সারাদেশ
কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাস মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছের বংশবিস্তার ও প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে অন্যান্য বছরের মতো এবারও মৎস্য আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে হ্রদে মৎস্য আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়।
এই সময়টাতে রাঙামাটির আট ও খাগড়াছড়ির দুই জেলা নিয়ে বিস্তীর্ণ কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার করা যাবে না। চলতি বছরের ২৪ জুলাই পর্যন্ত আগামী ৩ মাস হ্রদে সব ধরনের মাছ ধরা, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকবে।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে হ্রদে মৎস্য আহরণ, নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বন্ধকালীন সময়ে হ্রদে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে কার্পজাতীয় মাছ অবমুক্ত করা হবে।
হ্রদে মৎস্য আহরণ বন্ধকালীন সময়ে অবৈধ উপায়ে মাছ ধরা, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি হ্রদের বিভিন্ন স্থানে নৌপুলিশ মোতায়েন করা থাকবে। হ্রদে অবৈধ উপায়ে কোনো অসাধু চক্র মাছ শিকার করলে তাতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময় থেকে স্থানীয় সব বরফকল বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধকালীন তারিখ থেকে স্থানীয় বাজারসমূহ ও কাপ্তাই হ্রদ মনিটরিং করবে প্রশাসন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
শতাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না শনিবার
সিলেট মহানগরের শতাধিক এলাকায় শনিবার ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এদিন সিলেটের কিছু এলাকায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা, আবার আরও কয়েকটি এলাকায় সকাল ৭টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকবে না।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর প্রকৌশলী নির্বাহী প্রকৌশলীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত যতরপুর, মৌবন আ/এ, ঝেরঝেরিপাড়া, মিরাবাজার, শিবগঞ্জ, সেনপাড়া, টিলাগড়, এমসি কলেজ, মৌচাক, পুষ্পায়ন আ/এ, ভাটাটিকর, সোবহানীঘাট বিশ্বরোড, চালিবন্দর, কাস্টঘর, বন্দর বাজার রোড, বঙ্গবীর, জেলরোড, আমজাদ আলী রোড, লালদিঘীরপাড়, হকার্স মার্কেট, কালিঘাট, পাইলট স্কুল, মেন্দিবাগ, নোয়াগাঁও সাদিপুর, বোরহানউদ্দীন রোড, কুশিঘাট, টুলটিকর, মিরাপাড়া, শাপলাবাগ, কল্যাণপুর, মীরেরচক, মুক্তিরচক, মুরাদপুর, পীরেরচক, উপশহর রোড, ডুবড়ী হাওর, ফুলতলী মাদ্রাসা, নাইওরপুল পয়েন্ট, ওসমানী শিশু পার্ক, ধোপাদিঘীরপাড় ও আশে-পাশের এলাকাসমূহে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এছাড়া একই দিন সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ঘাসিটুলা, জল্লারপাড়, লালাদিঘীর পাড়, কলাপাড়া, কীন ব্রিজ, সার্কিট হাউজ এক্সপ্রেস, নবাব রোড, পুলিশ লাইন্স ও ভাতালিয়া ফিডারের আওতাধীন সিলেট বিভাগীয় শহরের মির্জাজাঙ্গাল, দাড়িয়াপাড়া, জল্লারপাড়, রামের দিঘীর পাড়, সুরমা মার্কেট, তোপখানা, লালাদিঘীর পাড়, নবাব রোড, ঘাসিটুলা, মজুমদার পাড়া, শামিমাবাদ আ/এ, কানিশাইল, বেতের বাজার, কলাপাড়া, টিকর পাড়া, শেখঘাট, কীন-ব্রীজ, সার্কিট হাউজ, কোর্ট পয়েন্ট, কাজির বাজার, জিতু মিয়ার পয়েন্ট, তেলি হাওড়, তালতলা, মেডিকেল রোড, কাজলশাহ, ভাতালিয়া, কুয়ারপাড়, লামাবাজার, রিকাবী বাজার, মধুশহীদ, মুন্সীপাড়া, সাগরদিঘীর পাড়, মিরের ময়দান, পুলিশ লাইন, বর্ণমালা পয়েন্ট, মুনিপুড়ী বস্তি, সুবিদবাজার ও আশে-পাশের এলাকাসমূহে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
একই দিন সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টুকেরবাজার, পীরপুর, তেমুখি, বলাউড়া, আউসা, শাহপুর, নোয়াপাড়া, টুকেরগাঁও, গৌরীপুর, গোপাল, বলাউড়া,ক্ষিত্তারগাঁও,ফতেহপুর, মোল্লারগাঁও, লামাকাজী, মাহতাবপুর, কুমারগাঁও, বিজিবি ক্যাম্প, পার্ক ভিউ আ/এ, করের পাড়া, পনিটুলা, নোয়াপাড়া, কালিবাড়ী রোড, গ্রীন সিটি, হাওলাদারপাড়া, ব্রাহ্মনশাসন, সতীশ চন্দ্র স্মরণী রোড, সৎ সঙ্গ বিহার, বিজিবি, কুমারগাঁও, বাসস্ট্যান্ড, তেমুখী, কুমারগাঁও আ/এ, নাজিরেরগাঁও, মইয়ারচর, চাতল, টিলাগাঁও, বড়গুল, ডলিয়া, ইউরো বাংলা সিরামিকস্, পাঠানটুলা, সুরমা গেইট, বিজিবি ক্যাম্প, আনছার ক্যাম্প, তারাপুর, শ্রাবনী, নিকুঞ্জ, লতিফ মঞ্জিল, পল্লবী আ/এ, যদিনা মার্কেট, বিশ্ববিদ্যালয় গেইট, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও হোস্টেল, নরসিংটিলা, এতিম স্কুল রোড, আখালিয়াঘাট, দুদক অফিস, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, আলী বাহার চা বাগান, জাহাঙ্গীর নগর, পোড়াবাড়ী, ইসলামপুর, লাখাউরা, উত্তর বালুচর, বিজিবি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও আশে-পাশের এলাকাসমূহে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
সাময়িক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
১১ মাস পর ফের চালু হলো আশুগঞ্জ সার কারখানা
গ্যাস সরবরাহ পেয়ে দীর্ঘ ১১ মাস পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড ফের ইউরিয়া সার উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় গ্যাস সরবরাহ চালু হওয়ার পর কারখানার উৎপাদন পুনরায় শুরু হয়।
তবে গ্যাসের চাপ পর্যাপ্ত না থাকায় পুরো ক্ষমতায় উৎপাদনে যাওয়া এখনো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার নাথ।
তিনি জানান, কারখানায় পুরোদমে ইউরিয়া সার উৎপাদনের জন্য ৪০-৪২ বার চাপের প্রয়োজন হয় কিন্তু বর্তমানে গ্যাসের চাপ ৩০-৩৪ বারে সীমাবদ্ধ। ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হলেও তা ঢিমেতালে চলছে।
সার কারখানা সূত্রে জানা যায়, আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার কারখানার দৈনিক ১১০০ টন ইউরিয়া সার উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। তবে গ্যাস সংকটের কারণে ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। পরে গত ১৫ নভেম্বর গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু হলেও উৎপাদন শুরু করতে দীর্ঘ প্রস্তুতিপর্ব অতিক্রম করতে হয়েছে।
প্রদীপ কুমার নাথ বলেন, গ্যাস সরবরাহের সমস্যা পুরোপুরি কাটলে উৎপাদনে গতি ফিরে আসবে। আমরা আশা করছি দ্রুতই পূর্ণ উৎপাদনে ফিরতে পারব।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
দিনাজপুরের বিরলের এনায়েতপুর সীমান্ত থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা মো. আল আমিন নামে এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) উপজেলার এনায়েতপুর সীমান্ত থেকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সুফিয়ান।
জানা গেছে, উপজেলার ৮নং ধর্মপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর সীমান্তের শূন্য রেখার ৩২৩নং পিলারের পাশ থেকে আল আমিনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। আল আমিন দ্বীপনগর গ্রামে আইজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে এনায়েতপুরের দ্বীপনগর গ্রামে সীমান্তের শূন্যরেখার ৩২৩নং পিলারের পাশে আল আমিন নিজ জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা এসে তাকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে তার পরিবারের লোকজন বিজিবি সদস্যদের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানান। তবে কী কারণে তাকে আটক করে নিয়ে যায় তা এখনও জানা যায়নি।
এ দিকে দিনাজপুর-৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহসান-উল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য আবু সুফিয়ান বলেন, বিকেলে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে কৃষক আল আমিনকে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। এ ঘটনায় পর স্থানীয়রা বেশ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
একটি নদীর মৃত্যু মানে একটি সভ্যতার মৃত্যু: চাঁদপুর জেলা প্রশাসক
