রাজধানী
বায়ুদূষণের শীর্ষে আজ কঙ্গো, ঢাকার পরিস্থিতি কী?

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার দেশ কঙ্গো। অন্যদিকে, এ তালিকায় রাজধানী ঢাকা রয়েছে ২৩ নম্বরে। শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৮টা ৩৯ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা কঙ্গোর দূষণ স্কোর ১৮৫ অর্থাৎ অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে সেখানকার বাতাস। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। এই শহরের দূষণ স্কোর ১৫৯ অর্থাৎ অস্বাস্থ্যকর সেখানকার বাতাসও। এরপরে রয়েছে উগান্ডার কামপালা। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর।
এদিকে, গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে সারাদেশে। শুক্রবার ৩ ঘণ্টায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়। বৃষ্টির কারণে বায়ুর দূষণ মাত্রা কিছুটা কমেছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে দেখা গেছে, ৪৮ স্কোর নিয়ে তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল ৫০তম। এর অর্থ দাঁড়ায় রাজধানীর বায়ুর মান ছিল ভালো মানের। তবে আজ শনিবার রাজধানী ঢাকা রয়েছে ২৩ নম্বরে। এই শহরের দূষণ স্কোর ৭০ অর্থাৎ আজ এখানকার বাতাস মাঝারি বা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজধানী
ফ্যাসিস্টের দোসর করিম গ্রুপের হাত থেকে মসজিদের জায়গা মুক্ত করতে মুসল্লিদের মানববন্ধন

মগবাজারের ঐতিহ্যবাহী দিলু বেপারী ওয়াকফ এস্টেট মসজিদটি ১৯৩২ সালের ওয়াকফকৃত ঢাকার সুপ্রাচীন মসজিদের জমি অবৈধ ও বেআইনিভাবে জোর করে দখল করে আছে বিগত ফ্যাসিস্ট পলাতক সরকারের দোসর করিম গ্রুপ। অবৈধভাবে দখল করা করিম গ্রুপের হাত থেকে সোয়া ২৪ কাঠা জমি উদ্ধারে আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পরে মগবাজার রেলগেট সংলগ্ন শেখ দিলু বেপারী ওয়াকফ এস্টেট জামে মসজিদের ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও এলাকাবাসী মসজিদ সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করেন।
এলাকাবাসীর দাবি, করিম গ্রুপ নামের গ্রুপটি ফ্যাসিস্ট সরকারের ছত্র-ছায়ায় বিগত ৯ বছরের বেশি সময় ধরে মগবাজার রেলগেট শেখ দিলু বেপারী ওয়াকফ এস্টেট মসজিদের সোয়া ২৪ কাঠা জায়গা অবৈধ ও বেআইনি ভাবে জোরপূর্বক দখল করে আছে।
মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর সূত্র মতে, ১৯৩২ সালের ওয়াকফকৃত ঐতিহ্যবাহী শেখ দিলু বেপারী ওয়াকফ এস্টেট মসজিদটির জমিদাতা শেখ দিলু বেপারী। মসজিদের সামনে বিশাল একটি পুকুর ও বিশাল ধান ক্ষেত ছিল, যা দীর্ঘদিন যাবত ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। এ জমির ধান ও পুকুরের মাছ বিক্রি করে মসজিদের খতিব ইমাম মোয়াজ্জিন ও খাদেমদের বেতন দেওয়া হত যা ওসিয়ত করে গিয়েছেন মসজিদের জমিদাতা শেখ দিলু বেপারী। তবে হাতিরঝিল প্রকল্পের কাজের জন্য এই মসজিদের কিছু জায়গা ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে এ্যাকুয়ার বা অধিগ্ৰহণ করা হয়। অ্যাকোয়ার পরবর্তী সময়ে ডিসি অফিস কর্তৃক মসজিদের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে। যার পরিমাণ সোয়া ২৪ কাঠা জমি। তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক মেজর শাকিল মৌখিকভাবে মসজিদের সোয়া ২৪ কাঠা জমি নির্মাণ কাজের শ্রমিকদের থাকার জন্য অস্থায়ী আবাসন হিসেবে মসজিদের কাছে অনুমতি চায় যা এক বছর পর মসজিদকে বুঝিয়ে দিবে। কিন্তু নানা কৌশলে মসজিদকে জমি বুঝিয়ে না দিয়ে বরং তিনি করিম গ্রুপকে মসজিদের জায়গা দখল করে দিয়ে যায়। একের পর এক মসজিদ কমিটিকে প্রাণনাথের হুমকি দেওয়া হয় জমি চাইতে গেলে। যে জমির খাজনা আজ অবধি মসজিদ দিয়ে যাচ্ছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত মসজিদ কমিটির দায়িত্বে যারা আছেন মুতাওয়াল্লি মেজবাহ উদ্দিন ও সভাপতি আলী হোসেন আলী, তত্ত্বাবধায়ক সাইফুদ্দিন বাবু। তারা বলেছেন, রাজউকের বর্ত মান চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রিজু তিনি মসজিদ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আশ্বাস দিয়েছেন আগামী সোমবারের মধ্যে মসজিদের জায়গা অবশ্যই মসজিদকে বুঝিয়ে দিবে।
তিনি টেলিফোনে আরো বলেছেন, এই জায়গা রাজউকের নয় বরং এই জায়গার মালিক শেখ দিলু বেপারী ওয়াক্ফ এস্টেট জামে মসজিদ।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, যদি আগামী সোমবারে মসজিদের জমি মসজিদকে বুঝিয়ে দেওয়া না হয় তাহলে কঠিন থেকে কঠিনতর কর্মসূচি নিতে এলাকাবাসী ও সর্বস্তরের মুসুল্লিয়ানে কেরাম বাধ্য হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
বেইলি রোডে আগুন নিয়ন্ত্রণে, ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার

রাজধানীর বেইলি রোডে ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টারে বেজমেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৫ মে) সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ৭টা ৪৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। একইসঙ্গে ওই ভবন থেকে ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আগুনের খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে সবাই মিলে রাত ৭টা ৪৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
মিডিয়া কর্মকর্তা জানান, প্রথমে ওই ভবনের ছাদ থেকে ৩ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর আরও ১৫ জনসহ মোট ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ৯ জন নারী, ৭ জন পুরুষ ও ২ জন শিশু।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। ওই ভবনে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁয় নানা বয়সী মানুষ রাতের খাবার খাওয়ার সময় আগুন লাগে। তখন ভবন থেকে বের হওয়ার সুযোগ না পেয়ে ধোয়ায় শ্বাস বন্ধ হয়ে বেশির ভাগ মানুষের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ফুটপাতে কোটি টাকার গাড়ির ভাঙ্গা হেডলাইট ব্যাকলাইট মেরামত হয় পানির দামে

ফুটপাতে কোটি টাকার গাড়ির ভাঙ্গা হেডলাইট ব্যাকলাইট কম দামে মেরামত করে মাসে লাখ টাকা আয় করেন এক ব্যক্তি। অর্থসংবাদে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটি জানিয়েছেন তিনি।
বিস্তারিত দেখুন উপরের ভিডিওতে…
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বর্ষা মানেই পানির নিচে ঢাকা: এ কেমন নগর ব্যবস্থাপনা?

