কর্পোরেট সংবাদ
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উঠে এলো সেরা পরিবেশবান্ধব সমাধান

সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল বেঙ্গল ক্যানারি পার্কে আয়োজিত হয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘বিল্ডিং এজেন্সি ফর ইয়ুথ ইন ক্লাইমেট অ্যাকশন’ কার্যক্রমের আওতাধীন ‘অ্যাকসেলারেটিং গ্রিন ইনোভেশন থ্রু ইয়ুথ অন্টারপ্রনারশিপ’র (এগিয়ে ২.০) গ্র্যান্ড ফিনালে। অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের সাথে যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ুথ এনভায়রনমেন্টাল ইনিশিয়েটিভ (বিওয়াইইআই)। আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
‘এগিয়ে’ মূলত ব্রিটিশ কাউন্সিলের “বিল্ডিং এজেন্সি ফর ইয়ুথ ইন ক্লাইমেট অ্যাকশন” কার্যক্রমের একটি অংশ, যা টেকসই জীবিকা নিশ্চিতের লক্ষ্যে তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং জলবায়ুগত ঝুঁকির মুখে থাকা সমাজ ও সম্প্রদায়ের মানুষদের টিকে থাকার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এগিয়ে ২.০’র প্রাথমিক পর্যায়ে পরিবেশবান্ধব ব্যবসার পরিকল্পনা জমাদানের জন্য উন্মুক্ত আহ্বান জানানো হয়, যার মাধ্যমে ১৩৫টি পরিবেশবান্ধব ব্যবসার ধারণা (গ্রিন বিজনেস আইডিয়া) জমা পড়ে। এর মধ্য থেকে পরবর্তীতে সেরা ২০টি ব্যবসার ধারণা জমাদানকারী সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের নিয়ে ৯-১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আয়োজিত হয় ‘গ্রিন অনট্রেপ্রনারশিপ বুটক্যাম্প’ (জিইবি)। খুলনায় আয়োজিত এই বুটক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীদেরকে পরিবেশবান্ধব ব্যবসায় পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবেশগত পরিস্থিতি বিশ্লেষণের পাশাপাশি বিপণন, বন্টন, ও অর্থ সংস্থান সহ নানা ব্যবসায় সংক্রান্ত বিষয়ে গভীর প্রশিক্ষণ দান করা হয় ও প্রাসঙ্গিক দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে শীর্ষ ১০টি আইডিয়া আয়োজনের গ্র্যান্ড ফিনালে’তে পৌঁছায়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন স্টার্টআপ খাতসংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী ও প্রতিনিধিবৃন্দ, স্বনামধন্য আইএনজিও ও আইজিও’র কর্মকর্তাগণ, এবং বেসরকারি খাতসহ বিভিন্ন খাতের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ।
সেরা আইডিয়াগুলোর কেন্দ্রে ছিল দেশের ভিন্ন ভিন্ন জেলার বৈশিষ্ট্য ও প্রাসঙ্গিকতা, যার মধ্য দিয়ে দেশের কুমোর, নানা ঐতিহ্যবাহি শিল্পের কারিগর এবং চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসী কৃষকসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উন্নত সক্ষমতা তৈরির উদ্দেশ্য ফুটে ওঠে। কয়েকটি আইডিয়ায় প্লাস্টিক ও অন্যান্য অটেকসই উপকরণের জৈবিকভাবে পচনশীল বিকল্প তৈরির পরিবেশগত সুবিধার ওপর জোর দেয়া হয়। রাসায়নিক সার এবং কীটনাশকের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর লক্ষ্যেও কার্যকরী ব্যবসায় পরিকল্পনার ধারণা দেন শীর্ষ প্রতিযোগিরা। এছাড়াও, তাদের আইডিয়ায় লবণাক্ততার সম্মুখীন অঞ্চলসমূহে সুপেয় পানির অভাব, নিরাপদ খাদ্য সংস্থানের অভাবসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা উঠে আসে।
অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত ১০ প্রতিযোগীর মধ্য থেকে সেরা ৪টি আইডিয়া বাছাই করেন জুরি প্যানেলের বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞ বিচারকমণ্ডলী। বিভিন্ন শিল্পখাতের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত জুরি প্যানেলের বিবেচনায় নির্বাচিত এই ৪টি ব্যবসায় ধারণাকে বাস্তব রূপদান ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে সিড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে অর্থায়ন ও দিকনির্দেশনা দেয়া হবে। জুরি প্যানেলের সদস্য হিসেবে ছিলেন লাইটক্যাসেল পার্টনার্স এর সিইও বিজন ইসলাম; ফিউচার স্টার্টআপের সিইও রুহুল কাদের; বিকাশ ও ব্র্যাক ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরস’এর সদস্য ফাহিমা চৌধুরী; ইউবিআইএনআইজি’র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফরিদা আক্তার; এবং জেডএ ক্যাপিটাল অ্যাডভাইজরি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাকিবুল ইসলাম।
