অর্থনীতি
বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচ ৫০৭ কোটি টাকা

দেশের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে বিভিন্ন সেবা ও পণ্য কিনে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ৫০৭ কোটি টাকা খরচ করেছেন। একই সময়ে বিদেশিরা বাংলাদেশে ২০০ কোটি টাকার লেনদেন করেছিলেন ক্রেডিট কার্ডে। চলতি বছরের মার্চের তুলনায় এপ্রিলে ক্রেডিট কার্ডে খরচ বেড়েছে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। মার্চে খরচ করেছিল ৫০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
ক্রেডিট কার্ডে দেশে-বিদেশে লেনদেন সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেন কয়েকটি দেশে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড ও আরব আমিরাত। বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচের ৫০ শতাংশই এই চার দেশে হয়ে থাকে।
বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ প্রতি মাসে ভারতে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য যান। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এ কারণে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে ভারতে। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রতিবেশী দেশটিতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশিরা ৯৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা খরচ করেছেন, যা মোট খরচের ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। ভারতে খরচের এ অঙ্ক মার্চে ছিল ১০৬ কোটি টাকা।
একইভাবে এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বাংলাদেশিরা ৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করেছে, যা মোট খরচের ১৩ দশমিক ১২ শতাংশ; থাইল্যান্ড গিয়ে ৪৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং আরব আমিরাতে খরচ হয়েছে ৪০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ ছাড়া সৌদি আরবে ৩৭ কোটি, সিঙ্গাপুরে ৩৫ কোটি ৭০ লাখ, যুক্তরাজ্যে ৩১ কোটি ৮০ লাখ এবং কানাডায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা কার্ডে খরচ করেছেন বাংলাদেশিরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, একজন বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে গিয়ে প্রতি বছর ১২ হাজার ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে পারেন। এ অর্থ কার্ডের মাধ্যমে খরচ করতে পারেন, আবার বিদেশে যাওয়ার সময় নগদ ডলারও সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন। তবে কার্ডের মাধ্যমে ডলার পেমেন্ট করতে গেলে একবারে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করার সুযোগ রয়েছে।
কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ ডলারের দাম বেশি থাকায় কার্ডের মাধ্যমে ডলার পেমেন্টে গ্রাহকেরা আগ্রহী হচ্ছেন উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা বলেন, এখন দেশের কার্ব মার্কেট থেকে নগদ ডলার কিনতে গেলে ১২২ থেকে ১২৩ টাকার মতো খরচ করতে হয়। সেখানে অধিকাংশ ব্যাংকেই ১১৮-১১৯ টাকায় ইলেকট্রনিক ডলার কিনে কার্ডের মাধ্যমে খরচ করা যায়। এসব কারণে কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্টে সবাই আগ্রহী হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
টিএনজেডের ৪ কারখানাই বন্ধ করে দেওয়া হবে: শ্রমসচিব

টিএনজেড গ্রুপের চারটি কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, দুই দফায় টিএনজেড-কে টাকা দিয়েছে সরকার। কিন্তু কোম্পানিটির ৪টি কারখানা শ্রমিকদের বেতন বকেয়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। এই কোম্পানি আর চালানো যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) আরএমজি বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (আরএমজি-টিসিসি) ২০তম সভা শেষে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, টিএনজেড-কে নভেম্বরে ১৬ কোটি টাকা দিয়েছি, এখন আবার ১৭ কোটি টাকা বকেয়া হয়েছে। আবার কোরবানিতে ১৫ কোটি টাকা বকেয়া হবে, এটা তো হতে পারে না। সিদ্ধান্ত হয়েছে টিএনজেডের চারটি কারখানাই বন্ধ করে দেওয়া হবে। এসব কারখানার শ্রমিক সংখ্যা ৩২০০ জনের মতো।
কিছু শ্রমিকের অসৎ উদ্দেশ্যের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, গতকাল টিএনজেডের শ্রমিকরা কারখানার কাছে সমাবেশ করেছেন। তারা আজ বৈঠকে না এসে ওখানে সমাবেশ করছেন কেন? আবার তারা পানি ঘোলা করবেন। সমস্যার সমাধানের জন্য যখন আলোচনা চলছে, তখন আরেক গ্রুপ বিআরটিসি ডাবল ডেকার বাসে চড়ে এসে শ্রম ভবনের সামনে বসে আছেন। এগুলো কেন হবে? টোটাল জিনিসটা খুব সরলভাবে দেখলে হবে না। এর পেছনে অনেক বিষয় আছে।
টিএনজেডের ক্ষেত্রে বেক্সিমকো মডেল প্রয়োগ করা হবে জানিয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, সেখানে ৪০ হাজার শ্রমিকের সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের বকেয়া যেভাবে মালিক পরিশোধ করেছে, টিএনজেডের বকেয়াও মালিক পরিশোধ করবে। তাকে দেশে ফিরতে সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড এলার্ট জারি করবো। তার ওপর কোনো রকম ট্রাস্ট রাখতে পারছি না। তিনি বিদেশে বসে আছেন, দেশে আসার লক্ষণ নেই।
তিনি বলেন, টিএনজেডের সমাধানে একটা উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করা হয়েছে। তাদের সম্পদ মূল্যায়ন করা হবে। শ্রমিকদের পাওনা কত আছে বের করা হবে। সম্পদ বিক্রি করলে কীভাবে কী হবে সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তারা দেবে। আজ থেকে এই কারখানাটি আমরা হেফাজতে নিয়েছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চার দফা বৃদ্ধির পর কমলো সোনার দাম

