কর্পোরেট সংবাদ
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উঠে এলো সেরা পরিবেশবান্ধব সমাধান

সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল বেঙ্গল ক্যানারি পার্কে আয়োজিত হয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘বিল্ডিং এজেন্সি ফর ইয়ুথ ইন ক্লাইমেট অ্যাকশন’ কার্যক্রমের আওতাধীন ‘অ্যাকসেলারেটিং গ্রিন ইনোভেশন থ্রু ইয়ুথ অন্টারপ্রনারশিপ’র (এগিয়ে ২.০) গ্র্যান্ড ফিনালে। অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের সাথে যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ুথ এনভায়রনমেন্টাল ইনিশিয়েটিভ (বিওয়াইইআই)। আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
‘এগিয়ে’ মূলত ব্রিটিশ কাউন্সিলের “বিল্ডিং এজেন্সি ফর ইয়ুথ ইন ক্লাইমেট অ্যাকশন” কার্যক্রমের একটি অংশ, যা টেকসই জীবিকা নিশ্চিতের লক্ষ্যে তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং জলবায়ুগত ঝুঁকির মুখে থাকা সমাজ ও সম্প্রদায়ের মানুষদের টিকে থাকার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এগিয়ে ২.০’র প্রাথমিক পর্যায়ে পরিবেশবান্ধব ব্যবসার পরিকল্পনা জমাদানের জন্য উন্মুক্ত আহ্বান জানানো হয়, যার মাধ্যমে ১৩৫টি পরিবেশবান্ধব ব্যবসার ধারণা (গ্রিন বিজনেস আইডিয়া) জমা পড়ে। এর মধ্য থেকে পরবর্তীতে সেরা ২০টি ব্যবসার ধারণা জমাদানকারী সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের নিয়ে ৯-১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আয়োজিত হয় ‘গ্রিন অনট্রেপ্রনারশিপ বুটক্যাম্প’ (জিইবি)। খুলনায় আয়োজিত এই বুটক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীদেরকে পরিবেশবান্ধব ব্যবসায় পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবেশগত পরিস্থিতি বিশ্লেষণের পাশাপাশি বিপণন, বন্টন, ও অর্থ সংস্থান সহ নানা ব্যবসায় সংক্রান্ত বিষয়ে গভীর প্রশিক্ষণ দান করা হয় ও প্রাসঙ্গিক দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে শীর্ষ ১০টি আইডিয়া আয়োজনের গ্র্যান্ড ফিনালে’তে পৌঁছায়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন স্টার্টআপ খাতসংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী ও প্রতিনিধিবৃন্দ, স্বনামধন্য আইএনজিও ও আইজিও’র কর্মকর্তাগণ, এবং বেসরকারি খাতসহ বিভিন্ন খাতের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ।
সেরা আইডিয়াগুলোর কেন্দ্রে ছিল দেশের ভিন্ন ভিন্ন জেলার বৈশিষ্ট্য ও প্রাসঙ্গিকতা, যার মধ্য দিয়ে দেশের কুমোর, নানা ঐতিহ্যবাহি শিল্পের কারিগর এবং চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসী কৃষকসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উন্নত সক্ষমতা তৈরির উদ্দেশ্য ফুটে ওঠে। কয়েকটি আইডিয়ায় প্লাস্টিক ও অন্যান্য অটেকসই উপকরণের জৈবিকভাবে পচনশীল বিকল্প তৈরির পরিবেশগত সুবিধার ওপর জোর দেয়া হয়। রাসায়নিক সার এবং কীটনাশকের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর লক্ষ্যেও কার্যকরী ব্যবসায় পরিকল্পনার ধারণা দেন শীর্ষ প্রতিযোগিরা। এছাড়াও, তাদের আইডিয়ায় লবণাক্ততার সম্মুখীন অঞ্চলসমূহে সুপেয় পানির অভাব, নিরাপদ খাদ্য সংস্থানের অভাবসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা উঠে আসে।
অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত ১০ প্রতিযোগীর মধ্য থেকে সেরা ৪টি আইডিয়া বাছাই করেন জুরি প্যানেলের বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞ বিচারকমণ্ডলী। বিভিন্ন শিল্পখাতের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত জুরি প্যানেলের বিবেচনায় নির্বাচিত এই ৪টি ব্যবসায় ধারণাকে বাস্তব রূপদান ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে সিড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে অর্থায়ন ও দিকনির্দেশনা দেয়া হবে। জুরি প্যানেলের সদস্য হিসেবে ছিলেন লাইটক্যাসেল পার্টনার্স এর সিইও বিজন ইসলাম; ফিউচার স্টার্টআপের সিইও রুহুল কাদের; বিকাশ ও ব্র্যাক ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরস’এর সদস্য ফাহিমা চৌধুরী; ইউবিআইএনআইজি’র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফরিদা আক্তার; এবং জেডএ ক্যাপিটাল অ্যাডভাইজরি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাকিবুল ইসলাম।
আয়োজনে মোহাম্মদ আজিজুল হকের ‘ইকোকাটলার’, ফারহা বিনতে ফিরোজের ‘থার্স্ট রিলিফ’, ফারহান বিন হাবিবের ‘নিরাপদ শুঁটকি ঘর’ এবং মালবিকা দীপান্বিতা রয়ভেলির ‘গুণবতী’ শীর্ষক ব্যবসায় আইডিয়া গুলো যথাক্রমে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ স্থান অর্জন করে।
