Connect with us

অর্থনীতি

ওয়ারেন বাফেটের বেড়ে ওঠা-জীবন-বিয়ে ও বিনিয়োগের যত কাহিনি

Published

on

আইপিডিসি

আগামী ৩০ আগস্ট তাঁর বয়স হবে ৯৪ বছর। এখনো খেতে পছন্দ করেন চিজ বার্গার আর চেরি কোকাকোলা। চুটিয়ে কন্ট্রাক্ট ব্রিজ খেলেন। ‘ব্রেকিং ব্যাড’ ওয়েব সিরিজের দারুণ ভক্ত। ৬৫ বছর ধরে একটি বাসাতেই থাকেন। লেনদেন করেন নগদ অর্থে। আর যা আয় করেন, বিলিয়ে দেন তার প্রায় সবটাই।

বলছি ওয়ারেন বাফেটের কথা, বিশ্বের সেরা বিনিয়োগকারী। তিনি এমন এক মানুষ, যাঁর কোনো শত্রু নেই বললেই চলে। নামটা যেন কেবলই ভালো লাগা আর শ্রদ্ধার। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১১ সালে তাঁর গলায় প্রেসিডেনশিয়াল গোল্ড মেডেল পরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘ওয়ারেন বাফেট কেবল একজন শীর্ষ ধনীই নন, একই সঙ্গে অন্যতম শ্রদ্ধেয় ও ভালোবাসার মানুষ।’ ভালোবেসে তাঁকে ডাকা হয় ‘ওমাহার জাদুকর’।

ওয়ারেন বাফেট এখন বিশ্বের ষষ্ঠ শীর্ষ ধনী, বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। আবার কেউ কেউ বলেন, বাফেট যত ভালো বিনিয়োগকারী, তার চেয়েও ভালো ম্যানেজার বা ব্যবস্থাপক। বাফেট যেখানে বিনিয়োগ করেন আর যেভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালান, সেটাকেই আদর্শ মানা হয়। আসলে বিনিয়োগকারী হিসেবে তিনি কিংবদন্তিতুল্য আর ব্যবস্থাপক হিসেবে প্রথম শ্রেণির। ফোর্বস পত্রিকার ২০২৪ তালিকা অনুযায়ী বাফেটের সম্পদের পরিমাণ এখন ১৩৩ বিলিয়ন ডলার বা ১৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ লাখ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের বাজেট কত জানেন তো? ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

ওয়ারেন বাফেটের আরেকটি বড় পরিচয় হচ্ছে, তিনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় জনহিতৈষীদের একজন। ২০০৬ সালে তিনি তাঁর সম্পদের ৯৯ শতাংশই দানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর এখন পর্যন্ত দান করেছেন প্রায় ৫৬ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।

যেভাবে বেড়ে ওঠা
ওয়ারেন বাফেটের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের ওমাহায়, ১৯৩০ সালের ৩০ আগস্ট। হাওয়ার্ড ও লেইলা বাফেট দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। হাওয়ার্ড দম্পতি বিয়ে করেছিলেন ১৯২৫ সালে। বড় বোন ডরিসের জন্ম ১৯২৮ সালে আর ছোট বোন বার্টি ওয়ারেন বাফেটের চেয়ে তিন বছরের ছোট।

বাবা হাওয়ার্ড বাফেট ছিলেন শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারী। তাঁর শেয়ার কেনাবেচার একটি ব্রোকারেজ ছিল। ছোটবেলায় দেখতেন, বাবা একগাদা কাগজ নিয়ে রাতে বাসায় ফিরছেন। একদিন মাকে জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর বাবা আসলে কী করেন? মা বলেছিলেন, ইনভেস্টর। তখনই তিনি ঠিক করে ফেললেন, তাঁকেও ইনভেস্টর হতে হবে। ছয়-সাত বছর বয়সেই স্কুলের খাতায় নিজের নাম লিখে রেখেছিলেন ‘ওয়ারেন বাফেট: ফিউচার ইনভেস্টর’। বাফেট সেটাই হয়েছেন।

বিনিয়োগকারী হতে ছেলের অদম্য আগ্রহ দেখে বাবা হাওয়ার্ড বাফেট পরামর্শ দিয়েছিলেন, ‘বড় বিনিয়োগকারী হতে চাইলে নিজের একটি ব্যবসা ভাবতে শেখো, নিজের সম্পদমূল্য বাড়িয়ে তোলো।’ এ কথা বাফেট বড় হয়েও মনে রেখেছেন। মূলত, বিনিয়োগকারী হওয়ার বীজ ওয়ারেনের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর বাবাই।

একদম ছেলেবেলাতেই ওয়ারেন তাঁর বাল্যবন্ধুকে বলে রেখেছিলেন, ৩৫ বছর বয়সে তিনি লাখপতি বা মিলিয়নিয়ার হবেন। আর এ লক্ষ্যেই মাত্র ১১ বছর বয়সে প্রথম শেয়ারটি কিনেছিলেন। পরে সিএনবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘আমি শুরুই করেছি দেরিতে। জানি না এতটা সময় কেন নষ্ট করেছিলাম।’

দাদার ছিল মুদির দোকান। ওয়ারেন বাফেট সেই বয়সেই নিজের সম্পদমূল্য বাড়াতে সপ্তাহে ৫ ডলার বেতনে দাদার দোকানে কাজ নেন। মাত্র ছয় বছর বয়সেই দাদার দোকান থেকে ২৪ সেন্টে ৬ প্যাকেট কোকাকোলা কিনে একটু দূরে গিয়ে বিক্রি করে ৫ সেন্ট মুনাফা করেছিলেন। এরপর কিছু অর্থ জমিয়ে ১১ বছর বয়সে ৩৮ ডলার করে সিটিজ সার্ভিসের ৬টি শেয়ার কেনেন। এর তিনটি শেয়ার দিয়ে দেন বোনকে। তবে জীবনের প্রথম শেয়ার ব্যবসা শুরুতে হতাশ করেছিল তাঁকে। কিছুদিনের মধ্যেই শেয়ারের দাম কমে ২৭ ডলার হয়ে যায়। কিন্তু তিনি অপেক্ষা করেছেন। দর বেড়ে ৪০ ডলার হতেই বিক্রি করে দেন। তিনি এখনো মানেন, সেটি ছিল তাঁর ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ, কিছুদিনের মধ্যেই ওই শেয়ারের দাম আরও বেড়ে ২০০ ডলার হয়ে যায়। সেই ঘটনা থেকে তিনি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা পেয়েছিলেন। আর তা হলো অধ্যবসায়, যার প্রতিফলন পুরো জীবনেই ছিল।

