টেলিকম ও প্রযুক্তি
বিশ্বমানের টেলিকম সেবা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: পলক
![বিশ্বমানের টেলিকম সেবা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: পলক সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2021/06/Polok.jpg)
কল ড্রপ কমিয়ে এনে বিশ্বমানের টেলিকম সেবা জনগণকে নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি টেস্ট ও ড্রাইভ টেস্ট কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার। প্রতিবছর দেশি-বিদেশি লাখ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। এই নগরীকে বিশ্বের কাছে আরো আর্কষণীয় করে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশ্বমানের আইকনিক রেলস্টেশন ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করেছেন। যার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কক্সবাজারে হাইটেক পার্ক নির্মাণের জন্য ১৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন তিনি। সবকিছুই প্রধানমন্ত্রী করছেন, দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য এবং কক্সবাজারকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, দেশে বর্তমানে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এখন একটাই উদ্দেশ্য, ইন্টারনেটের গুণগত মান বৃদ্ধি করা। যার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি টেস্ট কার্যক্রমে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- বিটিআরসির পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজ, আইকনিক রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানীসহ প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা। আইকনিক রেলস্টেশনে নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি টেস্ট শেষে প্রতিমন্ত্রী রামুতে হাই-টেক পার্ক স্থাপনের চলমান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
টেলিকম ও প্রযুক্তি
গুগল ড্রাইভ থেকে ডিলিট হওয়া ফাইল উদ্ধার করবেন যেভাবে
![গুগল ড্রাইভ থেকে ডিলিট হওয়া ফাইল উদ্ধার করবেন যেভাবে সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/google-drive.jpg)
প্রায়ই আমরা গুগল ড্রাইভে অপ্রয়োজনীয় ছবি ও ফাইল ডিলিট করতে গিয়ে ভুলবশত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ডিলিট করে ফেলি। আবার ডেস্কটপের শেষ সংস্করণে দেখা গেছে আপডেট করতে গিয়ে অনেকের ফাইল ডিলিট হয়ে গেছে। যার ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তবে আপনি চাইলে গুগল ড্রাইভ থেকে খুব সহজেই ডিলিট হওয়া ছবি, ভিডিও বা ফাইল পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
১. ডেস্কটপের জন্য ড্রাইভের ফাইল পুনরুদ্ধারের টুল হলো একটি নতুন অন্তর্নির্মিত বৈশিষ্ট্য যা ব্যবহারকারীদের গুগল ড্রাইভের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ স্ক্যান চালাতে এবং পূর্ববর্তী সংস্করণে সিঙ্ক সমস্যার কারণে হারিয়ে যাওয়া ফাইলগুলোসহ বিভিন্ন কারণে হারিয়ে যাওয়া ফাইলগুলো পুনরুদ্ধার করতে দেয়।
২. এই টুলটি ড্রাইভ স্ক্যান করে, ব্যাকআপ থেকে হারিয়ে যাওয়া ফাইলগুলো পুনরুদ্ধার করে এবং ‘রিকোভার ফ্রম ব্যাকআপ’ নামে একটি পৃথক ফোল্ডারে পুনরুদ্ধার করে। ডেস্কটপের জন্য ড্রাইভে এই বৈশিষ্ট্যটি কীভাবে ব্যবহার করা যাবে দেখে নিন-
৩. নিজেদের ডিভাইসে ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ড্রাইভ ওপেন করতে হবে। সাধারণত এটি ইনস্টল করা প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশনের তালিকায় খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
৪. স্ক্রিনের শীর্ষে মেনু বারটি (ম্যাক ব্যবহারকারীদের জন্য) বা নিচের ডানদিকের কোণে (উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের জন্য) সিস্টেম ট্রে শনাক্ত করতে হবে। সিস্টেম ট্রেতে সাধারণত অ্যাপ্লিকেশন এবং ইউটিলিটি চালানোর জন্য আইকন থাকে।
