রাজনীতি
বিকেলে রাজধানীতে গণসমাবেশ করবে হেফাজত

রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশের পর এবার গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। শনিবার (আগস্ট) বিকেল ৩টায় এ গণসমাবেশ করবে সংগঠনটি।
রাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এ গণসমাবেশ করবে তারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দিনগত রাত ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংগঠনটির নেতা মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এর বরাত দিয়ে ফেরদাউসুর রহমান বলেন, দেশে চলমান নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে শনিবার বিকেল ৩টায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সমাবেশে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থাকবেন। এতে দেশের ধর্মপ্রাণ জনতা ও আলেম-ওলামাদের অংশ নেওয়ার জন্য তিনি উদাত্ত আহ্বান জানান।
কাফি

রাজনীতি
হত্যার উদ্দেশ্যেই নুরকে আঘাত করা হয়: মির্জা ফখরুল

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নুরকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, যারাই তাকে আঘাত করুক হত্যার উদ্দেশ্যেই আঘাত করা হয়েছিল। এটা খুব পরিষ্কার।
ফখরুল বলেন, নুরের অবস্থা আগের চেয়ে ইমপ্রুভ কিন্তু ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছে। তার যে জায়গাগুলোতে ইনজুরি হয়েছে সেই জায়গাগুলো খুব ফ্যাটাল। তার ব্রেনেও ইনজুরি হয়েছে, ব্লিডিং হয়েছে। চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে জানতে পেরেছি, এখানে চিকিৎসার কোনো ত্রুটি হয়নি। সে এখনো খেতে পারছে না তাকে পাইপ দিয়ে লিকুইড খেতে হয়। তার রিকভারি হতে সময় লাগছে, তাকে দেশের বাইরে পাঠানো দরকার।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অভ্যুত্থানের পরও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যদি আমাদের নেতাদের ওপর এভাবে আক্রমণ করে তাহলে সাধারণ মানুষকে কি করছে চিন্তা করেন। এটা আমি কোনোমতেই মেনে নিতে পারি না।
প্রধান উপদেষ্টা বিচার বিভাগীয় যে তদন্ত দিয়েছেন সেটা দ্রুত শেষ করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সরকারের কাছে বলছি, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো উচিত।
কাফি
রাজনীতি
মব সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে: তারেক রহমান