ছোটবেলায় সম্পদ বাড়াতে ওয়ারেন বাফেট বাড়ি বাড়ি গিয়ে চুইংগাম, পত্রিকা, কোকাকোলাও বিক্রি করেছেন। পাড়ার সেলুনের সামনে বন্ধুরা মিলে একটা পোকার খেলার মেশিনও বসিয়েছিলেন। এ সময় বাবা ওয়ারেনের নামে একটি ব্যাংক হিসাবও খুলে দিয়েছিলেন। একসময় ব্যাংক থেকে নোটিশ এল যে ওয়ারেন বাফেটের নামে কিছু ডলার জমা পড়েছে। ফলে এখন আয়কর দিতে হবে। ছেলেকে বললেন আয়কর দিতে। কারণ, তখন থেকেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শিখতে হবে। বাফেটের বয়স তখন মাত্র ১৪ বছর। বয়স কম হওয়ায় স্থানীয় আয়কর বিভাগ ৩৫ ডলার ফেরত দিলে বাফেট তা দিয়ে একটি বাইসাইকেল কিনেছিলেন। সেই বাইসাইকেল তিনি চালাতেন বিশ্ববিদ্যালয়জীবনেও।

ওয়াশিংটন–যাত্রা
ওয়ারেন বাফেটের জন্ম ১৯৩০ সালে। ১৯৩০-এর পুরো দশকই ছিল গ্রেট ডিপ্রেশন বা মহামন্দার কাল। লাখ লাখ মানুষ তখন বেকার। বিনিয়োগেও চরম মন্দা। বিনিয়োগকারী হিসেবে সিনিয়র বাফেট সিদ্ধান্তে এলেন যে গন্ডগোলটা আসলে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের। তখন ঠিক করলেন নীতিনির্ধারণী পর্যায়েই সরকারকে প্রভাবিত করতে হবে। নির্বাচনে দাঁড়ালেন। ১৯৪৩ সালে তিনি নেব্রাস্কা সেকেন্ড ডিস্ট্রিক্ট থেকে ইউএস হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের সদস্য নির্বাচিত হলেন। মাঝখানে একবার বাদ দিয়ে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন কংগ্রেসে। ফলে ১৯৪৩ সালেই বাবার সঙ্গে ওমাহা ছেড়ে ওয়াশিংটনে চলে যান তিনি। ওয়ারেন বাবার সঙ্গে ওয়াশিংটন এসেছিলেন ১২০ ডলার হাতে নিয়ে। কিন্তু যখন ওয়াশিংটন ছেড়ে চলে যান, তখন তাঁর সেই বিনিয়োগ বেড়ে হয়েছিল ১০ হাজার ডলার।

বাফেটের স্কুলজীবন শেষ হয় ১৭ বছর বয়সে, ১৯৪৭ সালে। কলেজে যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই তাঁর ছিল না। কিন্তু বাবার ইচ্ছা ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ওয়ারটন বিজনেস স্কুলে পড়বেন বাফেট। সেখানে ছিলেনও দুই বছর। একসময় ফিরে আসেন ওমাহায়। বাফেট পড়তে চেয়েছিলেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে। কিন্তু তাঁকে নেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত হার্ভার্ডের ভর্তির নিকৃষ্টতম প্রত্যাখ্যানের উদাহরণ হিসেবে ধরা হয় এটাকেই।

প্রত্যাখ্যানের গল্প
নেব্রাস্কা ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পরে ওয়ারেন বাফেট হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে পড়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল শিকাগোতে। ১০ মিনিট সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর তাঁকে বাতিল করে দেওয়া হয়। এক অনুষ্ঠানে বাফেট এ নিয়ে বলেছেন, ‘আমার প্রতিক্রিয়া ছিল বাবাকে কীভাবে এটা বলব। তবে সেই প্রত্যাখ্যানই ছিল জীবনে অন্যতম সেরা ঘটনা।’ কেননা, এর ফলে তাঁর সামনে কলাম্বিয়া বিজনেস স্কুলে যাওয়ার দরজা খুলে গিয়েছিল।

অনেক ছেলেবেলা থেকে বিনিয়োগ নিয়ে পড়াশোনা করতেন বলে দুই নামী অধ্যাপকের নাম জানতেন। তাঁরা হলেন বেনজামিন গ্রাহাম বা বেন গ্রাহাম এবং ডেভিড ডড। ওয়ারেন বাফেট এ নিয়ে বলেছেন, ‘আমি তাদের দুজনের বই পড়েছি। সে কারণে আমি তাদের চিঠি লিখলাম। লিখলাম, “প্রিয় অধ্যাপক ডড, আমি ভেবেছিলাম তোমরা দুজন বেঁচে নেই। কিন্তু এখন দেখছি তোমরা বেঁচে আছ এবং কলাম্বিয়ায় পড়াচ্ছ। আমি আসলেই এখানে আসতে চাই।” তাঁরা আমাকে সেখানে নিলেন। তাঁরা দুজনেই অত্যন্ত ভালো শিক্ষক। বিশেষ করে বেন গ্রাহাম আমাকে জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা দিয়েছিলেন, যা আজীবন কাজে লেগেছে। বলেছিলেন, “বিনিয়োগ করার দুটি নিয়ম আছে। এক হচ্ছে কখনো অর্থ লোকসান দেবে না, আর দ্বিতীয় নিয়ম হচ্ছে, প্রথম নিয়মটা কখনো ভুলবে না।”’

১৯৪৯ সালে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে চলে যান কলাম্বিয়া বিজনেস স্কুলে। বেনজামিন গ্রাহামের দ্য ইন্টেলিজেন্ট ইনভেস্টর এখনো ওয়ারেন বাফেটের অন্যতম প্রিয় বই। গ্রাহামকে আকৃষ্ট করার জন্য বইটি সম্পূর্ণ মুখস্থ করেছিলেন তিনি। বাফেটই ছিলেন বেন গ্রাহামের একমাত্র ছাত্র, যিনি পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়েছিলেন। লেখাপড়া শেষ করার পর বাফেট চেয়েছিলেন গ্রাহামের সঙ্গে কাজ করবেন। কিন্তু ইহুদি না হওয়ায় প্রথমে তিনি তাঁকে নিতে চাননি। পরে অবশ্য সুযোগ পান বাফেট। আর এখান থেকেই শুরু হয়েছিল ওপরে ওঠার।