৫. মেনু বার বা সিস্টেম ট্রেতে, ডেস্কটপের জন্য ড্রাইভ আইকনটি খুঁজতে হবে এবং একটি মেনু খুলতে বা অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কিত অতিরিক্ত বিকল্পগুলি প্রদর্শন করতে এটিতে ক্লিক করতে হবে।
৬. নিজেদের কি-বোর্ডে শিফট চেপে ধরে রাখতে হবে।
৭. শিফট চেপে ধরে রাখার সময়, ড্রাইভ ফর ডেস্কটপ মেনুতে ‘সেটিংস’ বিকল্পে ক্লিক করতে হবে। এই কী সমন্বয়টি অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে অতিরিক্ত বা উন্নত সেটিংস আনলক করতে পারে।
৮. একটি সাবমেনু বা উন্নত সেটিংস উইন্ডো দেখতে পাবেন। ‘রিকোভার ফ্রম ব্যাকআপ’ বিকল্পটি সার্চ করতে হবে এবং সিলেক্ট করতে হবে।
৯. একবার ‘রিকোভার ফ্রম ব্যাকআপ’ বিকল্পটি নির্বাচন করুন, রিকোভার বৈশিষ্ট্যটির অ্যাক্সেস পাবেন। ব্যাকআপগুলোর মাধ্যমে নেভিগেট করতে এবং প্রয়োজন অনুসারে নির্দিষ্ট ফাইল বা ডাটা পুনরুদ্ধার করতে অন-স্ক্রিন নির্দেশাবলী বা প্রম্পটগুলো অনুসরণ করুন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বাংলাদেশ থেকে ৭১ লাখ ভিডিও সরাল টিকটক
![বাংলাদেশ থেকে ৭১ লাখ ভিডিও সরাল টিকটক সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/tiktok.jpg)
সম্প্রতি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে টিকটক। এ সময়ের নতুন ডেটা পয়েন্ট এবং ট্রেন্ডগুলোর তথ্য প্রতিবেদনটিতে উঠে আসে। টিকটকের গ্লোবাল কমিউনিটির জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রতিবেদনটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের কারণে ৭১ লাখ ৭১ হাজার ৮৩২টি ভিডিও অপসারণ করেছে টিকটক।
২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে টিকটক মোট ১৬ কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার ৩০৭টি ভিডিও সরিয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা সব ভিডিওর প্রায় শূন্য দশমিক নয় শতাংশ। এর মধ্যে ১২ কোটি ৯৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭৯৩টি ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্তকরণ প্রযুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত এবং অপসারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ৬০ লাখ ৪২ হাজার ২৮৭টি ভিডিও যাচাই-বাছাই করে প্ল্যাটফর্মে পুনরায় রাখা হয়েছে।
স্বচ্ছতা বাড়ানোর লক্ষ্যে টিকটক এবার প্রথমবারের মতো কমেন্টের সেফটি টুলসগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে সরানো এবং ফিল্টার করা কমেন্টের পরিমাণ প্রকাশ করেছে। টিকটক কমেন্টের সেফটি টুলসের মাধ্যমে এতিন মাসে ৯৭ কোটি ৬৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৪৬টি কমেন্ট সরিয়েছে এবং ফিল্টার করেছে, যা পোস্ট করা সব কমেন্টের এক দশমিক ছয় শতাংশ। এছাড়া এ টুলস ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মের ক্রিয়েটররা ৩৩৮ কোটি ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭২২টি কমেন্ট ফিল্টার অথবা অপসারণ করেছে। এটি প্ল্যাটফর্ম কমিউনিটির মান বজায় রাখার জন্য টিকটকের সক্রিয় প্রচেষ্টাকে তুলে ধরে।
এদিকে বাংলাদেশে, ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের কারণে ৭১ লাখ ৭১ হাজার ৮৩২টি ভিডিও অপসারণ করেছে টিকটক। যেখানে সক্রিয়ভাবে অপসারণের হার ছিল ৯৯ দশমিক চার শতাংশ এবং একটি ভিডিও পোস্ট করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ভিডিওগুলোর ৯৪ দশমিক শূন্য শতাংশ ভিডিও সরিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া তরুণদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অ্যাকাউন্ট সরিয়েছে টিকটক। এর আওতায় ১৩ বছরের কম বয়সী ইউজার হওয়ার সন্দেহে বিশ্বজুড়ে মোট দুই কোটি ১৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৪টি অ্যাকাউন্ট সরানো হয়েছে।
টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন করা কনটেন্টগুলো শনাক্ত করতে, মূল্যায়ন করতে এবং এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সমন্বয় করা হয় উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও কর্মীদের। পর্যায়ক্রমিকভাবে টিকটকের প্রকাশ করা কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট থেকে প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট আর অ্যাকাউন্টগুলোর পরিমাণ এবং ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। এ প্রতিবেদনগুলোর মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতার প্রতি টিকটকের প্রতিশ্রুতি এবং গুরুত্ব উঠে আসে।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং টিকটকের কনটেন্ট গাইডলাইনস, টুলস এবং নীতি সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন টিকটকের ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ফের চালু হচ্ছে ৩ ও ১৫ দিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ
![ফের চালু হচ্ছে ৩ ও ১৫ দিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/BTRC.jpg)
মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকরীদের সুবিধার্থে ডাটা প্যাকেজ কমানোর সিদ্ধান্ত নেন তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গত বছরের অক্টোবরে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
৯৫টির পরিবর্তে ডাটা প্যাকেজ ৪০টিতে নামিয়ে আনা হয়। এতে হিতে বিপরীত চিত্র দেখা দেয়। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমতে থাকে। ইন্টারনেট প্যাকেজ থেকে যে আয় হয়, তাতেও ধস নামে মোবাইল অপারেটরগুলোরও।
অপারেটরগুলো জানায়, গ্রাহকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্যাকেজ ছিল ৩ দিনের। এটা বন্ধ করায় ইন্টারনেট গ্রাহক কমে যায়। এতে তাদের আয়ে ভাটা পড়ে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে ৩ ও ১৫ দিনের প্যাকেজ চালুর দাবি জানাতে থাকেন মোবাইল অপারেটরগুলো।
গ্রাহকরাও স্বল্পমেয়াদি ইন্টারনেট প্যাকেজগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। অপারেটর ও গ্রাহক—উভয়পক্ষ অসন্তোষ প্রকাশের পর এ নিয়ে জরিপ করে বিটিআরসি।
জরিপে দেখা যায়, প্রায় ৭০ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তিনদিনের ডাটা প্যাকেজ ব্যবহার করেন। তারা পুনরায় ৩ ও ১৫ দিনের এ প্যাকেজ চালুর দাবিও জানান।
বিটিআরসির এক বৈঠকে সম্প্রতি এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সেখানে উপস্থিতি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গ্রাহকদের চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে প্যাকেজ সাজানোর পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী। এরপর ৩ ও ১৫ দিনের প্যাকেজ পুনরায় চালুর লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে বিটিআরসি।
সম্প্রতি বিটিআরসিতে কলড্রপ সংক্রান্ত সভায় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, গণশুনানিতে দেখেছি, গ্রাহকদের কাছে ছোট প্যাকেজগুলোর জনপ্রিয়তা বেশি। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। জনপ্রিয় প্যাকেজগুলো যেন আমরা পুনরায় চালু করি, সেই নির্দেশনা আছে।
তিনি বলেন, বিটিআরসি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। অপারেটরগুলোকে এ নিয়ে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি ইস্যু করা হবে। আশা করি দ্রুত ছোট প্যাকেজগুলো আবারও ফিরে পাবেন গ্রাহকরা।
বিটিআরসির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে অপারেটরগুলো। তারা বলছেন, গ্রাহকদের কাছে ছোট প্যাকেজগুলো অনেক জনপ্রিয়। এ প্যাকেজগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা গ্রাহক হারিয়ে ফেলেছেন। এটা পুনরায় চালু হলে গ্রাহক আরও বাড়বে বলে মনে করেন তারা।
