শিল্প-বাণিজ্য
হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ আগামীকাল

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আগামীকাল বুধবার (৮ মে) পণ্য আমদানি রফতানি বাণিজ্যসহ বন্দরের ভেতরের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দু’দেশের মাঝে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বুধবার (৮ মে) ৬ষ্ঠ পর্যায়ের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে সরকারিভাবে উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে কাস্টমসের সকল বিভাগ বন্ধ থাকবে। এতে করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত বাংলাদেশের মাঝে পণ্য আমদানি রফতানি বাণিজ্যসহ বন্দরের ভেতরের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় দু’দেশের মাঝে পণ্য আমদানি রফতানি বাণিজ্যসহ বন্দরের ভেতরের সকল কার্যক্রম চালু হবে। এক পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি ভারতীয় রফতানিকারকসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো হয়েছে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আশরাফুল বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকলেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দু’দেশের মাঝে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য
ঈদের ছুটিতে শুল্ক স্টেশনে চালু থাকবে আমদানি-রপ্তানি সেবা

ঈদুল ফিতরের ছুটি চলাকালীন আগামী ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত কাস্টম হাউস বা স্টেশনগুলোর আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব রোর্ড (এনবিআর)। তবে শুধু ঈদের দিন শুল্ক স্টেশনগুলো বন্ধ থাকবে।
বুধবার (১৯ মার্চ) এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস: নীতি) মুকিতুল হাসানের সই করা চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত (ঈদের দিন ব্যতীত) সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদের ছুটির দিনগুলোতে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত আকারে চলমান রাখার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, বেনাপোল, আইসিডি, কমলাপুর, মোংলা, পানগাঁও কাস্টম হাউসের কমিশনারদের কাছে এ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা (উত্তর), ঢাকা (পশ্চিম), ঢাকা (পূর্ব), ঢাকা (দক্ষিণ), চট্টগ্রাম, রাজশাহী, যশোর, খুলনা, সিলেট, রংপুর, কুমিল্লা কাস্টমসের এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনারকেও এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
তৈরি পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১৩ মার্চ এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর সংগঠনটির পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
যুক্তরাষ্ট্র-ইইউতে পোশাক রপ্তানি বাড়লেও কমেছে দাম

বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রধান বাজারে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বৃদ্ধি পেলেও প্রতি পোশাকের দাম কমেছে। আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো অন্যান্য দেশ থেকে পোশাক কিনতে বেশি দাম দিলেও বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের দাম কমানোর চাপ দিচ্ছে।
অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো প্রতি পোশাকের দাম দুই দশমিক ২০ শতাংশ কমেছে। তবে জানুয়ারিতে রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে ৭৯৯ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪৯ দশমিক ২১ শতাংশ, ভিয়েতনাম থেকে ১৭ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ, চীন থেকে নয় দশমিক ৩৬ শতাংশ ও অন্যান্য দেশ থেকে ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান অফিস ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ তথ্য বলছে—গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ইইউতে বাংলাদেশের প্রতি পোশাকের দাম কমেছে চার দশমিক ৮৪ শতাংশ।
গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি চার দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে ১৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে রপ্তানি বেড়েছে ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ। চীন থেকে বেড়েছে সাড়ে ১২ শতাংশ। ইইউয়ের মোট পোশাক আমদানি বেড়েছে আট দশমিক ৯৮ শতাংশ।
ইইউয়ের আমদানি করা পোশাকপ্রতি দাম ছয় দশমিক ৮৩ শতাংশ কমেছে। চীনা পণ্যের দাম কমেছে আট দশমিক ৪৩ শতাংশ। ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার পোশাক পণ্যের দামও কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।
রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, ২০২১ সাল থেকে কার্যকর ইইউ ও ভিয়েতনামের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ভিয়েতনামকে ধীরে ধীরে শুল্ক অপসারণের অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা দিয়েছে।
সাধারণভাবে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় দাম কম পেয়েছে।
জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, গত বছর বিশ্বব্যাপী পোশাকের সামগ্রিক দাম কমেছে। এ বছরও তা অব্যাহত আছে। তার মতে, তুলা, সুতা, কাপড়ের দামের পাশাপাশি জাহাজ ভাড়া কমে যাওয়ায় পোশাকের দাম কমেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর কাছ থেকে কার্যাদেশ বেড়েছে বলে জানান তিনি।
পোশাক তৈরির জন্য বাংলাদেশকে অনেক সময় দেওয়া হয়। এ দেশের ব্যবসায়ীরা সাধারণত কম ও মাঝারি দামের পোশাক তৈরি করেন। তাই বিদেশি ক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো কম দাম দেয়। তবে অনেকে এখন বেশি দামের পোশাক রপ্তানি করছেন।
‘বাংলাদেশ যদি উন্নতমানের ও সময়মতো পণ্য হস্তান্তর নিশ্চিত করতে পারে তবে ক্রেতারা আরও বেশি টাকা দিতে ইচ্ছুক হবে। এ দেশের ব্যবসায়ীদের অনেকে দামের ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা করেন বলে পণ্যের দাম কমে যাওয়ার এটি আরেক কারণ।’
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৬ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার।
এর মধ্যে বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানির ৫০ দশমিক ১০ শতাংশ ইইউতে রপ্তানি হয়। এর পরিমাণ ১৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি পাঁচ দশমিক শূন্য ছয় বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, মোট রপ্তানির ১৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। কানাডায় রপ্তানি ৮৪৫ মিলিয়ন ডলার বা তিন দশমিক ১৬ শতাংশ। যুক্তরাজ্যে দুই দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার বা ১০ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
ইইউতে রপ্তানি পোশাকের দাম আগের বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও কানাডায় ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ বেড়েছে। তবে বিজিএমইএর সংকলিত ইপিবির তথ্য বলছে—যুক্তরাজ্যে পোশাক রপ্তানিতে তিন দশমিক ৭৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছয় দশমিক ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়ে চার দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। এটি মোট রপ্তানির ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
নির্ধারিত সময়ে পণ্য খালাস না করলে তিনগুণ জরিমানা

সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি নেই তবে কোনো আমদানিকারক বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বাজারে ভোজ্যতেলের কিছুটা সংকট থাকলেও শাক-সবজির দাম বাড়েনি বলে এসময় জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বাজারে ভোজ্যতেলের কিছুটা সংকট রয়েছে। তবে শাক-সবজির দাম বাড়েনি। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ নিত্যপণ্য আমদানি করা হয়েছে।
সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কোনো আমদানিকারক বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া এম ভি আল-বাখেরা সারবাহী নৌযান দুর্ঘটনায় নিহত ৬ শ্রমিকের পরিবারকে সচিবালয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে দুই লাখ ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া গ্রুপের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকার চেক তুলে দেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার টন ইলিশ নিতে আগ্রহী চীন

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। সাক্ষাতে তিনি বাংলাদেশ থেকে এক হাজার মেট্রিকটন ইলিশ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশের ইলিশ মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে চীনে। ইলিশ মাছ রপ্তানির মাধ্যমে বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। এসময় তিনি প্রাথমিকভাবে এক হাজার মেট্রিকটন ইলিশ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এছাড়া এ দেশ থেকে আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা আমদানি এবং বাংলাদেশে এসব খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চাই। পাশাপাশি চীনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। চট্টগ্রামের ইকোনমিক জোনে ৩০ টি চীনা কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার ও বন্ধু রাষ্ট্র। বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার সুযোগ রয়েছে। এসময় তিনি বাংলাদেশে কৃষি, ট্রান্সপোর্টেশন, অ্যাগ্রো-মেশিনারিজ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে চীনের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ব্যবধান অনেক। বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি বাড়াতে এবং আমদানি পণ্যের সব ধরনের ট্যারিফ কমানোর আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদেশে ট্রাক তৈরির কারখানা স্থাপন ও কৃষির আধুনিকীকরণে বিনিয়োগ দুদেশের জন্য শুভ ফল বয়ে আনবে।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বেনাপোল সীমান্তে বসছে না দুই বাংলার মিলনমেলা

এবার বসছে না দুই বাংলার ভাষাপ্রেমি মানুষের মিলনমেলা। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রতিবছর যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট নো-ম্যান্সল্যান্ডে বসতো দুই বাংলার ভাষাপ্রেমি মানুষের মিলন মেলা। কিন্তু এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এই দৃশ্য আর দেখা যাবে না। এতোদিন দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধি ও মন্ত্রীরা প্রতিবেশী দেশে গিয়ে শহীদ বেদিতে ফুল দিতেন, কিন্তু দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ভালো না থাকার কারণে এবার যৌথভাবে একুশের কোনো অনুষ্ঠান নো-ম্যান্সল্যান্ডে হবে না।
জানা গেছে, ভৌগোলিক সীমারেখা ভুলে কেবল মাত্র ভাষার টানে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া উপেক্ষা করে দলে দলে যোগ দেন একুশের মিলন মেলায়।
ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয় এ অনুষ্ঠানে। এ সময় পেট্রাপোল ও বেনাপোল চেকপোস্টে ঢল নামে হাজার হাজার মানুষের। ক্ষণিকের জন্য হলেও আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখায় ছেদ পড়ে। একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে বেনাপোল নো-মান্সল্যান্ড এলাকা সাজে নানা রঙের বর্ণিল সাজে।
নো-ম্যান্সল্যান্ড এলাকায় নির্মাণ করা হয় অস্থায়ী শহীদ মিনার। সকাল থেকে দুই দেশের হাজার হাজার মানুষ পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করেন শহীদ বেদীতে। আবেগ আর ভালোবাসায় ভাষা প্রেমিরা ভুলে যায় তাদের সীমান্ত রেখা।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নুরুজ্জামান লিটন গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরে দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ভালো না থাকার কারণে এবার বেনাপোল চেকপোস্ট নো-ম্যান্সল্যান্ডে একুশের মিলন মেলা হচ্ছে না। তবে পেট্রাপোলে ছোট একটি অনুষ্ঠান হবে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতি হলে আগামী বছর থেকে পুনরায় অনুষ্ঠান করা হবে।