কর্পোরেট সংবাদ
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা নগদে, চিন্তামুক্ত অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা

মাধ্যমিক পর্যায়ের ৫৪ লাখ অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তি নিশ্চিত করতে সহায়তা দেবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। বিতরণ করা হবে দেশের অন্যতম সেরা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের মাধ্যমে। আগে থেকেই এর একটি বড় অংশ নগদের মাধ্যমেই এই সহায়তা পেয়ে আসছিল।
তবে এবার বিভিন্ন জায়গায় না রেখে সব শিক্ষার্থীরা আর্থিক সহায়তা এক জায়গায় করায় অসচ্ছল ও দরিদ্র শিক্ষার্থীরা দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছেন।
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এই প্রকল্পের আওতায় এককালীন ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা পাবেন। এই টাকা পেতে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে অনলাইনে আবেদন করেছেন। খুব দ্রুতই এর বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই ভাতা বিতরণ করা হলেও ভেতরে ভেতরে নানান বিশৃঙ্খলা থেকেই গিয়েছিল। সহায়তা বিতরণ প্রক্রিয়ায় শৃঙ্খলা আনতে এবার শুধু মাত্র নগদের মাধ্যমে এটি বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মান্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।
এতোদিন নগদসহ আরো কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এবং ব্যাংকের মাধ্যমেও বিতরণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের এই সহায়তা। কিন্তু বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিতরণ করতে গিয়ে তারা বেশ কিছু সমস্যায় পড়েন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, “সহায়তার অর্থ সঠিকভাবে বিতরণ হচ্ছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষন এবং যাচাই বাছাই করাই আমাদের জন্যে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্যে আমরা একটি প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিয়েছি। তাছাড়া গত কয়েক বছর ধরে প্রাথমিক পর্যায়ের দেড় কোটির মতো শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি যেহেতু সফলবাবে নগদের মাধ্যমে বিতরণ হয়েছে সে কারণে আমাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়েছে।”
একদিকে শিক্ষার্থীরাও নগদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পাওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। গোপালগঞ্জের ওহাব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কামরান জানায়, এর আগে প্রাথমিক পর্যায়ে নগদের মাধ্যমে উপবৃত্তি পেয়েছে সে। ফেলে নগদের ওপরে তার এক রকম বাড়তি আস্থা তৈরী হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের ওই কর্মকর্তা বলেন, এর আগে তারা দেখেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সফটওয়ার বিভিন্ন রকম হওয়ায় তারা তাদের মতো করে বিভিন্ন পন্থায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তার এই অর্থ বিতরণ করে থাকেন। আর একেক প্রতিষ্ঠান একেক পদ্ধতিতে কাজটি করায় তাদের জন্যে এ এক বড় সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্যেই নগদের স্মরণাপন্ন হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।
অন্যদিকে আবার গ্রাহক সংখ্যায় নগদ এখন দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে নয় কোটির ওপর নিবন্ধিত গ্রাহক আছে তাদের। সারা দেশে রয়েছে পৌনে তিন লাখ এজেন্ট পয়েন্ট। ফলে যে কোনো জায়গা থেকে যে কোনো সময় টাকা উত্তোলন করাও সম্ভব। এ কারণেই সরকার তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা বিতরণে পছন্দ করে থাকতে পারে বলে জানান নগদের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