বেনজামিন গ্রাহামকে নিয়ে আরেকটি মজার গল্প আছে। একবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ওয়াশিংটনের ট্রেনে উঠে পড়েছিলেন বাফেট। হুজ হুর পুরোনো একটি সংস্করণ পড়ে জেনেছিলেন, বেন গ্রাহাম গেইকো নামে একটি ছোট বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যান। ওয়াশিংটনে নেমে তিনি হাজির হন গেইকোর অফিসে। সেদিন ছিল শনিবার। গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। দমলেন না। বেল বাজিয়েই চললেন। একসময় কেউ একজন দরজা খুলে দিলেন। ভেতরে তখনো একজন কাজ করছিলেন। বাফেট প্রথমেই তাঁর কাছে জানতে চাইলেন বিমা কোম্পানিটির কাজের ধরন নিয়ে। সেই কথাবার্তা স্থায়ী হয়েছিল দীর্ঘ চার ঘণ্টা। লোকটি ছিল গেইকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লরিমার ডেভি ডেভিডসন। চার ঘণ্টার সেই আলাপও বাফেটের জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছিল। সেই যে বিমা ব্যবসা পছন্দ করা শুরু করেন, তা আজও আছে।

বাফেট এখন গেইকোর মালিক। আর প্রতিষ্ঠানটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় একটি বিমাপ্রতিষ্ঠান। পরে এক সাক্ষাৎকারে ওয়ারেন বলেছিলেন, সেই চার ঘণ্টার আলাপে যা শিখেছিলেন, তা ছিল কলেজজীবনের শিক্ষার চেয়েও বেশি।

বিয়ে এবং আলাদা থাকা
কলাম্বিয়া থেকে ফিরে এসে ওয়ারেন বাফেট বিয়ে করেন ১৯৫২ সালে, ওমাহায়। সুজান টমসন ছিলেন ছোট বোন বার্টির কলেজের বন্ধু। তবে এই দম্পতি আলাদা বসবাস শুরু করেছিলেন ১৯৭৭ সালে। সুজান সে সময় সান ফ্রান্সিসকো চলে যান তাঁর নিজের সংগীত পেশাকে এগিয়ে নিতে। ২০০৪ সালে সুজান মারা যান, তখনো তাঁরা বিবাহিতই ছিলেন।

২০০৬ সালের ৩০ আগস্ট ওয়ারেন বাফেট দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ে করেন অ্যাস্ট্রিড মেংক্সকে। এখানেও একটা গল্প আছে। সুজান ক্যালিফোর্নিয়া চলে যাওয়ার আগে প্রিয় বান্ধবী অ্যাস্ট্রিডকে স্বামীর তদারকির দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। তখন থেকেই অ্যাস্ট্রিড ছিলেন ওয়ারেনের সঙ্গী। বাফেটের ৭৬তম জন্মদিনের দিন তাঁরা বিয়ে করেন। মৃত্যুর কিছুদিন আগে অ্যাস্ট্রিডের প্রশংসা করে সুজান বলেছিলেন, ‘সে বাফেটের খুব যত্ন করে। যার প্রশংসা সে করে, আমিও করি।’

প্রথম কোম্পানি আর একমাত্র বাড়ি
গুরু বা মেন্টর বেন গ্রাহামের সঙ্গে ওয়ারেন কাজ করেন দুবছর। ১৯৫৬ সালে ফিরে আসেন ওমাহায়। বয়স তখন তাঁর ২৫। ফিরে এসে প্রথম অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগ ব্যবসা শুরু করেন। সেই কোম্পানির নাম ছিল বাফেট পার্টনারশিপ লিমিটেড। অংশীদারদের মধ্যে ছিলেন নিজের শ্বশুর, বোন ডরিস, খালা অ্যালিস এবং একজন কলেজের বন্ধু। শুরুতে মোট বিনিয়োগ ছিল ১ লাখ ৫ হাজার ডলার, এর মধ্যে মাত্র ১০০ ডলার ছিল ওয়ারেনের। কোম্পানিতে ওয়ারেনের ফি ছিল ৪ শতাংশের বেশি লাভ হলে তার ৫০ শতাংশ। আর ক্ষতি হলে তার ২৫ শতাংশ বহন করবেন ওয়ারেন।

বিনিয়োগ ব্যবসায় ভালোই লাভ করেছিলেন তাঁরা। দুই বছর পরই ওমাহায় ৩১ হাজার ৫০০ ডলার দিয়ে একটি বাড়ি কেনেন তিনি। বিশ্বের একজন শীর্ষ ধনী হওয়া সত্ত্বেও পরের ৬৫ বছর ধরে সেই বাড়িতেই তিনি জীবন কাটাচ্ছেন। ৬ হাজার ৫৭০ বর্গফুটের সেই বাড়িতে কক্ষ পাঁচটি। বার্কশায়ার অফিসের খুব কাছেই এই বাড়ি। ১৯৭১ সালে অবশ্য ক্যালিফোর্নিয়ার লেগুনা বিচে একটি অবসরযাপন কেন্দ্র কিনেছিলেন বাফেট, পরে সেটি বিক্রি করে দেন।

২০১৪ সালে বার্কশায়ারের বার্ষিক সভায় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যা চাই, তার সবই আমার জীবনে আছে। তবে আমার জীবন এত সুখের থাকত না, বরং আরও খারাপ হতো, যদি আমার ছয় বা আটটা বাড়ি থাকত।’

বন্ধুত্ব–১: বাফেট ও চার্লি মাঙ্গার
দুজন মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব না হলে ওয়ারেন বাফেটের জীবনও হয়তো অসম্পূর্ণ থেকে যেত। তাঁদের একজন হচ্ছে চার্লি মাঙ্গার। চার্লি মাঙ্গার না থাকলে বাফেট হয়তো এত দূর আসতে পারতেন না। চার্লির সঙ্গে দেখা হওয়া ও বন্ধুত্ব ওয়ারেনের জীবনের অন্যতম বড় ঘটনা। নিজেদের নিয়ে তাঁরা কৌতুক করে বলেন, ‘দুজনে দুজনার’। ৬০ বছরের বন্ধুত্ব ছিল তাঁদের, একটি দিনের জন্যও মন-কষাকষি হয়নি।

চার্লি মাঙ্গারের সঙ্গে বাফেটের প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৫৯ সালে এক নৈশভোজে। অবশ্য আগে থেকেই তিনি চার্লিকে জানতেন। বাফেট অ্যান্ড সন্স নামে বাফেটের দাদার মুদির দোকানে কিছুদিন কাজ করেছিলেন চার্লি। তবে বন্ধুত্বের শুরু সেই নৈশভোজের টেবিল থেকেই।

কেন চার্লি মাঙ্গারকে ভালো লেগেছিল? বাফেট এক বক্তৃতায় বলেছেন, মাঙ্গার নিজে কৌতুক বলে নিজেই হাসিতে প্রায় গড়াগড়ি খাচ্ছিলেন দেখে মনে হয়েছিল, এই লোকটি ঠিক তাঁর মতোই। সুতরাং অন্য কোনো বন্ধু খোঁজার আর দরকার নেই। সেই থেকে পরের বছরগুলোয় তাঁরা একসঙ্গে সবকিছু করেছেন। অনেক কিছু শিখেছেনও।