দেশব্যাপী চলমান মব সংস্কৃতির অবসান ঘটানোর ওপর জোর দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, নতুনভাবে আবির্ভূত এ মব সংস্কৃতির অবসান ঘটাতেই হবে।
কারণ এটি আইনবহির্ভূত একটি হিংসাত্মক আচরণ, যা জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক তৈরি করে। বেআইনি এ মব সংস্কৃতি যে কোনো উপায়ে বন্ধ করতে হবে।
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে রবিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, ‘দেড় যুগব্যাপী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদদের আত্মদান সার্থক হবে, যদি আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারি। এটিই হোক বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভলগ্নে আমাদের অঙ্গীকার। দেশজুড়ে যেন আর কখনোই গুম, গুপ্তহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নারী ও শিশুদের ওপর পৈশাচিকতা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, টাকা পাচারের মতো ঘৃণ্য বিভীষিকার পুনরাবৃত্তি না হয়। জনগণের অধিকার আদায়ে তাদের দুঃখকষ্ট লাঘব করাসহ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা আবারও পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই এখন বিএনপির মূল লক্ষ্য। ’
তিনি বলেন, ‘দেশে এখনো প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আইনের শাসন, স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারলেই জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আর এজন্য জনগণের নির্বাচিত জবাবদিহিমূলক সরকার অতীব জরুরি। জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত দলের যেসব নেতা-কর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন ও দেড় দশকের আওয়ামী ফ্যাসিবাদের করাল গ্রাস এবং গত বছর ছাত্র-জনতার রক্তঝরা আন্দোলনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, আমি তাদের প্রতিও জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা। ’
তারেক রহমান লিখেছেন, জাতীয়তাবাদী আদর্শের সঙ্গে জনগণকে একত্র করার লক্ষ্যে মহান স্বাধীনতার ঘোষক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। আজকের দিনটি দেশের মানুষের জন্য আনন্দ, উদ্দীপনা ও প্রেরণার। দলটি বাংলাদেশি ভূখণ্ডের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা এবং শক্তিশালী সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার নীতিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থা কায়েমের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতাত্তর আওয়ামী দুঃশাসনে বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সাধারণ বিষয় হয়ে ওঠে। যার অনিবার্য পরিণতি হয় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, আর এই দুর্ভিক্ষে ১০ লাখ মানুষ মারা যায়। তৎকালীন আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী বাকশাল কায়েম করে স্বৈরশাসনকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করে।
বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ক্ষমতাসীন হয়ে পুনরায় বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করে জনগণের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। শহীদ জিয়ার সৃষ্টি বিএনপি বিগত ৪৭ বছরে কয়েকবার সুষ্ঠু নির্বাচনে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়ে দেশ, জনগণের সমৃদ্ধি ও কল্যাণে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছে। আমি স্বাধীনতার মহান ঘোষক, সফল রাষ্ট্রনায়ক ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের প্রতি জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা।
তিনি বলেন, নানামুখী সুদূরপ্রসারী চক্রান্তের মধ্যেও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় চির উন্নত শীর বিএনপি অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। নির্বাসিত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে নির্দ্বিধায় জীবন উৎসর্গ করেছে অসংখ্য নেতা-কর্মী। ৮০-এর দশকে ৯ বছরের সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির রাজপথে আপসহীন ভূমিকা ইতিহাসের উজ্জ্বল অধ্যায়। তাঁর সেই অগ্রণী ভূমিকার জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবদানের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে বিএনপি ১৯৯১ সালে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালনকালে সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেছে। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়া। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে বারবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে এর চর্চা ও বিকাশসহ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য বিএনপি আজ সমধিক জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। জাতির সব সংকটময় সময়ে বিএনপি জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার কারণেই ঐতিহাসিক সাফল্যগুলো অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির আদর্শিক ভিত্তি উদারনীতি। দলের সামাজিক অঙ্গীকার ও অর্থনৈতিক নীতি উদারপন্থি রাজনীতিতে বিশ্বাসী। বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী প্রসারিত করেছে। দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও নারীর ক্ষমতায়নসহ তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প বাণিজ্য সেক্টরসহ ব্যাংকঋণ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান, রেমিট্যান্সপ্রবাহ ইত্যাদিতে যুগান্তকারী অগ্রগতি লাভ করে। দেশীয় অর্থনীতি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র সমুন্নত ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিএনপি সরকারের উদ্যম ও উদ্যোগের ফলে দেশে আর দুর্ভিক্ষ স্পর্শ করেনি। মানুষ আর্থিক দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হতে থাকে। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অক্ষুণ্ন রেখে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেদের নিবেদন করে বিএনপি আগামী দিনগুলোতেও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
রাজনীতি
অন্তবর্তী সরকারকেই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে: ড. হেলাল