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, একটি নদীর মৃত্যু মানে একটি সভ্যতার মৃত্যু। নদীকে তার গতিতে বাঁচতে দিতে হবে। কোন দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার নেই কেউ কি বলতে পারবেন? পৃথিবীর সকল দেশেই প্লাস্টিকের ব্যবহার আছে। পৃথিবীর সকল দেশেই প্লাস্টিক, বালির যথাযথ ব্যবস্থাপনা রয়েছে। যা আমাদের দেশে নেই।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দ্বিতীয় পর্বে ‘নদ-নদীকে জীবন্ত স্বত্ত্বা ঘোষণা-কিভাবে নদীর অধিকারের স্থায়ী ভিত্তি নির্মাণ করা যাবে?’ বিষয়ে গণশুনানি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি রয়েছে। নদী দূষনের ক্ষেত্রে আমাদের ব্যবস্থাপনার সমস্যা রয়েছে। আর নদী দখলের ক্ষেত্রে আমাদের রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। প্রতি মাসে আমরা পানির মান পরীক্ষা করি। আমাদের ডাকাতিয়া নদীর মান ভাল আছে। আপনার আমার ফেলে দেয়া পলিথিন সবশেষে যাচ্ছে ফসলি জমিতে। যার কারণে আমাদের ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। নদীতে পলিথিন ফেললে নদী দূষণ হচ্ছে। পলিথিনের কারণে আমাদের নদীগুলো মরে যাচ্ছে। যে কোন কিছুর বিনিময়ে আমাদের পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
ডিসি বলেন, চরের কারণে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির সম্মুক্ষিণ হবে। আমাদের ডুবোচরগুলো কেটে দিতে হবে এবং কাটানো দরকার।
তিনি আরও বলেন, দেশ, প্রকৃতি ও সভ্যতাকে বাঁচাতে হলে আমাদের নদীগুলো বাঁচাতে হবে। নদী দখলের নামে আমাদের দেশে একটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করা হয়ে থাকে। নদী ভাঙা-গড়া একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। নদীকে শাসনের উদ্যোগ নিতে হবে। নদীকে যদি আমরা দখল না করি, পলিথিন না ফেলি তাহলে নদী ভাল থাকবে। আমাদের নদী, খাল ভরাট হয়ে গেছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। নদীকে কেন আমরা বাঁচিয়ে রাখবো তা প্রথমেই জানতে হবে।
এই পর্বে আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দীন, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুর এর উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো. ফজলুল হক, পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচারক মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক লে. মো. শোয়েব, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা, সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, মৎস্য ব্যবসায়ী মো. সোহেল গাজী প্রমূখ।
গণশুনানি পর্বে সভাপতিত্ব করেন পরিবশে ও নদী রক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন এবং উপস্থাপনায় ছিলেন স্থানীয় আয়োজক মুসাদ্দেক আল-আকিব। একই সাথে সঞ্চালক বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ পাঠ করেন।
এছাড়াও বেলা আড়াইটায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রথম পর্বে ‘বালুমহাল ও বালুব্যবস্থাপনা কিভাবে টেকসই, স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক হতে পারে?’ বিষয়ে বহুপক্ষীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ি দেশে নদী সংখ্যা ১১৫৬। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নদীর সংখ্যা ছিলো দুই হাজার। পদ্মা-মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন বৈধ-অবৈধ নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। নদীর বালু উত্তোলন করাও প্রয়োজন। এসব বিষয়গুলো একটি নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে উদ্যোগ নিয়েছে রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি)। তারই অংশ হিসেবে অংশীজনদের নিয়ে চাঁদপুরে দুই পর্বের এ সভা ও গণশুনানি অনুষ্ঠত হয়।
প্রথম পর্বের সভায় সভাপতিত্ব করেন নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুরিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, নদীর পরিবেশ রক্ষায় অনেকেই জড়িত। এর মধ্যে নৌ পুলিশও কাজ করে। মূলত আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে পুলিশ। তবে নদীর বালু ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সকল অংশীজনের মতামত লাগবে। এছাড়া যারা এটি নিয়ে গবেষণা করেন তাদের মতামত নিয়ে কাজ করলে সফলতা আসবে। যেহেতু চাঁদপুরে বর্তমানে কোন বৈধ বালু মহাল নেই, সেকারণে আমরা বালু কাটার সংবাদ পাওয়ামাত্র ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। বলতে পারি অবৈধভাবে বালুকাটা অনেকটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে।
এসপি আরও বলেন, চলতি জানুয়ারি মাসে পদ্মা-মেঘনায় অভিযান চালিয়ে ৩৪টি ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৮৮জন। এজহার নামীয় আসামী হলেন ৮৪জন। তিনি বলেন, এই ধরণের ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা প্রয়োজন। বিগত মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আমি জনগণের মধ্যে সচেতনতা পাইনি। বালুমহাল ও বালুউত্তোলনের ক্ষেত্রে একটি ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসতে হলে সবার আগে স্থানীয় জনগণকে সচেতন হতে হবে। এরপর বহুমুখী সমন্বয় প্রয়োজন। এটি বন্ধ করার জন্য নীতিমালা প্রনোয়নে আমরা কাজ করতে চাই।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল-ইমরান খাঁন, চাঁবিপ্রবির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. বাইজিদ আহমেদ রনি, চাঁসকের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সুলতানা তৌফিকা আক্তার, চাঁদপুর নদী বন্দরের অভ্যন্তরীণ জাহাজ পরিচালনা বিভাগের পরিদর্শক মো. আশিকুর রহমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ গাজী, বাংলাদেশ নৌ-যান পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ।
প্রথম পর্ব সঞ্চালনায় ছিলেন আয়োজকদের পক্ষে মো. মনির হোসেন। টেকসই বালু ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ধারণা নিয়ে বক্তব্য দেন পরিবশে ও নদী রক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন। নদী থেকে বালু উত্তোলনের ক্ষতিকর ও প্রয়োজনীয়তা বিষয় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তুলে ধরেন চাঁদপুর পরিবেশ সংরক্ষন আন্দোলন এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মো. আশিক খান। আর এই বিষয় লিখেছেন অনুষ্ঠানের স্থানীয় আয়োজক মুসাদ্দেক আল আকিব। শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন আল-আমিন মডেল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ.ন.ম ফখরুল ইসলাম মাছুম।
এই পর্বে জেলে, বালুবাহী বলগেট মালিক সমিতির নেতা ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা পরামর্শমূলক বক্তব্য দেন। বক্তারা বালু উত্তোলনের ভিন্ন মত দিলেও ব্যবস্থাপনা নিয়ে ঐক্যমত হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
পরামর্শমূলক এই সভায় বক্তাদের আলোচনায় জানা গেছে, চাঁদপুরে ৭টি বৈধ বালুমহাল ছিলো। কিন্তু এখন একটি বালুমহালের অনুমোদন নেই। উচ্চ আদালত থেকে দুটির জন্য অনুমোদন এনে জেলা প্রশাসনের নিকট দেয়া হলেও সেগুলোর জন্য নীতিগত কোন সিদ্ধান্ত না দিয়ে বালু উত্তোলনের সমস্যাগুলো তুলে ধরে জবাব দেয়া হয়। এছাড়াও জানাগেল সেলিম চেয়ারম্যান থেকে এখন পর্যন্ত পূর্বের বালু তোলার রাজস্ব বকেয় আছে ২৭৪ কোটি টাকা।
দুই পর্বের অনুষ্ঠানে আরডিআরসি ছাড়াও সহযোগী আয়োজক সংগঠন ছিলো সিএনআরএস, আরডিআরএস, অক্সপাম এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
খেজুরের রস পান করতে গিয়ে প্রাণ গেলো ৩ বন্ধুর
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাসচাপায় মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা খেজুরের রস খেতে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার পোনা এলাকার বিষ্ণুদাসের ছেলে দিপু দাস (১৮), একই এলাকার বাবুল নাগের ছেলে বিশাল নাগ (১৯) ও মিনারুল মৃধার ছেলে হৃদয় মৃধা (১৮)। দিপু দাস নবম শ্রেণি ও বিশাল নাগ অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. রকিবুজ্জামান বলেন, মরদেহগুলো সাড়ে ৭টার পর স্থানীয়রা দেখতে পেলেও দুর্ঘটনা ঘটেছে সম্ভবত আরো সকালে। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি তারা মোটরসাইকেলে করে সদরে কোথাও খেজুর গাছের রস খেতে যাচ্ছিল। ভোরে খুব কুয়াশা ছিল।
সাম্পান রেস্টুরেন্টের সামনে তাদের মোটরসাইকেল পৌঁছালে অজ্ঞাত কোনো একটি গাড়ি তাদের চাপা দেয়। আমরা ঘাতক বাহনটি শনাক্তের চেষ্টা করছি। আমাদের আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।