পুঁজিবাজার
ফার্স্ট ক্যাপিটালের সিইওর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ বিএসইসিতে
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন ছাড়া এনিডেস্কের মাধ্যমে সারাদেশে অবৈধভাবে ডিজিটাল বুথ চালানোর অভিযোগ উঠেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও মো. কাউসার আল মামুনের বিরুদ্ধে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে চাঁদপুরে অবৈধভাবে শাহারাস্তি ডিজিটাল বুথ চালানো এবং গ্রাহকের অনুমতি ছাড়া শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় ও একাউন্ট ক্লোজ করাসহ নানান অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি এসব অভিযোগ তুলে ধরে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নিকট চিঠি দিয়েছে ব্রোকারেজ হাউজটির ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী মো. মশিউর রহমান।
চিঠিতে বলা হয়, ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের সিইও মো. কাউসার আল মামুন বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া এনিডেস্কের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ব্রাঞ্চ এবং ডিজিটাল বুথ পরিচালনা করে আসছেন। সেখানেও প্রতারণার ফাঁদ পাতছেন এই ব্যক্তি। বিভিন্ন ব্যক্তিকে কোম্পানির পক্ষে নিয়োগ দিয়ে স্বার্থ হাসিল শেষে আবার তাদের প্রত্যাহার করছেন। এতে বিনিয়োগকারীরা এবং ব্রাঞ্চ-বুথের কর্মকর্তারা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
এতে আরও বলা হয়, ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজে বিও অ্যাকাউন্ট (হিসাব নং ১২০৪৪৩০০৬৯৩৪৪৫১৪) খোলা ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট নিজের একাউন্টের পোর্টফোলিও, লেজার স্টেটমেন্ট জানতে কোম্পানিটির সিইওর কাছে যান। কিন্তু সিইও বিনিয়োগকারীর সাথে দেখা না করে উল্টো আশিকুর রহমান নামের এক কর্মকর্তার মাধ্যমে তাকে মেরে ফেলার হুমকি এবং বিভিন্ন প্রকারের ভয়ভীতি দেখানো শুরু করেন। একপর্যায়ে হাউজ ছাড়তে বাধ্য করেন। পরবর্তীতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী মশিউর রহমান এবং তার স্ত্রী ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের প্রধান কার্যালয়ে গেলে সেখানেও তাকে হুমকি-ধমকির মাধ্যমে অফিস ছাড়া করা হয়।
জানা গেছে, বিনিয়োগকারী মো. মশিউর রহমান বিও নং-১২০৪৪৩০০৭১৯৯১৭৪, একাউন্টধারীর অনুমতি ছাড়া শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় ও একাউন্ট ক্লোজ করা হয়। যা জন্য পুরোপুরি সিইও মো. কাউসার আল-মামুন দায়ী। ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও মো. কাউসার আল মামুন অসাধু এবং দুর্নীতি পরায়ন ব্যক্তি বলে লিখিত চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি বিনিয়োগকারীদেরকে অশ্লীল গালিগালাজ, হুমকি-ধমকি, প্রাননাশের ভয়, পুলিশি ভয় দেখায়। তিনি সমগ্র দেশে বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া এনিডেস্ক দিয়ে অবৈধভাবে ডিজিটাল বুথ চালিয়ে আসছে।
এবিষয়ে জানতে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও মো. কাউসার আল মামুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সম্পূর্ণ বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি অর্থসংবাদকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে মশিউর রহমান নামের যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের গ্রাহক না। তিনি আমাদের অফিসের সাবেক স্টাফ। আমাকে ফাঁসানোর জন্য তিনি বিও অ্যাকাউন্ট করেন। তবে তার অ্যাকাউন্ট ক্লোজ করা হয়নি। মশিউর রহমান তার কাছে ৪০ লাখ টাকা চাদা দাবি করেছে বলে অভিযোগ করেন ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও।
বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া এনিডেস্কের মাধ্যমে চাঁদপুরে শাহারাস্তি ডিজিটাল বুথসহ সারাদেশে অবৈধ ডিজিটাল বুথ চালানোর অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, অবৈধ ডিজিটাল বুথ চালানোর অভিযোগটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ইতিমধ্যে বিএসইসি ও ডিএসই তদন্ত করেছে এবং এটি যে মিথ্যা তা প্রমান পেয়েছে। সবগুলো বুথে বিএসইসির অনুমোদন রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
অর্থসংবাদের হাতে আসা বিভিন্ন প্রতিবেদনের সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর সদর এবং শাহরাস্তি উপজেলায় দুটি ডিজিটাল বুথ খুলে ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ। সদর উপজেলার আদর্শ মুসলিম পাড়ায় খোলা ডিজিটাল বুথের দায়িত্বে ছিলো মো. নুরুন্নবী এবং মশিউর রহমান। সিকিউরিটিজের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের নিয়োগ দেওয়া হলেও দশ মাস পর্যন্ত তারা কোন বেতন বা পারিশ্রমিকের মুখ দেখেননি। এমনকি দশ মাস পর হুট করে ‘অনিবার্য কারণ’ দেখিয়ে চাঁদপুরের বুথটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের সিইও মো. কাউসার। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন অফিসটি পরিচালনা করা নুরুন্নবী এবং মশিউর রহমান।
বিএসইসিতে পাঠানো চিঠিতে ফার্স্ট ক্যাপিটালের সিইওকে অপসারন করা, শাহরাস্তি ডিজিটাল বুথ বন্ধ করে দেয়া এবং শাহরাস্তি বুথের ট্রেডার দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. আলমাস হোসেনকে বরখাস্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি তুলে ধরেন ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের এই ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে চাঁদপুরে একটি অবৈধভাবে ডিজিটাল বুথ চালিয়ে, পরবর্তীতে ২০২৩ সালের আগষ্টে বন্ধ করে দেয়। এতে স্থানীয় বিনিয়োগকারী অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আরও একটি ডিজিটাল বুথ অবৈধ ভাবে শাহরাস্তিতে ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর থেকে চালিয়ে আসছিল। যাহা পরবর্তীতে অনুমোদন পায়। এভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনিয়মে হাউজ চালাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই না বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল বুথে এজেন্ট নিয়োগ করে এজেন্টদের থেকে ব্ল্যাংক চেক নিয়ে পরবর্তীতে ব্ল্যাক মেইল করে। ইতিমধ্যে মাষ্টার ফিড এগ্রোটেকের এক পরিচালকের শেয়ার ও টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এবং ২০২৩ সালের ১ অক্টোবরে এক বিনিয়োগকারী বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশন ও ঢাকা স্টক একচেঞ্জ বরাবর চিঠি দিয়ে অবগত করেছে, ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের সিইওর বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্তৃক বিনিয়োগকারীদেরকে ভয়ভীতি, পুলিশি ভয় ও প্রাননাশের হুমকি থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১৪ ও ১৮ মার্চে দুইজন বিনিয়োগকারী কোম্পানীর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দুইটি অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পায়নি। যাহা ছিল বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ট্রেডার মো. আলমাস হোসেন অনুমতি ছাড়া শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করে এবং বিনিয়োগকারী মো. মশিউর রহমান বিও নং-১২০৪৪৩০০৭১৯৯১৭৪, একাউন্টধারীর অনুমতি ছাড়া একাউন্ট ক্লোজ করে। যাহার জন্য পুরোপুরি সিইও মো. কাউছার আল-মামুন দায়ী।
গত ৩ মার্চে চাঁদপুরের শাহারাস্তি ডিজিটাল বুথের ট্রেডার মো. আলমাস হোসেন একজন গ্রাহক মো. মশিউর রহমানকে আহত করে এবং গ্রাহক পরবর্তীতে হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য হয় এবং গ্রাহক শাহারাস্তি মডেল থানায় জিডি করে। জিডি নং-১৮৯-০৪/০৩/২০২৪ইং।
গত ২৪ মার্চ এই ডিজিটাল বুথের গ্রাহকরা একটি চিঠির মাধ্যমে কোম্পানির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করে শাহরাস্তি ডিজিটাল বুথের ট্রেডার মো. আলমাস হোসেনকে প্রত্যাহার করে নতুন ট্রেডার নিয়োগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু অদ্যবধি পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ কে এম মিজানুর রশীদ চৌধুরী গত ১৩ মার্চে ৪/৫ জন বিনিয়োগকারীদের ওই হেড অফিসে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে গেছে। তারা দুর্বব্যবহার করেছে তা শেয়ারবাজারের মার্কেটের ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) ও শেয়ার মার্কেটের ভাবমুর্তি এবং সুনাম রক্ষার্থে ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের সিইও মো. কাউছার আল মামুনকে অবিলম্বে অপসারণ করার জন্য ও ট্রেডার মো. আলমাস হোসেনকে বহিস্কার করে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে পুঁজিবাজারের সু-শাসন প্রতিষ্ঠার অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ
সরকারি-বেসরকারি অফিস আগামী তিন দিন অর্থাৎ রবিবার (২৮ জুলাই) থেকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চলবে। শনিবার (২৭ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অফিসের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সরকারের এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই তিন দিন দেশের প্রধান দুই পুঁজিবাজারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে।
আজ শনিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শফিকুর রহমান বলেছেন, সরকারের নির্দেশনার আলোকে পুঁজিবাজারের লেনদেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরকারের নতুন নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে পোস্ট ক্লোজিং থাকবে দুপুর ১টা ৫০ থেকে ২টা পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জর জনসংযোগ কর্মকর্তা তানিয়া বেগম গণমাধ্যমকে জানান, সিএসইতে ডিএসইর মতোই লেনদেন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। পোস্ট ক্লোজিংয়ের সময় থাকবে দুপুর ১টা ৫০ থেকে ২টা পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার ঘোষিত টানা তিন দিন সাধারণ ছুটির পর গত বুধবার (২৪ জুলাই) পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়। ওই দিন এবং পরের দিন বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সরকারি নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন বেলা ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে। এ সময়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস চলে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পেপার প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিং ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে
পেপার প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড ব্যবসায়িক কার্যক্রম বহুমুখীকরণের মাধ্যমে ব্যবসার পরিধি বিস্তৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ১৬ জুলাই হাইব্রিড সিস্টেমে অনুষ্ঠিত হয়েছে কোম্পানির ৭ম বিশেষ সাধারণ সভা।
উক্ত সভায় পেপার প্রসেসিং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বহুমুখীকরণের মাধ্যমে ব্যবসার পরিধি বিস্তৃত করার উদ্দেশ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মুদ্রণ ও প্রকাশনা ব্যবসার পাশাপাশি পেপার প্রসেসিং অবকাঠামো উন্নয়ন, রিয়েল এস্টেট, টেন্ডার ও সরবরাহ ব্যবসা, আমদানী-রপ্তানী এবং প্রযুক্তি খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে। উপস্থিত শেয়ার হোল্ডারদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে উপস্থাপিত প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
হাইব্রিড সিস্টেমে অনুষ্ঠিত এ বিশেষ সাধারণ সভায় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেপার প্রসেসিংয়ের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা জামাল মহিউদ্দিন, পরিচালকেরা, কোম্পানি সেক্রেটারি এবং কোম্পানির সিএফওসহ অন্যান্যরা।
৭ম সাধারণ সভায় অসংখ্য শেয়ারহোল্ডাররা উপস্থিত হয়ে কোম্পানির ব্যবসা বিস্তৃত করতে গৃহীত সিদ্ধান্তে সমর্থন দিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বার্জার পেইন্টসের লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানির বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড সর্বশেষ হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদেরকে ৫০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
আজ শনিবার (২৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচারলনা পরিষদের বৈঠকে গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুসারে, সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (সমন্বিত ইপিএস) হয়েছে ৬৯ টাকা ৯২ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস ছিল ৬৪ টাকা ৯১ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩০৯ টাকা ৫৩ পয়সা।
আগামী ২ অক্টোবর কোম্পানিটির ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ আগস্ট।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইকে ৩৯৯ কোটি টাকা ফিরিয়ে আনার নির্দেশ বিএসইসির
