জাতীয়
দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ড. ইউনূস

ফ্রান্সের ‘প্যারিস শার্ল দ্য গোল’ বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি ঢাকায় ফিরে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন।
প্রসঙ্গত, আজ বিকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন ‘আগামীকাল বিকাল ২ টা ৩০ মিনিটে ড. ইউনূস ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন। বিকালেই শপথ অনুষ্ঠান করার চিন্তা থাকলেও তা সম্ভব নয়। তাই রাত ৮ টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠান হবে।
এ সরকারে ১৫ জন সদস্য থাকতে পারেন বলেও জানান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

অন্যান্য
জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ

চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে আজ বুধবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৫টায় এনসিপি এবং সন্ধ্যা ৬টায় জামায়াতের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি এ তথ্য জানান।
চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয়
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে সাভার

সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন এবং কেরানীগঞ্জকে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা বা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এমনটি জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গুরুত্ব বিবেচনা করে সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন গঠনের জন্য ঢাকার জেলা প্রশাসক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের জন্য ফাইল পাঠায়। প্রধান উপদেষ্টা সাভার সিটি করপোরেশন গঠনের জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। এরপর তা স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
সাভার সিটি করপোরেশন গঠনের জন্য এখন স্থানীয় সরকার বিভাগ সম্ভব্যতা যাচাইসহ তাদের পর্যায়ের বিভিন্ন কাজ করবে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি এখনো একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। সিটি করপোরেশন তাদের পর্যায়ের কাজ শেষ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবে। এরপর তা নিকার (প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি) সভায় অনুমোদনের জন্য উঠবে।
জাতীয়
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে বেতন কমিশন

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি ন্যায়সংগত ও কার্যকরী নতুন বেতন কাঠামোর সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত বেতন কমিশনের কাজ এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে অনলাইনে চারটি প্রশ্নমালায় প্রাপ্ত সর্বসাধারণের মতামত ও সুপারিশ যাচাই-বাছাই এবং পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, বর্তমানে অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতি কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত বা সুপারিশ দিয়েছে। প্রাপ্ত সুপারিশ ও মতামত কমিশন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। কমিশন আশা করছে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই বেতন কমিশনের সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে ১-১৫ অক্টোবর সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতি এই চার ক্যাটাগরিতে প্রশ্নমালার মাধ্যমে কমিশন অনলাইনে সর্বসাধারণের মতামত সংগ্রহ করেছ।
জাতীয়
বিসিএস ক্যাডারের পদমর্যাদা পেলেন ৮০ পুলিশ পরিদর্শক

বাংলাদেশ পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র, শহর ও যানবাহন এবং সশস্ত্র) পদমর্যাদার ৮০ কর্মকর্তাকে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এসব পদোন্নতি দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে সই করেন উপ-সচিব মো. মাহবুবুর রহমান।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে পুলিশ পরিদর্শকের (নিরস্ত্র) ৩৩, পুলিশ পরিদর্শকের (শহর ও যানবাহন) ১৮ এবং পুলিশ পরিদর্শকের (সশস্ত্র) ২৯ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে তাদের চাকরি পুলিশ অধিদপ্তরে ন্যস্ত করা হয়েছে।
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর যোগদানপত্র দাখিল করতে বলা হয়েছে।
জাতীয়
জাতীয় সংগীত বিধি সংশোধন করে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাদ

জাতীয় সংগীত বিধি সংশোধন করা হয়েছে। বিধি সংশোধন করে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং ওই দিন জাতীয় সংগীত বাজানোর নিয়ম বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) ‘দ্য ন্যাশনাল অ্যানথেম রুলস, ১৯৭৪’ সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। যদিও এর আগেই ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে।
বিধিতে কোন দিন কী উপলক্ষে কতটুকু জাতীয় সংগীত বাজাতে হবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
বিধির শিডিউল-১ এর ৩ নম্বর ক্রমে ছিল- জাতীয় শোক দিবসে (প্রতি বছরের ১৫ আগস্ট) অনুষ্ঠানের শুরুতে এবং শেষে পূর্ণ জাতীয় সংগীত বাজানো হবে। শোভাযাত্রার ক্ষেত্রে জাতীয় সংগীতের প্রথম দুই পঙক্তি শুরুতে বাজানো হবে।
বিধি সংশোধন করে শিডিউল-১ এর ৩ নম্বর ক্রম (১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস) এবং এর বিপরীতে এন্ট্রি (কতটুকু জাতীয় সংগীত বাজানো হবে) বিলুপ্ত করা হয়েছে।