ধর্ম ও জীবন
হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু আগামীকাল
![হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু আগামীকাল আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/Haj-haz-hoj-hoz.jpg)
শুরু হয়েছে চলতি বছরের হজ মৌসুম। এবার পুরো বিশ্বের ১৮০টির বেশি দেশের প্রায় ২০ লাখ মানুষ হজ পালন করবেন। হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আগামীকাল শুক্রবার (১৪ জুন, স্থানীয় ৮ জিলহজ)।
এদিন মিনার উদ্দেশে যাত্রার মধ্য দিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবেন হজযাত্রীরা। মিনায় অবস্থান করা সুন্নত।
এরপর আরাফার ময়দান, মুজদালিফা, মিনায় কঙ্কর নিক্ষেপ, মাথা মুণ্ডন, সাফা-মারওয়া সায়ী, তাওয়াফ, দমে শোকর আদায়ের মাধ্যমে মঙ্গলবার (১৮ জুন, ১২ জিলহজ) শেষ হবে পাঁচদিনের হজের কার্যক্রম।
শুক্রবার থেকে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও অনেক হজযাত্রীকে বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁবুর শহর মিনায় নেওয়া শুরু করবেন মুয়াল্লিমরা। এশার নামাজের পর মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরামের কাপড় পরে মিনার উদ্দেশে রওনা হবেন হাজিরা।
মিনায় পৌঁছে হাজিরা ফজর থেকে শুরু করে এশা অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন নিজ নিজ তাঁবুতে।
এরপর ৯ জিলহজ সকাল থেকে হাজিগণ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে শুরু করে। ৯ জিলহজ দুপুর থেকে সুর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করাই হলো হজের মূল ফরজ আমল। এদিনকেই বলা হয় হজের দিন। এ দিনের নাম ইয়াওমুল আরাফা।
এরপর আরাফার ময়দান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন তারা। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরবেন তারা। মিনায় বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সায়ী করবেন। তাওয়াফ শেষে মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান ও প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
ধর্ম ও জীবন
রোগীর সেবা করার সাত পুরস্কার
![রোগীর সেবা করার সাত পুরস্কার আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/the-patient.jpg)
সুস্থতা মহান আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে বান্দার জন্য অশেষ নেয়ামত। বিভিন্ন কারণে মানুষকে নানা সময়ে রোগে-শোকে ধরে।
রোগাক্রান্ত ব্যক্তির সেবা করার বহু পুরস্কার হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। তা থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো-
আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন- যে রোগীর খোঁজ-খবর নিল সে আল্লাহর রহমতে ডুবে গেল আর সে যখন বসল তখন সে তার মধ্যে স্থির হয়ে গেল। (আল আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৫২২)
জান্নাতের ছায়া লাভ
সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন কোনো মুসলিম তার (অসুস্থ) মুসলিম ভাইয়ের সেবায় নিয়োজিত হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত জান্নাতের ফল বাগানে (তার ছায়ায়) অবস্থান করতে থাকে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৬৮)
ফেরেশতা কর্তৃক কল্যাণের দোয়া
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যায় অথবা নিজের ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যায়- একজন ঘোষক (ফেরেশতা) তাকে ডেকে বলতে থাকে, কল্যাণময় তোমার জীবন, কল্যাণময় তোমার এই পথ চলাও। তুমি তো জান্নাতের মধ্যে একটি বাসস্থান নির্দিষ্ট করে নিলে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২০০৮)