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৫৭টি স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠান তাদের মূল ব্যবসার বাইরে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগকৃত প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মূল ব্যবসায় ফিরিয়ে আনার জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এসব প্রতিষ্ঠান আমানত, জমি কেনা, একই গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান, অতালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগ, পরিচালকদের গাড়ি কেনার জন্য ঋণসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে আগামী অক্টোবরের মধ্যে এ অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোয় ফিরিয়ে আনতে ডিএসইকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিএসইসির এই আদেশে বলা হয়েছে, ডিএসইর কমপ্লায়েন্স প্রতিবেদন এবং স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী থেকে দেখা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠান তাদের নিবন্ধিত মূল ব্যবসার বাইরে অন্য উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানের অর্থ ব্যয় করছে। পুঁজিবাজারের স্বার্থে এ বিষয়ে ডিএসইকে দুটি নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি। এর মধ্যে রয়েছে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্য খাতে বিনিয়োগ করা অর্থ ফিরিয়ে এনে মূল ব্যবসায় ব্যবহার করতে হবে। অর্থ ফিরিয়ে এনে বিনিয়োগ করার বিষয়টি নজরদারির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ডিএসইকে। এ বিষয়ে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অর্থ ফেরত আসার সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসির কাছে কমপ্লায়েন্স প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে ডিএসইকে। অবিলম্বে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসির তথ্যানুযায়ী, ৫৭টি স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠান তাদের মূল ব্যবসার বাইরে বিভিন্ন খাতে ৩৯৯ কোটি ৪৯ লাখ ৫২ হাজার ৫৫২ টাকা বিনিয়োগ করেছে।
মূল্য ব্যবসার বাইরে অন্য খাতে অর্থ বিনিয়োগ করা স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে এবি ইস্পাহানি সিকিউরিটিজ, এসিই ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস, রশীদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস, দৌলতুন্নেসা ইকুইটিজ, রপিড সিকিউরিটিজ, এম-সিকিউরিটিজ, এরিজ সিকিউরিটিজ, ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস, রয়েল গ্রিন সিকিউরিটিজ, লতিফ সিকিউরিটিজ, ইউনিরয়্যাল সিকিউরিটিজ, মো. ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ, সালতা ক্যাপিটাল, দায়তুন হোল্ডিংস, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, ইতিহাদ সিকিউরিটিজ, সুরমা সিকিউরিটিজ হোল্ডিং কো., নভেলি সিকিউরিটিজ, সিএমএসএল সিকিউরিটিজ, নবিউল করিম সিকিউরিটিজ, এএনএফ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, ড্রাগন সিকিউরিটিজ, শেলটেক ব্রোকারেজ, রোজ সিকিউরিটিজ, আরএনআই সিকিউরিটিজ, মশিহুর সিকিউরিটিজ, কাজী ইকুইটিজ, আলহাজ জাহানারা সিকিউরিটিজ, মিডওয়ে সিকিউরিটিজ, কেএইচবি সিকিউরিটিজ, কসমোপলিটন ইকুইটিজ, ফরচুন সিকিউরিটিজ (প্রাইভেট) , শাকিল রিজভী স্টক, ইএমইএস সিকিউরিটিজ, পিস সিকিউরিটিজ, ট্রাস্টি সিকিউরিটিজ, মোনা ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, সাবভ্যালি সিকিউরিটিজ, ডরিন ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, জিএমএফ সিকিউরিটিজ, গ্লোব সিকিউরিটিজ, আনোয়ার খান মডার্ন সিকিউরিটিজ, স্টক অ্যান্ড বন্ড, টোটাল কমিউনিকেশন, প্রাইলিংক সিকিউরিটিজ, অশাধী সিকিউরিটিজ, এডি হোল্ডিংস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, মিকা সিকিউরিটিজ, আকিজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, ঢাকা সিকিউরিটিজ, প্রুডেনশিয়াল ক্যাপিটাল, বে রিচ, রহমান ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট, বিনিময় সিকিউরিটিজ, ইনোভা সিকিউরিটিজ ও গিবসন সিকিউরিটিজ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ৩০ জুলাই আড়াইটায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৪-জুন’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম