজার ৫৮০ কোটি ডলার বা ২৫.৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্দেশিত হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী, এ সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৬ কোটি ২২ লাখ ডলার বা ২০.৫৬ বিলিয়ন ডলার।
তার আগে গত ২২ মে পর্যন্ত দেশের মোট (গ্রস) রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫৬৪ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার বা ২৫.৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর বিপিএম৬ অনুযায়ী, এ সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার বা ২০.২৭ বিলিয়ন ডলার।
দেশের নিট (প্রকৃত রিজার্ভ) রিজার্ভ নির্ধারণ করা হয় বিপিএম৬ মানদণ্ড অনুসারে। যেখানে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিয়ে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ নিরূপণ করা হয়।
এদিকে চলতি জুন মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ১১৫ কোটি (১১৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৩০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)।
তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে জুন মাসের ১৪ দিন পর্যন্ত মোট ২৮ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৮৬৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। যা তার আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৩০২ কোটি ডলার বা ২৩ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স।
অর্থনীতি
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা

চলতি (জুন) মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ১১৫ কোটি (১১৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৩০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য বলছে, চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে জুন মাসের ১৪ দিন পর্যন্ত মোট ২৮ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৮৬৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা তার আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৩০২ কোটি ডলার বা ২৩ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স।
এর আগে সদ্যবিদায়ী মে মাসও নতুন রেকর্ড গড়ে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। পুরো মাসে এসেছে ২৯৭ কোটি বা ২.৯৭ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা। প্রতিদিন আসে ৯ কোটি ৫৮ লাখ ডলার বা ১ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। এটি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এর আগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল গত এপ্রিল মাসে, সে রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে মে মাস। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল গত মার্চ মাসে ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এবং সবশেষ মে মাসে এসেছে ২৯৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।