অর্থনীতি
ইপিজেড ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহী চীন
![ইপিজেড ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহী চীন বাজারমুখী](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/chaina.jpg)
বেপজাধীন ইপিজেডসমূহ ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে সফররত চীনের কুয়ানঝু মেরিটাইম সিল্ক রোড ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধিদল। সোমবার (১ জুলাই) অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সদস্য ও কুনফ্যাং ইন্টেলিজেন্ট মেশিনারি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান জিনশ্যান জুয়ের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি ঢাকার বেপজা নির্বাহী অফিস পরিদর্শনকালে এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন
এর আগে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের কুয়ানঝু সিটিতে আয়োজিত বাংলাদেশের ইপিজেডসমূহ এবং বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশের ইপিজেডে চীনা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিনিধিদলটি বেপজাধীন ইপিজেডসমূহ এবং বেপজা অর্থনেতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সফর করছেন।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশে বিশেষত ইপিজেডে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করায় তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময়ে বাংলাদেশে তেমন কোনো কারখানা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বে দেশটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানিকারক।
বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আদর্শ গন্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি আদর্শ স্থান।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান এ বছরের এপ্রিল মাসে চীনে বিনিয়োগ উন্নয়নমূলক সেমিনার আয়োজনে সহায়তা করার জন্য কুয়ানঝু মেরিটাইম সিল্ক রোড ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জিনশ্যান জু বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমরা কুয়ানঝু মেরিটাইম সিল্ক রোড ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন সদস্য বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে বাংলাদেশে এসেছি। দেশটি খুব দ্রুত উন্নয়ন করছে এবং নতুন শিল্প স্থাপনের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য।
বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) আশরাফুল কবীর বলেন, বেপজা বাংলাদেশের একটি অগ্রগামী বিনিয়োগ উন্নয়নমূলক সংস্থা। ৪৪ বছর ধরে পেশাদারত্ব, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ইপিজেডসমূহে বিনিয়োগকারীদের সেবা দিয়ে আসছে সংস্থাটি। তিনি চীনা বিনিয়োগকারীগণকে ইপিজেড ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
নির্বাহী পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন-অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফজলুল হক মজুমদার পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে বেপজার সার্বিক কার্যক্রম, পরিচালন পদ্ধতি এবং বেপজা কর্তৃক ইপিজেডের বিনিয়োগকারীদের প্রদেয় সুবিধাদি, প্রণোদনা বিষয়ে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন।
এর আগে প্রতিনিধিদলটি ইপিজেড পরিচালনা পদ্ধতি, অবকাঠামোগত সুবিধা, শ্রমিকের মজুরি কাঠামো, কাস্টমস পদ্ধতি, বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস ও ভূমির ভাড়া ও মূল্য প্রভৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভের জন্য ৩০ জুন চট্টগ্রাম ইপিজেড ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে স্থাপিত বেপজার সর্ববৃহৎ উদ্যোগ বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের
![ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের বাজারমুখী](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/onion-1.jpg)
আবারও ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের। তিন দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এদিকে দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, কারওয়ান বাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
সরবরাহ সংকটের কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে বলে জানায় খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, কোরবানি ঈদের সময় বাজারে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। যা এখন ১০০-১১০ টাকায় পৌঁছেছে। এই হিসেবে ১৫ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। আর গত তিন দিনেই বেড়েছে ১০ টাকা।