‘ইকোকাটলার’ প্লাস্টিকের ছুরি-চামচের বিকল্প হিসেবে বাঁশ, কাঠ, পাটের খড়ি, এবং পুনঃব্যবহারযোগ্য বাঁশের খড়ের ব্যবহার উৎসাহিত করে। “থার্স্ট রিলিফ” লবণাক্ততা-প্রবণ উপকূলীয় সম্প্রদায়ের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের পানি বিশুদ্ধীকরণের প্রস্তাবনা রাখে। ‘নিরাপদ শুঁটকি ঘর’ রাসায়নিকমুক্ত উপায়ে শুঁটকি মাছ প্রক্রিয়াকরণ এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সম্প্রদায়কে ক্ষমতায়নের সুযোগ তৈরি করে। “গুণবতী” কারুশিল্পকে প্লাস্টিকের পরিবেশ-বান্ধব বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং ঐতিহ্যবাহী শিল্পের কারিগরদের ক্ষমতায়নে কাজ করে।
বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর অব প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করেন। তার বক্তব্যে জনমিতিক লভ্যাংশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জলবায়ু-সচেতন যুবপ্রজন্ম গড়ে তোলা এবং পরিবেশবান্ধব ব্যবসায় উদ্যোগ সমূহ আরো উৎসাহিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের ধারাবাহিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তা উঠে আসে।
বাংলাদেশের নানাবিধ সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান উপস্থাপন করায় জুরি প্যানেলের অন্যতম সদস্য ফাহিমা চৌধুরী শীর্ষ ১০টি আইডিয়ার প্রশংসা করেন। এগিয়ে’র মতো কার্যক্রম কীভাবে তরুণ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারে এবং এর মাধ্যমে তারা কীভাবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সুযোগ অনুসন্ধান করতে পারেন – সে প্রসঙ্গে জোর দেন ফাহিমা চৌধুরী।
বিওয়াইইআইর কো-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সৈয়দ মুনতাসির রিদওয়ান প্রান্তিক সমাজের তরুণদের মধ্যে নিহিত অপার সম্ভাবনার উল্লেখ করে বলেন, ব্যবসায় উদ্যোগ এবং উদ্ভাবনীকে কাজে লাগিয়ে তারা তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনীতি এবং পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতায় পরিবর্তন আনতে পারে। তবে তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য আমাদের একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থার প্রয়োজন।

কর্পোরেট সংবাদ
এবি ব্যাংকে এএমএল ও সিএফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম

এবি ব্যাংক পিএলসি এএমএল এবং সিএফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউর পরিচালক মো. মফিজুর রহমান খান চৌধুরী এবং অতিরিক্ত পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে এবি ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান কাইজার এ. চৌধুরী, পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্যবৃন্দ এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক নোয়াখালী জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি ব্যাংকের নোয়াখালী জোনাল অফিস কনফারেন্স হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান মো. আনোয়ার হোসেন।
ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মাকসুদুর রহমান এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনিসুল হক।
সম্মেলনে জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কর্পোরেট সংবাদ
গ্রাহক সেবা বাড়াতে বাংলালিংক ও বিকাশের চুক্তি

উন্নত ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধিতে দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের সাথে এক কৌশলগত অংশীদারিত্ব করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। এ অংশীদারিত্বের ফলে, গ্রাহকেরা এখন বিকাশের মাধ্যমে এসএমএস-ভিত্তিক সমাধান, ডেটা প্যাকেজ সেবা ও সহজ পেমেন্ট সুবিধা উপভোগ করবেন।
সম্প্রতি, রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় টাইগার’স ডেন’ -এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশজুড়ে সবার কাছে ডিজিটাল সুবিধা পৌঁছে দেয়া ও ডিজিটাল প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই দুই সেবাখাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান দু’টি নিজেদের অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা নিয়ে এগিয়ে যাবে।
