ফ্যাক্টচেক
ধানমন্ডিতে হেনস্তার শিকার ব্যক্তির মারা যাওয়ার তথ্যটি গুজব
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভে ১৫ আগস্ট উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে হেনস্তার শিকার ওই ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়ার ঘটনা সত্য নয়। তার মৃত্যুর খবর নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে নানা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
হেনস্তার শিকার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম আবদুল কুদ্দুস মাখন। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলার নারায়ণখোলা এলাকায়। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে আবদুল কুদ্দুস মাখন মুঠোফোনে বলেন, আমি প্রতিবছর শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২-এ তার বাসভবনে যাই। গতকাল সকালে আমি আমার বাসা থেকে বের হয়ে ধানমন্ডি ৩২-এ গেলে আমার ওপর তারা হামলা করে এবং অনেক মারধর করে। আমি বঙ্গবন্ধুর একজন সৈনিক। বর্তমানে আমার কোনো পদবি নেই। আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি।
তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে ২০০৭ সালে বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদ নামে একটি সংগঠন করেছিলাম। আমরা এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে স্মৃতিচারণ করতাম। আমি ওই সংগঠনের একজন প্রতিষ্ঠাতা ছিলাম, পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছি। আমি ৯০-র দশকে ময়মনসিংহ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম। এটা আমাকে দিয়েছিলেন আলহাজ মতিউর রহমান প্রিন্সিপাল। আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির লালন করি। আমাকে যারা গতকাল লাঞ্ছিত করেছে আল্লাহ সবার সঠিক বিচার করবেন। আর আমি জীবিত আছি, ভালো আছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
এর আগে মৃত্যুর গুজব নিয়ে তার বড় ছেলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে তিনি লিখেন, ‘ভিডিওতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন, উনার নাম আবদুল কুদ্দুস মাখন। আমি উনার বড় ছেলে সিরাজ উল কুদ্দুস ইমরান। আমার বাবা মারা যায়নি, এটা গুজব। আমার বাবা জীবিত আছেন, এখন পর্যন্ত অনেকটাই সুস্থ আছেন। তাকে বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে তার মোবাইল ও সব টাকা নিয়ে গেছে। বাসায় তার চিকিৎসা চলছে। এখন আপনাদের যদি মনে হয় তাকে মেরে ফেলবেন তাহলে বাসায় আসতে পারেন। আমাদের সবাইকে মেরে ফেলতে পারেন। আমাদের পরিবারের সবাই মরার জন্য প্রস্তুত। তার অপরাধ কি ছিল জানেন? স্বাধীনতার সময় তার, তার বাবা ও তার বোনের অংশগ্রহণ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে মিথ্যা মামলায় ৭ মাস ২৪ দিন জেল খাটা, তার অন্য অপরাধ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়া, কালো পাঞ্জাবি পরিধান করা এবং বাংলাদেশের পতাকার টুপি পরিধান করা (একটা কথা আপনাদের অবগতির জন্য বলে রাখা ভালো উনার মুক্তিযোদ্ধা সনদের জন্য উনি কখনো চেষ্টাই করেন নাই, কারণ আমার বাবা সার্টিফিকেটের জন্য অংশগ্রহণ করেন নাই)। এই যদি তার অপরাধ হয় তাহলে রাষ্ট্র আমাদের পুরো পরিবারকে ফাঁসি দিতে পারেন।’
তিনি আরও লিখেন, ‘আমার বাবার সঙ্গে এই জঘন্য কাজের পরও আমাদের দেশের মানুষ থেমে যায়নি। আমাদের গ্রামের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। আমার মেজো চাচাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাকে জবাই করবে। এই সমাজ বা রাষ্ট্রের কাছে আর বিচার চাওয়ার কিছু নেই। লাভও হবে না। বাঙালি জাতি হিসেবে নিজেকে হয়ত কখনো পরিচয় দিতে পারব না। যারা আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন, আব্বা কিছুটা সুস্থ হলে আমি আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেব। তবে অন্য কারও বাবার সঙ্গে যেন এমন অন্যায় না হয় আপনাদের কাছে এই অনুরোধ রইলো। আমার বাবার মতো অনেকেই আছেন যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন, কারণ তারা ৭১ দেখেছেন। এই অপরাধের জন্য দয়া করে আর কাউকে লাঞ্ছিত করবেন না প্লিজ।’
জানা যায়, আবদুল কুদ্দুস মাখন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বরেণ্য রাজনীতিবিদ কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশার সঙ্গে রাজনীতি করতেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ফ্যাক্টচেক
নিহত আইনজীবী নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের মিথ্যাচার
চট্টগ্রামে গতকাল মঙ্গলবার নির্মমভাবে খুন হওয়া আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী বলে দাবি করে কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, দাবিটি মিথ্যা এবং এটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ছড়ানো হচ্ছে।
প্রেস উইং জানায়, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পেশকৃত ওকালতনামা থেকে দেখা যায় যে তার আইনজীবীর নাম অ্যাডভোকেট শুভাশীষ শর্মা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সকলকে যেকোন প্রকার উস্কানিমূলক, মিথ্যা প্রতিবেদন প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ফ্যাক্টচেক
উপদেষ্টা মাহফুজ নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়ালেন জয়!
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সদস্য হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন-এমন ভুয়া তথ্য নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
“চেতনা” নামের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশিত “ইউনূসের প্রধান সহকারী মাহফুজের ভয়ঙ্কর অতীত” শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও শেয়ার করে জয় লিখেছেন, ‘অনির্বাচিত ও অবৈধ ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম অনেক বছর আগে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সদস্য হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিল।
এর আগে মাহফুজ আলমের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর সম্প্রতি কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তবে সেই খবর যে ভুয়া, তা আগেই নিশ্চিত করেছে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দুজন সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যক্তি। নামের মিল থাকায় তাদের একই ব্যক্তি হিসেবে ভুলভাবে উপস্থাপন করে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। দুই মাহফুজের ছবি, জেলা, বয়স ইত্যাদি যাচাই করে দেখা যায়, তারা দুজন সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যক্তি। অর্থাৎ, সজীব ওয়াজেদ জয় এমন একটি তথ্য প্রচার করেছেন, যা এরই মধ্যে মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ফ্যাক্টচেক
হিযবুত তাহরীর সদস্য নন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে হিযবুত তাহরীরের সদস্য হিসেবে দাবি করে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টটি গুজব বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস। গুজব প্রতিরোধে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে চালু করা ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে হিযবুত তাহরীরের সদস্য হিসেবে দাবি করে ফেসবুকে বেশ কিছু পোস্ট দেওয়া হয়েছে। এতে ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট রয়েছে, যেখানে আবদুল্লাহ আল মাহফুজ নামে এক ব্যক্তিকে হিযবুত তাহরীরের সদস্য হিসেবে দাবি করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মাহফুজ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম দুজন ভিন্ন ব্যক্তি। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মাহফুজ আলম। তিনি কখনোই হিজবুত-তাহরীর বা অন্য কোনো নিষিদ্ধ বা ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন না বলে একটি পোস্টে জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিয়েছেন মাহফুজ আলম।
তিনি বলেন, আমি ইসলামপন্থী বা জঙ্গী বিশেষ করে হিযবুত তাহরীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম বলে কিছু ভারতীয় মিডিয়া ও আওয়ামী লীগের গুজব সেলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এসব দাবি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি হিযবুত তাহরীর বা অন্য কোনো অগণতান্ত্রিক দলের আদর্শের বিরুদ্ধে আগেও ছিলাম এবং এখনো আছি। তিনি ছাত্রশিবিরের সদস্য এবং সুবিধাভোগী ছিলেন না বলেও জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সেন্টমার্টিন লিজ দেওয়ার বিষয়টি গুজব
সেন্টমার্টিন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন লিজ দিচ্ছেন, এমন খবরও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেকিং পেজে বলা হয়, কোনো দেশের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা নেই অন্তর্বর্তী সরকারের।
শনিবার (২ নভেম্বর) দেওয়া সেই পোস্টে জানানো হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিকের মধ্যে ল্যান্ড ফোর্সেস টকস কয়েক বছর ধরে চলছে। এর সপ্তম আসর গত বছরের ১৪ থেকে ১৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের ফোর্ট শ্যাফটারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই টকসের সঙ্গে সেন্ট মার্টিনকে জড়িয়ে কোনো ধরনের পোস্ট নিছক গুজব।
এতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার অনেকবার জানিয়েছে যে সেন্ট মার্টিন কোনো বিদেশি দেশের কাছে কোনো উদ্দেশ্যে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের নেই।
সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস আরেকটি পোস্টে জানায়, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনের কারণে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন কমপক্ষে ২০ ধরনের বিপদের মুখে পড়েছে। গত ১৫ এপ্রিল ‘এনভায়রনমেন্টাল অ্যাডভান্স’ নামের একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পর্যটনের কারণে সেন্টমার্টিনে উচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, বন উজাড়, দূষণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, কচ্ছপের আবাস ধ্বংস, প্লাস্টিকের ব্যবহার, মিঠাপানির সংকট, জোয়ারে সমুদ্রভাঙনসহ নানা বিপদ দেখা দিয়েছে।
‘দুই মাস ধরে দ্বীপে আরেকটি নতুন বিপদ হাজির হয়েছে। সেখানে দেখা দিয়েছে মারাত্মক ক্ষতিকর সাদা মাছির উৎপাত। এই মাছি দ্বীপের গাছপালা ধ্বংস করছে। সাদা মাছির কারণে গত কয়েক মাসে ৩০০ নারকেল গাছ মারা গেছে। বিশেষজ্ঞরা সেন্ট মার্টিনের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অপরিকল্পিত পর্যটনকে দায়ী করছেন।’
ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় গবেষণা অনুযায়ী দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটির ৪১ ভাগ প্রবাল ধ্বংস হয়েছে। এই ধ্বংসযজ্ঞ থামানো না গেলে ২০৪৫ সালের মধ্যে এই দ্বীপের সব প্রবাল ধ্বংস হবে যাবে আর দ্বীপটি ডুবে যাবে। সরকার এই দ্বীপ রক্ষায়, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে, আর বেআইনি স্থাপনার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বৃহত্তর জনস্বার্থে। দেশের একমাত্র প্রবালের দ্বীপ সেন্ট মার্টিন বেঁচে থাকবে আগামী প্রজন্মের জন্যও।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিএসইসিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে সশস্ত্র বাহিনী থাকার তথ্যটি সঠিক নয়
বিনিয়োগকারীদের টানা আন্দোলনের কারণে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পরবর্তীতে কোস্টগার্ড ও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
মতবিনিময়ের সূত্রে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘বিএসইসিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে সশস্ত্র বাহিনী’ শিরোনামে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। তবে এমন সংবাদ সঠিক নয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
আইএসপিআর জানায়, গত ৭ ও ৮ অক্টোবর অনলাইন ও অফলাইন বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় বিএসইসিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশিত হয়, যা সঠিক নয়। সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।
এমতাবস্থায়, সংবাদটির সংশোধনী প্রকাশ-প্রচার করার জন্য অনুরোধ জনিয়েছে আইএসপিআর।
এমআই