মাঙ্গার ছিলেন মূলত আইনবিদ। হার্ভার্ড ল স্কুল থেকে পাস করে পরিবারসহ ক্যালিফোর্নিয়া চলে গিয়েছিলেন। অপারেশন করাতে গিয়ে একটা চোখ হারান। অন্য পেশায় থাকলেও দুজনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। পরে বাফেট রাজি করিয়েছিলেন আইন পেশা ছেড়ে তাঁর সঙ্গে যোগ দিতে। ১৯৭৮ সালে বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন মাঙ্গার।

সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাফেটের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ছিল মাঙ্গারের। যেমন একটা সময় প্রযুক্তি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা নিয়ে ঘোর আপত্তি ছিল বাফেটের। কারণ, প্রযুক্তি কোন দিকে যাবে, তিনি তার পূর্বাভাস দিতে পারতেন না। মাঙ্গার তাঁকে রাজি করান প্রযুক্তি কোম্পানিতে বিনিয়োগে। এরপরই অ্যাপল কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বার্কশায়ার। আজকে বার্কশায়ারের এত অগ্রগতির বড় কারণ অ্যাপলের মুনাফা। ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর ৯৯ বছর বয়সে মারা যান চার্লি মাঙ্গার।

বার্কশায়ার গঠনের নেপথ্যে
ওয়ারেন বাফেট এখন বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের হ্যাঙ্গারের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ডুবতে থাকা এ প্রতিষ্ঠান তিনি কিনেছিলেন ১৯৬৫ সালের ১০ মে। কেনার গল্পটিও অনেক মজার। শুরুতে এটি ছিল বস্ত্র কারখানা। ১৮৩৯ সালে এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অলিভার চেস। তখন এর নাম ছিল ভ্যালি ফলস কোম্পানি। ১৯২৯ সালে বার্কশায়ার কটন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হয় ভ্যালি ফলস কোম্পানি। এর নাম হয় বার্কশায়ার ফাইন স্পিনিং অ্যাসোসিয়েটস। ১৯৫৫ সালে এই কোম্পানি আবারও একীভূত হয় হ্যাথঅ্যাওয়ে ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির সঙ্গে। শুরুতে ভালো করলেও পরে ব্যবসা খারাপ হতে থাকে। তখন এটি চালাতেন সিব্যারি স্ট্যানটন নামের আরেক মার্কিন ব্যবসায়ী।

১৯৬২ সালে ওয়ারেন বাফেট প্রথম বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের শেয়ার কেনা শুরু করেছিলেন। তিনি দেখেছিলেন যে এর শেয়ারদর বাজার পরিস্থিতির তুলনায় কম। তবে যে প্রত্যাশা নিয়ে ওয়ারেন শেয়ার কিনেছিলেন, তা পূরণ হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির অবস্থা খারাপ হতে থাকে। ১৯৬৪ সালে সিবারি স্ট্যানটন মৌখিকভাবে ওয়ারেনকে প্রস্তাব দেন যে তিনি সাড়ে ১১ ডলারে শেয়ারগুলো কিনে নেবেন, অর্থাৎ বাইব্যাক করবেন। ওয়ারেন সম্মত হন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্ট্যানটন বাইব্যাকের যে নথি পাঠান, সেখানে শেয়ারের দর লেখা ছিল ১১ দশমিক ৩৭৫ ডলার। এতে তিনি খুবই ক্ষুব্ধ হন। ফলে শেয়ার বিক্রি না করে বার্কশায়ারের আরও শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নেন। উদ্দেশ্য ছিল কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্ট্যানটনকে শাস্তি দেওয়া। শেষ পর্যন্ত তা-ই করেছিলেন। মালিকানার কর্তৃত্ব নিয়েই স্ট্যানটনকে বরখাস্ত করেন বাফেট।

ওয়ারেন বাফেটও এটা বস্ত্রকল হিসেবেই চালিয়েছেন। ১৯৬৭ সালে এসে এর সম্প্রসারণ ঘটান। আস্তে আস্তে একটিকে একটি হোল্ডিং কোম্পানিতে পরিণত করেন। সবার আগে বিমাশিল্পে প্রবেশ করেন তিনি। প্রথমে ন্যাশনাল ইনডেমনিটি কোম্পানি নামে একটা বিমা প্রতিষ্ঠান কিনে নেন। পরে কেনেন গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি (জিইআইসিও বা গেইকো)। মূলত, বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের উত্থান এই বিমা কোম্পানির মাধ্যমেই। ১৯৮৫ সালে ওয়ারেন বস্ত্রকলের কার্যক্রম একেবারেই বন্ধ করে দেন।

এখনো ওয়ারেন বাফেট মনে করেন, বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের মতো বস্ত্রকলে বিনিয়োগ হচ্ছে তাঁর সবচেয়ে বড় ভুল; যদিও এখানে বিনিয়োগ করে এখন পর্যন্ত তিনি মুনাফা পেয়েছেন ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এই বিনিয়োগ অন্য কোথাও করলে মুনাফা আরও বেশি হতো।

ওয়ারেন বাফেট ১৯৭২ সালে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ছোট্ট একটা চকলেট কোম্পানি কিনে নিয়েছিলেন মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলারে। সি’জ ক্যান্ডি নামের সেই কোম্পানি কেনা ছিল ওয়ারেনের অত্যন্ত প্রিয় বিনিয়োগ, যাকে তিনি বলেন স্বপ্নের ব্যবসা।

ওয়ারেন বাফেটের আরেকটি মাইলস্টোন ছিল ১৯৮৩ সাল। সে বছর বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের শেয়ারের দর প্রথমবারের মতো ১ হাজার ডলার হয়। বাফেটের প্রিয় পানীয় চেরি কোকাকোলা। ১৯৮৮ সালে তিনি কোকাকোলা কোম্পানির শেয়ার কেনেন। এর পর থেকে তো বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ে একের পর এক মাইলস্টোন অর্জন করে বিশ্বের অন্যতম সেরা কোম্পানিতে পরিণত হয়।

বন্ধুত্ব–২: বাফেট ও বিল গেটস
এবার আরেক বন্ধুত্বের গল্প।
দিনটি ছিল ১৯৯১ সালের ৫ জুলাই। এই দিন ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় বিশ্বের আরেক শীর্ষ ধনী বিল গেটসের। অথচ বিল গেটস সেদিন ওয়াশিংটনের সেই নৈশভোজে যেতেই চাননি। মায়ের অনুরোধে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। ওয়ারেন বাফেটকে নিয়ে বিল গেটসের বহু লেখার একটি হচ্ছে ‘হোয়াট আই লার্নড ফ্রম ওয়ারেন বাফেট’। লেখাটি ১৯৯৬ সালে হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউতে প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে সেই রাতের বর্ণনা দিয়েছেন বিল গেটস।

