অর্থনীতি
মার্চের বেতন হয়নি ৫১ শতাংশ কারখানায়

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে শেষ কর্মদিবস আজ, মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল)। গতকাল সোমবার পর্যন্ত শিল্প অধ্যুষিত এলাকাগুলোর প্রায় ৫১ শতাংশের বেশি কারখানা শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেনি। আর বোনাস হয়নি প্রায় ১৯ শতাংশ কারখানায়। তবে আট শিল্প অধ্যুষিত ও শ্রমঘন এলাকায় মার্চের বেতন হয়েছে কেবল ৪৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ কারখানা।
শিল্প পুলিশের হালনাগাদ তথ্য বলছে, দেশের আট শিল্প অধ্যুষিত- আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেট এলাকায় মোট কারখানার সংখ্যা ৯ হাজার ৪৬৯টি। সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত এসব এলাকার ৫১ দশমিক ২১ শতাংশ কারখানায় মার্চ মাসের বেতন হয়নি। এসময় পর্যন্ত ঈদ বোনাস পেয়েছে ৮১ দশমিক ৩৫ শতাংশ কারখানার শ্রমিক। শ্রমঘন এসব এলাকার কারখানাগুলোর সিংহভাগই পোশাক ও বস্ত্রখাতের। আট শিল্প এলাকায় বিজিএমইএ’র সদস্য কারখানা ১ হাজার ৫৬১টি। এর মধ্যে বেতন হয়েছে ৪১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কারখানায়। গতকাল পর্যন্ত অপরিশোধিত ছিল ৫৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ কারখানার বেতন। তবে ঈদ বোনাস পেয়েছেন ৮৮ দশমিক ৪০ শতাংশ কারখানার শ্রমিক।
এ নিয়ে বিজিএমইএ’র সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, এবার পোশাকখাত একটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। কারখানায় বেতন বেড়েছে, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, ব্যাংক ঋণের সুদ বেড়েছে। মজুরি বৃদ্ধির সঙ্গে পণ্যের দাম সমন্বয়ের কথা থাকলেও ক্রেতারা এটা করেনি। এরপরও প্রায় সব কারখানা মালিক বোনাস দিয়েছেন। বেশিরভাগ কারখানা বেতন দিয়েছে, এখনো দিচ্ছে।
তিনি বলেন, যেসব কারখানার সমস্যা আমাদের নজরে এসেছে সেগুলোর সমাধান হয়েছে। মিরপুরের একটি কারখানার মেশিন বিক্রি করে সমাধান করা হয়েছে। নতুন করে আশুলিয়া ও মিরপুরের দুই কারখানায় সমস্যা জানা গেছে। এখন পর্যন্ত সদস্যভুক্ত ৮৯ শতাংশ কারখানায় বেতন হয়েছে। আজ ব্যাংক খোলা, আশা রাখি ঈদের আগেই বেতন-বোনাস পরিশোধ হয়ে যাবে সব কারখানায়।
পোশাক শিল্পের অপর সংগঠন বিকেএমইএ’র সদস্য কারখানা ৬২৬টির মধ্যে বোনাস দিয়েছে ৭৭ শতাংশ কারখানা। বেতন পরিশোধ করা হয়েছে ৩০ দশমিক ৫১ শতাংশ কারখানায়। প্রায় ৭০ শতাংশ কারখানার শ্রমিক বেতন পাননি।
আট শিল্প এলাকায় বিটিএমএ সদস্য কারখানা ৩৪৭টির মধ্যে ৫১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ কারখানায় বেতন পরিশোধ হয়েছে। গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে ৯২ দশমিক ৫১ শতাংশ কারখানায়।
বেপজার অধীন মোট কারখানা ৪২৩টি। এর মধ্যে ৮২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ তাদের শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছে। এখন পর্যন্ত বোনাস হয়েছে ৯৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ কারখানায়।
এসব শিল্প এলাকাগুলোয় পাটকল রয়েছে ৯২টি, বেতন হয়েছে ৮০ শতাংশ কারখানায়, বোনাস হয়েছে ৮৯ শতাংশ কারখানার শ্রমিকদের। কোনো সংগঠনের আওতায় নেই এমন কারখানা ৬ হাজার ৪২০টি রয়েছে। এসব কারখানার মধ্যে ৪৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ তাদের বেতন পরিশোধ করেছে। বোনাস দিয়েছে ৭৮ দশমিক ২৬ শতাংশ কারখানা।
এমআই

অর্থনীতি
যুক্তরাষ্ট্রকে ৭৫ ভাগ বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে: উপদেষ্টা

৭৫ ভাগ বাণিজ্য ঘাটতি এক বছরে কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রকে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
রবিবার (১০ আগস্ট) রাতে ২০ শতাংশ মার্কিন শুল্কারোপকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন-বিটিএমএ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, শুল্কের দর কষাকষি এখনও চলমান। প্রয়োজন হলে দুই-এক সপাহের মধ্যে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে যাব।
এসময় শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশ কোনো ভূরাজনৈতিক ফাঁদে পা দেবে না বলে জানান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।
তিনি বলেন, মার্কিন শুল্ক নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই। আরোপিত মার্কিন শুল্ক আরও কমাতে কাজ করছে সরকার।
অর্থনীতি
ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ করা সহকারী কর কমিশনার বরখাস্ত