“গত কয়েক বছরে সরকারের ভাতা ও সহায়তা বিতরণ পক্রিয়াকে আমরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে এনেছি। আমাদের ধারে কাছেও এখন আর কেউ নেই। এ কারণেই হয়তো সরকারি সংস্থাগুলো নগদের সেবাই বারবার নিতে চাইছে,” বলেন নগদের হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন জাহিদুল ইসলাম সজল।
“প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সহায়তা বিতরণ একটি স্পর্শকাতর প্রকল্প। সেটিও নগদকে বেছে নেওয়ার কারণ হতে পারে। আর নগদের খরচ তো সব সময়ই অনেক কম। এসবই নগদকে সব সময় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখে,” বলেন তিনি।
এর আগে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, ট্রাস্ট থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৪ সালে মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ে ভর্তিকৃত ও অধ্যয়নরত অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে ভর্তি–সহায়তা দেওয়া হবে। ভর্তি–সহায়তা পেতে তখন শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে অবেদন করতে বলা হয়।
এই সহায়তা পাওয়ার জন্যে মা–বাবা বা অভিভাবকের বার্ষিক আয় দুই লাখ টাকার কম হতে হবে। তাছাড়া সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীর সন্তানেরাও আর্থিক অনুদান পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে।
ভর্তি–সহায়তা পেতে শিক্ষার্থীদের ছবি, স্বাক্ষর, জন্মনিবন্ধন সনদ, অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র, নির্ধারিত ফরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশ থাকতে হবে।
এর আগে ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় এক হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হয়। সেখান থেকেই প্রতিবছর মাধ্যমিক, উচ্চা মাধ্যমিক এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের দরিদ্র এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন সহায়তা দেওয়া হয়।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫ হাজার টাকা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ হাজার টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা হারে ভর্তি–সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
এএমএফ এশিয়া মার্কেটিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ইমরান কাদির

‘এশিয়া ইয়ুথ, ওমেন নেটিজেন মার্কেটিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক পুরস্কার জিতেছেন দ্য ডেইলি স্টারের বিক্রয় ও বিপণন প্রধান এবং তরুণদের আন্তর্জাতিক সংগঠন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি ইমরান কাদির। যা এশিয়ার ‘টপ অউটস্টান্ডিং ইয়ুথ মার্কেটার অব দ্য ইয়ার ২০২৫’ নামে স্বীকৃত। আগামী নভেম্বরে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে অনুষ্ঠান আয়োজন করে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশনের (এএমএফ) ১৭টি সদস্যদেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে তিনি এই পুরস্কার জিতেছেন। দেশগুলো হচ্ছে- কম্বোডিয়া, চীন, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার, নেপাল, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম।
এএমএফ’র পাঠানো এক চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, জুরিবোর্ডের সদস্যরা সমস্ত জমা দেওয়া কাগজপত্রের একটি সূক্ষ্ম মূল্যায়ন করেছেন এবং আগামী নভেম্বর মাসের ১২ থেকে ১৫ তারিখে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরষ্কার প্রদান করা হবে। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে এশিয়ার মার্কেটিং পেশাদারদের নেতারা উপস্থিত থাকবেন ।