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সেবার সুযোগ করে দিলে সবার জন্যই উত্তম। সেক্ষেত্রে শুধু তিনদিন নয়, গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী গ্রাহককেন্দ্রিক প্যাকেজের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
টেলিকম অপারেটরগুলোর সংগঠন এমটব মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, আমরা সবসময় গ্রাহকবান্ধব সেবা দিতে চাই। বিটিআরসি থেকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পেলে সব অপারেটর পুনরায় ছোট প্যাকেজগুলো চালু করবে এবং গ্রাহকদের সেগুলো অফার করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
কলড্রপ ইস্যুতে গ্রামীণফোনকে শোকজ, জরিমানার আশঙ্কা
![কলড্রপ ইস্যুতে গ্রামীণফোনকে শোকজ, জরিমানার আশঙ্কা সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/09/grameenphone.jpg)
কলড্রপ ইস্যুতে মোবাইল অপারেটরদের আর কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় সরকার। এ ব্যাপারে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ইতোমধ্যে কলড্রপ সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে না পারায় শোকজ করা হয়েছে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনকে। সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হলে ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে প্রতিষ্ঠানটিকে।
বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে জিপিটি প্ল্যাটফর্ম ‘জি-ব্রেইন’ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্পেকট্রাম বরাদ্দের তুলনায় ইউটিলাইজেশন কম। গ্রামীণফোন বারবার বলে টাওয়ার কম। কিন্তু টাওয়ার যা আছে, তাতে বিটিআরসি যতটুকু স্পেকট্রাম বরাদ্দ দিয়েছে, সেটা কেন ব্যবহার করছে না? কারণ ওই স্পেকট্রাম ইউটিলাইজ করতে গেলে আরও কিছু টেকনোলজি এবং ফাইন্যান্সের বিষয় আছে, যেটা তাদের প্রতিশ্রুতি ছিল। কেন তারা সেটা করল না? এ কারণে আমরা তাদের শোকজ করেছি। তারা সদুত্তর দিতে না পারলে এক কোটি থেকে তিনশ কোটি টাকা জরিমানা করা হতে পারে।
এর আগে, গত ৩০ জুন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আয়োজিত মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কল ড্রপের বিষয়ে কোনো মোবাইল অপারেটর ছাড় পাবে না বলে মন্তব্য করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
কলড্রপ নিয়ে ১ জুলাই থেকে অ্যাকশন: প্রতিমন্ত্রী পলক
![কলড্রপ নিয়ে ১ জুলাই থেকে অ্যাকশন: প্রতিমন্ত্রী পলক সোনালী লাইফ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/zunaid-ahmed-palak-1.jpg)
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কলড্রপ এখন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে অ্যাকশনে যাব।
রবিবার (৩০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সেবার মান বিশেষ করে কলড্রপ সংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদসহ মোবাইল ফোন অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পলক বলেন, মোবাইল ফোন এখন জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, আমাদের গ্রাহকেরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। আজকের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিশ্চিত করা, তারা যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সেই সেবা পাচ্ছে কিনা এবং সুলভ মূল্যে উচ্চ গতির ইন্টারনেট দেওয়ার যে উদ্দেশ্য সেটা গ্রাহক পাচ্ছে কিনা। আমরা যে সুবিধাগুলো দিচ্ছি সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার মোবাইল অপারেটরগুলো করছে কিনা।
