লাইফস্টাইল
যেভাবে দূর করবেন পেট ফাঁপা
পেট ফাঁপা পরিচিত পরিচিত একটি সমস্যা। খাবারে একটু এদিক-ওদিক হলেই পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খেলে কিংবা হজমে সমস্যা হলে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে। ফলে পেট ফেঁপে থাকে। শুরুতেই ওষুধ না খেয়ে পেট ফাঁপার সমস্যা থেকে বাঁচতে ঘরোয়া উপায় বেছে নিতে পারেন।
পেট ফাঁপার কারণ
কোষ্ঠকাঠিন্য, আলসার কিংবা পেটে কৃমি থাকলে পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে। খাবারের ফাঁকে ফাঁকে পানি পান করলে হজম ঠিকভাবে হয় না। তাই এই অভ্যাস বাদ দেয়া উচিত।
পেট ফাঁপার লক্ষণ
* পেট ফুলে ওঠা বা পেটের আকার বৃদ্ধি পাওয়া
* পেটে ভরা ও শক্ত ভাব অনুভব করা
* পেটে ব্যথা
* পেটে গরগর শব্দ ইত্যাদি।
পেট ফাঁপার প্রতিকার
পেট ফাঁপার প্রতিকার হতে পারে ব্যায়াম। নিয়মিত ব্যায়াম করলে পেটের নানা সমস্যা, পেট ফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় সহজেই। হজম ভালো হয় বলে মলত্যাগও সহজ হয়। মানসিক চাপ কমে অনেকটাই। তাই নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করা জরুরি।
পেট ফাঁপা দূর করতে প্রতিদিনের খাবারের দিকে নজর রাখা জরুরি। পেটের সমস্যা ডেকে আনতে পারে এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কিছু খাবার আছে যেগুলো পেটের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। বাদাম, তৈলাক্ত খাবার, পনির, শিম ইত্যাদি সহ্য হয় না অনেকের। তাদের এসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। কমলা, কফি, চা, টমেটো এসব খেলে যদি পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দেয় তবে তা বাদ দিন।
মদ্যপান কিংবা ধূমপান সব সময়ই শরীরের জন্য খারাপ। তাই এই অভ্যাস কখনো গড়ে তোলা উচিত নয়। এরপরও যদি ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস থাকে তবে বাদ দিন।
অনেকে তাড়াহুড়ো করে খাবার খান। এটি ঠিক নয়। ধীরে ধীরে ভালো করে চিবিয়ে খাবার খান। এতে পেটে বাতাস ঢুকে পেট ফাঁপার সমস্যা হবে না। কখনোই গোগ্রাসে খাবার গিলবেন না।
অতিরিক্ত লবণ দেয়া খাবার, ভাজাভুজি, চিপস, আচার যতটা কম খাবেন; পেট ফাঁপার সমস্যার জন্য ততটাই ভালো। চেষ্টা করুন সব সময় লবণ কম খেতে।
অনেকের পেটেই দুধ সহ্য হয় না। দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার হজম হতে চায় না অনেকের। এজাতীয় খাবার খেলে যদি পেটে গ্যাস জমে তবে তা এড়িয়ে চলুন। দুধের বদলে দই বা সয়া মিল্ক খেতে পারেন।
অনেকে একটুতেই ওষুধ খেয়ে নেন। যেকোনো অসুখের ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। তাই পেট ফাঁপার সমস্যায়ও নিজে থেকে কোনো ওষুধ খাবেন না। বরং ওষুধ যদি খেতেই হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খান।
পেট ফাঁপার সমস্যায় যা এড়িয়ে চলবেন
খাবার দ্রুত খাবেন না। সময় নিয়ে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবেন। দ্রুত খাবার খেলে তা সহজে পরিপাক হতে চায় না। সেখান থেকেই হজমের সমস্যা ও পেট ফাঁপা দেখা দিতে পারে।
অনেকে খাবার খেতে বসে একসঙ্গে অনেকগুলো খাবার খেয়ে ফেলেন। খাবার যতই সুস্বাদু হোক, একসঙ্গে বেশি খাবেন না। কারণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খেলে তা পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে।
ঢেকুর তোলা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে ঢেকুর যদি দুর্গন্ধযুক্ত হয় তবে খাবারের তালিকা থেকে মাংস, ডিম এবং ডাল জাতীয় খাবার কমাতে হবে।
সবজি আমাদের শরীরের জন্য ভালো। তবে কিছু সবজি আছে যা পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে। তাই বরবটি, সজনে, বাধাকপি, শিম খুব বেশি খাবেন না।