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও জুলাই-বিপ্লবে খুনিদের বিচার দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীতে’- নাগরিক মঞ্চ কর্তৃক অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, নির্বাচিত রাজৈনৈতিক সরকার জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সেই সনদ বাস্তবায়ন করবে এটি জাতি বিশ্বাস করে না। কারণ নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার দ্বারাই রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করার ফলে রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। যারা রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছে তাদের দ্বারা কখনোই রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়। অতীতের রাজনৈতিক সরকার গুলো কেউ দুর্নীতিতে দেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান করেছে, কেউ লুটপাটের মাধ্যমে বিদেশে বেগম পাড়া গড়ে তুলেছে। এসব দলের দ্বারা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে না। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করতে হবে। তবেই দেশের মানুষ একটি সুখি-সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন কল্যাণ ও মানবিক বাংলাদেশ পাবে। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী পুরো জাতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর যেই আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে, সেই আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষায় ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করা’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল হবে।
নাগরিক মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক আহসান উল্লা শামীমের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব মাওলানা আলতাফ হোসাইন মোল্লা। বাংলাদেশ ইসলামী দলের মহাসচিব মো. হুমায়ুন কবিরের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নাগরিক মঞ্চের উপদেষ্টা লেঃ কর্নেল (অবঃ) ফরিদুল আকবর, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী প্রচার সম্পাদক আবদুস সাত্তার সমুনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও নাগরিক মঞ্চের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ইসলাম ছাড়া ন্যায়বিচার কে-ও করতে পারেনি, পারবে না। ক্ষমতার পালাবদল হলেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে না, দুর্নীতি, অপশাসন দূর হবে না। বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, অপশাসন বন্ধ করতে হলে বিদ্যমান আইনের পরিবর্তন করে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। মদিনা বাসী যতদিন মানুষের তৈরি মতবাদে (আইনে) পরিচালিত হয়েছে ততদিন জুলুমের শিকার হয়েছে। কিন্তু যখনই মহানবী (সা.) ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুললেন সাথে সাথে সমাজের প্রতিটি মানুষ দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে শাসন ও শোষণের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। মদিনা বাসী এক আলোকিত সোনার মদিনা পেয়েছে। একইভাবে স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও বাংলাদেশের মানুষ শাসকগোষ্ঠীর জুলুম-নির্যাতন আর শোষণের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। কারণ বিগত ৫৪ বছর বাংলাদেশ পরিচালিত হয়েছে মানুষের তৈরি আইনে। যেই আইন শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠীর কল্যাণে তৈরি করা হয়েছে। শাসকগোষ্ঠীর জুলুম-নির্যাতন আর শোষণের হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে, সেই সময়েই নির্বাচন হতে পারে তাতে কোন সমস্যা নাই। তবে অবশ্যই সেই সময়ের আগে জনগণের দাবি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। দেশের ৭১ শতাংশ মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। জনগণের দাবি উপেক্ষা করে বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচনের আয়োজন করলে সেই নির্বাচন হবে একটি প্রহসনের নাটকীয় নির্বাচন। এমন নির্বাচন জনগণ চায় না, মেনে নিবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি তার পছন্দের নির্দিষ্ট কোনো দলের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে চায়, তবে প্রহসনের নাটকীয় নির্বাচন না করে, ঐ দলকে ডেকে নিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে দিলেই পারে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হয়, জুলাই চেতনায় বিশ্বাসী হয় তবে অবশ্যই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে জনগণের দাবি মোতাবেক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, জাতির ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে রাজপথে লড়াই করেছে ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, গণহত্যার বিচার নিশ্চিত ও পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য সেভাবেই প্রয়োজনে আবারো রাজপথে নেমে আসবে। জনগণের দাবি আদায় নিশ্চত করতেই হবে। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জুলাই চেতনা ধারণ করে দেশপ্রেমের প্রমাণ দেওয়ার আহ্বান জানান।
রাজনীতি
অবস্থার উন্নতি, নুরকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এজন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢামেকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
ঢামেক পরিচালক বলেন, নুরুল হক নুর এখন আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ। তার নাক ও চোয়ালের ভাঙা হাড় পুরোপুরি সেরে উঠতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন।
তিনি বলেন, বিভাগীয় প্রধানরা তাকে সার্বক্ষণিক দেখছেন। তার চোখের মধ্যে যে রক্তজমাট হয়ে আছে সেটি ঠিক হতে ১ থেকে ২ সপ্তাহ লাগতে পারে। নুরকে নরমাল খাবার খেতে বলা হয়েছে। তবে তিনি খাবার খাওয়ার সময় ব্যাথা পাচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন। এটি ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, আঘাতের পর নুরের নাক থেকে যে রক্তক্ষরণ হয়েছে তার কিছু অংশ শ্বাসনালীতে চলে গিয়েছিল। গতকাল কাশির সঙ্গে দুই বার সেই রক্ত এসেছে। তবে এতে চিন্তার কিছু নেই। তার বোর্ডের চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাকে আইসিইউ থেকে আজ কেবিনে শিফট করা হবে।
নুরকে দেখতে এদিন সকালে হাসপাতালে যান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি নুরের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। এছাড়া গণঅধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতাও বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন জানিয়েছেন, সুস্থ হওয়ার পর নুরুল হক নুর হামলার ঘটনায় মামলা করবেন।
রাজনীতি
বিএনপিকে বারবার ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের দলকে (বিএনপি) বারবার ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ফিনিক্স পাখির মতো আবার জেগে উঠেছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগামীতে জনগণের ভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গড়বে বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এমনটাই বিশ্বাস করে বিএনপি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে, তাতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদলীয় শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাসহ দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন এনেছিল বিএনপি।