জাতীয়
দেশের ৯৬ লাখেরও বেশি শিশুর রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় সিসা
![দেশের ৯৬ লাখেরও বেশি শিশুর রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় সিসা বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/sisa-1.jpg)
সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে সিসার সংস্পর্শে আসার ফলে শিশুদের বুদ্ধিমত্তার অবনতি ঘটছে। সমীক্ষায় উঠে এসেছে বাংলাদেশে ৯৬ লাখেরও বেশি শিশুর রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যার বাৎসরিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ মিলিয়ন আইকিউ পয়েন্ট।
বুধবার (৩ এপ্রিল) এসডো এবং ইউনিসেফ-বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকার শৈলপ্রপাত কনফারেন্স রুম, পর্যটন ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশে শিশুদের সিসা বিষক্রিয়া মোকাবিলা শীর্ষক ইন্সেপশন ওয়ার্কশপে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার বক্তব্যে শিশু স্বাস্থ্যের ওপর সিসা বিষক্রিয়ার ক্ষতিকারক প্রভাব এবং সমস্যাটির সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব এবং এসডোর চেয়ারপারসন সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে বিশ্বব্যাপী অন্যান্য অনেক অঞ্চলের মতো বাংলাদেশেও শিশুরা সিসার সংস্পর্শে আসায় ক্ষতিকারক প্রভাবের মুখোমুখি হচ্ছে। সিসা বিষক্রিয়ার সমস্যা মোকাবিলায় দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার ওপর তিনি জোর দিয়েছেন।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসকে রফিকুল ইসলাম, চিফ কন্ট্রোলার (অতিরিক্ত সচিব), অফিস অফ চিফ কন্ট্রোলার অফ ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্টস। তিনি বলেন বর্জ্য অব্যবস্থাপনা বিশেষ করে ই-ওয়েস্ট থেকে নির্গত সীসা শিশুদের স্বাস্থ্যেকে হুমকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে । এ সমস্যা মোকাবিলায় রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া এবং সুষ্ঠ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল হামিদ বলেন, যা কিছুই শিশু স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলে তা থেকে তাদের নিরাপদ রাখায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সম্মানিত অতিথি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান, শিশুদের সিসা বিষক্রিয়া নিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সার্বিক সহযোগিতা করার আশা ব্যক্ত করেন।
আনজির লিটন, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানে তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নিশ্চয়তায় সিসা দূষণ রোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, আমাদের সন্তান এবং জাতির স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির জন্য পরিবেশ রক্ষায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সম্মানিত অতিথি এস এম ফেরদৌস আলম, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) বলেছেন যে, সীসা দূষণ একটি উদ্বেগজনক সমস্যা। আমরা এসডো এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের উদ্যোগকে সমর্থন করি এবং তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে চাই। এসডো দ্বারা পরিচালিত গবেষণার মাধ্যমে বিএসটিআই সীসা দূষণ নিয়ন্ত্রণে নিরাপদ মাত্রা নির্ধারণ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান মায়া ভ্যানডেনেন্ট বাংলাদেশের শিশুদের মধ্যে সীসা বিষক্রিয়ার জরুরি সমস্যা মোকাবিলায় এসডোর সক্রিয় প্রচেষ্টার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। শিশুদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণের লক্ষ্যে নেওয়া এ সম্মিলিত উদ্যোগটি উল্লেখযোগ্য প্রদর্শন হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি মনে করেন।
এসডো’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, মানুষের সুস্থ ও সুন্দর জীবনের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের প্রয়োজন। তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
এসডো’র নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা উল্লেখ করেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আমরা সিসার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে আমাদের শিশুদের নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি। তাই প্রকল্পটি আমাদের দেশের শিশুদের টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তার লক্ষ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।
সিসা দূষণ একটি গুরুতর পরিবেশগত সমস্যা যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। বিশেষ করে শিশুরা এই সিসা বিষক্রিয়া দ্বারা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এটি তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ, শারীরিক বৃদ্ধি এবং সামগ্রিক সুস্থতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ দূষণ মোকাবিলায় দেশে নানান প্রচেষ্টা চলমান থাকা সত্ত্বেও, শিল্প কারখানা থেকে নিঃসৃত দূষিত পানি এবং সীসাযুক্ত রং দ্বারা শিশুরা সিসা বিষক্রিয়ার শিকার হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, এর কারণে বাংলাদেশ আনুমানিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে যা কি না ২০১৯ সালের দেশের মোট জিডিপির প্রায় ৩.৫% এর সমান। অতএব সীসা বিষক্রিয়া প্রতিরোধের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
থিমাটিক প্রেজেন্টেশনটি উপস্থাপন করেছেন সাদমিন সাদাফ জাহান, রিসার্চ অ্যান্ড ক্যাম্পেইন এসোসিয়েট, এসডো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় ঢাকা ৬ষ্ঠ
![পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় ঢাকা ৬ষ্ঠ বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/dhaka-1-1.jpg)
পর্যটকদের জন্য বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে ঢাকা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ব্যবসায়িক ম্যাগাজিন ফোর্বসের পর্যটকদের জন্য অ্যাডভাইজার লিস্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত ১১ জুলাই প্রকাশিত এ তালিকায় তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ শহরকে হাইলাইট করেছেন ফোর্বস উপদেষ্টারা।
তালিকা অনুযায়ী, পর্যটকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহরে পরিণত হয়েছে ভেনেজুয়েলার কারাকাস, যার স্কোর রেটিং ১০০ তে ১০০। দ্বিতীয় ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় স্থান পেয়েছে করাচি, শহরটির স্কোর ১০০ তে ৯৩.১২। এছাড়া মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ১০০ তে ৯১.৬৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
এ তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে- নাইজেরিয়ার লাগোস ও ফিলিপাইনের ম্যানিলা। এরপরই ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ঢাকার স্কোর ৮৯.৫০।
এছাড়া কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতা ৭ম, মিশরের রাজধানী কায়রো ৮ম, মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি ৯ম এবং ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো ১০ম স্থানে রয়েছে।
মূলত সাতটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করে বিশ্বের ৬০টি শহর নিয়ে এ তালিকা তৈরি করেছে ফোর্বস। এর মধ্যে রয়েছে- অপরাধ, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা।
অন্যদিকে সিঙ্গাপুর ০ স্কোর নিয়ে প্রথম, জাপানের টোকিও ১০.৭২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় এবং কানাডার টরন্টো ১৩.৬ স্কোর নিয়ে পর্যটকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ শহরের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
এছাড়া চতুর্থ, পঞ্চম ও ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে- অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জুরিখ, ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মেট্রোরেল কবে চালু হবে বলা যাচ্ছে না: সেতুমন্ত্রী
![মেট্রোরেল কবে চালু হবে বলা যাচ্ছে না: সেতুমন্ত্রী Obaidul](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/Obaidul-Quader-1.jpg)
কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন শেষে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মেট্রোরেল না চলায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। ৩০ মিনিটের পথ দুই ঘণ্টায়ও যেতে পারছে না’
মেট্রোরেল চালু নিয়ে তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল কবে চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন শেষে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটার ওপরে আমরা পর্যায়ক্রমে যেখানে যা করার দরকার সেটা করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যক্ষভাবে বিটিভিসহ বিভিন্ন ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনায় গিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে গত ১৮ জুলাই শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে মেট্রোর লাইনের নিচে মিরপুর-১০ গোলচত্বরে ফুটব্রিজে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। সেই আগুনের মধ্য দিয়েই একটি ট্রেন ছুটে যায়। পরে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের বিভীষিকাময় তাণ্ডবে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশনের ই-সিস্টেমের পুরোটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। এ সিস্টেম পুনরায় সচল করতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা লাগতে পারে।