বাজারের একজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, আলাদা করে কারও কাছে পেঁয়াজের মজুত নেই। গৃহস্থদের কাছে যা আছে, সেগুলোই ব্যবসায়ীদের কাছে আসতেছে। গৃহস্থরা এবার আস্তে আস্তে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়তেছে। সব একবারে ছাড়েনি। তাই দাম উঠানামা করে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানায়, ভারত থেকে চার-পাঁচ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এর ফলে বাজারে সরবরাহ কম ছিল। সেই সময় মানুষ বেশি পরিমাণে দেশি পেঁয়াজ কিনেছেন। পরে আবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় কিন্তু এর ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এতেই দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। ফলে বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম দেশি পেঁয়াজের চেয়েও বেশি পড়ছে।
এছাড়া বর্তমানে ভারত থেকে কম পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ৩৫ লাখ টন। হিসাব অনুযায়ী চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন বেশি আছে। এ হিসাবে বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যতিক্রমী সরকারি প্রকল্প, বরাদ্দের চেয়ে ১০০ কোটি টাকা কমে বাস্তবায়ন
![ব্যতিক্রমী সরকারি প্রকল্প, বরাদ্দের চেয়ে ১০০ কোটি টাকা কমে বাস্তবায়ন বাজারমুখী](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/bangabondhu-gas-project.jpg)
সরকারি প্রকল্পের কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো এবং অপ্রয়োজনীয় কিছু ব্যয় হয়। যার ফলে সরকারি প্রকল্প নিয়ে খুব পরিচিত একটি অভিযোগ হলো, প্রকল্পের বাস্তবায়ন ব্যয় প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে বেশি হয়।
তবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) ব্যতিক্রম একটি প্রকল্পের সন্ধান পেয়েছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ব্যয় প্রাক্কলন ব্যয়ের চেয়ে ১০০ কোটি টাকা কম ব্যয় হয়েছে। যার ফলে এই প্রকল্পটিকে ব্যতিক্রম বলে অভিহিত কার হচ্ছে।
আইএমইডির এক মূল্যায়ন অনুযায়ী, ব্যতিক্রমী এই প্রকল্পটি হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ ও বিতরণ প্রকল্প। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ২০১৭ সালের মে থেকে ২০১৯ সালের জুন এই সময়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। এজন্য তারা ব্যয় করেছে ৩০৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। অথচ প্রকল্পটির আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছিল বা প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ৪০৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটির জন্য ৩৬৭ কোটি ১০ লাখ টাকা অনুমোদনের পর ‘রিভার ক্রসিং বাই হরাইজন্টাল ডাইরেকশনাল ড্রিলিং ইত্যাদি’ সংশোধনের মাধ্যমে এই ব্যয় প্রায় ৪০ কোটি টাকা বা ১১ শতাংশ বাড়িয়ে ৪০৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা করা হয়।
আইএমইডি জানিয়েছে, নানা কারণে প্রকল্পের কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি ব্যয় হয়নি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বল্প ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।
মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ভালভ স্টেশনের জন্য বিনামূল্যে জমি দিয়েছে।
এছাড়া, আগে অধিগ্রহণ করা বেজার জমি কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির ২০ ফুট প্রশস্ত পাইপলাইন নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ অর্থ জমি অধিগ্রহণের জন্য কোনো অর্থের প্রয়োজন হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, পাশাপাশি নদী পারাপার ও ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন (ইপিসি) সম্পর্কিত হরাইজন্টাল ডিরেকশনাল ড্রিলিং পদ্ধতির আওতায় ক্যাথোডিক প্রোটেকশন সিস্টেম স্থাপনের কাজ প্রাক্কলিত কাজের চেয়ে কম ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যয় কম হওয়ার পেছনে আরেকটি কারণ হলো পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দিয়ে বিস্তারিত সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি।
এতে আরও বলা হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় মিরসরাই শিল্পাঞ্চল বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর পর্যন্ত গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে ওই এলাকায় গ্যাস সরবরাহের অবকাঠামো তৈরি হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ওই এলাকার তিন শিল্প গ্রাহককে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রকল্পের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমইডি।