ঢাকায় বর্ষা মানেই জলাবদ্ধতা। বর্ষা মৌসুম এখনও পুরোপুরি শুরু না হলেও সাম্প্রতিক কয়েকদিনের বৃষ্টিতেই রাজধানীর অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে আবারও প্রশ্ন উঠছে—এবারও কি জলাবদ্ধতায় ডুবে যাবে নগরী?
বিগত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে, অল্প বৃষ্টিতেই ঢাকার অলিগলি থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো পানিতে ডুবে যায়। একটু বেশি বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। হাঁটু থেকে কোমরসমান পানিতে চলাফেরা করতে হয় নগরবাসীকে। অথচ সিটি কর্পোরেশন নানা উদ্যোগ নিলেও বাস্তবে এর কোনো ফল পাওয়া যায় না। ফলে নগরবাসীর মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ—এবারও কী তাদের একই দুর্ভোগ পোহাতে হবে?
প্রতিবছর জলাবদ্ধতা মোকাবেলায় সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন মিলে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে, এই বরাদ্দ কার্যকর কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) সরাসরি ৯০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে জলাবদ্ধতা নিরসনে, আরও ৩০ কোটি টাকায় চলেছে খাল-নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) খাল উন্নয়ন, পাম্প হাউজ আধুনিকায়ন ও নর্দমা রক্ষণাবেক্ষণে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে।
ঢাকার জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিন ধরে সমাধানহীন। আগে এই দায়িত্বে ছিল ঢাকা ওয়াসা। ২০২০ সালের শেষ দিকে নালা ও খালের দায়িত্ব দুই সিটি কর্পোরেশনের হাতে দেওয়া হয়। এরপর থেকে এই সমস্যা পুরোপুরি তাদের উপর বর্তায়। যদিও দুই সিটি কর্পোরেশন খাল খনন ও দখলমুক্ত করতে নানা কার্যক্রম চালাচ্ছে, তবু এর ফল এখনও দৃশ্যমান নয়।
এ বছরও ঢাকার নির্দিষ্ট কিছু এলাকাকে জলাবদ্ধতার ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তর সিটির মধ্যে উত্তরখান, দক্ষিণখান, বাড্ডা, বনানী কবরস্থান সড়ক ও রোকেয়া সরণি বেশি ঝুঁকিতে। দক্ষিণে রয়েছে নিউ মার্কেট, ধানমন্ডি, বকশীবাজার, মুগদা, জুরাইনসহ বেশ কিছু এলাকা।
তবে কিছু ইতিবাচক দিকও আছে। চলতি বছর খাল পুনঃখনন ও ‘ব্লু নেটওয়ার্ক’ তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ডিএনসিসি ছয়টি খালের কাজ শুরু করেছে এবং আরও ১৩টি খাল খননের পরিকল্পনা রয়েছে। সঠিকভাবে এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পরিস্থিতির উন্নতি আশা করা যায়।
নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, “জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। দায় এড়িয়ে নয়, বরং দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।”
ঢাকার জলাবদ্ধতার পেছনে বড় কারণ—পাম্প স্টেশন, স্লুইসগেট ও খালের অকার্যকারিতা, প্লাস্টিক ও বর্জ্যে খাল-নালার প্রতিবন্ধকতা, আর অবৈধ দখল। প্রতিদিন প্রায় সাত হাজার টন বর্জ্যের ১৫ শতাংশই প্লাস্টিক, যা ড্রেনে গিয়ে পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে।
ফলে প্রতিবার বর্ষায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা নিয়মিতভাবে পানিতে ডুবে যায়। ধানমন্ডি, শান্তিনগর, মিরপুর, বাড্ডা, গুলশান লেক সংযোগ সড়ক, ফার্মগেট, মতিঝিলসহ বহু এলাকায় প্রতি বর্ষায় একই চিত্র।
নগরবাসীর ক্ষোভও বাড়ছে। দোকানদার, চাকরিজীবী, সিএনজি চালক—সবার একটাই আক্ষেপ, প্রতিবার বর্ষায় একই সমস্যা, অথচ কার্যকর সমাধান নেই।
এখন সময় এসেছে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা নিয়ে, আন্তরিকভাবে কাজ করার। নাগরিকরা আর লোক দেখানো কাজ নয়, দেখতে চায় বাস্তব পরিবর্তন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ছুটির দিনেও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ইরাকের শহর ‘বাগদাদ’। তবে এ তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ‘ঢাকা’।
শনিবার (০৩ মে) সকাল ৯টায় আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
২০২ স্কোর নিয়ে আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে ইরাকের শহর ‘বাগদাদ’,যা এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। একই সময়ে ১৯১ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী ‘দিল্লি’।
এদিকে ১৬৮ স্কোর নিয়ে অস্বাস্থ্যকর শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ‘ঢাকা’।
আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা আইকিউএয়ার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদ্রোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।