কর্পোরেট সংবাদ
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ৩০ বছরের পথচলা ও সাফল্য উদযাপন
বাংলাদেশে ৩০ বছরের গৌরবময় যাত্রা উদযাপন করেছে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। এ উদযাপনের জন্য বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও গ্র্যান্ড বলরুমে দিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গৌরবের এই ৩০ বছরের পথচলায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বিগত তিন দশক ধরে একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও মানবিক সংস্থা হিসেবে সারা বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে দেশের ৪০টি জেলায় কাজ করছে। ১৯৯৪ সালে, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল সেবা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশে তার উন্নয়ন প্রচেষ্টা শুরু করে এবং সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের; বিশেষত কন্যাশিশু ও যুব নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়, তাদের শিক্ষায়, সুরক্ষায়, তাদের দক্ষতা ও নেতৃত্ব বিকাশে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে চলেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠানের কাজ শুধু রুটিন কাজ করে যাওয়া নয়, প্রতিষ্ঠানের কাজ সমাজ পরিবর্তনের অনুঘটক হিসেবে কাজ করা। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সেই কাজটাই করে চলেছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম সিমিন হোসেন (রিমি); ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশনের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী; মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ; প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের এশিয়া রিজিওনাল অফিস, রিজিওনাল ডিরেক্টর ভাগ্যশ্রী ডেঙ্গলে, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের ডিরেক্টর অব সাব রিজিওন এশিয়া প্যাসিফিক শ্যারন কেইন এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারবৃন্দের বিশিষ্ট প্রতিনিধিরা, উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার ও কমিউনিটি-ভিত্তিক সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস বলেন, এখনো প্রতি ৩ জন নারীর একজন তার পরিবার থেকে শুরু করে নানা পর্যায়ে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। জাতিসংঘের জরিপ অনুযায়ী আমরা জানি এই বৈষম্য দূর করতে ১৩১ বছর লাগবে। বাংলাদেশের সকল স্তরে সমতা ও সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। বিগত ৩০ বছরের অর্জিত অভিজ্ঞতায় আমরা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছি এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বিভিন্ন সফলতা ও অর্জনের গল্প তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ৩০ বছরের একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষ্য, রূপান্তরের গল্প: প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের অবদান। এ আয়োজনে আরও ছিল প্রকাশনা উন্মোচন, প্রাক্তন প্ল্যান কর্মীদের স্মৃতিচারণ।
উদযাপনের অংশ হিসাবে, বিশিষ্ট প্যানেলিস্টদের সাথে একটি প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল, যা উদযাপনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু পরিবর্তন, মেয়ে ও যুব নারীদের ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা এবং শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করেন।
বিগত ৩০ বছরে, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নিবেদিতপ্রাণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশব্যাপী ও কমিউনিটির সাথে শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করেছে। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বব্যাপী কিশোরী এবং যুব নারীদের নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণ করতে, চলমান স্টেরিওটাইপকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য একটি পরিবেশ তৈরি করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিনিয়ত এ দেশে বাল্যবিবাহ রোধ, শিক্ষা, জেন্ডার সমতা, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও কিশোরী ও নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য সাফল্যের সাথে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে, যা এই প্রতিষ্ঠানটির কাজের মূল ক্ষেত্র। বিশেষত, গত ১০ বছরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সরকার, দূতাবাস, দাতা ও অংশীদার সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবক, সমর্থক, সহযোগী যুব ও যুব গোষ্ঠীর সহায়তায় কন্যাশিশুর অধিকার ও চাহিদা পূরণে নিজেদেরকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পেরেছে।