আয়োজনে মোহাম্মদ আজিজুল হকের ‘ইকোকাটলার’, ফারহা বিনতে ফিরোজের ‘থার্স্ট রিলিফ’, ফারহান বিন হাবিবের ‘নিরাপদ শুঁটকি ঘর’ এবং মালবিকা দীপান্বিতা রয়ভেলির ‘গুণবতী’ শীর্ষক ব্যবসায় আইডিয়া গুলো যথাক্রমে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ স্থান অর্জন করে।
‘ইকোকাটলার’ প্লাস্টিকের ছুরি-চামচের বিকল্প হিসেবে বাঁশ, কাঠ, পাটের খড়ি, এবং পুনঃব্যবহারযোগ্য বাঁশের খড়ের ব্যবহার উৎসাহিত করে। “থার্স্ট রিলিফ” লবণাক্ততা-প্রবণ উপকূলীয় সম্প্রদায়ের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের পানি বিশুদ্ধীকরণের প্রস্তাবনা রাখে। ‘নিরাপদ শুঁটকি ঘর’ রাসায়নিকমুক্ত উপায়ে শুঁটকি মাছ প্রক্রিয়াকরণ এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সম্প্রদায়কে ক্ষমতায়নের সুযোগ তৈরি করে। “গুণবতী” কারুশিল্পকে প্লাস্টিকের পরিবেশ-বান্ধব বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং ঐতিহ্যবাহী শিল্পের কারিগরদের ক্ষমতায়নে কাজ করে।
বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর অব প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করেন। তার বক্তব্যে জনমিতিক লভ্যাংশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জলবায়ু-সচেতন যুবপ্রজন্ম গড়ে তোলা এবং পরিবেশবান্ধব ব্যবসায় উদ্যোগ সমূহ আরো উৎসাহিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের ধারাবাহিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তা উঠে আসে।
বাংলাদেশের নানাবিধ সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান উপস্থাপন করায় জুরি প্যানেলের অন্যতম সদস্য ফাহিমা চৌধুরী শীর্ষ ১০টি আইডিয়ার প্রশংসা করেন। এগিয়ে’র মতো কার্যক্রম কীভাবে তরুণ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারে এবং এর মাধ্যমে তারা কীভাবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সুযোগ অনুসন্ধান করতে পারেন – সে প্রসঙ্গে জোর দেন ফাহিমা চৌধুরী।
বিওয়াইইআইর কো-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সৈয়দ মুনতাসির রিদওয়ান প্রান্তিক সমাজের তরুণদের মধ্যে নিহিত অপার সম্ভাবনার উল্লেখ করে বলেন, ব্যবসায় উদ্যোগ এবং উদ্ভাবনীকে কাজে লাগিয়ে তারা তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনীতি এবং পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতায় পরিবর্তন আনতে পারে। তবে তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য আমাদের একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থার প্রয়োজন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংকের নতুন সংযোজন আমেরিকান এক্সপ্রেস মেটাল কার্ড

বাংলাদেশের প্রথম আমেরিকান এক্সপ্রেস মেটাল কার্ড নিয়ে এলো দেশের বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংক লিমিটেড পিএলসি। এর নাম সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্ল্যাটিনাম রিজার্ভ ক্রেডিট কার্ড। আমন্ত্রণের মাধ্যমে প্রাপ্ত এ কার্ড ব্যক্তিগত সেবা, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সহায়তা, সাশ্রয় এবং আকর্ষণীয় সুবিধার সমন্বয়ে গঠিত, যা গ্রাহকের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার একটি হোটেলে সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্ল্যাটিনাম রিজার্ভ ক্রেডিট কার্ড উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক অরূপ হায়দার, হেড অব কার্ড তৌহিদুল আলমসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই কার্ডে মেম্বাররা তাদের জীবনধারার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ২০ হাজার টাকা মূল্যের এক্সক্লুসিভ ওয়েলকাম গিফট ভাউচার পাবেন। দুই বছরের জন্য বিনামূল্যে ট্যাবলেট প্লাসের মেম্বারশিপ উপভোগ করবেন। যা আন্তর্জাতিক বিলাসবহুল বুটিক হোটেল এবং ব্র্যান্ডসমূহে বিশেষ সুবিধা দেবে ব্যাংকটি।
কার্ড মেম্বাররা এই কার্ডের আওতায় বিনামূল্যে প্রায়োরিটি পাস মেম্বারশিপ পাবেন এবং দুজন অতিথিসহ বিশ্বের এক হাজার ৭০০-এরও বেশি বিমানবন্দর লাউঞ্জে অবারিত প্রবেশাধিকার উপভোগ করবেন। এছাড়াও ফাস্টট্র্যাক ভিআইপি মিট অ্যান্ড গ্রিট সার্ভিসে ১০ শতাংশ ছাড়ে তাদের বিমানবন্দরের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হবে। অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে সিক্সট রেন্ট-এ-কার লয়্যালটি প্রোগ্রামে বিনামূল্যে সদস্যপদ, যেখানে কাউন্টারে প্রাধান্য সেবা, ছাড়, ফ্রি আপগ্রেড এবং আরও অনেক সুবিধা।
এই কার্ডে প্রত্যেক কার্ড মেম্বারের জন্য থাকছে একজন নির্ধারিত রিলেশনশিপ ম্যানেজার, যিনি তাদের অ্যাকাউন্টসংক্রান্ত সব ধরনের সহায়তা দেবেন। এছাড়াও থাকছে রিয়েল-টাইম অটো-ডেবিট সুবিধা, যা নির্বিঘ্নে তাদের সব কার্ড লেনদেন নিশ্চিত করবে। আর এই কার্ডে নির্বাচিত মার্চেন্টদের কাছে কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকেরা ১০ গুণ পর্যন্ত মেম্বারশিপ রিওয়ার্ডস পয়েন্ট উপার্জন করতে পারবেন।
এই পয়েন্ট ব্যবহার করে বার্ষিক ফি, বকেয়া বিল পরিশোধ, এমনকি খ্যাতনামা আউটলেটে কেনাকাটা ও ডাইনিং করতে পারবেন। এই কার্ডে আরও রয়েছে এক্সক্লুসিভ ডাইনিং অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন দেশের রেস্টুরেন্টে কিউরেটেড ডাইনিং এবং বাংলাদেশের শীর্ষ ফাইভ-স্টার হোটেলে ‘বাই ১ গেট ২’ ব্যুফে অফার।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার বলেন, সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্ল্যাটিনাম রিজার্ভ ক্রেডিট কার্ডে আমাদের গ্রাহকদের সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে। যা বাংলাদেশে প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতার সংজ্ঞা নতুনভাবে তৈরি করেছে এবং গ্রাহকদের জন্য ভ্রমণ ও জীবনধারার বিশেষ সুবিধা নিয়ে এসেছে। এটি ক্রেডিট কার্ড সেবায় একটি নতুন স্থাপন করবে, যা সিটি ব্যাংক ও আমেরিকান এক্সপ্রেসের সম্মিলিত উৎকর্ষকে তুলে ধরে।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন বলেন, মেটাল কার্ড আমার কাছে খুব একটা বড় বিষয় নয়। যেটা সত্যিকার অর্থে এটিকে আলাদা করে তোলে তা হলো আমেরিকান এক্সপ্রেসের শতবর্ষের গ্রাহক প্রতিশ্রুতির ঐতিহ্য।
আমেরিকান এক্সপ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল ম্যানেজার, গ্লোবাল নেটওয়ার্ক সার্ভিসেস, এশিয়া এবং সাউথ প্যাসিফিক গ্রোথ মার্কেটস দিব্যা জৈন বলেন, এই উদ্বোধন আমাদের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে অংশীদারত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি বাংলাদেশের প্রথম মেটাল কার্ড। কার্ডটি শুধুমাত্র একটি পেমেন্ট সল্যুশন নয়, বরং এটা তাদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যারা প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা এবং সুবিধাকে মূল্য দেন।
সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্লাটিনাম রিজার্ভ ক্রেডিট কার্ড মেম্বারদের ক্রমবর্ধমান প্রত্যাশাকে পূরণ করে এবং শুধু আর্থিক সুবিধাই নয়, বরং একটি সত্যিকার অসাধারণ জীবনধারা উপহার দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ঈদ পুণর্মিলনী

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বক্তব্য দেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এস.এম আজহারুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মো. কাউছার উল আলম ও আবু নাছের মোহাম্মদ নাজমুল বারীসহ সারাদেশ থেকে ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, ৯টি জোনের জোনপ্রধান, ২০৬টি শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, ১৭৭টি উপশাখার ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ ডিজিটাল প্লাটফর্মে যুক্ত থেকে পারস্পরিক ঈদ আনন্দ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
মোহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঈদ-উল-ফিতরকে বাংলাদেশের বৃহত্তম ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব উল্লেখ করে বলেন, রমজান ও ঈদের মূল শিক্ষার আলোকে ধনী-গরীবের বৈষম্য কমানো, দারিদ্র বিমোচন ও সংকুলানমূলক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