তেলে ভাজা নানা রকম মুখরোচক খাবার, জাঙ্ক ফুড ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। এর বদলে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। খাবারের তালিকা থেকে অতিরিক্ত মিষ্টি, আচার, চাটনি ইত্যাদি খাবার কমিয়ে দিন।
রাতের খাবার দেরিতে খাওয়ার অভ্যাস? আজ থেকে সেই অভ্যাস বাদ দিন। বরং সাতটা কিংবা আটটার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নিন। তা-ও যদি সম্ভব না হয় তবে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেতে হবে। খাওয়ার পরপরই শুয়ে কিংবা বসে থাকবেন না। অন্তত মিনিট দশেক হাঁটাহাঁটি করুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
তালের ক্ষীর বানানোর সবচেয়ে সহজ উপায়
বাজারে উঠতে শুরু করেছে পাকা তাল। সুস্বাদু ও সুমিষ্ট এই ফল দিয়ে তৈরি করা যায় অনেক রকম মজাদার খাবার। বিশেষ করে তালের বিভিন্ন পিঠা আমরা খেয়ে থাকি। আপনি কি জানেন যে তাল দিয়ে সুস্বাদু ক্ষীরও তৈরি করা যায়? অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করা যায় তালের ক্ষীর। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক তালের ক্ষীর তৈরির সহজ রেসিপি-
তৈরি করতে যা লাগবে
তালের ক্বাথ- ২ কাপ
নারিকেল- ১ কাপ
পোলাও চালের গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ
চিনি- ২ কাপ
লবণ- এক চিমটি।
প্রথমে তাল থেকে ভালোভাবে ক্বাথ বের করে নিন। যেন তাতে তালের আঁশ না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ আঁশ থেকে গেলে খাওয়ার সময় তা মুখে আটকে যেতে পারে। তাই ভালোভাবে চেলে নিতে হবে। এরপর তার সঙ্গে অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে একটি পরিষ্কার হাঁড়িতে করে চুলায় জ্বাল দিন। দ্রুত হাতে নাড়তে হবে নয়তো তালের ক্ষীর রান্নার পাত্রের সঙ্গে লেগে যেতে পারে। ক্ষীর পর্যাপ্ত ঘন হলে নামিয়ে নিতে হবে। এই ক্ষীর ঠান্ডা করে খেলে বেশি সুস্বাদু লাগে। রুটি কিংবা ভাতের সঙ্গেও বেশ মজাদার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
পেটের গ্যাস দূর করার ঘরোয়া উপায়
অনেকেই সকালে ওঠার পর পেট ফাঁপা অনুভব করেন। এতে পুরো দিনটাই নষ্ট হতে পারে। এই সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ এবং কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাসের কারণে বেড়ে যেতে পারে। আপনি যদি এই সমস্যা দূর করার জন্য মুঠো মুঠো গ্যাসের ওষুধ খান তাহলে তখন হয়তো কিছুটা আরাম পাবেন তবে এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা বাসা বাঁধতে পারে। তাই ঘরোয়া উপায় বেছে নেওয়াই উত্তম। চলুন জেনে নেওয়া যাক পেটের গ্যাস দূর করার ঘরোয়া উপায়-
লেবু দিয়ে গরম পানি
এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে আপনার দিনটি শুরু করতে পারেন। একটি সহজ কিন্তু শক্তিশালী প্রতিকার। লেবুর রয়েছে হজমের রসকে উদ্দীপিত করার ক্ষমতা, যা গ্যাস এবং পেট ফাঁপা উপশম করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস ছেঁকে নিন। ভালো করে নেড়ে নিয়ে সকালে খালি পেটে প্রথমে পান করুন। লেবু হজমের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং একটি হালকা মূত্রবর্ধক প্রভাব রয়েছে, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত গ্যাস এবং টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। পানির উষ্ণতা পরিপাকতন্ত্রকে প্রশমিত করতেও সাহায্য করে।
জিরা চা