রেজিলিয়েন্স এবং মানবিক উৎকর্ষতা গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্ল্যান বাংলাদেশ, দূর্যোগ ও মানবিক সংকটের সময় নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ব্যবস্থাপনায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ যে তৎপর কার্যক্রম চালু রেখেছে তা ক্ষতিগ্রস্তদের চাহিদা পূরণ করে সংকটের জন্য একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ প্রদর্শন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি সরকারের সহায়তায় অন্তর্ভুক্তিমূলক মানসম্পন্ন শিক্ষা, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার এবং যুব কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তার জন্য দক্ষতা এবং সুযোগের মাধ্যমে সারা দেশে মানবিক কর্মসূচিতে মানসম্পন্ন পরিষেবা প্রদান করছে প্রতিনিয়ত। সরকার, দূতাবাস, দাতা ও অংশীদার সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবক, সমর্থক, সহযোগী যুব ও যুব গোষ্ঠী প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে নিরলসভাবে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে সম্ভব হয়েছে এই সাফল্য।
৩০ বছর ধরে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এ দেশের সরকার, স্থানীয় সহযোগী সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, পরিবার এবং কমিউনিটির সাথে মেলবন্ধনের সাথে কাজ করে আসছে। প্ল্যান বিশ্বাস করে যে, এই সমন্বিত প্রচেষ্টাই বাল্যবিবাহ সমূলে নির্মূলের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে যা ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধ করার জন্য দেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিতকরণে সহায়তা করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ কমিশনার
নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন। রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শপথ নেওয়া চার কমিশনার হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
এর আগে শপথ নিতে দুপুরের দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আসেন সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনার। পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রথমে নতুন সিইসিকে শপথ পাঠ করানো হয়। এরপর শপথ নেন চার নির্বাচন কমিশনার।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা বিধান অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করার পর ওই কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা থেকে এই নির্বাচন কমিশন বেছে নেন রাষ্ট্রপতি।
দেশের চতুর্দশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নাসির উদ্দীনকে এর আগে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে আইএইচএফের বিজ্ঞানমেলা
বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে এবারও ইটস হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন ‘উদ্ভাবনের আনন্দে’ শীর্ষক শিরোনামে বার্ষিক বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করেছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মাল্টি পারপাস হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের প্রান্তিক এলাকার শিশুদের জন্য আয়োজিত একটি বার্ষিক বিজ্ঞান মেলা যা চলমান বৈশ্বিক প্রতিবন্ধকতা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে সেগুলো উত্তরণের উপায়গুলোর ওপর লক্ষ্য রেখে প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।
বিজ্ঞান মেলাটিতে আইএইচএফের স্কুল ছাড়াও অংশগ্রহণ করেছে আরও কয়েকটি অলাভজনক সংগঠনের বিদ্যালয়। এগুলো হলো – স্পন্দন বাংলাদেশ, কে কে ফাউন্ডেশন,ইগনাইট গ্লোবাল ফাউন্ডেশন, হেল্প ফর ডিপ্রাইভ ফাউন্ডেশন, এইম ইনিশিয়েটিভ ফাউন্ডেশন, হাসিমুখ, সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, অপরাজেয় বাংলাদেশ।
বিদ্যালয়গুলো মূলত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান নিয়ে কাজ করছে। দশটি স্কুলের মোট ১২টি দল এ বছর বিজ্ঞানমেলায় তাদের প্রজেক্ট উপস্থাপন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার । এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডঃ ডেভ ডাওল্যান্ড এবং কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ সিলন এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নাজিথ মিওয়ানাগে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে গেস্ট অফ অনার হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ডঃ তৈয়বুর রাহমান ।
বিচারকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. রওশন আরা আক্তার, অধ্যাপক, স্কুল অব ফার্মেসি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়; শামীম আহমেদ মৃধা, প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক, ইকো-নেটওয়ার্ক গ্লোবাল; শারীন রেজা, প্রধান, বিআইটি জুনিয়র স্কুল; এবং শামস জাবের, প্রতিষ্ঠাতা, দ্য টেক একাডেমি।
এবারের বিজ্ঞানমেলায় রানার আপ হয় আইএইচএফ স্কুল, টঙ্গী ক্যাম্পাসের প্রজেক্ট “মোবাইল ক্লিনিক” এবং চ্যাম্পিয়ন হয় সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট “গার্ডেন ইন স্মল স্পেস”।
মেলায় আইএইচএফের পাঁচখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর একটি বিশেষ নাটকও উপস্থাপন করেছে।
উল্লেখ্য, ইভেন্টটি পরিচালনায় সহযোগিতা করেছে ইস্ট কোস্ট গ্রুপ এবং আজিমুর রোকিয়া রহমান ট্রাস্ট। ভেন্যু পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। মিল পার্টনার হিসেবে ছিল আল বাইক ইন্টারন্যাশনাল। স্ন্যাকস পার্টনার ওরেন্ডা অ্যান্ড বিনস এবং ওয়াফল আপ। টি-শার্টের জন্য সহযোগিতা করেছে উর্মি গ্রুপ এবং গিফট পার্টনার হিসেবে ছিল চালডাল ডট কম।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