এ অংশীদারিত্বের ফলে দু’টি প্রতিষ্ঠান সেবার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করা ও দ্রুত লেনদেন সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ডিজিটাল সুবিধাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির প্রসারে সম্মিলিতভাবে কাজ করেবে, যা দেশের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে আরও বেশি গ্রাহককেন্দ্রিক, সহজ ও স্মার্ট সেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলালিংক ও বিকাশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
এবিষয়ে বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, দেশে ডিজিটাল উদ্ভাবনে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে, আমরা উন্নত আইসিটি সমাধান ও নিরবচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটি সেবার মাধ্যমে ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিকাশের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব, গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য এবং দেশজুড়ে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ যৌথ লক্ষ্যেরই প্রতিফলন। বাংলালিংকের ডিজিটাল সেবাদানে অভিজ্ঞতা এবং বিকাশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সল্যুশনে দক্ষতাকে একত্রিত করে আমরা ব্যবহারকারীদের জন্য আরও বেশি চাহিদা পূরণে এবং একটি আরও আধুনিকবাংলাদেশ গঠনে অর্থবহ অবদান রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
বিকাশের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর বলেন, একটি গ্রাহককেন্দ্রিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিকাশ বিশ্বাস করে, এই ধরণের অংশীদারিত্ব দীর্ঘমেয়াদে গ্রাহকদের জন্য ইতিবাচক অবদান রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালক করে। বাংলালিংকের মতো অংশীদারদের সাথে কাজ করার মাধ্যমে আমরা আস্থার পরিবেশ গড়ে তুলব, যেখানে গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য সেবা উপভোগ করবেন এবং সহজ আর্থিক সমাধান উপভোগ করবেন, যা তাদের জীবনকে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তারা বাংলাদেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গ্রাহককেন্দ্রিক করার বিষয়ে ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্বের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির এন্টারপ্রাইজ বিজনেস ডিরেক্টর রুবাইয়াত এ. তানজিন; হেড অব কি সেগমেন্ট সাদ মোহাম্মদ ফাইজুল করিম; হেড অব সেলস প্ল্যানিং অ্যান্ড অপারেশনস মোহাম্মদ আহাসুন হাবিব; কর্পোরেট গ্রুপ ম্যানেজার এস. এম. ফাহাদুজ্জামান এবং কর্পোরেট অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার এস. এম. রাশেদুজ্জাহান।
বিকাশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ; ইভিপি ও হেড অব সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট মোহাম্মদ রাশেদুল আলম; টেকনোলজি ও জেনারেল প্রোকিউরমেন্ট বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার ফয়সাল বিন রায়হান; এসসি গভর্নেন্স অ্যান্ড কন্ট্র্যাক্ট ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজার মশিউর রহমান; এবং এসসি গভর্নেন্স অ্যান্ড কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট অফিসার তানজিদ হাসান ফাহিম।
কর্পোরেট সংবাদ
ইউসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা সফলভাবে সম্পন্ন

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও আস্থাভাজন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অত্যন্ত সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল ৯টায় রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে আয়োজিত এজিএম-এ শেয়ারহোল্ডারদের উষ্ণ উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। সভাপতিত্ব করেন ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান শরীফ জহীর।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র পরিচালক ও ভাইস-চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন, পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো. তানভীর খান, স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান, এফসিএ, স্বতন্ত্র পরিচালক ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান, মো. ইউসুফ আলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ।
উল্লেখ্য, এটি ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে গঠিত পরিচালনা পর্ষদের অধীনে প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা- যা নতুন পথচলার এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে সভায় ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২৫০০ কোটি থেকে টাকা থেকে দ্বিগুণ করে ৫০০০ কোটি টাকায় উন্নীত করার ব্যাপারে সর্বসিম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। পাশাপাশি, রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন সভায় গৃহীত হয়—যা ব্যাংকের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করবে।