তারা বলছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে নতুন নতুন শিল্পকারখানা যেমন গ্যাস সংযোগের আওতায় আসবে, তেমনি প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাব বাড়বে।
আইএমইডি বলেছে, প্রকল্পের বিভিন্ন প্রকিউরমেন্ট প্যাকেজের আনুমানিক খরচ বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না, কারণ ঠিকাদার দরপত্রে আনুমানিক খরচের চেয়ে বেশি দর উল্লেখ করেছিল। ফলে বারবার দরপত্র ডাকতে হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমইডি।
এতে বলা হয়েছে, এছাড়াও প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার আগে তৃতীয় পক্ষ দিয়ে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি, তাই প্রকল্পের বিভিন্ন অংশের প্রাক্কলন ব্যয় ও কাজের পরিধি যথাযথ ছিল না।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সরকারের রাজস্ব সাশ্রয় করতে পেরেছে, এটি একটি ভালো উদাহরণ। কারণ বেজা জমির জন্য কোনো টাকা নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, সাশ্রয় করা অর্থ অন্যান্য প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, যা অর্থনৈতিক সংকটের সময় গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের দক্ষতার কারণে অর্থ সাশ্রয় হয়নি, বরং বেজার উদারতার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য এ ধরনের সুযোগ ছিল। বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে সেসব প্রকল্পের অর্থ সাশ্রয় করতে পারত বলে জানান তিনি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকারের সহায়তা চান রেঁস্তোরা ব্যবসায়ীরা
![নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকারের সহায়তা চান রেঁস্তোরা ব্যবসায়ীরা বাজারমুখী](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/resturant1.jpg)
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এবং রেস্তোরাঁ শিল্পের কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নে সরকারের নীতি সহায়তা চান এই খাতের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনার জটিলতা কমানো, রেস্তোরাঁগুলোর ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন এবং এই খাতের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।
বুধবার (৩ জুলাই) এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে ফুড অ্যান্ড ফুড সেইফটি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এই আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ইমরান হাসান। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন।
প্রধান অতিথি হিসেবে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সবার জন্য পুষ্টিকর এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা কঠিন, তবুও আমাদের কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন করতে হবে।
রেস্তোরাঁর পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে রেস্তোরাঁ শিল্পের জন্য দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে শুধু বিদেশ পাঠালে চলবে না, নিজেদের দেশের জন্যও খাতভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। এ সময়, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত এবং রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের সমস্যা দূরীকরণে এফবিসিসিআইয়ের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। ভেজাল রোধ, অগ্নি নিরাপত্তা এবং রেস্তোরাঁ শিল্পের অন্যান্য সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে হবে এই খাতের উদ্যোক্তাদের। আর এসব করার জন্য তিনি স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দেন।
সভার আলোচনায় রেস্তোরাঁ শিল্পের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা উচিত বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। এছাড়া, রেস্তোরাঁর লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়নের প্রক্রিয়া সহজিকরণ, ভেজালবিরোধী আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা, অভিযান পরিচালনা এবং খাদ্যে ভেজাল নির্ধারণে গাইডলাইন ঠিক করার দাবি জানান তারা।
একইসঙ্গে ভেজাল নির্ণয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টেস্টিং সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও সহযোগিতার মানসিকতা তৈরি করা, অভিযানের নামে ব্যবসায়ীদের সামাজিকভাবে হেনস্তা বন্ধ করা, নিরাপদ খাদ্য ও রেস্তোরাঁ ব্যবসার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকল অংশীজনকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সেমিনার আয়োজন, রেস্তোরাঁ মালিকদের ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ প্রদান, রেস্তোরাঁ শিল্পের জন্য আলাদা বিভাগ বা কর্তৃপক্ষ গঠন করাসহ বেশকিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন কমিটির সদস্যরা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ২১ শতাংশ
![বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ২১ শতাংশ বাজারমুখী](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/export-import.jpg)
সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই’২৩ -এপ্রিল২৪) বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ২০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। বুধবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক লেনদেনের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৩৬০ কোটি ডলার, যা এবার নেমে এসেছে ১ হাজার ৮৬৯ কোটি ডলারে। এই দশ মাসে বাংলাদেশ থেকে পণ্য ও সেবা রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ডলারের। এর বিপরীতে আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ডলারের।
এপ্রিল শেষে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্য দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৫৭২ কোটি ডলারে, এক মাসে আগেও যা ছিল মাত্র ৪০৭ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দশ মাস শেষে এ হিসাবে ঘাটতি ছিল ১ হাজার ১৮ কোটি ডলার।
চলতি হিসাবে ঘাটতি থাকা মানে নিয়মিত লেনদেনে ঋণ নিয়ে পূরণ করতে হয়। আর উদ্বৃত্ত থাকা মানে নিয়মিত লেনদেনে কোনো ঋণ করতে হয় না দেশকে।
এই সময়ে সার্বিক ভারসাম্যে (ওভারঅল ব্যালেন্স) ঘাটতিও কিছুটা কমেছে। জুলাই-এপ্রিলে এ হিসাবে ঘাটতি রয়েছে ৫৫৬ কোটি ডলারের। ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপ্রিল শেষে ঘাটতি ছিল ৮৮০ কোটি ডলারের। এক বছরের ব্যবধানে সার্বিক ভারসাম্যর ঘাটতি কমেছে ৩২৪ কোটি ডলার বা ৩৬ দশমিক ৮১ শতাংশ।
একই সময়ে বাংলাদেশের সেবা খাতে আয় কমেছে। আলোচ্য এ সময়ে সেবা খাতে আয় হয়েছে ৫১৮ কোটি ডলার। আর এ খাতে ব্যয় হয়েছে ৮২৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ সেবা খাতে এ সময় ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩০৫ কোটি ডলারের।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মেট্রোরেলে ভ্যাট বাড়ানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কাল
![মেট্রোরেলে ভ্যাট বাড়ানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কাল বাজারমুখী](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/Metro-Rail-MetroRail.jpg)
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেলে চলাচলের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মুসক) বা ভ্যাট আরোপের কথা। তবে সরকারি এ সংস্থাটির সিদ্ধান্ত অনুসারে ভ্যাটের সমপরিমাণ অর্থ আদায় শুরু করেনি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল)।
এ বিষয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুই সংস্থার বৈঠক হবে। এতে কী উপায়ে এনবিআর নির্ধারিত ভ্যাট আদায় করা হবে, বা আরোপ হবে কিনা; হলে সেটি ভাড়া বৃদ্ধির মাধ্যমে নাকি সমন্বয় করে, তা চূড়ান্ত হবে।
এ বিষয়ে মেট্রোরেল পরিচালনা সংস্থা ডিএমটিসিএল কোম্পানি সচিব আব্দুর রউফ বলেন, আমরা ভ্যাট মওকুফ চেয়ে এনবিআরকে আমাদের মতামত তুলে ধরেছি। বৃহস্পতিবার বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভ্যাট না বসানোর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে বলে তিনি মনে করেন।
সূত্র বলছে, মেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের ব্যাপারে এনবিআর ও ডিএমটিসিএল নিজ নিজ অবস্থানে অনড়। এর আগে নিজস্ব মতামত জানিয়ে দুই কর্তৃপক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার চিঠি চালাচালি ও বৈঠকে হয়েছে। কিন্তু বিষয়টির সমাধান হয়নি।
হিসাব অনুযায়ী, বর্তমান ভাড়ার সঙ্গে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট যোগ করা হলে যাত্রীর ভাড়া বাড়বে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রীর বর্তমান ভাড়া ১০০ টাকা। এক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করা হলে ভ্যাট আইন অনুযায়ী ১৫ টাকা বেড়ে ১১৫ টাকা হবে।
অন্যদিকে ভ্যাটের টাকা যাত্রীর বর্তমান ভাড়া থেকে কেটে নেওয়ারও আইনি সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে ১০০ টাকা যাত্রীর কাছ থেকে নিয়ে ১৫ টাকা এনবিআরকে দিতে হবে, সেক্ষেত্রে ভাড়া না বাড়লে মেট্রোরেলের আয় কমবে।
এমআই