টানা চার দফা বাড়ানোর পর দেশের বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ২৪৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকা।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ১৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মূলত ট্রাম্পের শুল্কারোপের ঘোষণায় অস্থির হয়ে উঠেছে সোনার বিশ্ববাজার। নতুন শুল্কহার ঘোষণার পর রেকর্ড উচ্চতায় উঠে যায় প্রতি আউন্স (৩ হাজার ১৬৭ ডলার) সোনার দাম।
তবে এরপরই বড় পতন দেখে সোনার বিশ্ববাজার। বর্তমানে বিশ্ববাজারে দাম কমে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ১৪ ডলারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ২৮ মার্চ দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৭৭৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৯ হাজার ১৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ২৯ মার্চ থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর ১৮ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৩ বার, আর কমেছে মাত্র ৫ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
সোনার দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মার্চে মূল্যস্ফীতি ৯.৩৫ শতাংশ

চলতি বছরের মার্চ মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। ফলে মার্চ মাসে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে খাদ্যখাতে। তবে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সেখানে মার্চের এ চিত্র পাওয়া গেছে।
আলোচ্য মাসে (মার্চে) সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ, ২০২৪ সালের মার্চে যদি বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবা কিনে সংসারের খরচ চালাতে ১০০ টাকা খরচ হয়, তাহলে এ বছরের মার্চে একই পণ্য ও সেবা কিনে সংসার চালাতে খরচ লাগল ১০৯ টাকা ৩৫ পয়সা। প্রতি ১০০ টাকায় খরচ বেড়েছে ৯ টাকা ৩৫ পয়সা।
বিবিএস জানায়, মার্চ মাসে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ হয়েছে, এর আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। মার্চে দেশে গ্রামাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এ মাসে র্চে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের মার্চে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
মার্চে গ্রামাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ৮১ ও ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ১৫ ও ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চে যা ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৮৬ ও ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।
মার্চে শহরাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চে যা ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মার্চে শহরাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ৯ দশমিক ১৮ ও ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৪৭ ও ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চে যা ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৯৮ ও ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি যেভাবে বাড়ছে সেভাবে বাড়ছে না মজুরি। ফলে আয়ের সঙ্গে ব্যয় মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। মার্চে জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। অর্থাৎ মজুরি বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি। ফলে কমেছে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা। গ্রাম ও শহরের ১৪৫টি পেশার মজুরির ওপর এই হিসাব করেছে বিবিএস। দেশের প্রায় ৮৬ শতাংশ মানুষ অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। দেশে বর্তমানে ছয় কোটি কর্মজীবী মানুষের বসবাস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৮ শতাংশের নিচে নামার পূর্বাভাস

আগামী জুন মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আইএমএফের সঙ্গে চলা বৈঠকে মূল্যস্ফীতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এ সময় প্রতিনিধি দলটি আগামী জুন নাগাদ বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।
তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে না জানিয়ে আরিফ হোসেন বলেন, সরকারের সবগুলো অর্গান যখন একসঙ্গে কাজ করে তখনই এটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন মতে, ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। আগের মাস জানুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাণিজ্য ঘাটতি কমানোই আমাদের মূল লক্ষ্য: উপদেষ্টা

আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। আমরা ওটার ওপরেই কাজ করছি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বশিরউদ্দীন বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ইতোমধ্যে আরও ১০০ পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করি, তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তার রেসপন্স পেয়েছেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, না আমরা এখনও কোনো রেসপন্স পাইনি।
এ সময় শেখ বশিরউদ্দীনকে প্রশ্ন করা হয় সামগ্রিকভাবে শুল্ক আরোপের ফলে মানুষের মনে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, এটা সামাল দিতে আমাদের মেকানিজম কী হবে? জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন রকমের বিশ্লেষণ করছি যে কী কী পণ্য দিয়ে আমরা বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পারি। আসলে বিষয়টা অতি পরিবর্তনশীল একটা বিষয়।
উপদেষ্টা বলেন, আপনারা দেখেছেন গতকাল আমেরিকান প্রশাসন বলেছে যে, চায়নিজ… ট্যারিফ ঘোষণা করেছে, ওনারা আবার আরও ৫০ শতাংশ দিতে পারে। এ ধরনের পরিবর্তনশীল অবস্থায় যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া জটিল।
১০০ পণ্য জিরো ট্যারিফ করা হবে, সেটা নিয়ে কোনো পজিটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বশিরউদ্দীন বলেন, অবশ্যই। আমরা আশা করছি বলেইতো এই পরিশ্রম করছি। আমরা নির্ণয় করার চেষ্টা করছি, কী কী ভাবে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা যায়।