বিল গেটস সেখানে লিখেছেন, এমন একজন লোকের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি শুধু শেয়ার নিয়েই কথা বলবেন—বিষয়টা মোটেই ভালো লাগছিল না তাঁর। শেষ পর্যন্ত যেতে রাজি হয়েছিলেন, কারণ পারিবারিক সেই অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটন পোস্ট-এর মালিক-প্রকাশক ক্যাথরিন গ্রাহামও থাকবেন—এই কথা শুনে। ক্যাথরিনের সঙ্গে এর আগে কখনো আলাপ হয়নি। ক্যাথরিন ছিলেন ওয়ারেনের ভালো বন্ধু।

সেখানেই ওয়ারেনের সঙ্গে বিল গেটসের আলাপ শুরু। বিল গেটস লিখেছেন, কথা ছিল সৌজন্যের খাতিরে মাত্র কয়েক ঘণ্টা থাকবেন। কিন্তু দুজনে এমনই জমে গেলেন যে পুরোটা দিন গল্প করে কাটিয়ে দিলেন। কেবল তা-ই নয়, বিল গেটস কথা দিলেন, শিগগিরই তাঁরা ফুটবল খেলা দেখতে নেব্রাস্কায় যাবেন।

সেই যে বন্ধুত্বের শুরু, আজও তা অমলিন। ওয়ারেন বাফেটের সেরা অনুরাগীর নাম আসলে বিল গেটস।

জীবনের নতুন অধ্যায়
২০০৯ সালের মার্চ মাসের শুরুর একদিন বিল গেটস আসেন ওমাহায়। এয়ারপোর্টের কাছাকাছি একটি রেস্তোরাঁয় ওয়ারেন বাফেট আর গেটস একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন। সেটা ছিল নতুন এক আলোচনার সূত্রপাত। এরপর বিল গেটস আর ওয়ারেন বাফেট ২০০৯ সালের ৪ মার্চ যৌথভাবে একটি চিঠি লেখেন আরেক শীর্ষ ধনী ডেভিড রকফেলারকে। চিঠিতে তাঁকে একটি নৈশভোজে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। চিঠিতে লেখা ছিল, ‘প্রিয় ডেভিড, জনকল্যাণকর কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা দুজন অনেক আলাপ-আলোচনা করেছি। আমরা ভাবছিলাম, আমাদের সমমনা বারোজনের মতো মানুষের সবাই একসঙ্গে একই আলোচনার টেবিলে বসতে পারলে খুব ভালো হয়। আমাদের লক্ষ্য হবে নিজেদের বিভিন্ন দিক শেয়ার করা। সেই সঙ্গে এটাও আলাপ করে দেখা যে যাঁরা এখনো একই পর্যায়ে আসেননি, তাঁদের সমর্থন জোগাতে ও উৎসাহিত করতে আরও বেশি কিছু করা যায় কি না। আমরা দুজনই আপনি এবং আপনার পরিবার দাতব্যকাজে যে সম্মিলিত স্পৃহার জন্ম দিয়েছেন, তার প্রশংসা করি। সে কারণেই আমরা শুরুতেই আপনার কাছে যেতে চাই আমাদের এই আলোচনা আয়োজনে আপনি আগ্রহী হবেন কি না, তা বুঝতে।’

চিঠি পেয়েই তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন ডেভিড রকফেলার। এরপর ২৪ মার্চ এই তিনজনের স্বাক্ষরে আরেকটি চিঠি পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকজনের কাছে। এরপর বহুল আকাঙ্ক্ষিত নৈশভোজটি অনুষ্ঠিত হয় সে বছরের ৫ মে, রকফেলার ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট হাউসে। এই উদ্যোগে শুরু থেকেই সক্রিয় ছিলেন বিল গেটসের তৎকালীন স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস। তাঁদের লক্ষ্য ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ওই সব সেরা ধনী, যাঁরা সম্পদের একটি বড় অংশ যেকোনো ধরনের ভালো কাজে দান করতে আগ্রহী, তাঁদের একত্র করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া।

ওই নৈশভোজের পরই জনসেবা বা জনহিতকর কাজে দানের বিষয়টি নতুন এক ইতিহাস তৈরি করে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তহবিল সংগ্রহের কাজটি শুরু হয় এর পর থেকেই। তাঁদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ফোর্বস-এর তালিকার চার শ মার্কিন ধনীকে উদ্বুদ্ধ করা, যাতে তাঁরা অন্তত অর্জিত সম্পদের অর্ধেক দান করেন। এরপরই ২০১০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হয় একটি নতুন উদ্যোগের, নতুন কর্মসূচির। তার আনুষ্ঠানিক নাম ‘দ্য গিভিং প্লেজ’ বা ‘দানের অঙ্গীকার’।

এমন নয় যে এর আগে কোটিপতিরা দান করতেন না। যেমন ২০০৬ সাল থেকেই ওয়ারেন বাফেট তাঁর সম্পদ নানা ধরনের জনহিতকর কাজে বিলিয়ে দিতে শুরু করেছিলেন। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে বাফেট সহায়তা দিচ্ছেন আগে থেকেই। কিন্তু একটি সম্মিলিত উদ্যোগের ভাবনা থেকেই সৃষ্টি হলো দ্য গিভিং প্লেজের। শর্ত এখানে দুটি। সম্পদের পরিমাণ হতে হবে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি, আর দান করতে হবে সে সম্পদের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ। অবশ্য বিল গেটস তাঁর সম্পদের ৯৫ শতাংশ আর ওয়ারেন বাফেট তাঁর সম্পদের ৯৯ শতাংশ দান করার ঘোষণা দিয়েছিলেন আরও আগেই।

এখন কেমন আছেন
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ওয়ারেন বাফেট প্রকাশ করেন যে তিনি প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত। তবে সেটি ছিল প্রথম পর্যায়ের, ফলে কোনো বিপদ ঘটেনি। ২০১৮ সালে এসে ওয়ারেন বাফেট উত্তরাধিকার বাছাইয়ের কাজটি শুরু করেন। ওই বছরের ১০ জানুয়ারি গ্রেগরি অ্যাবেল এবং অজিত জৈন বার্কশায়ারের ভাইস চেয়ার হিসেবে যোগ দেন। বাফেট এ নিয়ে সে সময় বলেছিলেন, উত্তরাধিকার বাছাই করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ। স্বাস্থ্যগতভাবে তিনি খুব ভালো আছেন। দ্রুতই প্রধান নির্বাহীর পদ ছেড়ে তিনি দিচ্ছেন না। দুজনের মধ্যে অ্যাবেল তদারক করছেন বার্কশায়ারের বিমা ব্যবসার বাইরের অন্য সবকিছু, আর বিমা ব্যবসা দেখছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অজিত জৈন।

