অর্থনীতি
রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার

এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশের রিজার্ভ ১৩৩ মিলিয়ন ডলার কমে ১৯ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৮ মে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫২৭ কোটি মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন এক হাজার ৯৮২ কোটি ডলার (১৯ দশমিক ৮২ বিলিয়ন)।
গেল মাসের একই সময় অর্থাৎ গত ৮ এপ্রিল বিপিএম–৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ১১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১১ কোটি মার্কিন ডলার। ওই দিনে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৩৯ কোটি ডলার।
তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্যপ্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। এ সময় কিছু নীতি সংস্কারসহ বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়। ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় কিস্তিতে ৭০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা আগামী মাসে। তার আগে পর্যালোচনা বৈঠক করতে ঢাকায় আসে আইএমএফের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
আইএমএফ বাংলাদেশকে যে ঋণ দিয়েছে, তার অন্যতম শর্ত তাদের লক্ষ্য অনুযায়ী প্রকৃত রিজার্ভ সংরক্ষণ করা। সেই অনুযায়ী গত মার্চ মাস শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রকৃত রিজার্ভ থাকার কথা এক হাজার ৯২৬ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু ওই সময় প্রকৃত রিজার্ভ ছিল এক হাজার ৫০০ কোটি ডলারের কম। এছাড়া আগামী জুন নাগাদ লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া ছিল ২ হাজার ১০ কোটি ডলার। তবে লক্ষ্য পূরণে বার বার ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে রিজার্ভ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শর্ত কিছুটা শিথিল করেছে আইএমএফ।
বুধবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আইএমএফ জানায়, জুনভিত্তিক রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমিয়ে ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী জুনের মধ্যে প্রকৃত রিজার্ভ ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন রাখতে হবে। এছাড়া আগামী মাসে তৃতীয় কিস্তির ৭০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা থাকলেও এ অঙ্ক বাড়িয়ে আইএমএফ বাংলাদেশকে দেবে এক হাজার ১৫ কোটি ২০ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ বছর আগে ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বেড়ে ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছায়। ওই বছরের ৮ অক্টোবর ৪০ বিলিয়ন ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করে। এরপর তা বেড়ে করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ রেকর্ড গড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট। ওইদিন রিজার্ভ ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার বা চার হাজার ৮০৪ কোটি ডলারে উঠে যায়। এরপর ডলার সংকটে গত বছর থেকে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৫ হাজার

তিন মাসে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব বেড়েছে চার হাজার ৯৫৪টি। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৭ হাজার ১২৭টি। পরে ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখ ২২ হাজার ৮১টি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ডিসেম্বর-ভিত্তিক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে গ্রাহকের মোট হিসাব বা অ্যাকাউন্ট ছিল ১৬ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩২টি। এসব হিসাবে মোট আমানতের স্থিতি ছিল ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকা।
এর আগে সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট হিসাব ছিল ১৬ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ২৫৫টি। এসব হিসাবে জমা ছিল ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। তিন মাসে ব্যাংক খাতের হিসাব বেড়েছে ১২ লাখ ১৯ হাজার ২৭৭টি। আর আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ৪৫ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন, ডিসেম্বর শেষে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা এক লাখ ২২ হাজার ৮১টি হলেও তা সমসংখ্যক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হিসাব নয়। কারণ ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
তিনি বলেন, আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক হিসাব থাকতে পারে। পাশাপাশি অনেক সরকারি সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।
গত বছর ৫ আগস্টের পর ব্যাংক থেকে টাকা তোলায় কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতাসহ দলীয় ব্যবসায়ীদের অনেকে দেশ ছাড়েন। অতি কড়াকড়ির কারণে বিদেশে টাকা পাচার কমে যায়।
এ ছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে এ সময় ধাপে ধাপে ব্যাংকের সুদ হার বাড়ানো হয়। এ সময়ে ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ব্যাংক হিসাবে টাকার পরিমাণও বাড়তে থাকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ফল আমদানিতে উৎসে কর কমলো