এ ছাড়া কাজীপাড়া স্টেশনের ই-সিস্টেম অর্ধেকের বেশি নষ্ট হয়ে গেছে। এই স্টেশনের ই-সিস্টেম ঠিক হতেও ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ই-সিস্টেম ছাড়াও দুই স্টেশনে থাকা পাঞ্চ মেশিন, ভেন্ডিং মেশিন, বিভিন্ন ডিভাইস, কম্পিউটারসহ আরও যেসব জিনিসপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা-ও ঠিক করতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা লাগতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে, মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হামলার আগে ১ লাখ নতুন সিমকার্ডধারী ঢাকায় ঢোকে: পলক
![হামলার আগে ১ লাখ নতুন সিমকার্ডধারী ঢাকায় ঢোকে: পলক বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/zunaid-ahmed-palak-1.jpg)
ঢাকা ও গাজীপুরে ১৮ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত নাশকতার স্থানগুলোতে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ সিম বাইরে থেকে ঢুকেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি জানান, বিএনপি-জামায়াতের লোকজনের গতিপ্রকৃতি নাশকতার স্থানগুলোমুখী ছিল। বাইরে থেকে প্রায় ১ লাখ সিম ঢুকে সেসব স্থানগুলোতে।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাকভবনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ ট্রি ফর পিস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পলক বলেন, বিভিন্ন জেলার যেসব স্থানে ‘রেড এলার্ট’ জারি ছিল সেখানে ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই কোন সহিংসতা হয়নি। ঢাকার যে ১০ থেকে ১৫টি জায়গায় অতিরিক্ত ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ নতুন সিমকার্ডের ব্যবহারকারীরা আসে, সেগুলোর তথ্য-উপাত্তা বিশ্লেষণে দেখা যায়- রেড এলার্টভুক্ত এলাকার বিএনপি, ছাত্রদল, জামাত-শিবিরের চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীরা ঢাকামুখী ছিল এবং ঢাকায় তারা অবস্থান গ্রহণ করেছে। তাদের অবস্থানকালেই ১৮ থেকে ২১ জুলাই সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি দাবি করে পলক বলেন, ঢাকা বিভাগের ১৭টি জায়গায় হামলা হয়েছে। মহাখালীতে তিনটি ডেটা সেন্টারে ১৮টি আইআইজির সিস্টেম রয়েছে। সেখানে থাকা আইএসপির ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। তাই ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছে। আমরা বন্ধ করিনি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে আঘাত আসায় এখনো কিছু ক্যাশ সার্ভার মেরামতের কাজ চলছে। হয়তো দুই চার দিনের মধ্যে টেলিযোগাযোগ পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। দেশে থাকা চার হাজারের ওপর ক্যাশ সার্ভার ঠিক হতে সময় লাগবে। গুগলের সব ক্যাশ সার্ভার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমানসহ অন্যান্যরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রোববার থেকে সরকারি অফিস ৯টা থেকে ৩টা
![রোববার থেকে সরকারি অফিস ৯টা থেকে ৩টা বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/office-1.jpg)
রবি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারি অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। শনিবার (২৭ জুলাই) জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সহিংসতার মধ্যে গত সপ্তাহে তিনদিন (রবি, সোম ও মঙ্গলবার) সাধারণ ছুটির পর বুধবার থেকে সীমিত পরিসরে চালু হয় সরকারি অফিস। বুধ ও বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে অফিস।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আন্দোলন চলাকালে নুরকে চার লাখ টাকা দেন এক নেতা: ডিবিপ্রধান
![আন্দোলন চলাকালে নুরকে চার লাখ টাকা দেন এক নেতা: ডিবিপ্রধান বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/harun-or-rashid.jpg)
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে এক নেতা চার লাখ টাকা দিয়েছেন। সেই টাকা কোথায় কীভাবে খরচ করা হয়েছে সেসব বিষয় ঢাকা মহানগর (গোয়েন্দা) পুলিশ জানার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তবে রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় নুরুল হক নুরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (২৬ জুলাই) পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
হারুন অর রশীদ বলেন, নুরকে আমরা রিমান্ডে নিয়েছিলাম। তার কাছ থেকে অনেক তথ্য পেয়েছি। সেই তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আন্দোলন চলাকালীন একজন নেতা তাকে চার লাখ টাকা দিয়েছেন। নুর এ কথা স্বীকার করেছেন। আমরা সেই নেতাকেও তুলে নিয়ে এসেছি। তিনি চার লাখ টাকা নুরকে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। কী জন্য সেই নেতা নুরকে টাকা দিয়েছেন সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে ডিজিটাল যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ডিবিপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি (বিজেপি) ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ পাঁচদিনের রিমান্ডে রয়েছেন আমাদের কাছে। তার কাছ থেকে কিছু বিষয় জানার চেষ্টা করছি।
কাফি