জিরা আমাদের রান্নাঘরের একটি প্রধান উপকরণ। এর পাচক উপকারিতা সুপরিচিত। জিরা চা কার্যকরভাবে পেট ফাঁপা এবং গ্যাস কমাতে পারে। এক চা চামচ জিরা নিয়ে শুকনো প্যানে হালকাভাবে ভাজুন। এক কাপ পানি ফুটিয়ে তাতে ভাজা জিরা দিন। এটি ৫-৭ মিনিটের জন্য সেদ্ধ হতে দিন। এবার ছেঁকে নিয়ে পান করুন। জিরার বীজে এমন যৌগ রয়েছে যা হজমের এনজাইম তৈরিতে সাহায্য করে, হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং গ্যাস কমায়। চায়ের উষ্ণতাও পেটকে প্রশান্তি দেয়।
আদা ও তুলসিপাতা
আদা এবং তুলসিপাতা হজমের সুবিধার জন্য পরিচিত। এগুলো গ্যাস এবং পেট ফাঁপার জন্য একটি শক্তিশালী প্রতিকার। এক টুকরো আদা পাতলা করে কেটে নিন। এক কাপ পানি ফুটিয়ে আদার টুকরো ও ৫-৬টি তুলসি পাতা দিন। দশ মিনিটের জন্য ফুটিয়ে নিন। এরপর ছেঁকে নিয়ে পান করুন। আদার প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং হজমকে উদ্দীপিত করে, অন্যদিকে তুলসি পাচনতন্ত্রকে শান্ত করতে সাহায্য করে। এই সমন্বয় গ্যাস কমাতে এবং সামগ্রিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
লটকন খাওয়ার ৮ উপকারিতা
বাজারে লটকন পাওয়া যাচ্ছে। কাঁঠালের চেয়েও দ্বিগুণ ক্যালরি আছে লটকনে। আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি, ভিটামিন বি-১ ও ভিটামিন বি-২। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্রোমিয়াম আছে। এই ফলে আছে প্রচুর ভিটামিন-সি। বর্ষাকালে লটকন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে মরণঘাতী ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে এ ফল।
লটকন খাওয়ার ৮ উপকারিতা
১. লটকনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম আছে। গবেষকরা বলছেন, লটকনে থাকা বিভিন্ন উপাদান কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
২.যাদের ওজন বেশি, যাদের শরীরে অতিরিক্ত মেদ রয়েছে, তারা লটকন খেতে পারেন। কেননা, এ ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৩.ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এ ফল উপকারী। ডায়াবেটিসের কারণে যারা বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে পারেন না, তারা লটকন খেতে পারবেন। কেননা, এ ফলে ক্যালরি ও ফ্যাট কম পরিমাণে থাকে।
৪. প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি করে লটকন খেলে ভিটামিন-সি’র ঘাটতি পূরণ হয়। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৫. লটকনে প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে। আয়রনের অভাবে মূলত অ্যানিমিয়া হয়। লটকনে থাকা আয়রন অ্যানিমিয়া তথা রক্তস্বল্পতা দূর করে।
৬. বিভিন্ন কারণে যাদের চোখ লাল হয়ে যায়, তারা লটকন খেলে উপকার পাবেন। লটকনে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান চোখ লাল হওয়া থেকে শুরু করে চুলকানি সারাতেও সহায়তা করে।
৭. বেরিবেরি রোগ, শারীরিক দুর্বলতা, বুক ধড়ফড় করা, হাত-পায়ে ব্যথা, ঠোঁট ও পায়ের তালু ফাটা, ঠোঁট ও মুখের ঘা এবং বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়ার মতো ছোট-বড় সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে লটকন।
৮. খাবারের অরুচি দূর করে রুচি বাড়াতেও লটকনের ভূমিকা রয়েছে। জলীয় অংশের পরিমাণ বেশি থাকায় গরমে তৃষ্ণা মেটাতেও সক্ষম এ ফল।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
মাঙ্কিপক্স চিনবেন যেসব লক্ষণ দেখে
আফ্রিকার পর এবার ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স। সুইডেনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়, যা ক্রমেই মহামারীতে রূপ নিতে পারে। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইএইচও)।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এ ভাইরাসের বাহক কেবল বানরই নয়, ইঁদুরও। মাঙ্কিপক্স মূলত ছোঁয়াচে রোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলে এটি ছড়িয়ে পড়ে। তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, ত্বকের সংস্পর্শ, কথা বলা বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১১০০ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। মাঙ্কিপক্সের সঙ্গে স্মলপক্সের মিল আছে। তবে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ সাধারণত মৃদু হয়। বেশির ভাগ মানুষ দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
মাঙ্কিপক্স চিনবেন যেসব লক্ষণ দেখে
সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর (১০১.৩° ফারেনহাইট), মাথাব্যথা, পেশি ব্যথা, পিঠে ব্যথা, দুর্বলতা, ফোলা লসিকা গ্রন্থি এবং ত্বকের ফুসকুড়ি বা ক্ষত। লসিকা গ্রন্থির ফোলাভাব মাঙ্কিপক্সের একটি বৈশিষ্ট্যযুক্ত লক্ষণ। স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী। ভাইরাসটির দুটি রূপান্তরিত ধরন রয়েছে- ক্ল্যাড-১ (মধ্য আফ্রিকান) এবং ক্ল্যাড-২ (পশ্চিম আফ্রিকান)। এই রোগে প্রতি ১০০ আক্রান্ত রোগীর মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়।
প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপাশি শরীরে দেখা দেয় ফোসকা ও অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে হাতের তালু ও পায়ের তলা। মাঙ্কিপক্স রোগের জন্য এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, স্মলপক্স বা জলবসন্তের জন্য ব্যবহৃত টিকা মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ডায়াবেটিস রোগীরা যেসব ফল খেতে পারবেন
ডায়াবেটিসে খাবারের ব্যাপারে অনেক সতর্কতা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন যেহেতু ডায়াবেটিসে মিষ্টি খাওয়া নিষেধ, তাই স্বাদে মিষ্টি হওয়ায় এই সমস্যায় ফল খাওয়া যাবে না। তবে চিকিৎসকদের মতে, কিছু সতর্কতা অবলম্বন করেও ডায়াবেটিস রোগীরাও ফল খেতে পারেন।
আপেল: আপেল ফাইবার এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, যার কারণে এটি দ্রুত রক্তে শর্করা বাড়ায় না।
নাশপাতি: কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত ফলগুলোর মধ্যে নাশপাতিও অন্তর্ভুক্ত। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। নাশপাতি খেলে রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কমলালেবু: এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফাইবার থাকে। এর গ্লাইসেমিক সূচকও কম। এছাড়াও এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায় ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
জাম: জামে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং ফাইবার। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম। যে কারণে এটি রক্তে শর্করাকে ধীরে ধীরে বাড়ায়। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং রাস্পবেরি খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও ভীষণ উপকারী।
কিউই: এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ফাইবার। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম এবং এটি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিউই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং হজমশক্তি উন্নত করে।
পেয়ারা: পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফাইবার রয়েছে।এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম। যে কারণে এটি দ্রুত রক্তে শর্করা বাড়ায় না।
উল্লেখ্য, আমরা যে খাবার গ্রহণ করি, তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বলে একটি সূচক আছে; যার ইনডেক্স যত বেশি থাকে, তা ততই শরীরের জন্য খারাপ। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তিন প্রকারের হয়-নিম্ন, সহনীয় ও উচ্চ।