সভায় পরিচালনা পর্ষদকে অতিরিক্ত মূলধন সংগ্রহের জন্য কৌশলগত অংশীদার খুঁজে বের করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তারা ব্যাংকিং, ডিজিটাল ব্যাংকিং, উন্নয়নমূলক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (DFI) ও সংশ্লিষ্ট খাতে অভিজ্ঞ এবং প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারবেন। অবশ্যই এ কার্যক্রম সব নিয়মকানুন মেনে ও প্রয়োজনীয় অনুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে পরিচালিত হবে।
শেয়ারহোল্ডাররা সভায় সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, মাত্র ছয় মাসে ইউসিবি ৭ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকার নিট আমানত এবং ৩ লক্ষ নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে যেভাবে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে, তা ব্যাংকের গতিশীল নেতৃত্ব ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমেরই ফসল।
সভা শেষে চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে ইউসিবির চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) ফারুক আহাম্মদ, এফসিএ, শেয়ারহোল্ডার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা (রেগুলেটর) এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ, আস্থা ও নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এরপর তিনি সভার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
কর্পোরেট সংবাদ
ব্র্যাক ব্যাংকের উদ্যোগে ১০০ নারী উদ্যোক্তার ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালা

দেশের ১০০ জন নারী উদ্যোক্তা নিয়ে ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালার আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। কর্মশালায় নারী উদ্যোক্তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে পণ্য উন্নয়ন, বিপণন এবং ডিজিটাল ব্র্যান্ডিং করা যায়, এসব প্রয়োজনীয় বিষয়ে বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৮ জুলাই ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (BdOSN) সহযোগিতা এবং গেটস ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় কর্মশালাটি আয়োজিত হয়।
‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক এই কর্মশালায় ব্যবসা উন্নয়ন, প্রতিযোগিতা মূল্যায়ন, মার্কেটিং অটোমেশন, ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি এবং সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞ পেশাজীবীরা, যাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সভাপতি মুনীর হাসান, প্রোগ্রাম অফিসার মোশারফ হোসেন টিপু, অপজো টেকনোলজির কো-ফাউন্ডার শাহ পরান, ভারচুয়ানিক সল্যুশনসের ফাউন্ডার আসাদ ইকবাল, কাজ৩৬০-এর ফাউন্ডার এমরাজিনা ইসলাম এবং মার্কোপলো এআই-এর এমটিও নুজহাত ফারহানা।
কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেনসহ ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই আয়োজন নিয়ে সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতি যত দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের দেশের উদ্যোক্তাদেরও ঠিক তত দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত থাকতে হবে। এই কর্মশালাটি আয়োজন নিয়ে আমাদের বৃহত্তর লক্ষ্য হলো, নারী ও এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান, ডিজিটাল টুলস এবং কৌশলগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাঁদের ব্যবসার বিকাশ ও সম্প্রসারণে সহায়তা করা। ব্র্যাক ব্যাংকে আমরা নিজেদের ‘উন্নয়নের অংশীদার’ হিসেবে দেখি, যারা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উদ্ভাবনভিত্তিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ব্র্যাক ব্যাংক দেশের নারী ও এসএমই উদ্যোক্তাদের ‘কমপ্লিট ফাইন্যান্সিয়াল পার্টনার’ হয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এমন উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যাংকটির লক্ষ্য হলো, এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের সুযোগ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাঁদের সফল ব্যবসা গড়ে তুলতে সহায়তা করা, যা জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।