ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার

সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবার ধাপে ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে। প্রথম দুই ধাপে ছয় বিভাগের ৪০ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) শেষ ধাপে পরীক্ষা হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের ২৪ জেলার ৪১৪টি কেন্দ্রে। এতে অংশ নিতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। রাত পোহালেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ পরীক্ষায় বসছেন তারা।
এদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই রঙিন প্রিন্ট করা প্রবেশপত্র নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৮ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ধাপে আবেদন করেন দুই বিভাগের তিন লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন চাকরিপ্রার্থী।
দেড় ঘণ্টা আগে প্রার্থীকে কেন্দ্রে যেতে হবে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হবে কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ তালাবদ্ধ করে। এজন্য পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে দেড় ঘণ্টা আগে প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে।
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সতর্কীকরণ ঘণ্টা বাজিয়ে কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে তালাবদ্ধ করা হবে। এরপর কোনো প্রার্থীকে প্রবেশ বা বের হতে দেওয়া হবে না। দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া কাউকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বা বের হতেও দেওয়া হবে না।
কেন্দ্রে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস বা এজাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোনো পরীক্ষার্থী এসব দ্রব্য সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাৎক্ষণিক তাকে বহিষ্কারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরীক্ষার কক্ষে নিজ আসনে কান খোলা রেখে বসতে হবে প্রার্থীদের। কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তা নিশ্চিত করতে পরীক্ষা কেন্দ্রের ফটকে প্রার্থীদের দেহ তল্লাশি করা হবে। নারী প্রার্থীদের নারী পুলিশ ও পুরুষ প্রার্থীদের পুরুষ পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। প্রার্থীর কাছে কোনো ডিভাইস আছে কি না, তা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে শনাক্ত করা হবে।
জালিয়াতিমুক্ত পরীক্ষায় চান প্রার্থীরা
এদিকে, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় অনিয়ম-দুর্নীতি ও জালিয়াতিমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন প্রার্থীরা। গাজীপুরের প্রার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘প্রথম ধাপের পরীক্ষার চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষাটা ভালো হয়েছিল। অনিয়ম-জালিয়াতির অভিযোগ কম ছিল। আশা করি, তৃতীয় ধাপে কর্তৃপক্ষ আরও ভালো পরীক্ষার আয়োজন করবে, যাতে মেধাবীরা নির্বাচিত হন।’
তার মতো আরও অনেকে একই দাবি জানিয়েছেন। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে পোস্টও দিয়েছেন। সিদরাতুল মুনতাহা নামে এক প্রার্থী তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রস্তুতি বেশ ভালোই নিলাম। এবার পরীক্ষাটা সুষ্ঠু হলে হয়! ডিভাইস পার্টি, স্বজনপ্রীতি না হলে ইনশাআল্লাহ এবার পরীক্ষায় টিকবো।’
পরীক্ষায় শতভাগ জালিয়াতি ও অনিয়মমুক্ত হবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে তিনি বলেন, ‘দুই ধাপেই আমরা সুষ্ঠু পরীক্ষা নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। প্রথম ধাপে কোথাও কোথাও প্রতারকচক্র অপচেষ্টা চালিয়েছিল। তাদের রুখে দেওয়া হয়েছিল।’
শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় অপকর্ম করার আগেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। এতে দ্বিতীয় ধাপে কেউ আর অনিয়ম করার সাহস দেখায়নি। আশা করি, তৃতীয় ধাপেও এ ধরনের অনিয়ম-জালিয়াতি হবে না।’
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেই পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে আন্দোলনে নামে প্রার্থীরা। উচ্চ আদালতে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে রিটও করেন কিছু শিক্ষার্থীরা। তবে দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহে তুলনামূলক সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
জালিয়াতি-প্রতারণা এড়াতে তৎপর প্রশাসন
দেশে সরকারি চাকরির সবচেয়ে বড় এ পরীক্ষা ঘিরে প্রতারণা ও জালিয়াতি ঠেকাতে প্রার্থীদের সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি হবে। অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এতে আরও বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়োগ বিধিবিধান অনুসরণ করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসনবিন্যাস, প্রশ্নপত্র পাঠানো ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ যাবতীয় কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়।