রাজধানীর পলাশী মোড়ে ট্রাফিক সার্জেন্টের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে সহকারী কর কমিশনার ফাতেমা বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রবিবার (১০ আগস্ট) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ১২ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ঢাকা মেট্রো-গ-৩৪৫৯০৬ নম্বর একটি প্রাইভেটকারে করে যাওয়ার সময় ফাতেমা বেগম পলাশী মোড় এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের চেকিংয়ের মুখে পড়েন। এ সময় সিয়েরা ট্যাঙ্গো-৩৫ ডিউটিতে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহা জামাল তার গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান।
তবে, সহকারী কর কমিশনার ফাতেমা বেগম কাগজপত্র সঠিক আছে দাবি করলেও তা দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পুনরায় অনুরোধ করা হলে, তিনি গাড়ি থেকে নেমে সার্জেন্টকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি সার্জেন্টকে ‘ছোট লোকের বাচ্চা’, ‘ফকিন্নির বাচ্চা’, ‘সারাজীবন ঘুষ খাইছে’ ইত্যাদি ভাষায় গালমন্দ করেন।
ঘটনার পরদিন ১৩ এপ্রিল লালবাগ থানায় ফাতেমা বেগমের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৮৬/৩৫৩/৩৩২/১৭৯/১১৪ ধারায় একটি মামলা (নম্বর: ০৩) দায়ের করা হয়।
এছাড়া, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’-এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী তার এ আচরণ ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য হওয়ায় বিভাগীয় কার্যধারা শুরু করা হয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই বিধিমালার ১২ ধারা অনুসারে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে।
অর্থনীতি
রিজার্ভ বেড়ে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার

দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩০২৪৮ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার বা ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০২৪৮ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২৫২৩২ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী ২৪.৯৮ বিলিয়ন ডলার। তার আগে গত ২৪ জুলাই পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩০০০৪ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলার এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৪৯৮৮ দশমিক ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে। দেশের মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
অর্থনীতি
১০০ টাকার নতুন নোট বাজারে আসছে মঙ্গলবার

আগামী মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) থেকে দেশে প্রথমবারের মতো গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট প্রচলন করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রবিবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’- শীর্ষক নতুন ডিজাইন ও সিরিজের সকল মূল্যমানের (১০০০, ৫০০, ২০০, ১০০, ৫০, ২০, ১০, ৫ ও ২ টাকা) নতুন নোট মুদ্রণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকা মূল্যমানের নোট বাজারে প্রচলন দেয়া হয়েছে। বর্তমানে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোট ১২ আগস্ট থেকে প্রথমবারের মতো বাজারে প্রচলন দেয়া হবে।
নোটটি সেদিন প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকে ইস্যু করা হবে।।‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’- শীর্ষক নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য হলো-
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর স্বাক্ষরিত ১০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ মিলিমিটার × ৬২ মিলিমিটার। নোটের সম্মুখভাগে বামপাশে বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের ছবি এবং মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি মুদ্রিত থাকবে।
নোটের পেছনভাগে বাংলাদেশের।সুন্দরবনের ছবি মুদ্রিত থাকবে। নোটে জলছাপ হিসেবে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখের নিচে উজ্জ্বল ইলেক্ট্রোটাইপ জলছাপে ‘100′ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম রয়েছে। নোটটিতে নীল রঙের আধিক্য রয়েছে।
১০০ টাকা মূল্যমান নোটটিতে মোট ১০ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটের সম্মুখভাগে ডানদিকে কোনায় মুদ্রিত মূল্যমান ‘১০০’ রঙ পরিবর্তনশীল উন্নতমানের নিরাপত্তা কালি দ্বারা মুদ্রিত; নোটটি নাড়াচাড়া করলে এর রঙ সোনালি থেকে সবুজ রঙে পরিবর্তিত হয়। নোটটির সম্মুখভাগে বামপাশে ৪ মিলিমিটার চওড়া লাল রঙ এবং উজ্জ্বল রূপালি বারের সমন্বয়ে পেঁচানো নিরাপত্তা সুতা রয়েছে।
এছাড়া নোটটি নাড়াচাড়া করলে নিরাপত্তা সুতার রঙ লাল হতে সবুজ রঙে পরিবর্তিত হয়, যাতে ‘১০০ টাকা’ খচিত রয়েছে এবং উজ্জ্বল রংধনুর রঙের বারে রূপান্তরিত হয়ে উপর থেকে নীচে চলতে দেখা যাবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য নোটের সম্মুখভাগে ডানে নীচের দিকে ৩টি ছোট বৃত্ত রয়েছে যা হাতের স্পর্শে অসমতল অনুভূত হয়।
নোটটিতে ইন্টাগ্লিও কালিতে মুদ্রিত অংশগুলো হাতের স্পর্শে অসমতল অনুভব করা যাবে। ইন্টাগ্লিও কালিতে মুদ্রিত অংশগুলোর মধ্যে রয়েছে- নোটের সম্মুখভাগের বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ ছবি, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’, ‘প্রতিশ্রুত বাক্য’, বাংলা ও ইংরেজিতে মূল্যমান নোটের ডানদিকে আড়াআড়িভাবে অবস্থিত ৬টি লাইন এবং নোটের পেছন ভাগে সুন্দরবনের ছবি, সব মূল্যমান (অংকে ও কথায়), বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম, ‘BANGLADESH BANK’ ইত্যাদি।
নোটের সম্মুখভাগে নিরাপত্তা সুতা সংলগ্ন নকশাগুলো IR absorbent ink দ্বারা মুদ্রিত যা IR detector machine দ্বারা দৃশ্যমান হবে। নোটের সম্মুখভাগে নিরাপত্তা সুতার বামপাশে ও ‘BANGLADESH BANK’ লেখাটির নিচে Microprint হিসেবে উলম্বভাবে ‘BANGLADESH BANK’ ও ‘100 Taka’ পুনঃপুনঃ মুদ্রিত রয়েছে। এছাড়া, নোটের পেছন ভাগে বামপাশে নীচে ও ডানপাশে উলম্বভাবে ‘BANGLADESH BANK’ এবং বামপাশে উপরে ‘100 Taka’ Microprint হিসেবে পুনঃপুনঃ মুদ্রিত রয়েছে যা শুধু ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখা যাবে।
নোটটিতে গভর্নর স্বাক্ষরের ডানপাশে See Through image হিসেবে ‘১০০’ মুদ্রিত রয়েছে যা আলোর বিপরীতে ধরলে ‘১০০’ লেখা দৃশ্যমান হবে। নোটের সম্মুখভাগে নীচের দিকের বর্ডারের মাঝখানে নীল ডিজাইন অংশে গুপ্তভাবে ‘100′ লেখা আছে; যা নোটটি অনুভূমিকভাবে ধরলে দেখা যাবে। নোটের কাগজে লাল, নীল ও সবুজ রংয়ের অসংখ্য fiber রয়েছে যা UV detector machine দ্বারা দৃশ্যমান হয়। নোটটির উভয় পৃষ্ঠে ইউভি কিউরিং ভার্নিশ সংযোজন করা হয়েছে। এর ফলে নোটটি চকচকে অনুভূত হবে, নোটের স্থায়িত্ব বাড়বে।
নতুন ডিজাইনের ১০০ টাকা মূল্যমানের নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত সব কাগুজে নোট এবং ধাতব মুদ্রাও যথারীতি চালু থাকবে। এছাড়া মুদ্রা সংগ্রাহকদের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনা করে নিয়মিত নোটের পাশাপাশি ১০০ টাকা মূল্যমান নমুনা নোট (যা বিনিময়যোগ্য নয়) মুদ্রণ করা হয়েছে; যা মিরপুরের টাকা জাদুঘর থেকে নির্ধারিত দামে সংগ্রহ করা যাবে।
অর্থনীতি
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঋণ পুনর্গঠনে কাজ চলছে: গভর্নর

করোনা মহামারি, অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঋণ পুনর্গঠনে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, এসব কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে।
রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব নিয়ে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ১২০০-এর বেশি আবেদন এসেছে। এর মধ্যে ২৫০টি সমাধান করা হয়েছে, বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন। প্রতিটি আবেদন আলাদাভাবে দেখা হচ্ছে—বাংলাদেশ ব্যাংক, ঋণ প্রদানকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আবেদনকারী-এই তিন পক্ষের সমন্বয়ে সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। কোনো সাধারণীকরণ করা হচ্ছে না, যাতে কেউ সুযোগ নিয়ে টাকা তুলে নিতে না পারে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থা, সম্ভাব্য সমাধান ও অতীত রেকর্ড যাচাই করেই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
ড. মনসুর বলেন, খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে তিন মাস করা হয়েছে। প্রথমে ব্যাংক বা উদ্যোক্তারা বিষয়টি মেনে নিতে না পারলেও এখন তারা গ্রহণ করেছে। প্রভিশন সংরক্ষণ না করে কোনো ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না—প্রথমবারের মতো এই নীতি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ বা ন্যূনতম মূলধন রিকোয়ারমেন্ট (১০ শতাংশ) পূরণ করতে না পারা ব্যাংকগুলো লভ্যাংশ দিতে পারেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৭২-এ মৌলিক পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, শক্তিশালী আর্থিক খাতের জন্য শক্ত নেতৃত্ব ও আইনগত ভিত্তি দুটিই জরুরি। দুর্বল নেতৃত্ব দিয়ে শক্ত প্রতিষ্ঠান চালানো যায় না, আর শক্ত নেতৃত্ব দিয়েও কিছু হবে না যদি আইনগত ক্ষমতা না থাকে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও আমলাতান্ত্রিক বাধা দূর করে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়বদ্ধতা ও স্বশাসন বাড়াতে হবে। অতীতে যে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে, তা ভবিষ্যতে ঠেকানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।