আল্লাহর রহমতে অবগাহন
জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গেল, সে আল্লাহর রহমতে প্রবেশ করল- যতক্ষণ না সে বসে। যখন সে বসল তাতে সে ডুবে গেল। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৪২৬০)
জান্নাতে ফলের বাগান
আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কোনো মুসলমান যদি অন্য কোনো মুসলিম রোগীকে সকালে দেখতে যায় তাহলে ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত দোয়া করতে থাকে। সে যদি সন্ধ্যায় তাকে দেখতে যায় তবে ৭০ হাজার ফেরেশতা ভোর পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকে এবং জান্নাতে তার জন্য একটি ফলের বাগান তৈরি হয়। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৯)
আল্লাহ কর্তৃক দায়িত্ব গ্রহণ
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রোগীর দেখাশোনা করল, সে তার জামিন (দায়িত্ব গ্রহণকারী) হলো। (মুহাজ্জাবুস-সুনান ফি ইখতিসারিস-সুনানিল কাবির, হাদিস : ১৪৪২৫)
জান্নাতের সুসংবাদ
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দিনে পাঁচটি কাজ করবে, সে জান্নাতিদের অন্তর্ভুক্ত হবে : যে রোগীর শুশ্রূষা করে, জানাজায় অংশগ্রহণ করে, এক দিন রোজা রাখে, জুমার নামাজে অংশ নেয় এবং দাস আজাদ করে। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ২৭৭১)
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
নওমুসলিমের নতুন নাম রাখতে হয় যে কারণে
![নওমুসলিমের নতুন নাম রাখতে হয় যে কারণে আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/Haj-haz-hoj-hoz.jpg)
ইসলাম আল্লাহ তায়ালার কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বিন মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৩)
হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নবী হিসেবে প্রেরণের পর থেকে প্রত্যেকের জন্য ইসলামকে ধর্ম হিসেবে মানা আবশ্যক। অনেকেই জন্মগতভাবে মুসলিম। কেউ কেউ ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হয়ে জন্মগ্রহণ করেন, পরবর্তীতে ইসলামকে বুঝার ফলে ইসলাম গ্রহণ করে থাকেন। তাদেরকের নওমুসলিম বলা হয়।
নওমুসলিমরা ধর্ম পরিবর্তনের পর মুসলিমদের মতো সুন্দর সুন্দর অর্থবোধক নাম রেখে থাকেন। রাসূল সা. নিজেও সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখতে উৎসাহিত করেছেন।
হাদিস শরিফে পাওয়া যায় যে, কোনো সাহাবির নাম যদি মন্দ অর্থের হত, তাহলে রাসূল সা. তাদের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর নাম রেখে দিতেন। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব (রহ.) হতে বর্ণিত। একবার তাঁর দাদা রাসূল (সা.)-এর কাছে আসলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম কী? তিনি উত্তর দিলেন, আমার নাম হাযন (হাযন অর্থ শক্তভূমি)। তিনি বললেন, না বরং তোমার নাম ‘সাহল’ (সাহল অর্থ, নরম জমিন)।
তিনি বললেন, আমার পিতা আমার যে নাম রেখে গিয়েছেন, তা আমি পাল্টাতে চাই না। ইবনে মুসাইয়্যাব বলেন, ফলে এরপর থেকে আমাদের বংশে দুঃখ কষ্টই লেগে আছে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬১৯৩)
তাই কোনো নওমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করলে তার জন্য উচিত সুন্দর ও অর্থবোধক নাম গ্রহণ করা। তবে মুসলমান হলে নাম পরিবর্তন করতে হবে বিষয়টি এমন নয়।
আর কোনো নওমুসলিমের নামে যদি শিরক বা ইসলামী চেতনা বিরোধী কোনো শব্দ থাকে সেগুলো অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
মসজিদে দুনিয়াবি কথা বলা কি নাজায়েজ?
![মসজিদে দুনিয়াবি কথা বলা কি নাজায়েজ? আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/The-mosque.jpg)
ইসলামে মসজিদ অত্যন্ত সম্মানিত ও মর্যাদাপূর্ণ স্থান। কোরআনে আল্লাহ মসজিদকে নিজের দিকে সম্পৃক্ত করেছেন এবং মসজিদ আবাদকারীদের প্রশংসা করেছেন। আল্লাহ বলেন,
اِنَّمَا یَعۡمُرُ مَسٰجِدَ اللّٰهِ مَنۡ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ اَقَامَ الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَی الزَّکٰوۃَ وَ لَمۡ یَخۡشَ اِلَّا اللّٰهَ فَعَسٰۤی اُولٰٓئِکَ اَنۡ یَّکُوۡنُوۡا مِنَ الۡمُهۡتَدِیۡنَ
একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সালাত কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, ওরা হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সুরা বাকারা: ১৮)
মসজিদের মর্যাদা রক্ষা করা মুসলমানদের কর্তব্য ও তাকওয়ার দাবি। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,
ذٰلِکَ وَمَنۡ یُّعَظِّمۡ شَعَآئِرَ اللّٰهِ فَاِنَّهَا مِنۡ تَقۡوَی الۡقُلُوۡبِ
এটাই আল্লাহর বিধান এবং কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান করলে এটাতো তার অন্তরের তাকওয়ারই বহিঃপ্রকাশ। (সুরা হজ্জ: ৩২)
মসজিদ ইবাদতের স্থান। মসজিদে দুনিয়াবি কাজকর্ম, কথাবার্তা থেকে বিরত থাকার যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত। কোরআনে আল্লাহ তাআলা মসজিদকে মর্যাদায় সমুন্নত করার ও মসজিদে তার নাম স্মরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং মসজিদে ইবাদতকারীদের প্রশংসা করেছেন। আল্লাহ বলেন,
فِیۡ بُیُوۡتٍ اَذِنَ اللّٰهُ اَنۡ تُرۡفَعَ وَ یُذۡکَرَ فِیۡهَا اسۡمُهٗ ۙ یُسَبِّحُ لَهٗ فِیۡهَا بِالۡغُدُوِّ وَ الۡاٰصَال رِجَالٌ لَّا تُلۡهِیۡهِمۡ تِجَارَۃٌ وَّ لَا بَیۡعٌ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ اِقَامِ الصَّلٰوۃِ وَ اِیۡتَآءِ الزَّکٰوۃِ ۪ۙ یَخَافُوۡنَ یَوۡمًا تَتَقَلَّبُ فِیۡهِ الۡقُلُوۡبُ وَ الۡاَبۡصَارُ
যেসব গৃহকে মর্যাদায় সমুন্নত করতে এবং তাতে তাঁর নাম স্মরণ করতে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানে সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এমন ব্যক্তিরা যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রয় বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে, নামাজ কায়েম ও জাকাত প্রদান থেকে বিরত রাখেনা, তারা ভয় করে সেই দিনকে যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। (সুরা নুর: ৩৬, ৩৭)
নিছক দুনিয়াবি কথাবার্তা ও কাজকর্মের জন্য মসজিদে যাওয়া এবং সেখানে অবস্থান করা নাজায়েজ। তবে কোনো দ্বীনী কাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে যাওয়ার পর প্রসঙ্গক্রমে অন্যের নামাজ বা ইবাদতে অসুবিধা সৃষ্টি না করে দুনিয়াবি কোনো বৈধ কথাবার্তা বলা জায়েজ।
অন্যান্য ইবাদতকারীর অসুবিধা করে মসজিদে কথা বলা, জোরে জিকির বা কোরআন তিলওয়াত করা নাজায়েজ।
এ বিষয়ে লোকমুখে একটি হাদিস প্রচলিত রয়েছে যে মসজিদে দুনিয়াবি কথা বললে ৪০ বছরের আমল নষ্ট হয়ে যায়। এ রকম কোনো হাদিস নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত নেই। এ হাদিসটিকে আলেমরা জাল বা বানোয়াট বলেছেন। তাই এই কথাটিকে হাদিস হিসেবে বর্ণনা বা প্রচার করা নাজায়েজ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
পবিত্র কাবার চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব পেলেন যিনি
![পবিত্র কাবার চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব পেলেন যিনি আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/kaba-kay.jpg)
মক্কায় পবিত্র কাবাঘরের চাবি হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। কাবাঘরের সদ্য প্রয়াত চাবিরক্ষক শায়খ সালেহের মৃত্যুর তিনদিন পর ১১০তম দায়িত্বশীল হিসেবে এ চাবি গ্রহণ করেছেন শায়খ আবদুল ওয়াহাব বিন জয়নুল আবেদিন আল-শায়বি। শায়বি পরিবারের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি হিসেবে তাঁর কাছে এ চাবি হস্তান্তর করা হয়।
গত ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর কাছে পবিত্র কাবাঘর ও মাকামে ইবরাহিমের চাবি হস্তান্তর করেন সদ্য প্রয়াত শায়খ ড. সালেহের ছেলে আবদুর রহমান। সৌদি আরবের সরকারি টিভি চ্যানেল আল-ইখবারিয়া সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
শায়খ আবদুল ওয়াহাব আল-শায়বির দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে, পবত্রি কাবাঘরের দরজা খোলা ও বন্ধ করা, ধৌত ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা, কাবাঘরের গিলাফ (কিসওয়া) পরিবর্তন কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করাসহ মসজিদে আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানো।
এর আগে গত ২১ জুন পবিত্র কাবাঘরের সর্বশেষ চাবিরক্ষক শায়খ ড. সালেহ বিন জয়নুল আবেদিন আল-শায়বি মক্কায় ইন্তেকাল করেন। তিনি ছিলেন মুহাম্মদ (সা.)-এর মক্কা বিজয়কাল থেকে ৭৭তম এবং তাঁর পূর্বপুরুষ কুসাই বিন কিলাব-এর যুগ থেকে ১০৯ তম চাবিরক্ষক।
পবিত্র কাবাঘরের চাবি গ্রহণ করে শায়খ আবদুল ওয়াহাব বলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন তিনি আমাকে এ গুরু দায়িত্ব পালনের তাওফিক দেন। বিশেষত সৌদি বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
এদিকে আল-শায়বি পরিবারের সদস্য শায়খ নাজার আল-শায়বি বলেন, ‘প্রাচীনকাল থেকে পবিত্র কাবাঘরের চাবি আল-শায়বি বংশের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির কাছে হস্তান্তরের রীতি চলে আসছে। সেই হিসেবে শায়খ আবদুল ওয়াহাবের কাছে এ চাবি দেওয়া হয়েছে।
এখন আমরা অপেক্ষায় থাকব যেন আগামী হিজরি নববর্ষের প্রথম রাতে তিনি পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ পরিবর্তনসহ সংশ্লিষ্ট সব কাজের তত্ত্বাবধান করতে পারেন।’
মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মক্কা বিজয়কাল থেকে ৭৮তম এবং তাঁর পূর্বপুরুষ কুসাই বিন কিলাব-এর যুগ থেকে ১১০ তম চাবিরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শায়খ আবদুল ওয়াহাব। তিনি বিখ্যাত সাহাবি উসমান ইবনে তালহা (রা.)-এর বংশধর ছিলেন। যাঁর ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেছিলেন, ‘হে তালহার বংশধর, তোমরা এ চাবি গ্রহণ কোরো। তোমাদের কাছে তা থাকবে।
মূলত ইসলাম-পূর্ব যুগ থেকেই কাবাঘরের চাবি আল-শায়বি গোত্রের কাছে থাকত। অষ্টম হিজরি তথা ৬২৯ খ্রিস্টাব্দে মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেই ওই গোত্রের উসমান ইবনে তালহার (রা.) কাছে চাবি হস্তান্তর করে তাকে সম্মানিত করেন। এরপর থেকে তাঁর বংশধরেরা ওই চাবি সংরক্ষণ করছেন। বর্তমান সময়ে তাদের কাছ থেকে চাবি নিয়েই বিভিন্ন সময় সৌদি আরবের বাদশাহ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পবিত্র কাবা ঘরে প্রবেশ করে থাকেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
দেশে ফিরেছেন প্রায় ১২ হাজার হজ যাত্রী
![দেশে ফিরেছেন প্রায় ১২ হাজার হজ যাত্রী আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/haj-haji-return-haz1.jpg)
চলতি বছর পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরছেন হাজিরা। এদিকে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৬৪০ হাজি দেশে ফিরেছেন। রোববার (২৩ মে) দিনগত রাতে হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
সৌদি থেকে ৩০টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৮টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ১০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১২টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।
এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে যান হজ পালন করতে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ৫৬২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০ হাজার ৬৯৫ জন। হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ৩৫ এবং মহিলা নয়জন।
এমআই