এছাড়া জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার রয়েছে। কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এমতাবস্থায়, দালাল বা প্রতারকচক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো ধরনের অর্থ লেনদেন না করা এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোনো প্রকার অসদুপায় অবলম্বনের জন্য কোনো দালালচক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করাসহ অনুরোধ করা হলো।
অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলেও উল্লেখ করেছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হবে। কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাকে নিকটবর্তী থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেছে অধিদপ্তর।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবিতে বামপন্থি-শিবিরের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ

ঢাবির টিএসসিতে শিবিরের জুলাই প্রদর্শনীতে বামপন্থি নেতাকর্মীদের তোপের মুখে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত জামায়াত নেতা গোলাম আজম, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, মীর কাশেম আলী, কামরুজ্জামান ও বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সরিয়ে নেওয়ার পর টিএসসির প্রবেশ মুখে প্রক্টোরিয়াল টিমের গাড়ি আটকে শিবির বিরোধী বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
এর কিছুক্ষণ পরেই টিএসসিতে উপস্থিত শিবির কর্মীরা বাম বিরোধী বিক্ষোভ করে টিএসসির গেট পর্যন্ত আসেন।
বামপন্থী শিক্ষার্থীরা ‘২৪ এর বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই’, ‘৭১ হারে নাই, হেরে গেছে স্বৈরাচার’ ‘তোরা যারা রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।
পাল্টা বিক্ষোভে শিবির নেতাকর্মীরা ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’, ‘শাহবাগীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘স্বৈরাচারের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘স্বৈরাচারের বি-টিম, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপ-দাদার’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই পরেই টিএসসিতে উপস্থিত হন ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন যার যার রাজনৈতিক কথা সে সেটা বলবেই। এতে বাধা দেওয়ার কিছু নেই। শিবির নেতাকর্মীদের টিএসসির বাইরে অবস্থান না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
এ সময় শিবিরের প্রোগ্রাম সংক্ষিপ্ত করার দাবি তোলেন ঢাবি বাগছাসের মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম। ফলে শিবির নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন হাসিব। তারা দাবি করেন শিবিরের প্রোগ্রাম বন্ধের পাঁয়তারা করছেন তিনি।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জুলাই বিরোধিতাকারীদের বিচার ছাড়াই ইবিতে জুলাই বর্ষপূর্তি উদযাপন

দীর্ঘ এক বছর পার হলেও ছাত্র জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারী শক্তি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সুষ্ঠু বিচার ব্যতিরেকে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এসে এক আলোচনা সভায় মিলিত হন তারা।
পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এসময় শহীদদের দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আ.ব.ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফি। এদিকে অন্য ধর্মাবলম্বীদের তাদের প্রার্থনার সুযোগ প্রদান না করায়, বৈষম্যের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ করেন ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নূর আলম। এসময় শিক্ষার্থীদের একটি অংশ নূরকে উদ্দেশ্য করে ভূয়া স্নোগান দেয়। এসময় বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে প্রক্টরিয়াল বডিসহ উপস্থিত নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি সামাল দেয়।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রক্টর ও জুলাই বিপ্লব প্রথম বর্ষপূর্তির আহবায়ক প্রফেসর ড. শাহিনুজ্জামান।
আলোচনা সভায় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, আমার ভিতরে একটা শূন্যতা কাজ করে। কারণ ওয়ালীউল্লাহ আর মুকাদ্দাস ভাইকে এখনো ফেরত পায়নি। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সব থেকে বড় ভিক্টিম হলো ওয়ালীউল্লাহ আল মুকাদ্দাস ভাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হলো কিন্তু তাদের খোঁজ করার কোনো পদক্ষেপ নেয়া হলো না। ব্যাপারটা হচ্ছে মিলেমিশে আছে ওরা আত্নীয় যেন। একটি বছর পার হয়ে গেল অথচ যারা বলেছিলো এবার হবে ফাইনাল খেলা তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? আজকে জবাব দিতে হবে। আপনাদের কোনো মুরোদ নাই? আপনারা শোকজ করতে পারেন না?
তিনি আরও বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থী সহ ১৩৩ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা কি শিক্ষার্থী মেরেছিলো? তারা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কি সেই জ্ঞান নাই? কেন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না? বিগত ১৫ বছর কি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন না? তাদের অন্যায়, দূর্নীতি অপকর্ম কি দেখেননি? বরং তাদের আরও সুযোগ করে দিচ্ছেন। তাদের কাজ নাই বিধায় তারা একেরপর চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিন। জুলাই আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করুন।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, জুলাই বিপ্লবের এক বছর পার হলেও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে আমরা জানতে চাই। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের প্রক্টর আজাদ ডিপার্ট্মেন্টের সভাপতি কিভাবে হলো? যদি একাডেমিক নিয়মের অজুহাত দেখান তাহলে আপনি উপাচার্য, প্রক্টর, ট্রেজারার হয়েছেন কেন? তাদের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আজকে বলতে হবে। যতদ্রুত সম্ভব তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় পারলে আপনারা কেন পারবেন না। আপনারা কেন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না? যদি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফ্যাসিস্টদের দোসর কর্মকর্তা কর্মচারীদের ন্যূনতম শোকজ না করা হলে প্রশাসনকে লাল কার্ড দেখানো হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তারা আছেন। স্বৈরাচারের দোসরদের বিচারে আপনাদের কি কোনো দায় নেই? আপনারা কি ফিডার খান? আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, জুলাই বিপ্লব এবং শিক্ষার্থীদের আশাআকাঙ্খা অনুযায়ী আপনারা ক্যাম্পাস পরিচালনা করুন। জুলাই স্প্রিটকে ধারণ করে যদি ক্যাম্পাস পরিচালনা করতে না পারেন তাহলে চেয়ার ছেড়ে দেন। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে সরিয়ে দিয়ে সরকার চলেছে, আপনারা কেন পারছেন না? জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা গণহত্যার পক্ষে ছিল তাদের বিরুদ্ধে আমরা কোনো আপোষ করব না।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রজনতার যৌক্তিক আন্দোলনকে কটুক্তি করে যারা স্বৈরাচারের পক্ষ অবস্থান নিয়েছিল তাদেরকে বিচার করতে হবে। আপনারা একই ভবনে থাকবেন। একসাথে ঘুমাবেন। একসাথে শোবেন। একসাথে ভাষণ করবেন। আর ঠেলে দিবেন ছাত্রদের দিকে, আপনারা কি ফিডার খান? হয় ফ্যাসিবাদের বিচার করুন নতুবা চেয়ার ছেড়ে দিন!
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ.কে.এম মতিনূর রহমান, শিক্ষার্থীরা যে দাবি করেছেন তাদের সাথে সম্পূর্ণ একমত। আজ যদি ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান সফল না হত, তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারতাম না! চব্বিশের ৪ আগস্ট আমাদের বিপক্ষে গিয়ে যারা আর নয় হেলাফেলা এবার হবে ফাইনাল খেলা স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছিল, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আমরা জুলাইয়ের মতো আমরা আবার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, দেশের দুইটি থ্রেট বা বিপদের কথা বলবো যা দুই দিক থেকে আসবে। প্রথমত, আভ্যন্তরীণ বিপদ বলতে দেশের দীর্ঘ ১৬ বছর আমাদের দেশের সকল ব্যবস্থার মধ্যে দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের দালাল ও ভারতের আধিপত্যে দালালদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। অনুপ্রবেশকারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিপ্লবকে ব্যর্থ করতে চাইবে এ ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আজকে অনেকের বক্তব্য শুনেছি বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো আছেন। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় বাংলাদেশের সকল কাঠামোতে অবস্থানরত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় দালালদের চিহ্নিত করতে করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘আজ যদি আমি তোমাদের জায়গায় থাকতাম আমিও ফাসিস্টদের বিচার দাবি করতাম। ফাসিস্ট চিহ্নিতকরণ তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দিচ্ছি, যেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের রিপোর্ট পেশ করে। রিপোর্ট প্রকাশ হলেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, একজন বক্তা অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াতের সাথে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হলো না কেন এ বিষয়ে তার মনোভাব প্রকাশ করেছে। কথা বলার স্বাধীনতা হিসেবে তার এই মনোভাবের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। আগামীতে আমরা খেয়াল রাখবো অনুষ্ঠান যেন সার্বজনীন চরিত্রে রূপান্তরিত হয়।