‘কলড্রপ একটা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মোবাইল গ্রাহকেরা যেমন এ বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট। বিটিআরসি যে পরীক্ষাগুলো করেছে সে রিপোর্ট অনুসারে কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব একটা সন্তোষজনক নয়। ’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলড্রপ নিয়ে অপারেটরগুলো থেকে যে তথ্য দিক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গ্রাহক এবং সাংবাদিকদের কাছ থেকে একটা উল্লেখযোগ্য চিত্র না পাব বা রিক্যাকশন না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত শুধুমাত্র কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল উপস্থাপনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হব না। এটা আপনারা গ্রহণ করেন বা না করেন আমি আপনাদের পরিষ্কার বার্তাটি দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কারণ প্রথম ছয় মাস, আমরা জানুয়ারিতে শপথ নিয়েছি। আমরা একটা স্মার্ট টেলিকম ইকোসিস্টেম বাংলাদেশকে উপহার দিতে চাই।
‘ইন্টারনেটের যে গতি, আপনারা যতই ব্যাখ্যা দেন যে ওকলার এটা ঠিক না বা স্পিড টেস্টিং মেকানিজম অনেক সময় বায়াস হয়। আমার কথা পরিষ্কার, যেভাবেই হোক আমরা গ্লোবাল বেঞ্চমার্কে উন্নীত হতে চাই। কারণ এটা আমাদের দেশের ব্র্যান্ডিংয়ের একটা বড় প্রভাব ফেলে। ’
পলক আরও বলেন, কলড্রপের জন্য গ্রাহকের যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা আমরা আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে যাব। যেহেতু আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাবে, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা যেন করা হয়। সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণটাই আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব, যাতে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরগুলো একটা চাপে থাকে যে, তারা যদি সেবা না দেয় তাহলে তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা মনিটরিং এবং অডিট নিয়মিত করব। বেঞ্চমার্ক যাই থাকুক, কলড্রপ রেট কাগজে-কলমে যাই থাকুক, আমাদের গ্রাহকের সন্তুষ্টির ওপর জোর দেব।
কল ড্রপ নিয়ে ঢাকার কয়েকটি এলাকার ড্রাইভ টেস্টের ফলাফল পর্যালোচনা করে পলক বলেন, আমরা জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে অ্যাকশনে যাব। শহর বা গ্রাম যেখানেই হোক আমরা মিডিয়ার যে রিপোর্ট, সেগুলো আমলে নেব এবং সেখানে আমরা ড্রাইভ দেব।
ফাইন্যান্সিয়াল অডিট এবং টেকনিক্যাল অডিটের ওপর জোর দেওয়া হবে জানিয়ে পলক বলেন, আসলে অপারেটররা যা বলছে তা সত্যি কিনা। আমরা সাংবাদিক বন্ধুদের রিপোর্টগুলো নিয়মিত আমলে নেব যে, কল ড্রপ কেন হচ্ছে। ইন্টারনেটের গতি কেন কম হচ্ছে, গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া কী সেগুলো আমলে নিয়ে ড্রাইভ দেব। আমরা কারিগরি পরিদর্শন দল গঠন করেছি, তারা সেগুলো টেস্ট করছে।
এক্ষেত্রে অপারটেরদের সহায়তাও দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা অপারেটরদের হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে সাঁতার শেখাব না, আমরা সাঁতার শিখিয়ে সক্ষমতা দিয়ে দেক যাতে নদীটা পার হন। আমরা বলব, সাঁতরিয়ে নদীটা পার হন।
‘কলড্রপ যাতে বিশ্বের অন্যতম একটা ভালো বেঞ্চমার্কে পৌঁছাতে পারি। সেটা আমাদের মূল লক্ষ্য। কলড্রপে সময় নষ্ট হয়, এনার্জি নষ্ট হয়, সে বিরক্ত হয়। পাশাপাশি আপনাদেরও কিন্তু টেকনিক্যাল এবং ফাইন্যান্সিয়াল লস হয়। এসব বিষয় খেয়াল করে সমাধোনে যেতে হবে। সমস্যা যত কঠিনই হোক না কেন সমাধান করতে হবে। ’
পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল সেবা নিয়ে পলক বলেন, ফাইভজি রোল আউটেরও একটা নির্দিষ্ট টার্গেট বিটিআরসি এবং চারটি মোবাইল অপারেটরকে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এয়ারপোর্ট, সি পোর্ট এবং কিছু বিজনেস ডিস্ট্রিক্টস, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক-শিল্পাঞ্চলে ফাইভজি রোল আউট করা। তারপর গ্রাজুয়েলি রোল আউট করা।
কাফি