ওয়ারেন বাফেটের তিন সন্তান। আয়ের ৯৯ শতাংশ দান করার অঙ্গীকারের কারণে সন্তানেরা উত্তরাধিকারসূত্রে পাবেন কমই। বাফেট সব সময়ই বলেন, কিছু একটা করার জন্য তিনি সন্তানদের পর্যাপ্ত অর্থ দিয়ে যাবেন। কিন্তু এত অর্থ দিয়ে যাবেন না, যাতে সন্তানদের কিছুই না করতে হয়।

বাফেট চেয়েছেন তাঁর সন্তানেরা জীবনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন তাঁর সন্তানেরা। প্রথম সন্তান সুজান এলিস বাফেট নিজেই একজন বড় জনহিতৈষী, নিজের নামে একটি ফাউন্ডেশন আছে। জনশিক্ষা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে এই ফাউন্ডেশন। দ্বিতীয় সন্তান হাওয়ার্ড গ্রাহাম বাফেট একজন ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ এবং লেখক। ছোট ছেলে পিটার অ্যান্ড্রু বাফেট একজন সংগীতশিল্পী, সুরকার ও লেখক। সংগীতে তিনি আঞ্চলিক অ্যামি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। লেখক হিসেবেও নিউইয়র্ক টাইমস–এর বেস্ট সেলিং তালিকায় তিনি আছেন।

ওয়ারেন বাফেট প্রত্যেক সন্তানের ফাউন্ডেশনে বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের ২১০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ শেয়ার দিয়ে রেখেছেন।

সাধারণ জীবনযাপন
ওয়ারেন বাফেটকে বলা হয় সর্বকালের সেরা বিনিয়োগকারী। আবার একজন ভালো মানুষ হিসেবেও তাঁর সুনাম সর্বত্র। খুব সাধারণ জীবন যাপন করেন। দিন শুরু করেন ভোরবেলা। আট ঘণ্টা ঘুমিয়ে ওঠেন সকাল পৌনে সাতটায়। পড়তে ভালোবাসেন। দিনের পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা কেবল পড়েন। পড়ার তালিকায় থাকে মূলত অর্থনীতির নানা জার্নাল, বিভিন্ন কোম্পানি রিপোর্ট, আর্থিক বিবরণী এবং দৈনিক পত্রিকা। তিনি নিয়মিতভাবে পাঁচটি পত্রিকা পড়েন—ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও ওমাহা ওয়ার্ল্ড-হেরাল্ড। নিজেই বলেছেন, দিনে তিনি অন্তত ৫০০ পৃষ্ঠা পড়তে চেষ্টা করেন।

বাফেটের কাজের পদ্ধতিও আলাদা। বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬৫টির বেশি। সব কটি প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা প্রধান নির্বাহী বা সিইও নিয়োগ দেওয়া আছে। তাঁরাই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। বাফেট বলেন, প্রতিষ্ঠানকে সিইও বা ব্যবস্থাপকের হাতেই ছেড়ে দিতে হবে। আর তাঁর কাজ হচ্ছে যোগ্য সিইও বা ম্যানেজার খুঁজে বের করা। তিনি মনে করেন, বিশেষ মানবিক গুণ থাকলেও বুদ্ধিহীন লোকের পক্ষে দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। আর আরামপ্রিয় লোকদের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। কারণ, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাঁরা ভেঙে পড়েন। একধরনের মানুষ আছেন, যাঁদের কাছে পেশা শুধু উপার্জনের মাধ্যম নয়, ব্যক্তিগত গর্বও বটে। নিতে হবে তাঁদেরই।

নিয়ম মেনে বছরে একবার বার্কশায়ার হ্যাঙ্গারের বার্ষিক সভা হয়। সেই সভার প্রতি দৃষ্টি থাকে সবার। প্রতিবছর এই সভা উপলক্ষে ওয়ারেন বাফেট একটি চিঠি লেখেন। ১৯৬৫ সাল থেকে তিনি প্রতিবছর চিঠি লিখে আসছেন। বলা হয়, সর্বশ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ-পরামর্শ লুকিয়ে থাকে ওয়ারেন বাফেটের ওই বার্ষিক চিঠিতেই। এই চিঠিকে বলা হয় সেরা বিনিয়োগ-সাহিত্য।

ওয়ারেন বাফেটের বিনিয়োগ-পরামর্শের জন্য এখনো সবাই উন্মুখ হয়ে থাকেন। তাঁর বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে আছে অসংখ্য বই। বিনিয়োগ নিয়ে তাঁর কয়েক হাজার উক্তি পাওয়া যায়। এর মধ্যে উত্তরসূরিদের জন্য তাঁর সবচেয়ে ভালো পরামর্শের একটি হচ্ছে—তাঁদের অবশ্যই তিনটি খারাপ দিক থেকে দূরে থাকতে হবে। যাকে তিনি বলেছেন, ‘এবিসি অব বিজনেস ডিকেই’। যেমন অ্যারোগেন্স বা ঔদ্ধত্য, ব্যুরোক্রেসি বা আমলাতন্ত্র এবং কমপ্লাসেন্সি বা আত্মতুষ্টি।

বাফেট বলেন, একজন ভালো ম্যানেজার বড় ফুটবল কোচের মতো। তাঁরা নিজে মাঠে না নেমেও দলকে খেলান ও জিতিয়ে আনেন। আবার জয়ী হওয়ার উপাদান রেখে যান টিমের মধ্যে, যাতে তিনি না থাকলেও জিততে পারে দলটি। বিনিয়োগ করার জন্য তাঁর সেরা পরামর্শ হচ্ছে, যে জিনিস আমি নিজের জন্য কিনব না, তা অন্যকে কেনার উপদেশ দেব না।

চার্লি মাঙ্গারের মৃত্যুর পর বার্কশায়ারে একা হয়ে গেছেন ওয়ারেন বাফেট। তাই এ বছর তিনি চিঠিতে কী লিখবেন, সবার নজর থাকবে সেদিকেই।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও সংসার খরচে চাপ পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