এছাড়াও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনঞ্জুরুল হক, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইবি ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ.কে.এম মতিনূর রহমান, গ্রীণ ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদ মোহাম্মদ রেজওয়ান, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী, আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া, আরও ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তাজমুল জায়িম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, ছাত্র শিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, ছাত্র মজলিশের সভাপতি সাদেক আহমেদ, জিয়া পরিষদ কর্মকর্তা ইউনিটের সভাপতি ওয়ালিউর রহমান পিকুল, গ্রীণ ফোরাম কর্মকর্তা ফোরামের সভাপতি ওমর আলী, জাতীয়তাবাদী কর্মকর্তা ফোরামের সভাপতি আব্দুল মুঈদ বাবুল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, ২৪ এর বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের কোটা আন্দোলন সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রুপ নিলে তা নস্যাৎ করতে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে ইবি প্রশাসন, আওয়ামীপন্থী সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরাম। আন্দোলন বিরোধিতা ও দমনে তারা দফায় দফায় মিটিং করে নানা কূটকৌশল প্রণয়ন করে। ব্যক্তিগতভাবে টিভি টকশো, অনলাইন প্রচারণা ও শিক্ষার্থীদের হুমকির পাশাপাশি ক্যাম্পাসে জঙ্গি কায়দায় মিছিল-সমাবেশ, ঢাকায় ও গোয়েন্দাদের কাছে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষের শিক্ষকদের তালিকা প্রেরণসহ নানা ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেন আওয়ামী পন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একাংশ। এছাড়া ছাত্রলীগের মাধ্যমে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হুমকির মধ্যে রাখা হয়।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা পালন করেন ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, ড. মিয়া রশিদুজ্জামান, ড. মাহবুবুল আরেফীন, কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন খান, আব্দুস সালাম সেলিমসহ আরো অনেকে। এদিকে ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনকে নৈরাজ্য দাবি করে ভিসির বাংলোর সামনে থেকে সাবেক প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। প্রাপ্ত ভিডিয়ো মোতাবেক, মিছিলটি সাইন্স ফ্যাকাল্টির সামনে আসলে ড. মাহবুবুল আরেফিন, ড. শেলীনা নাসরিন, শহীদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা ‘আর নয় হেলাফেলা, এবার হবে ফাইনাল খেলা’ সহ বিভিন্ন উগ্র স্লোগান দিতে থাকে তারা। এক পর্যায়ে মিছিলটি অনুষদ ভবনের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানেও বক্তারা উগ্র ভাষায় ছাত্রদের আন্দোলন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
‘খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনিদের ক্ষমা নাই’ স্লোগানে উত্তাল ইবি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যাকান্ডে খুনীদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ আগস্ট) বেলা ১১ টায় আল কুরআন বিভাগের আয়োজনে ইবি’র বটতলা প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রশাসন ভবনে সমবেত হয়।
জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ সাজিদ শ্বাসরোধে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের নিরাপত্তার জন্য প্রক্টরিয়াল বডি এবং প্রশাসনের লোকজন যদি ক্যাম্পাসে অবস্থান করতেন তাহলে হয়তো সাজিদ আব্দুল্লাহ আজ আমাদের মাঝে থাকতেন। সাজিদ হত্যার বিচারের আন্দোলনের একমাত্র প্লাটফর্ম আল-কুরআন বিভাগের নেতৃত্বে আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করুন। অন্য কোনো প্লাটফর্মের সাথে আন্দোলনে গিয়ে লাশের রাজনীতিতে জড়াবেন না।
এসময় ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জানান, আজকের এই উপস্থিতি প্রমাণ করে বিচার না নিয়ে আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। এ প্রশাসনকে আমাদের রক্তের বিনিময়ে দায়িত্বে বসিয়েছি। সাজিদ একজন জুলাই যোদ্ধা ছিল। প্রতিটি জুলাই যোদ্ধার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। উচ্চতর তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনে পিবিআইয়ের মাধ্যমে সাজিদের খুনীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। কতদিনের মধ্যে হত্যাকারীদের ধরা হবে তা জানাতে হবে। পিবিআইকে যথাযথ সময়ে আমাদেরকে তদন্তের আপডেট দিতে হবে। যেভাবেই হোক ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের মাধ্যমে সাজিদ হত্যার বিচার করেই ছাড়বো আমরা।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন,”গতদিন বলেছিলাম ভিসেরা রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একশনে যাবে। সাজিদের হত্যাকাণ্ডে খুনিদের অবশ্যই বিচার হবে। যেহেতু সাজিদ হত্যা হয়েছে সেহেতু এটা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে যাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সকল সহযোগিতা করবে। ভিক্টিমের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে আজকের মধ্যে মামলা করা হবে। যেহেতু আগেই জিডি এন্ট্রি করা হয়েছিল সেহেতু মামলা ফরমাল ওয়েতে হবে। আজকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় সিন্ডিকেট মিটিং ডেকেছি। দোষীদের বিচার নিশ্চিত হবে এবং কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তোমরা ক্লাস পরীক্ষা সহ একাডেমিক সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করো।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জুলাই আমাদের অস্তিত্ব, আদর্শ ও প্রেরণা: ইবি উপাচার্য

ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, জুলাই আমাদের অস্তিত্ব, আদর্শ ও প্রেরণা। জুলাই আগস্টের বিপ্লব’ই হলো আগামী দিনের পথ নির্দেশিকা। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ব, ফ্যাসিস্টকে আর ফিরতে দেব না। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে ও সুশিক্ষিত সমাজ গড়তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্টেকহোলডারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের নিচে জুলাই-আগস্ট ১ম বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটি আয়োজিত ডিজিটাল প্লাটফর্ম ডকুমেন্টেশন প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি। জানা গেছে, এটি সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে জুলাই বিপ্লব এই ডিজিটাল ডকুমেন্টেশন আমাদের হৃদয়ে সংগ্রহশালার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালায় আজীবন থাকবে যা বিশ্ববিদ্যালয় সকল শিক্ষার্থী এবং নতুন যারা আসবে সবাই জুলাই বিপ্লবকে উপলব্ধি ও ধারণ করবে। ফ্যাসিস্ট রিজ্যম নির্মুল করার জন্য ছাত্রজনতা যে অবদান রেখেছিল সে সম্পর্কে জানবে।
উল্লেখ্য, এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম ও জুলাই প্রথম বার্ষিকী বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.মো. শাহিনুজ্জামান ও কমিটির উপদেষ্টা সদস্য অধ্যাপক ড. আ.ব.ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৩ আগস্ট) ‘জাস্টিস ফর শহীদ সাজিদ আব্দুল্লাহ’ ব্যানারে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্বিবদ্যালয়ের জিয়া মোড়ে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল রের হয়ে প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হন তারা।
এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় আগামীকাল (৪ আগস্ট) বেলা ১১ টায় প্রশাসন ভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এসময় আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক বলেন, ‘পুকুরে সাজিদের লাশ পাওয়ায় পর থেকে প্রশাসন তালবাহানা শুরু করেছে।তারা বলেছিল ২৪ ঘণ্টার ভিতরে রিপোর্ট দিবে কিন্তু সেই রিপোর্ট দিয়েছে ৪৮ ঘণ্টার পরে। এই তালবাহানা আর মেনে নেওয়া হবে না। ফরেনসিক রিপোর্ট মতে, সাজিদ আব্দুল্লাহকে রাত তিনটার দিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। প্রশাসনকে বলতে চাই- আপনারা হত্যাকারীকে দ্রুত চিহ্নত করে বিচার নিশ্চিত করুন। তা না করতে পারলে ছাত্রজনতা তাদের পথ বেছে নেবে।’
আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হোসেন বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থকণ্ঠে বলতে চাই, সাজিদ আমার-আপনার সবার ভাই, সে তার বুকে আল-কুরআনকে ধারণ করেছিল। আমি বলতে চাই, যে বা যারা সাজিদকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের অতিদ্রুত বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী পুষ্প বলেন, ‘আমার বন্ধুর মৃত্যু একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই প্রশাসন যদি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করতে না পারে, তারা নিজেদেরকে একটি পঙ্গু প্রশাসন হিসেবে প্রমাণ করবে। এ ক্যাম্পাসে আর কোনো সাজিদ যেন প্রাণ না হারায় সে ব্যাপার নিশ্চিত করুক প্রশাসন। আমরা চাই পিবিআইকে যেন এই তদন্তের ভার হস্তান্তর করা হয়। আমরা চাই প্রশাসনের উদ্যোগে একটি মামলা দায়ের করুক। আমরা আর কোনো তাল-বাহানা চাই না।’
শাখা ছাত্রদলের সদস্য নুর উদ্দিন বলেন, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই ঘরে থাকার সময় নাই। আমরা চাই পিবিআই সহ বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করুন। যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাজিদ হত্যাকারীদের কাউকে গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন করে দেয়া হবে।’
ইবি শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না অলি (ছাত্রশিবির নেতা) বলেন, ‘যেই হত্যাকারী হোক না কেন ১৭৫ একরে তার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে যে আন্দোলনের ডাক দিবেন কোনো দল মত না ভেবে আন্দোলনে থাকবো। আমরা দেখতে চাই কতবড় কালিজাধারী ব্যক্তি ১৭৫ সাজিদকে হত্যা করেছে।
অর্থসংবাদ/কাফি/সাকিব