যুক্তরাজ্যের প্রেস মিনিস্টার হলেন সাংবাদিক আকবর
সাংবাদিক আকবর হোসেন মজুমদারকে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার (২৪ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আকবর হোসেন মজুমদারকে অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছর মেয়াদে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস উইংয়ের মিনিস্টার (প্রেস) পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।
এই নিয়োগের অন্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
এর আগে, গত ১৯ নভেম্বর সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস উইংয়ে মিনিস্টার (প্রেস) পদে সচিব পদমর্যাদায় নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
রাজধানীতে ফের অটোচালকদের অবরোধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন রিকশা চালকরা। আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তারা।তাদের প্রধান দাবি- মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর অনুমতি দিতে হবে।
এই আন্দোলনের কারণে মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর ও গাবতলী এলাকার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেও সড়ক অবরোধ করেছেন চালকরা।
মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের নবীনগর-৭, ভাঙা মসজিদ এবং বেড়িবাঁধ চার রাস্তার মোড়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের মূল দাবি— সড়কে চলাচলের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
আন্দোলনকারীদের হাতে লাঠিসোঁটা দেখা গেছে, যা এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দাদের কেউ কেউ দাবি করেছেন, আন্দোলনকারীদের অনেকেই আসলে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক নয়, বরং আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মী।
মোহাম্মদপুরের মতোই সায়েন্সল্যাব এলাকায়ও সড়ক অবরোধের চেষ্টা চলছে। বেলা সোয়া ১১টার দিকে বাটা সিগন্যাল থেকে একটি মিছিল সায়েন্সল্যাব মোড়ের দিকে যেতে দেখা গেছে।
অটোরিকশা চালকদের এই আন্দোলনের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
তুরস্কে আন্তর্জাতিক এনজিও মেলায় ছওয়াব’র অংশগ্রহণ
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক এয়ারপোর্টে অনুষ্ঠিত ৪র্থ আন্তর্জাতিক এনজিও মেলায় অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এনজিও সোশ্যাল এজেন্সি ফর ওয়েলফেয়ার এন্ড অ্যাডভান্সমেন্ট ইন বাংলাদেশ বা ছওয়াব। গত ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামিক ওয়ার্ল্ডের এনজিও ইউনিয়ন (ইউএনআইডব্লিউ) এবং তুরস্কের ভলান্টারি অর্গানাইজেশনস ফাউন্ডেশন (টিজিটিভি) এর আয়োজনে এই মেলায় ৬০টি দেশের ২০০টিরও বেশি এনজিও অংগ্রহণ করেছে। মেলাটি বৈশ্বিক সহযোগিতা বাড়নো এবং মানবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়েছে।
ছওয়াব -এর স্টল (এ২-৬১) আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য মনোযোগ পেয়েছে। বিশেষত, ইসলামিক ওয়ার্ল্ডের এনজিও ইউনিয়নের (ইউএনআইডব্লিউ) সদস্যরা, যার মধ্যে ছিলেন এর মহাসচিব এবং কাউন্সিল সদস্যগণ ছওয়াব-এর বাংলাদেশে পরিচালিত কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন।
ড. শরিফুল ইসলাম লাবলু, নাহার-ইউএসএ (নর্থ আমেরিকান হিউম্যানিটারিয়ান এইড এন্ড রিলিফ)-এর নির্বাহী পরিচালক ছওয়াবের স্টলে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং মানবিক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। তিনি ভবিষ্যতে সহযোগিতার জন্য প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
মেলার উদ্বোধনী ভাষণে ইস্তাম্বুলের গভর্নর দাউত গুল সংকট মোকাবিলা, শরণার্থী সহায়তা এবং বৈশ্বিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এনজিওগুলোর ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি যুবসমাজের ক্ষমতায়ন ও পরিবারকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে শক্তিশালী জাতি গঠনে সিভিল সোসাইটির গুরুত্ব উল্লেখ করেন।
মেলাটি গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বৈশ্বিক সংকটগুলোকে কেন্দ্র করে আলোচিত হয়। ২৩ নভেম্বর মেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে গাজা- ইস্তাম্বুল ডিক্লারেশন স্বাক্ষরিত হবে, যা চলমান গণহত্যার অবসান এবং ইসলামী বিশ্বে সংহতি জোরদার করার আহ্বান জানাবে।
ছওয়াবের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন চেয়ারম্যান এস. এম. রাশেদুজ্জামান, যাঁর সঙ্গে ছিলেন ট্রাস্টি সদস্য ড. কামরুল হাসান, তুরস্ক প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং স্বেচ্ছাসেবক ওয়ালিল্লাহ ও মিনহাজুল আবেদীন।
এস. এম. রাশেদুজ্জামান বলেন, “এই মেলাটি আমাদের মানবসেবার লক্ষ্য শক্তিশালী করতে এবং বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি অমূল্য প্লাটফর্ম প্রদান করেছে” ।
ছওয়াবের এই অংশগ্রহণ মানবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উদ্ভাবনী কার্যক্রম, অ্যাডভোকেসি এবং কার্যকর অংশীদারিত্বের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এমআই