ব্যাংক
ব্যাংকগুলোর সিএসআর খাতে ব্যয় কমেছে ১৮ শতাংশ
সামাজিক দায়বদ্ধতা (করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি বা সিএসআর) খাতে ২০২৩ সালে ৯২৪ কোটি ৩২ লাখ ব্যয় করেছে ব্যাংকগুলো। যা আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বা ২০৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা কম। ২০২২ সালে এ খাতে ব্যয় করেছিল ১ হাজার ১২৯ কোটি টাকা।
বুধবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সিএসআর সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে স্বাস্থ্য এরপর শিক্ষা এবং পরিবেশ ও জলবায়ু খাতে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট সিএসআর ব্যয়ের ৩০ শতাংশ শিক্ষা খাতে, স্বাস্থ্য খাতে ৩০ শতাংশ, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রশমন ও অভিযোজন খাতে ২০ শতাংশ ব্যয় করতে হবে। বাকি ২০ শতাংশ আয়-উৎসারী কাজ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি এবং অন্যান্য খাতের আওতায় ব্যয় করার নির্দেশনা রয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ৬১টি তফসিলি ব্যাংক ২০২৩ সালে ৯২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করেছে মোট খরচের ৩১ দশমিক ২৬ শতাংশ বা ২৮৯ কোটি টাকা। শিক্ষা খাতে ব্যয় ১৬৩ কোটি ১০ লাখ বা ১৭.৬৫ শতাংশ, পরিবেশ ও জলবায়ু খাতে ব্যয় ৬৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা মোট খরচের ৭.৩৮ শতাংশ এছাড়া অন্যান্য খাতে ব্যয় ৪০৪ কোটি টাকা যা মোট ব্যয়ের ৪৩.৭২ শতাংশ।
প্রতিবেদন বলছে, দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ২০২৩ সালে ৫টি ব্যাংক এক টাকাও সিএসআরে ব্যয় করেনি। এগুলো হলো, বেসিক ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক।
অন্যদিকে, ২০২২ সালে ৯টি ব্যাংক নিট মুনাফা অর্জন করতে পারেনি। সেগুলো হলো, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান।
তবে এ ৯ ব্যাংকের মধ্যে ৫টি নিট মুনাফা অর্জন না করা সত্ত্বেও ২০২৩ সালে সিএসআরে ব্যয় করেছে। ব্যাংকগুলো হলো, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক।
২০১৩ সালের পর লাইসেন্স পাওয়া ১৩টি ব্যাংকে আগের বছরের নিট মুনাফার অন্তত ১০ শতাংশ পরবর্তী বছরে সিএসআর খাতে ব্যয়ের শর্ত রয়েছে। কোনো ব্যাংক নিট মুনাফা করতে না পারলে তারা সিএসআরে ব্যয় করতে পারবে না। নতুন ব্যাংকের বাইরে অন্য ব্যাংক সিএসআরে খরচ করবে কি না, তাদের নিজস্ব বিষয়।
পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চতুর্থ প্রজন্মের ৬টি ব্যাংক (সাউথ-বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড, মধুমতী ব্যাংক লিমিটেড, সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি) আলোচিত সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হয়েছে।
ব্যাংকগুলোর মধ্যে বরাবরের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি সিএসআর ব্যয় করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে ব্যাংকটি এ খাতে ব্যয় করেছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক। যমুনা ব্যাংক ৫৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় করে তৃতীয় অবস্থানে আছে। পর্যায়ক্রমে মার্কেন্টাইল ৫৫ কোটি ৯২ লাখ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ৫৩ কোটি ৬২ লাখ, আল-আরাফাহ ৫১ কোটি ৩২ লাখ, এক্সিম ৪৩ কোটি ৯৩ লাখ, সাউথইস্ট ব্যাংক ৩৯ কোটি ৬৯ লাখ ইউসিবি ৩৮ কোটি ৪০ লাখ এবং ব্যাংক এশিয়া ৩২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। শরিয়াহভিত্তিক পরিচালিত ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো নিট মুনাফার একটি অংশ ছাড়াও সন্দেহজনক আয়, জাকাতসহ অন্যান্য তহবিল সিএসআর থাতে ব্যয় করে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আলোচ্য সময়ে সিএসআর খাতে নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সিএসআর খাতে ব্যয়ে করেছে ৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে ৩৮ শতাংশ শিক্ষায় ৩০ শতাংশ এবং পরিবেশ ও জলবায়ুতে ২১ শতাংশ ব্যয় করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
এক্সিম ব্যাংকে ৪৫০ কোটি টাকার খেলাপি বিনিয়োগ আদায়
গত সেপ্টেম্বর মাসে এক্সিম ব্যাংকের দীর্ঘদিনের অনাদায়ী ৪৫০ কোটি টাকার খেলাপি বিনিয়োগ আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম স্বপন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে মো. নজরুল ইসলাম স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ২০৩তম সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. নূরুল আমিন ফারুক, অঞ্জন কুমার সাহা, স্বতন্ত্র পরিচালক এস এম রেজাউল করিম এবং খন্দকার মামুন, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোঃ ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খান, মোঃ আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এবং কোম্পানি সেক্রেটারি (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
হাসিনাকে বেয়াইন ডেকে অর্থপাচার করতেন বিএবি’র সাবেক সভাপতি
আওয়ামী সরকারের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যাংক খাতে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নাসা গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৪টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার। এসব ঋণ থেকে শত শত কোটি টাকা দুবাই, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন তিনি।
ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে পৃথক অনুসন্ধানে নেমেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
সূত্র বলছে, নজরুল ইসলাম মূলত ২০১৭ সালের পর দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে নিজেকে একক ক্ষমতাধর বলে জানান দেন। এ সময় তার বড় ছেলে ওয়ালিদ ইবনে ইসলামের সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের ভায়রার মেয়ের বিয়ে হয়। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে শেখ হাসিনাকে তিনি বোন (বেয়াইন) ডাকা শুরু করেন। সম্পর্কের নতুন মোড়ে নিজের আধিপত্য বিস্তার করেন নজরুল ইসলাম।
জানা যায়, বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদে দেশের ব্যাংক খাতের অন্যতম মাফিয়া বনে যান। এ সুবাদে তিনি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবির চেয়ারম্যান পদ পেয়ে যান। আর্থিক খাতের নানা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির টাকায় দেশ-বিদেশে গড়ে তোলেন অঢেল সম্পদ। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের একাধিক দেশে রয়েছে তার বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ। তবে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেফতারের সংবাদ দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সূত্র জানায়, লন্ডন এবং হংকং ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে মজুমদারের বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে। সেখানে রিয়েল এস্টেট খাতে একাধিক কোম্পানি খুলে তিনি ব্যবসা করছেন। এছাড়া ২০১৫ সালের দিকে তিনি সৌদি আরবের কৃষি খাতে বিনিয়োগ করেন। সৌদির একাধিক খেজুর বাগানে বিনিয়োগ রয়েছে তার। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এবং কাতারের রাজধানী দোহায় তার সম্পদ রয়েছে বলে জানা গেছে।
নজরুল ইসলাম মজুমদার পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠান নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নজরুল ইসলাম মজুমদারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী নাছরিন ইসলাম ও তাঁদের ছেলে-মেয়েদের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ন্যাশনাল ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিচ্ছে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক
তারল্য সংকটে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকের আর্থিক পরিস্থিতি উন্নয়নে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, এক হাজার কোটি টাকার বেশি তারল্য সহায়তা পেয়েছে দুর্বল পাঁচটি ব্যাংক। এখন পর্যন্ত ছয়টি সবল ব্যাংক এ সহায়তা করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারল্য সহায়তা দেওয়া ছয়টি ব্যাংকের একটি হলো বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক।
তারল্য সহায়তা পেয়েছে ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এসআইবিএল, এক্সিম ও ন্যাশনাল ব্যাংক।
এর আগে ভালো অবস্থায় থাকা ১০ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা গত সপ্তাহে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সহায়তা দিতে সম্মত হন।
ডজনখানেক বাণিজ্যিক ব্যাংককে টাকা না ছাপিয়ে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তার উপায় হিসেবে এই ব্যবস্থার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে গ্যারান্টিচুক্তি করেছে ৭টি ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, আমরা আশা রাখছি আমরা যে মেকানিজমটা উন্নয়ন করেছি সেটার ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে অন্য যারা সবল ব্যাংক তারা দ্রুত এগিয়ে আসবে। আমরা একটা এগ্রিমেন্ট করেছি, বাংলাদেশ ব্যাংক এক পা এগিয়ে এসেছে, ওই ব্যাংকগুলোর সঙ্গে এগ্রিমেন্ট করে ফেলেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
স্ত্রীসহ সাকিব আল হাসানের ব্যাংক হিসাব তলব
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান, তার স্ত্রী উম্মে রোমান আহমেদ শিশিরসহ ৬ জনের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য তলব করা হয়েছে। বুধবার (০২ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
জানা গেছে, সাকিবের পুঁজিবাজারে কারসাজি ও আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজির করে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিএসইসি সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবুল খায়ের হিরুকে জরিমানা করা হয় ২৫ লাখ টাকা। শেয়ার কারসাজির অভিযোগে হিরুর ব্যাংক হিসাব গত ২০ আগস্ট থেকে জব্দ রয়েছে।
আরও যাদের ব্যাংক হিসাব চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- আবুল খায়ের হিরুর বাবা আবুল কালাম মাদবর, হিরুর ভাই মোহাম্মদ বাশার, বোন কনিকা আফরোজ ও ব্যবসায়ী মো. নাজমুল বাশার খানের ব্যক্তিগত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে চিঠি দেয় বিএফআইইউ।
এমআই