আপেল, আঙুর, নাশপাতি, কমলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের তাজা ফল আমদানিতে উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে বুধবার (১২ মার্চ) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে এনবিআর। অবিলম্বে তা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যেসব তাজা ফল আমদানিতে অগ্রিম কর কমানো হলো, সেগুলো হলো— তাজা বা শুকনা কমলালেবু, তাজা বা শুকনা লেবু জাতীয় ফল, তাজা বা শুকনা আঙুর ফল, তাজা বা শুকনা লেবু, তাজা বা শুকনা আঙ্গুর, তাজা আপেল ও নাশপাতি।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি আমদানি করা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল। ফলে বাজারে আমদানি করা বিদেশি ফলের দাম বেড়ে যায়।
বর্তমানে ফল আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ আগাম কর আছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোটামুটি যত ধরনের শুল্ককর আছে, সবই বসে ফলের ওপর। সব মিলিয়ে এত দিন শুল্ক-করভার ১৩৬ শতাংশ। ১০০ টাকা ফল আমদানি করলে ১৩৬ টাকা কর দিতে হতো। অগ্রিম কর কমানোয় এখন করভার কিছুটা কমবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেক্সিমকোর ২৯ হাজার শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ

এখন পর্যন্ত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেডের ২৮ হাজার ৯৮৭ জন শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লি: কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধ অব্যাহত রেখেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৯৮৭ জন শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এই প্র
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এনবিআর দুই ভাগ হচ্ছে, ঈদের আগেই অধ্যাদেশ: চেয়ারম্যান

ঈদের আগেই রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুই ভাগ হয়ে যাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যা নতুন অর্থবছরের প্রথম থেকে কাজ শুরু করবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ‘আয়কর আইন, ২০২৩: সংস্কার ও প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মো. আবদুর রহমান খান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা গতকালও (মঙ্গলবার) আমাকে ডেকেছেন। তিনি বলেছেন, ঈদের আগেই অধ্যাদেশ হয়ে যাবে। আগামী জুলাই থেকে কার্যকর হবে। যত দ্রুত সম্ভব এটা অপারেশনাল করব। আমরা সে দিকেই আগাচ্ছি। শুরুটা করতে হবে এবং বিবাদ যা থাকবে সে জায়গাটা আমরা পরে অ্যাড্রেস করব।
এনবিআর দুই ভাগে বিভক্ত হলে সেখানে কারা থাকবেন ও কাজ করবেন সেটি তুলে ধরে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কিছু বাইরের এক্সপার্টও থাকবে, বিশেষ করে ইকোনমিক, ফাইন্যান্স ও রিসার্চ থেকে কিছু লোক থাকবে। তবে এনবিআরের কর ও শুল্ক ক্যাডাররাই মূলত এ কাজগুলো করবেন বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় যারা অভিজ্ঞ তারাই মূলত এ কাজগুলো করবেন। তার সঙ্গে অক্সিলারি ফোর্স হিসেবে অন্যরা থাকবেন। আমরা নৈর্ব্যত্তিকভাবে কোনো কিছু না দেখে আইনে যা আছে, এটা আমরা প্রয়োগ করতে পারব।
তিনি বলেন, যেসব টিআইএনধারী রিটার্ন দাখিল করেন না, তাদের নিয়ে আরও কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে। আমাদের ওপর রাজস্ব সংগ্রহের বড় চাপ থাকতো। সেটি আমরা পলিসির ওপর ভর করে আদায়ের চেষ্টা করতাম। বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে ইনকনসিসটেন্স বড় যন্ত্রণা। এজন্য অনেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। আামদের এখানে সুশাসনের অভাব। অনেক আইন আছে, প্রয়োগে শৈথিল্য। আইনের শাসন একেবারে অনুপস্থিত। করজাল ছোট এটাও সঠিক নয়, কর কম দেয় এটাও ঠিক নয়।
এসময় আরও বক্তব্য দেন এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ।
কর কমিশনার ও সংগঠনের সভাপতি মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকীর সভাপতিত্বে আলোচ্য বিষয়ে উপস্থাপনা করেন কর অঞ্চল-৬ এর কর কমিশনার ইকতিয়ার উদ্দিন মামুন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন মহাসচিব সৈয়দ মহিদুল হাসান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভারত-ভিয়েতনাম থেকে এলো ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল

ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। বুধবার (১২ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জি-টু-জি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১৭ হাজার ৮০০ টন আতপ চাল এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ২১ হাজার ৮০ টন সেদ্ধ চাল কেনা হয়েছে।
ওইসব চাল নিয়ে ভিয়েতনাম থেকে এমভি টুং এন শিপ ও ভারত থেকে এমভি রেক এলিট জাহাজ দুটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
জাহাজে রাখা চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে আজই (বুধবার) খালাসের কার্যক্রম শুরু হবে এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।