তিনি বলেন, গত ৬ মাসে ৭ লাখ ৩৩ হাজার নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে মানুষ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রতি তাঁদের আস্থার স্বীকৃতি দিয়েছে। আস্থা ফিরে আসায় এই সময়ে ৩ হাজার ৩ শত কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহের পাশাপাশি ২ হাজার ২ শত কোটি টাকা অনাদায়ী বিনিয়োগ আদায় হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকিংয়ের কল্যাণমুখী সেবা সাধারণ মানুষের নিকট পৌঁছে দিয়ে তাঁদের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের অডিট বিষয়ক কর্মশালা

ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির (আইবিটিআরএ) উদ্যোগে ‘ইফেক্টিভ ইন্টারনাল অডিট প্রসিডিউর ইন ব্যাংক’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খান।
ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও আইবিটিআরএ-এর প্রিন্সিপাল খোন্দকার মো. মুনীরুল আলম আল-মামুনের সভাপতিত্বে কর্মশালার বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. মাকসুদুর রহমান।
ব্যাংকের অডিট অ্যান্ড ইনপেকশন ডিভিশনের নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় সিএ কমিউনিটির মানববন্ধন

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক আগ্রাসন, নির্বিচারে বোমাবর্ষণ ও দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা অমানবিক অবরোধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে সিএ কমিউনিটি অফ বাংলাদেশ।
‘ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিন’- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত মানববন্ধনটি সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় সিএ ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে মানবাধিকার কর্মী, বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যসহ সচেতন নাগরিকরা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং প্রতিবাদী বার্তা নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গাজা যেন এক নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরীক্ষাগারে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত শিশু, নারী ও নিরপরাধ সাধারণ মানুষ সেখানে প্রাণ হারাচ্ছেন। এমন নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে নীরবতা মানেই অন্যায়ের সঙ্গে একাত্মতা। এখনই সময় ফিলিস্তিনের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর।
আয়োজক সংগঠনের নেতারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বলেন, ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধে জাতিসংঘসহ বিশ্ব মোড়লদের নীরবতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধে কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস গণঅবস্থান ও ন্যায়ের পক্ষে আন্দোলনের ইতিহাস। সেই ঐতিহ্য অনুসরণ করেই ফিলিস্তিনের প্রতি এই সংহতি প্রকাশ, যা শুধু একটি জাতির নয়, মানবতার পক্ষেই উচ্চকণ্ঠ প্রতিবাদ।
মানববন্ধন শেষে আয়োজকেরা ফিলিস্তিনের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং এই আন্দোলনকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইয়ামাহা বাংলাদেশের গ্র্যান্ড ইভেন্টে আসছেন পাকিস্তানি গায়িকা আয়মা বেগ

ইয়ামাহা মোটরসাইকেলস বাংলাদেশের আসন্ন গ্র্যান্ড ইভেন্টে পারফর্ম করতে ১১ এপ্রিল প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়িকা আইমা বেগ।
ইয়ামাহা বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ইভেন্টে তিনি তার জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করবেন। যা সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য হতে যাচ্ছে একটি এক্সক্লুসিভ পারফরমেন্স।
আইমা বেগ ২০১৫ সালে একটি টেলিভিশন শো-র মাধ্যমে সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন এবং এরপর ‘লাহোর সে আগে’ চলচ্চিত্রের গানের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার কণ্ঠে ‘ফিতুর’ (৩৩.৩ মিলিয়ন ইউটিউব ভিউ), ‘আইটেম নাম্বার’ (২৮.৯ মিলিয়ন ইউটিউব ভিউ) এবং ‘গ্রুভ মেরা’ (২১.২ মিলিয়ন ইউটিউব ভিউ) গানগুলো শ্রোতাদের মাঝে বিশেষ সাড়া ফেলেছে।
ইয়ামাহা বাংলাদেশের এই গ্র্যান্ড ইভেন্টে আইমা বেগের উপস্থিতি সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য এক বিশেষ আকর্ষণের বিষয় এই ইভেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের দর্শকদের সামনে সরাসরি পরিবেশনা করবেন, যা সবার জন্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।