Published

on

আইপিডিসি

দিন দিন ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। ফলে কিছু পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেলেও সংসার খরচে চাপ ততটা পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও সরকারের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আপনারা দেখেছেন, ক্রমান্বয়ে আমাদের মূল্যস্ফীতি নামছে। আমাদের টাকার ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন কিছু পণ্যের দাম বাড়ছে। কিন্তু আমরা চাই না সাধারণ মানুষের মাঝে চাপটা পড়ুক। আমরা আমাদের সামগ্রিক প্রচেষ্টার মধ্যে এটা রেখেছি। তারপরও মূল্যবৃদ্ধি পেলে সংসার খরচে চাপ ততটা পড়বে না।

মঙ্গলবার একলাফে সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে উত্তর দিতে গিয়ে উপদেষ্টা এসব বলেন। অনেকটা বাধ্য হয়ে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে এ উপদেষ্টা বলেন, সরকার দুই হাজার কোটি টাকা শুধু তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য ভর্তুকি দিয়েছে। আমাদের কাছে তথ্যের কোনো গরমিল নেই। ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করছি, রমজানে ভোক্তা অধিকারকে কাজে লাগিয়ে আমরা বাজারের শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করেছি। সেখানে বহুলাংশে সফল হয়েছি, হয়তো কিছু অংশে ব্যর্থতা রয়েছে।

তিনি বলেন, তেলের দাম ১৪ টাকা বেড়েছে, সেটা বাড়াতে বাধ্য হয়েছি। সরকারের যে নিজস্ব পরিচালন ব্যয় রয়েছে, সেই টাকাটা তো তুলতে হবে। না হলে রাষ্ট্রের দায় তৈরি হবে। সরকারকে লোন করে পরিশোধ করতে হবে। সে টাকা তো আপনাকে-আমাকে দিতে হবে। এখন আমরা কি সেটা করবো, নাকি নিজেদের সামর্থ্যে চলার চেষ্টা করবো। এই কষ্টটা আমাদের করতে হয়।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা এখন দেশে স্থানীয়ভাবে তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাড়ানোর চেষ্টা করছি। তেল না এনে তেলবীজ এনে তেল করার চেষ্টা করছি। যাতে খরচ কম হয়। প্রতিযোগিতা বাড়ে। দেশে বড় বড় দুটি প্রতিষ্ঠান এখন বিনিয়োগে আসছে। টেকসইভাবে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

ভোজ্যতেল আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর অব্যাহতি

Published

on

আইপিডিসি

অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ আগাম কর (এটি) অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এক বিশেষ আদেশে আগাম কর অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) এনবিআরের প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মো. মসিউর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। আদেশে বলা হয়, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও অপরিশোধিত পামতেল আমদানির ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে।

আদেশে বলা হয়, এ অব্যাহতি সুবিধা নেওয়ার আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি নিতে হবে। আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুযায়ী পণ্য আমদানির জন্য প্রযোজ্য সব শর্তাদি পরিপালন করতে হবে। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ৫১, ৫৩, ৫৪, ৬৪ ও ১০৭ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৪০ এ উল্লিখিত মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত হিসাবরক্ষণসহ কর চালানপত্র ও দাখিলপত্রের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন করতে হবে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

আবারও ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্বর্ণের দাম

Published

on

আইপিডিসি

দেশের বাজারে আবারও বাড়ানো হয়েছে সোনার দাম। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৩ হাজার ৩৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০৯ টাকা। দেশের বাজারে সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ১৮৭ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৬৩ হাজার ২১৪ টাকা। এতদিন দেশের বাজারে এটিই সোনার সর্বোচ্চ দাম ছিল। এই রেকর্ড দাম নির্ধারণ করার একদিন পর অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়। এখন আবার দাম বাড়ানো হলো। এতে অতিতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় উঠেছে সোনা।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৩৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৮৯২ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৪৮৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ১২২ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত ১৪ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৬২ হাজার ১৭৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯৯১ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৫১ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৩৪ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯ হাজার ৫৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।। আজ বুধবার এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।

সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট, উপস্থাপন ২ জুন

Published

on

আইপিডিসি

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ২ জুন অর্থ উপদেষ্টা এই বাজেট উপস্থাপন করতে পারেন। নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল ও বাজেট ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ সভায় আগামী বাজেট বিষয়ে একটি উপস্থাপনা দেন অর্থসচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।

স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম আগের বছরের তুলনায় নতুন বাজেটের আকার ছোট হচ্ছে। মূলত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকুচিত মুদ্রানীতির সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারি ব্যয় কমানো এবং বাজেট ‘বাস্তবায়নযোগ্য’ করতেই আকার কমানো হচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সংসদ না থাকায় এবার সংসদে বাজেট প্রস্তাব উপস্থান করা হবে না। অর্থ উপদেষ্টা টেলিভিশনে নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে সোমবার (২ জুন) বাজেট ঘোষণার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাধারণত আগের অর্থবছরগুলোতে বৃহস্পতিবার বাজেট দেওয়া হতো। বাজেট ঘোষণার পর আগের রীতি অনুযায়ী অর্থ উপদেষ্টা বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন।

সূত্রটি জানিয়েছে, বাজেটের আকার কমানো হলেও সমাজে বৈষম্য কমানোর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে উপকারভোগী ও কিছু ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ থাকছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। একই সঙ্গে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ ধরতে পারে। চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। অবশ্য বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং এডিবির পূর্বাভাস হলো- এবার প্রবৃদ্ধি এর চেয়ে অনেক কম হবে।

এদিকে আগামী অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় সরকার। চলতি অর্থবছরেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে গত মার্চ মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

সাধারণত প্রতি অর্থবছরেই বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের তুলনায় বড় রাখা হয়। তবে এবার বাজেট ঘাটতি কমিয়ে রেখে বাজেট ছোট কারার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

নতুন অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হতে পারে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি বাজেটে যা ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য যে ঘাটতি ধরা হচ্ছে, সেই ঘাটতির অর্ধেকেরও বেশি বিদেশি উৎস থেকে এবং বাকিটা ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রাণালয় সূত্র জানা গেছে, নতুন বাজেটের আকার কমলেও পরিচালন বা অনুন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে এ খাতের ব্যয় ধরা হতে পারে ৫ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা।

অনুন্নয়ন ব্যয় বাড়লেও কমবে উন্নয়ন ব্যয়। নতুন অর্থবছরের বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হতে পারে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হতে পারে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয় ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। এডিপিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া বেশিরভাগ মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। আর অন্তর্বর্তী সরকার মেগা প্রকল্প গ্রহণ না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া, বিগত সরকারের সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্পগুলো বাতিল করায় আগামী অর্থবছর প্রকল্পের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে নতুন অর্থবছর উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় কমবে।

