অর্থনীতি
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পদত্যাগ করবেন গভর্নর
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পদত্যাগ করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এমন তথ্য জানিয়েছে গভর্নরের পরিবার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।
সূত্রটি জানায়, গত সোমবার শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর এমনিতেই গভর্নরের মনের অবস্থা ভালো নেই। তারপর একজন ডেপুটি গভর্নরকে যে পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, এতে তার মন আরও খারাপ হয়েছে। এ অবস্থায় তিনি দ্রুত পদত্যাগ করতে চান। তার পরিবারের পক্ষ থেকেও একই কথা বলা হচ্ছে। তিনি নতুন সরকারের অপেক্ষায় আছেন। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পদত্যাগ করবেন।
সূত্র জানায়, ডেপুটি গভর্নরকে পদত্যাগ করানো, অন্য ডেপুটি গভর্নর ও দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করার পর যদি গভর্নর পদত্যাগ করে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে শূন্যতা সৃষ্টি হবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে শূন্যতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা আর্থিক খাতের জন্য শুভ নয়। এ অবস্থায় তিনি নতুন সরকারের অপেক্ষায় আছেন। পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা চাচ্ছেন দ্রুত পদত্যাগপত্র জমা দিতে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তোড়ে গত সোমবার ( ৫ আগস্ট) সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরের দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অন্যান্য কর্মকর্তারা গেলেও গভর্নর যাননি। সে সময় ডেপুটি গভর্নর-১ কাজী সাইদুর রহমান জানিয়েছিলেন, গভর্নরের মানসিক অবস্থা ভালো নেই। তিনি আজ (৬ আগস্ট) ব্যাংকে আসবেন না।
সাইদুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রায় পাঁচ মাস ধরে সাংবাদিকদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে শেখ হাসিনা সরকারের ওপর মহলের ওপর দায় চাপান। তিনি নতুন সরকারের অপেক্ষার পাশাপাশি সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু পরের দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা তাকেই আগে পদত্যাগ ও সেনা প্রহরায় বাংলাদেশ ব্যাংক ত্যাগ করতে বাধ্য করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ‘গুড লিস্টে’ ছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে অর্থ সচিব থাকাকালীন অর্থমন্ত্রী অসুস্থ থাকায় পুরো দুর্যোগকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্থনীতি সামাল দিয়েছিলেন। মহামারি মোকাবিলায় প্রণোদনা বিতরণেও তার অগ্রণী ভূমিকা ছিল। এ কারণে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরাসরি যোগাযোগ ছিল। পরে গভর্নর হওয়ার কারণে আর্থিক খাতে তার নিয়ন্ত্রণ আরও পোক্ত হয়। এ কারণে তিনি অন্য কর্মকর্তাদের কম পাত্তা দিতেন। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরের দিনই তিনি নিজের পরিস্থিতি টের পান। সেদিন থেকেই যাচ্ছেন না বাংলাদেশ ব্যাংকে।
এরই মধ্যে খবর ছড়ায় গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দেশ ছেড়েছেন। বুধবার (৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা প্রথমেই গভর্নরের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের কাছের লোকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে তার পদত্যাগ দাবি করেন। ডেপুটি গভর্নরের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনেন। তারা বলেন, এই গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর শেখ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ লোকজনদের অনৈতিক, আইন বহির্ভূত সুবিধা দিয়েছেন। তাদের রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সুশাসন ফেরানো সম্ভব নয়। বিষয়টি গভর্নরের মন খারাপকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তার পরিবারের পক্ষ থেকেও দ্রুত পদত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গভর্নরের পরিবারের সূত্রটি জানায়, এ অবস্থায় তিনি নতুন সরকারের অপেক্ষায় আছেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করবেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

অর্থনীতি
ডলারের দাম আরও বাড়লো

টাকার বিপরীতে আবারও বেড়েছে মার্কিন ডলারের মান। বুধবার (২২ অক্টোবর) দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ডলারের বিক্রয়মূল্য সর্বোচ্চ ১২২ টাকা ৭৫ পয়সায় উঠেছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১২২ টাকা ৩০ পয়সা ছিল।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি এলসি খোলার প্রবণতা বাড়ায় বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দামও ঊর্ধ্বমুখী।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে বুধবার ডলার বিক্রি হয়েছে ১২২ টাকা ৭৫ পয়সায় এবং ক্রয় করা হয়েছে ১২১ টাকা ৭৫ পয়সায়।
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেছে ১২২ টাকা ৬০ পয়সা, ক্রয়মূল্য ১২১ টাকা ৬০ পয়সা। অন্যদিকে, ঢাকা ব্যাংকে এক ডলার বিক্রি হয়েছে ১২২ টাকা ৫০ পয়সায়, ক্রয় করা হয়েছে ১২১ টাকা ১৫ পয়সায়— যা গত সপ্তাহের তুলনায় সামান্য বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বুধবার আন্তঃব্যাংক বাজারে ডলারের সর্বোচ্চ দর ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা, যা মঙ্গলবার ছিল ১২২ টাকা। গত ২০ অক্টোবর এই হার ছিল ১২১ টাকা ৮০ পয়সার কাছাকাছি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, সেপ্টেম্বর মাসে ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের আমদানি এলসি খোলা হয়েছে, যা আগস্টের ৫ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার ক্রয় করেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, আমদানির চাপ কিছুটা বাড়ায় ডলারের দাম সামান্য বেড়েছে। তবে এটি অস্বাভাবিক নয়। বাজারে ডলারের সরবরাহ এখনও পর্যাপ্ত রয়েছে।
অর্থনীতি
সোনার দাম ভরিতে কমলো ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা

দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যহ্রাসের সঙ্গে স্থানীয় চাহিদা ও দাম কমার কারণে নতুন করে দাম কমানো ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা পর্যন্ত কমেছে সোনার দাম। নতুন দামের ফলে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেট এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা। নতুন এ দাম বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হবে।
বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম কমায় সোনার মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা বিক্রি হবে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা, ২১ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০১টাকা, ১৮ ক্যারেট এক লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি বিক্রি হবে এক লাখ ৪২ হাজার ২০৯ টাকায়।
সোনার দামের সঙ্গে কমানো হয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম থাকছে ৫ হাজার ৪৭০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ৫ হাজার ২১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ৪৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা বিক্রি হবে ৩ হাজার ৩৫৯ টাকায়।
কাফি
অর্থনীতি
রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলার

রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিলাম পদ্ধতিতে ডলার কেনার প্রেক্ষাপটে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও দেখা দিয়েছে উত্থান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সোমবার (২১ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৯ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী যার পরিমাণ ছিল ২৭ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কেনায় রিজার্ভ বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আর গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ পর্যন্ত নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে মোট ২১২ কোটি ৬০ লাখ ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ১৩ জুলাই থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনা শুরু হয়।
এছাড়া সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহও বাড়ছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৯১৫ কোটি ৯০ লাখ ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৮০৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। অর্থবছর অনুযায়ী রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবছরের মাসভিত্তিক প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ছিল যথাক্রমে—জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।
অর্থনীতি
তিন দেশ থেকে ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার সার কিনবে সরকার

সৌদি আরব, মরক্কো ও রাশিয়া থেকে এক লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন সার কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪০ টাকা। এরমধ্যে রয়েছে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া, ৪০ হাজার টন ডিএপি এবং ৩৫ হাজার টন এমওপি সার। এছাড়া বরগুনায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমকা সম্পন্ন একটি বাফার গোডাউন নির্মাণ কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) ভার্চ্যুয়ালি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জন্য সৌদি আরবের সাবিক কৃষি-পুষ্টি কোম্পানি থেকে ৫ম লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সৌদি আরব থেকে এ সার আনতে ব্যয় হবে ১৫১ কোটি ৭৭ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৪১৩.৩৩ মার্কিন ডলার।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৭ম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মরক্কো থেকে এই সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৩৬০ কোটি ০১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৭৩৫.৩৩ মার্কিন ডলার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৫ম লটের ৩৫ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
রাশিয়া থেকে এ সার আমদানিতে খরচ হবে ১৫২ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৫৬.২৫ মার্কিন ডলার।
এ ছাড়া বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ-৪ এর লট-৫ (বরগুনা— ১০ হাজার মেট্রিক টন) এর অধীন ১টি সাইটে গোডাউন নির্মাণ কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান এম/এস এমবিএল – আরএফএল। এতে ব্যয় হবে ৫১ কোটি ৭৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৯৫ টাকা।
অর্থনীতি
জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটি আজ দুটি প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদনের সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০২৬ সালের জন্য জিটুটি (সরকারের সঙ্গে সরকারের) চুক্তির মাধ্যমে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ই-পাসপোর্টের সরঞ্জাম ক্রয়।
এই বছরের ৩৪তম অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির সভাটি আজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
প্রস্তাব দুটি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এসেছিল।
প্রথম প্রস্তাবটির অধীনে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির অধীনে জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে পরিশোধিত জ্বালানি তেল ক্রয় ও আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন চেয়েছিল।
প্রস্তাবটি পর্যালোচনার পর, দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে তেলের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করার গুরুত্ব বিবেচনা করে কমিটি নীতিগতভাবে এটি অনুমোদনের সুপারিশ করে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক উত্থাপিত দ্বিতীয় আলোচ্যসূচির বিষয়টি ছিল ‘বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন এবং স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক চলমান প্রকল্প সংক্রান্ত।
সরাসরি চুক্তি ক্রয় পদ্ধতির অধীনে ৫৭ লক্ষ ই-পাসপোর্ট পুস্তিকা এবং সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ প্যাকেজের পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতিতে ৫০ লক্ষ পর্যন্ত কাঁচামালসহ এক কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য নীতিগতভাবে প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছে।
বিস্তারিত আলোচনার পর, কমিটি ই-পাসপোর্ট ইস্যুর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রকল্পের কৌশলগত গুরুত্ব উল্লেখ করে নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি সুপারিশ করেছে।