ইমরান কাদির পেশায় একজন গণমাধ্যমকর্মী, বর্তমানে দ্য ডেইলি স্টারের বিক্রয় এবং বিপণন প্রধান হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকটি স্টার্টআপ ব্যবসার অংশীদার। তিনি মিশন সেভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ইমরান স্নাতক সম্পন্ন করেছেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে। বিনিয়োগ বিষয়ে আগ্রহ থেকে তার লেখা বই রোড টু ওয়েলথ, পাঠক মহলে সমাদৃত।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল ও প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খান, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ওয়ানপ্লাস দেশে আনল নতুন নর্ড ৫ সিরিজের স্মার্টফোন, আইওটি ডিভাইস

বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশে তাদের নর্ড সিরিজের দুটি নতুন স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে। বুধবার (৯ জুলাই) এক জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ওয়ানপ্লাস নর্ড ৫ এবং ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই ৫ স্মার্টফোন দুটি উন্মোচন করে।
নতুন নর্ড ৫ মডেলে রয়েছে কোয়ালকমের সর্বাধুনিক স্ন্যাপড্রাগন ৮এস জেন থ্রি মোবাইল প্ল্যাটফর্ম, যা নর্ড সিরিজে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী প্রসেসর হিসেবে বিবেচিত। অন্যদিকে নর্ড সিই ৫ মডেলে রয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৮৩৫০-অ্যাপেক্স চিপসেট, যা দ্রুতগতির পারফরম্যান্স ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি সুবিধা দেবে।
ওয়ানপ্লাসের প্রতিষ্ঠাতা পিট লাউ বলেন, “ওয়ানপ্লাস নর্ড সিরিজে আমরা সাধারণ কিন্তু আকর্ষণীয় ডিজাইনের সঙ্গে উচ্চমানের প্রযুক্তির সমন্বয় করেছি। এ কারণে আমরা বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের ভালোবাসা পেয়েছি। আমরা সব সময়ই উন্নতির পথে—এই নীতিতে বিশ্বাসী। বিভিন্ন দামের ফোনে উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত করে আমরা প্রযুক্তিকে আরও সহজলভ্য করে তুলছি। আমাদের বিশ্বাস, নতুন নর্ড ৫ সিরিজ ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে।”
গেইমচেঞ্জিং পারফরম্যান্স নিয়ে হাজির নর্ড ৫
ওয়ানপ্লাস নর্ড ৫—নর্ড সিরিজের প্রথম স্মার্টফোন, যাতে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন® ৮ সিরিজের চিপ, স্ন্যাপড্রাগন ৮এস জেন ৩, যা শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও গতিশীল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। ৪ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির চিপসেটটির সঙ্গে রয়েছে দ্রুতগতির এলপিডিডিআর৫এক্স র্যাম। যার আনটুটু স্কোর ১৫ লাখ ৯০ হাজারের বেশি পয়েন্ট অর্জন করেছে। এসব কারণে গেম খেলা, ভিডিও দেখা কিংবা মাল্টিটাস্কিংয়ে মিলবে স্মুথ অভিজ্ঞতা। ডিভাইসটিতে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন এলিট গেমিং™ সুবিধা। এছাড়াও রয়েছে উন্নত গ্রাফিক্স প্রযুক্তি ও তাৎক্ষণিক আলো-ছায়া বিশ্লেষণের সক্ষমতা। পাবজি মোবাইল খেলা যাবে ৯০ এফপিএস গতিতে, (যা বাড়িয়ে নেওয়া যাবে ১৪৪ পর্যন্ত)। একইভাবে কল অব ডিউটি মোবাইলেও মিলবে সর্বোচ্চ ১৪৪ এফপিএস গতি। সর্বাধুনিক কাইরো-ভেলোসিটি ভিসি কুলিং প্রযুক্তির সঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে ফ্ল্যাগশিপ মানের গ্রাফিন স্তর। ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতির ব্যবহারেও ডিভাইসটি থাকে ঠান্ডা, পারফরম্যান্সে ব্যাঘাত ঘটে না।
নর্ড ৫-এর এআই নাইট পোটের্ট প্রযুক্তি সোলো সেলফি ও প্রাণবন্ত রাতের গ্রুপ ফটোতে এনে দেবে ফ্ল্যাগশিপমানের উজ্জ্বল ছবি। ফোনটির ক্যামেরাতে আরও থাকছে রিচ এইচডিআর, বাস্তবসম্মত আলো ও স্বাভাবিক স্কিন টোন। নাইটলাইফের আলোর ঝলকানিতেও ছবি থাকবে ঝকঝকে কারণ এতে রয়েছে ওয়ানপ্লাস-এর এইচডিআর ও ন্যাচারাল কালার অ্যালগরিদমের ৫০ মেগাপিক্সেল সনি এলওয়াইটি-৭০০ মেইন সেন্সর।
ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই৫-এ রয়েছে মিডিয়াটেকের ডাইমেনসিটি ৮৩৫০-অ্যাপেক্স চিপসেট, যা ৪ ন্যানোমিটার টিএসএমসি প্রযুক্তিতে তৈরি। এতে রয়েছে শক্তিশালী আর্মভি৯ অক্টা-কোর প্রসেসর যার গতি সর্বোচ্চ ৩.৩৫ গিগাহার্জ এবং মালি-জি৬১৫ গ্রাফিক্স প্রসেসর। দ্রুতগতির এলপিডিডিআর৫এক্স র্যামের সমন্বয়ে নর্ড সিই৫ আন্টুটু বেঞ্চমার্কে ১৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি পয়েন্ট অর্জন করেছে। ফলে গ্রাফিক্স প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতায় ৬০ শতাংশ উন্নতি এবং ৫৫ শতাংশ পাওয়ার সাশ্রয় করে।
বিশাল ব্যাটারি, দীর্ঘস্থায়ী শক্তি
নর্ড ৫-এ থাকছে ৬৮০০ এমএএইচের শক্তিশালী ব্যাটারি, যা একবার চার্জে দুই দিন পর্যন্ত চলতে পারে। আর নর্ড সিই৫ মডেলে রয়েছে আরও বড় ৭১০০ এমএএইচের ব্যাটারি এবং ৮০ ওয়াটের সুপারভুক ফাস্ট চার্জিং। ফোনটি মাত্র ৫৬ মিনিটেই সম্পূর্ণ চার্জ করা যায়। ব্যাটারি হেলথ ম্যাজিক ও বাইপাস চার্জিং প্রযুক্তির সাহায্যে ফোনগুলো স্মার্টভাবে শক্তি ব্যয় করে, তাপ কমায় এবং দীর্ঘ সময় গেমিং ও কাজের ব্যাকআপ দেয়। এতে ব্যবহারকারীরা নিশ্চিন্তে ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেমে নতুন সংযোজন
নর্ড ৫ সিরিজের পাশাপাশি ওয়ানপ্লাস তাদের ইকোসিস্টেমকে আরও কানেক্টেড করেছে তাদের নতুন ডিভাইস—ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ৩, ওয়ানপ্লাস বাডস ৪ এবং শক্তিশালী ওয়ানপ্লাস প্যাড ৩ দিয়ে।
ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ৩-এ ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক ওয়্যার ওএস ৫ অপারেটিং সিস্টেম, পাওয়ার সেভার মোডে ১৬ দিন পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। ৬০ সেকেন্ডে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সুবিধায় ৬টি গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক সূচক পরিমাপ করা যায়। টাইটানিয়াম ডিজাইন ও দুটি শক্তিশালী চিপসেটের সমন্বয়ে এতে রয়েছে শতাধিক স্পোর্টস মোড, যা ব্যবহারকারীর ফিটনেস ট্র্যাকিংকে করে আরও উন্নত ও নির্ভরযোগ্য।
ওয়ানপ্লাস বাডস ৪ দেয় সর্বোচ্চ ৪৫ ঘণ্টার ব্যাটারি লাইফ। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর বাস্তব সময় ভাষান্তর সুবিধা এবং সহজ স্লাইড ইশারা নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এছাড়া, ব্লুটুথ সংযোগে স্থিতিশীলতার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে স্টেডি কানেক্ট প্রযুক্তি এবং একই সঙ্গে দুইটি ডিভাইসের সঙ্গে সংযোগের সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা স্মুথ ও স্মার্ট অডিও অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। ওয়ানপ্লাস প্যাড ৩-তে দেওয়া হয়েছে শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট চিপসেট, ১৩.২ ইঞ্চির স্টানিং ১৫৫ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৩.৪কে ডিসপ্লে। সঙ্গে রয়েছে স্টাইলো পেন ও তিনভাঁজ ফোলিও কভার, যা ব্যবহারকে আরও আরামদায়ক করে তুলে ও ডিভাইসকে সুরক্ষিত করে তোলে।
পাশাপাশি বাজারে এসেছে প্যাড লাইট এবং ওয়্যারলেস হেডফোন, যা মিলিয়ে ওয়ানপ্লাসের প্রযুক্তি জগৎকে করেছে আরও শক্তিশালী ও সমন্বিত।
দাম ও কবে পাওয়া যাবে
বাংলাদেশে ওয়ানপ্লাস নর্ড ৫ ফাইভজি এবং নর্ড সিই৫ ফাইভজি আগামী ১৬ জুলাই থেকে অনলাইনে দারাজ, পিকাবু, ডলবেয়ার, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ারে এবং একইসঙ্গে অফলাইনে পাওয়া যাবে। মার্বেল স্যান্ড ও প্যান্টম গ্রে রঙে নর্ড ৫ (১২+৫১২জিবি) পাওয়া যাবে ৫৩,৯৯৯ টাকায় এবং মার্বেল মিস্ট ও ব্ল্যাক ইনফিনিটি রঙে নর্ড সিই৫ (৮+২৫৬জিবি) পাওয়া যাবে ৩৫,৯৯৯ টাকায়।
ডিভাইসগুলো ৯ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রি-অর্ডার করা যাবে। প্রি-অর্ডারের থাকছে এক বছরের ডিসপ্লে রিপ্লেসমেন্ট সুযোগ এবং র্যাফেল ড্রতে পুরস্কার হিসেবে থাকছে একটি কিনলে আরেকটি জেতার সুযোগ অথবা প্রিমিয়াম ব্যাক কাভার।
ওয়ানপ্লাস প্যাড ৩ পাওয়া যাচ্ছে (১২+২৫৬জিবি) ৭৩,৪৯৯ টাকায় ফ্রস্টেড সিলভার ও নিম্বাস গ্রে রঙে, আর স্ট্রম ব্লু (১৬+৫১২জিবি) ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে ৭৮,৯৯৯ টাকায়। প্যাড লাইট পাওয়া যাচ্ছে ২৯,৪৯৯ টাকায়। এছাড়াও ওয়ানপ্লাস স্মার্ট কিবোর্ড এবং স্টাইলো ২ শিগ্রই উন্মোচন করা হবে। পাশাপাশি ওয়ানপ্লাস ওয়ান ৩ এমারেল্ড টাইটান রঙে পাওয়া যাচ্ছে ৩৩,৯৯৯ টাকায় এবং ওয়ান ৪৩এমএম ব্ল্যাক ও সিলভার স্টিল রঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে ৩০,৪৯৯ টাকায়। ওয়ানপ্লাস বার্ডস ৪ দুটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে ৯,৯৯৯ টাকায়।
সবগুলো ডিভাইস ওয়ানপ্লাসের অফিসিয়াল ফ্ল্যাগশিপ স্টোর, এক্সক্লুসিভ ব্র্যান্ড স্টোর এবং অনলাইনে দারাজ, পিকাবু এবং গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ারে পাওয়া যাবে। ওয়ানপ্লাসের সব আইওটি ডিভাইসগুলোতে পাওয়া যাবে এক বছরের ওয়ারেন্টি।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং: ২০ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির এজেন্ট ব্যাংকিং আমানত সংগ্রহে ২০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করে দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং সেক্টরে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। এটি দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট আমানতের প্রায় ৪২ শতাংশ ও এখাতে সর্বোচ্চ। সরাসরি ব্যাংকিং সেবা থেকে বঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিযুক্ত এজেন্টের মাধ্যমে সহজে ব্যাংকিং সেবায় অন্তর্ভুক্তি করে আসছে ইসলামী ব্যাংক।
২০১৭ সালে কার্যক্রম শুরু থেকে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকদের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতায় খুব দ্রুত প্রসার লাভ করেছে। মাত্র নয় বছরের ব্যবধানে ২০ হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম আস্থার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে দেশের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। বর্তমানে গ্রাহকের সংখ্যা ৫৩ লাখের বেশি। এর সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো, গ্রাহকদের প্রায় অর্ধেকই নারী। আবার গ্রাহকদের সিংহভাগই গ্রাম এলাকার। এই গ্রাহকরা নির্বিঘ্নে আমানত জমা ও উত্তোলন করছেন যেখানে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ গড়ে প্রায় ১ হাজার কোটির বেশি।
এছাড়া, এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে প্রবাসী আয় বিতরণেও রয়েছে আরেকটি বড় সফলতা। বর্তমানে দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আহরণে ব্যাংকটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। ২০২৪ সালে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা, যা এ খাতের মোট রেমিট্যান্সের ৫৪ শতাংশেরও বেশি। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত এই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। ব্যাংকের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা সহজেই তাদের প্রাপ্য অর্থ উত্তোলন করতে পারছেন। এই সেবা দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী আয়ের প্রবাহকে শক্তিশালী করছে এবং হুন্ডির মতো অবৈধ চ্যানেল ব্যবহারে গ্রাহকদের নিরুৎসাহিত করছে।
ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং বর্তমানে দেশের ৪৭২টি উপজেলায় ২৭৯১টি আউটলেটের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এই আউটলেটগুলোর অধিকাংশই প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত, যেখানে ঐতিহ্যগত ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানো কঠিন। প্রতিটি আউটলেট ব্যাংকের শাখা থেকে সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালনার মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের সেবা, আর্থিক নিরাপত্তা ও আস্থার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যেমন সেলফিন অ্যাপ, আই-ব্যাংকিং, পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) এবং কিউআর কোডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের সুবিধা গ্রাহকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় ও সহজলভ্য করে তুলেছে।
ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (আরডিএস) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে ১৩৫টি এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ বিতরণ করা হচ্ছে, যা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থিক ক্ষমতায়ন ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সহায়ক হচ্ছে। এই বিনিয়োগ কার্যক্রম গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করছে এবং স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে।
ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ২০ হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহের সাফল্যের পেছনে রয়েছে বেশ কিছু মূল কারণ। ব্যাংকটির আমানতদারিতা ও শরীয়াহ পরিপালনে একনিষ্ঠতা গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনার প্রতি ব্যাংকের অঙ্গীকার ও স্থানীয় পর্যায়ে এজেন্ট আউটলেটের স্বত্বাধিকারীদের পরিচিতি গ্রাহকদের সাচ্ছন্দ্য বোধ করতে সহায়ক হয়েছে। এছাড়া, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ব্যয়-সাশ্রয়ী সেবা প্রদান এই সাফল্যকে আরও ত্বরান্বিত করেছে।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ থেকে বাংলালিংকে সর্বোচ্চ রিচার্জকারীরা জিতলেন বাইক, এসি-ফ্রিজ

বিকাশ থেকে বাংলালিংক নাম্বারে সর্বোচ্চ অ্যামাউন্ট রিচার্জ করে গ্রাহকরা জিতে নিয়েছেন বাইক, এসি ও ফ্রিজ কুপন। পাশাপাশি, ২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত চলা মেগা গিফট ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন সর্বোচ্চ রিচার্জকারী ৫০ জন গ্রাহক পেয়েছেন ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন অংকের ক্যাশব্যাক। গ্রাহকদের নিত্য প্রয়োজনীয় মোবাইল রিচার্জ সেবাটিকে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতেই এই ক্যাম্পেইনটির আয়োজন করে বিকাশ ও বাংলালিংক।
ক্যাম্পেইনে সর্বোচ্চ রিচার্জকারী গ্রাহকের জন্য ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা মূল্যের মোটরবাইক কুপন। ২য় এবং ৩য় সর্বোচ্চ রিচার্জকারী পান যথাক্রমে ৪৮ হাজার টাকা মূল্যের এসি কুপন এবং ৩৯ হাজার টাকা মূল্যের ফ্রিজ কুপন। সম্প্রতি বিকাশ কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে মোটরবাইক, এসি, ও ফ্রিজের কুপনগুলো তুলে দেয়া হয়।
বিকাশে অন্যতম জনপ্রিয় সেবা- অ্যাপ অথবা ইউএসএসডি কোড *২৪৭# -এর মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ করা যায়। আর এই সেবায় বিকাশের সঙ্গে শুরু থেকেই যুক্ত আছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক। বিকাশ থেকেই সবচেয়ে সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ইন্টারনেট, মিনিট, বান্ডেল, স্পেশাল রেট, বিনোদন সহ মোবাইল রিচার্জের বিভিন্ন অফার পছন্দানুযায়ী গ্রহণ করতে পারছেন গ্রাহকরা।
কাফি