এদিকে রাজস্ব আহরণে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়া এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান কমে যাওয়ায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি থেকে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দিয়ে আগামী অর্থবছরের ব্যয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, বাজেটের আকার কমলেও এনবিআর’র রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হচ্ছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে এনবিআর’র মাধ্যমে ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হতে পারে।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। তবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আহরণ অনেক কম হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়। সার্বিকভাবে এনবিআরের পক্ষ থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে এনবিআর’র কাঁধে রাজস্ব আদায়ের ভার বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

১২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১২ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা

Published

on

আইপিডিসি

চলতি মাস এপ্রিলের প্রথম ১২ দিনেই এসেছে ১০৫ কোটি ২৩ লাখ ৬০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ১২ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকার বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, হুন্ডির দৌরাত্ম্য কমেছে, বন্ধ হয়েছে অর্থপাচার। এছাড়া খোলাবাজার এবং ব্যাংকে রেমিট্যান্সের ডলারে একই রকম দাম পাচ্ছেন প্রবাসীরা। আর এসব কারণে বৈধপথে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন। এতে বাড়ছে দেশের রেমিট্যান্সের পরিমাণ, একইভাবে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, চলতি মাস এপ্রিলের প্রথম ১২ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ কোটি ৬৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটির মাধ্যমে (কৃষি ব্যাংক) এসেছে ৬ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৯ কোটি ৩ লাখ ডলার। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৩ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

আলোচিত সময়ে ১০ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে সিটিজেন ব্যাংক, আইসিটি ইসলামী ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংক। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিটি ব্যাংক এনএ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

এর আগে মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৩.২৯ বিলিয়ন (৩২৯ কোটি ডলার)। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন এসেছে প্রায় ১০.৬১ কোটি ডলার বা ১ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা করে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৭১ বিলিয়ন বা ১৭১ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০২৫ সালের মার্চে ১৫৮ কোটি ডলার বেশি এসেছে। আর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরে একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ৭০৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৭০ কোটি ডলার বেশি এসেছে।

গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়লো মার্চ মাসে। আর এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা ৮ মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আর সবশেষ মার্চে এসেছে ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

আইপিডিসি আইপিডিসি
পুঁজিবাজার9 hours ago

আইপিডিসি ফাইন্যান্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ...

আইপিডিসি আইপিডিসি
পুঁজিবাজার9 hours ago

পুঁজিবাজারে আইপিও না আসা ও বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে কাজ করবে সরকার

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) জনবল সংকট, আইপিও না আসা ও বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন...

আইপিডিসি আইপিডিসি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার11 hours ago

জাবির শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিআইসিএমের বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইন্সটিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘ইনভেস্টমেন্ট ইন ক্যাপিটাল মার্কেট’...

আইপিডিসি আইপিডিসি
পুঁজিবাজার12 hours ago

ব্লকে ২১ কোটি টাকার লেনদেন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ২২টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর...

আইপিডিসি আইপিডিসি
পুঁজিবাজার13 hours ago

হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালসের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশ পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৪ এপ্রিল দুপুর...

আইপিডিসি আইপিডিসি
পুঁজিবাজার13 hours ago

এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ দরপতন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে এবি ব্যাংক ফার্স্ট...

আইপিডিসি আইপিডিসি
পুঁজিবাজার13 hours ago

দর বৃদ্ধির শীর্ষে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ প্রতিষ্ঠানের...

Advertisement
Advertisement

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়া

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০  
Premier Bank
ব্যাংক4 hours ago

জব্দ হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন, প্রিমিয়ার ব্যাংককে জরিমানা

আইপিডিসি
ব্যাংক5 hours ago

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক

আইপিডিসি
অর্থনীতি6 hours ago

কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও সংসার খরচে চাপ পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

আইপিডিসি
জাতীয়6 hours ago

বাংলাদেশকে ৭২৪ কোটি টাকা দেবে জার্মানি

ড. ইউনূস
আন্তর্জাতিক6 hours ago

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস

আইপিডিসি
জাতীয়7 hours ago

জুনের মধ্যে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত: কমিশন

আইপিডিসি
অর্থনীতি7 hours ago

ভোজ্যতেল আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর অব্যাহতি

আইপিডিসি
অর্থনীতি8 hours ago

আবারও ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্বর্ণের দাম

আইপিডিসি
জাতীয়8 hours ago

আ.লীগের এমপিকে হাতিয়ার করে সীমান্তে অবৈধ ভোলাহাট ফিলিং স্টেশন অনুমোদন

আইপিডিসি
জাতীয়9 hours ago

সারাদেশে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

Premier Bank
ব্যাংক4 hours ago

জব্দ হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন, প্রিমিয়ার ব্যাংককে জরিমানা

আইপিডিসি
ব্যাংক5 hours ago

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক

আইপিডিসি
অর্থনীতি6 hours ago

কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও সংসার খরচে চাপ পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

আইপিডিসি
জাতীয়6 hours ago

বাংলাদেশকে ৭২৪ কোটি টাকা দেবে জার্মানি

ড. ইউনূস
আন্তর্জাতিক6 hours ago

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস

আইপিডিসি
জাতীয়7 hours ago

জুনের মধ্যে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত: কমিশন

আইপিডিসি
অর্থনীতি7 hours ago

ভোজ্যতেল আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর অব্যাহতি

আইপিডিসি
অর্থনীতি8 hours ago

আবারও ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্বর্ণের দাম

আইপিডিসি
জাতীয়8 hours ago

আ.লীগের এমপিকে হাতিয়ার করে সীমান্তে অবৈধ ভোলাহাট ফিলিং স্টেশন অনুমোদন

আইপিডিসি
জাতীয়9 hours ago

সারাদেশে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

Premier Bank
ব্যাংক4 hours ago

জব্দ হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন, প্রিমিয়ার ব্যাংককে জরিমানা

আইপিডিসি
ব্যাংক5 hours ago

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক

আইপিডিসি
অর্থনীতি6 hours ago

কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও সংসার খরচে চাপ পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

আইপিডিসি
জাতীয়6 hours ago

বাংলাদেশকে ৭২৪ কোটি টাকা দেবে জার্মানি

ড. ইউনূস
আন্তর্জাতিক6 hours ago

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস

আইপিডিসি
জাতীয়7 hours ago

জুনের মধ্যে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত: কমিশন

আইপিডিসি
অর্থনীতি7 hours ago

ভোজ্যতেল আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর অব্যাহতি

আইপিডিসি
অর্থনীতি8 hours ago

আবারও ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্বর্ণের দাম

আইপিডিসি
জাতীয়8 hours ago

আ.লীগের এমপিকে হাতিয়ার করে সীমান্তে অবৈধ ভোলাহাট ফিলিং স্টেশন অনুমোদন

আইপিডিসি
জাতীয়9 hours ago

সারাদেশে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের