সারাদেশ
ঈদের মাঝে ভালো নেই সুনামগঞ্জের মানুষ
ভারতের উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল আর অব্যাহত বৃষ্টিপাতে সুনামগঞ্জের সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটাসহ সব নদনদীর পানি বেড়ে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিপাতে সুরমা নদীর পানির ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
রোববার (১৬ জুন) দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা ১ সেন্টির মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমা সীমা অতিক্রম করায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এতে নিম্নাঞ্চলের কোথাও কোথাও স্বল্প মেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।
এদিকে পাহাড়ি ঢলে জেলার দোয়ারা বাজার ও ছাতকের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পানিবন্দি বাসিন্দাদের। প্রবল ঢলে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে দোয়ারা বাজার উপজেলা সুরমা, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি গ্রামের রাস্তাঘাট ও নিচু এলাকার ঘরবাড়ি। পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটছে অন্তত ৫০ হাজার মানুষের।
পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার শঙ্কা এলাকাবাসীর।
তবে বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর এমনটাই জানালেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
সিলেটে হু হু করে বাড়ছে নদীর পানি
ভারত থেকে নেমে আসা উজানি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে আবারও বাড়ছে সিলেটের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। পানি বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকায় সিলেট অঞ্চলে নতুন করে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া তথ্য মতে, সুরমা ও কুশিয়ারা, গোয়াইন, ডাউকিসহ সব নদ-নদীর পানি রোববার (৩০ জুন) সন্ধ্যার পর থেকে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শুধুমাত্র কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করলেও ১ জুলাই সকালে সুরমার কানাইঘাট পয়েন্টেও পানি বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করছে।
কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরে উপজেলার একাধিক বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উজানে বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে লোভা ও ডাউকি নদীর পানি ব্যাপক স্রোতে প্রবাহিত হচ্ছে ও বেড়ে চলেছে। নতুন করে সিলেটে ও চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
এদিকে সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন বলেন, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল (সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা) ৩৯.৬ মিলিমিটার। শুধুমাত্র আজ সকাল ৬ থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৬৫ মিলিমিটার। চেরাপুঞ্জিতেও গতকাল প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩১৩ মিলিমিটার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
ঢাকার সঙ্গে ৫ জেলার রেল যোগাযোগ বন্ধ
বগুড়ার গাবতলীতে সান্তাহার থেকে বোনারপাড়াগামী লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরের পাঁচ জেলার রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
রবিবার (৩০ জুন) রাত পৌনে ৯টার দিকে গাবতলী স্টেশনে প্রবেশের আগে ট্রেনটির পেছন থেকে তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান বলেন, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুর, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
লালমনিরহাট থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি উদ্ধার করবে বলেও জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
বিপুল সম্পত্তির পাহাড় গড়েছেন সাব-রেজিস্ট্রার কল্লোল
বরিশাল সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অসীম কল্লোল নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। নানা উপায়ে কিনেছেন বিলাসবহুল দামি গাড়ি ও একাধিক বহুতল ভবন। ঢাকায় এবং বরিশালে ৩টি ফ্লাটসহ সরকারি জমিতে করেছেন পাঁচ তলা ভবন। নামে বেনামে কিনেছেন একরের পর একর জমি। স্ত্রীর নামেও কিনেছেন একাধিক জমি, করেছেন মাছের ঘেরসহ এগ্ৰো ফার্ম।
বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে তার জমি ও সম্পদের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র পোর্ট রোড এলাকায় সরকারি খাস জমিতে করেছেন ৫তলা ভবন। ঢাকায় কিনেছেন ২টি ফ্লাট, বরিশাল নগরীর হাসপাতাল রোড এলাকার অগ্রণী হাউজিং লিমিটেডের ড্রিম প্যালেসে কিনেছেন কোটি টাকার ফ্ল্যাট। (ফ্ল্যাট নং- ৩-অ)। এছাড়া সদর উপজেলার সায়েস্তাবাদে ১ একর ২৫ শতাংশ জমিতে স্ত্রীর নামে করেছেন সোনার বাংলা মৎস্য খামার ও এগ্রো ফার্ম।
শহরতলীর কাগাসুরা মুকুন্দপট্টি রাস্তার দুই পাসে ৮০ শতাংশ জমি কিনে করেছেন সুগন্ধা এগ্রো এন্ড ফিশারিজ। একই এলাকায় কাগাসুরা বাজারের পাশে একশো শতাংশ জমি কিনে তার উপর করেছেন মালটা বাগান। নগরীর ৪নং ওয়ার্ডে কিনেছেন ১২ শতাংশ প্লট ও লাকুটিয়া বাজার এলাকায় ২০ শতাংশ জমির ওপর করেছেন সুগন্ধা পোল্ট্রি খামার। এছাড়া তালতলী বাজারে স্ত্রীর নামে রয়েছে ইট বালু ও রড সিমেন্টের দোকান।
এছাড়াও নিজের, স্ত্রীর ও ছেলের নামে রয়েছে প্রচুর সম্পদ। চাকরির সুবাদে যখন যেখানে বদলি হয়েছেন সেখানেই কিনেছেন জমি ও ফ্লাট। তার সব সম্পত্তির পরিমাণ কয়েকশো কোটির বেশি বলে জানান স্থানীয়রা। একজন সাব-রেজিস্ট্রারের এত সম্পত্তির উৎস্য খতিয়ে দেখার দাবিও জানান স্থানীয়রা।
সায়েস্তাবাদ এলাকার বাসিন্দা সাহাবুদ্দিন জানান, একজন সাব-রেজিস্ট্রার হয়ে এতো বিশালাকার জমি কীভাবে কিনেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশে এখন সবকিছুই সম্ভব, আর যা কিছু অবৈধ উপায়ে হচ্ছে তা সব সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরাই করছেন।
কাগাসুরা বাজার এলাকার শহিদুল ইসলাম বলেন, শুনেছি সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার এই জমি কিনে মাল্টা বাগান করেছেন। এই বাগান দেখাশোনার জন্য একজন লোক নিয়োগ দেওয়া রয়েছে এখানে। মাঝে মাঝে সাব-রেজিস্ট্রার এখানে এসে ঘুরে যান। এছাড়াও এই এলাকায় তার আরও কয়েকটি বিশালাকার প্লট রয়েছে।
সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অসীম কল্লোলের বিভিন্ন এলাকার সম্পদ ও জমির খোঁজ নিতে গেলে তার ছেলে ফোন দিয়ে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা করে চা খেয়ে কথা বলে সংবাদ প্রকাশ না করার কথা বলেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অসীম কল্লোলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এত সম্পত্তি আমার নেই, তবে বরিশালে ১টি, ঢাকায় ২টি ফ্লাটসহ ৫তলা ভবন আছে। এছাড়া কিছু জায়গা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসব সম্পত্তি ইনকাম ট্যাক্সের ফাইলে আছে। ফাইলের বাইরে এক শতাংশ জমিও নেই। সরকারকে প্রতি বছর এসব সম্পত্তির ট্যাক্স দিই। তাছাড়া এসব নিয়ে দুই-তিনবার দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে ডাকা হয়েছিল। তারা সম্পদের বিবরণী খতিয়ে দেখেছে।
বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার হয়ে যদি অবৈধভাবে কোনো কিছু করে থাকেন তাহলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
‘ভিটেমাটি বিক্রি করো, তবুও আমার জান ভিক্ষা দাও মা’
মা তুমি আমাকে তাড়াতাড়ি বের কর। না হলে এরা (মাফিয়া) আমাকে মেরে ফেলবে। ১৪ লাখ টাকায় ভিটেমাটি বিক্রি করে হলেও টাকা দাও। টাকা পাঠিয়ে তুমি আমার জান ভিক্ষা দাও মা। আমি এদের মারধর আর সহ্য করতে পারছি না। গোটা শরীরে ঘা হয়ে গেছে।
লিবিয়ায় মাফিয়াদের কাছে জিম্মি ওয়াসিম আলীর মা পেমেলা বিবি বুধবার রাজশাহী কোর্টে কান্না জড়িত কণ্ঠে ছেলের এই কথাগুলো বলছিলেন। ওয়াসিম রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ৫ নম্বর ঝালুকা ইউনিয়নের সায়বাড় গ্রামের আব্দুর সাত্তারের ছেলে।
ওয়াসিম দেড় বছর আগে লিবিয়া যান। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার ওয়াসিমের মামা আব্দুল জলিল ওয়াসিমের চাচাতো ভাই ইসমাইল ও তার পরিবারের নামে রাজশাহী কোর্টে অভিযোগ দেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওয়াসিম আলী দেড় বছর আগে লিবিয়ায় যান। এরপর তাকে ইতালিতে পাঠানোর কথা বলেন তার চাচাতো ভাই ইসমাইল। এরপর স্থানীয় হাসপাতালে কাজ বাদ দিয়ে ইতালি যাওয়ার জন্য ইসমাইলের পাঠানো গাড়িতে উঠেন ওয়াসিম। এর ১৫ দিন পর ওয়াসিমের বাড়িতে খবর আসে ওয়াসিম মাফিয়াদের হাতে জিম্মি হয়েছেন। তাকে ছাড়াতে ১৪ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। এরপর মাফিয়াদের ৮ লাখ টাকা দিলেও তারা তাকে মুক্তি দেয়নি। ইসমাইল আগে থেকেই লিবিয়াতে থাকতেন।
ওয়াসিম আলীর মা পেমেলা বিবি বলেন, এ ঘটনার আগে ইসমাইল একদিন ফোন করে আমাকে বলেন, সে ওয়াসিমকে ইতালি পাঠাতে পারবেন। সেখানে অনেক সুযোগ-সুবিধা আছে। ইনকামও অনেক বেশি। এরপর আমার কাছে কিছু টাকা চান। এর কিছুদিন পর জানতে পারি আমার ছেলেকে মাফিয়ারা লিবিয়ায় জিম্মি করেছে।
তিনি আরও বলেন, এরপর ছেলের মুক্তির জন্য তারা ফোনে আমার কাছে ১৪ লাখ টাকা দাবি করে। আমরা গরিব মানুষ টাকা এতো টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই। টাকা দিতে না পারায় ছেলের উপর তারা নির্মম নির্যাতন চালায়। ছেলের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আমি ঢাকায় হোটেলের কাজ ছেড়ে রাজশাহীর বাড়িতে চলে আসি। তারা বলেছে, টাকা না পাঠালে আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে।
কান্না জড়িত কণ্ঠে পেমেলা বিবি আরও বলেন, পাঁচ মাসের বেশি হয়ে গেল। আজও ছেলেকে মুক্ত করতে পারিনি। ইসমাইলের বাবা-মায়ের হাত পা ধরেছি। কোনো কাজ হয়নি। আমি সরকারের কাছে দাবি জানায়, ছেলেকে সুস্থভাবে আমার বুকে ফিরিয়ে দিক।
ওয়াসিমের মামা আব্দুল জলিল বলেন, ওয়াসিম আর ইসমাইল সম্পর্কে চাচাতো ভাই। ওয়াসিমকে লিবিয়ার নিয়ে যাওয়ার শুরু থেকে ইসমাইল আছে। তার ভরসায় ওয়াসিম লিবিয়ায় যায়। লিবিয়ায় ওয়াসিম একটা হাসপাতালে কাজ করত। এমন অবস্থায় ইসমাইল বার বার ওয়াসিমকে ফোন করে বলে তোমাকে লিবিয়ায় থাকতে হবে না। তোমাকে ইতালিতে পাঠাবো। সেখানে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবা। দীর্ঘদিন ফোন দিয়ে রাজি করে ওয়াসিমকে।
তিনি আরও বলেন, একদিন ওয়াসিমকে নিতে ইসমাইল গাড়ি পাঠায়। সেই গাড়িতে যাওয়ার পর ওয়াসিম নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার ১৫ দিন পরে জানতে পারি মাফিয়ারা তাকে আটক করেছে। তাদের হাত থেকে ওয়াসিমকে ছাড়াতে জায়গা জমি বিক্রি করে সবমিলে ৮ লাখ টাকা দেই। কিছু টাকা ইসমাইলের মা ও ভাই নিয়ে গেছে। গত কয়েকদিন আগে ভিডিও কলে ওয়াসিমকে মারধরের ভিডিও দেখানো হয়। আমরা কোর্টে ইসমাইলের মা-বাবা ও তার নামে অভিযোগ দিয়েছি। তাদের আদালতে হাজির হওয়ার তারিখ ছিল গত মঙ্গলবার। কিন্তু তারা হাজির হননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও লিবিয়ায় নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে সায়বাড় গ্রামের মোস্তফার ছেলে ইসমাইলের বিরুদ্ধে। তার মাধ্যমে এলাকার ও আশেপাশের যারা লিবিয়ায় গেছে তারাও সেখানে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়।
দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল আওয়াল মোল্লা বলেন, মাফিয়ারা তাদের ওয়াসিমের পরিবারের কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ চান। এরপর ৩ লাখ টাকা পাঠানোর সময় আমি সঙ্গে ছিলাম। পরবর্তীতে আর কোনো টাকা দেওয়া হয়েছে কিনা তা আমি জানি না।
এ বিষয়ে জানতে দুর্গাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলামকে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
গাজীপুরে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঢাকা থেকে বিকল্প ইঞ্জিন ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার হানিফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেন বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পার হয়। কিছু দূর যাওয়ার পর মির্জাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও কালিয়াকৈর হাইটেক রেলওয়ে স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় পৌঁছলে ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
হানিফ আলী বলেন, ইঞ্জিন বিকলের সংবাদ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে ঢাকা থেকে বিকল্প ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিকল্প ইঞ্জিন ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। বিকল্প ইঞ্জিন পৌঁছালে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় এ পথে চলাচলকালী কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিয়েছে।