জাতীয়
যানবাহনে ফের বাধ্যতামূলক হচ্ছে বিমা

যানবাহনের বিমা ফের বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘সড়ক পরিবহন (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বুধবার (১৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ধারা ১০৯ অনুযায়ী, তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমা বাধ্যতামূলক ছিল এবং এর অধীনে ১৫৫ ধারায় দণ্ডের বিধানও ছিল। তবে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-তে তৃতীয়পক্ষের বিমা তুলে দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে যানবাহনের বিমা ছেড়ে দেওয়া হয় মালিকের ইচ্ছার ওপর। অর্থাৎ, একজন ইচ্ছা করলে তার যানবাহনের বিমা করতে পারেন, আবার না করলেও কোনো সমস্যা নেই।
এ বিষয়ে ২০২০ সালের অক্টোবরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এর পর ওই বছরের ডিসেম্বরে তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমা তুলে দেয় বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
এর পর থেকেই মূলত মালিকরা পরিবহনের বিমা করা প্রায় বন্ধ করে দেন। বর্তমানে যেসব পরিবহন চলাচল করছে তার সিংহভাগেরই কোনো বিমা নেই। বিশেষ করে বিমা ছাড়াই চলাচল করছে মোটরসাইকেল।
তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমা তুলে দেওয়ার পর যানবাহনের বিমা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান বিমা ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তবে কম্প্রিহেনসিভ ইন্স্যুরেন্সে বাধ্যতামূলক করার সুযোগ না থাকায় বিকল্প পথ খুঁজতে থাকেন বিমা সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে বিমা মালিকদের অংশগ্রহণে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়।
সেখানে তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমার আদলে নতুন একটি বিমা প্রোডাক্ট চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে এখনো সেই বিমা প্রোডাক্ট চূড়ান্ত হয়নি। এর মধ্যেই ‘সড়ক পরিবহন (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিলো মন্ত্রিসভা।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, মোটরযান মালিককে বিমা করতে হবে বলে একটি ধারা যোগ করা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী মোটরযান মালিককে যথা নিয়মে বিমা করতে হবে। বিমা না করলে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
১৯৮৩ এর ধারা ১০৯ অনুযায়ী তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-তে তৃতীয়পক্ষের বিমা তুলে দেওয়া হয় এবং যানবাহনের বিমার বিষয়টি মালিকের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। এখন তাহলে মালিকরা যানবাহনের কোন ধরনের বিমা করবেন?- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে তার কোনো উত্তর দেননি মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এদিকে যানবাহনের বিমা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সড়ক পরিবহন আইনে আরও কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, ১২টি ধারায় বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি কমানো হয়েছে। বেশিরভাগই আর্থিক জরিমানার পরিমাণ কমানো হয়েছে। আগে তিনটি ধারায় অপরাধ অজামিনযোগ্য রাখা হলেও সেখানে এখন একটি ধারা অজামিনযোগ্য রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কারিগরি নির্দেশ না মানলে এতদিন তিন বছর জেল দেওয়ার বিধান ছিল। এই অপরাধের সাজা আগের মতো রাখা হলেও এটিকে অজামিনযোগ্য থেকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বা ওভারলোড করে গাড়ি চালানোর পর দুর্ঘটনা হলে সেটিকে অজামিনযোগ্য থেকে জামিনযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে। এখন শুধুমাত্র দুর্ঘটনায় মারা গেলে বা গুরুতর আহত হলে তা অজামিনযোগ্য অপরাধ হবে।’
২০১৮ সালে সড়ক পরিবহন আইন করা হয় জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর নেতৃত্বে সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল এই আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে আইন সংশোধন করা হচ্ছে।’
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুত সংক্রান্ত অপরাধ করলে এতদিন ২ বছর জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান ছিল, সেটিকে কমিয়ে ২ বছর জেল ও ৩ লাখ টাকা করা হচ্ছে। লাইসেন্স বাতিলের পরেও যানবাহন চালালে বর্তমান আইনে ৩ মাস কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এখন তা কমিয়ে ৩ মাস জেল ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ‘লাইসেন্স ছাড়া কন্ডাক্টরের দায়িত্ব পালন করলে এক মাস কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানার সাজা বহাল রাখা হয়েছে। এই ধারায় এখন কন্ডাক্টরের সঙ্গে সুপারভাইজর শব্দটি যোগ করা হয়েছে। ভাড়ার তালিকা না দেখালে বা বেশি ভাড়া নিলে এতদিন এক মাস জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হতো। দুটো অপরাধ একসঙ্গে করলে এতদিন এই শাস্তি দেওয়া হতো। এখন ভাড়ার তালিকা প্রদর্শন না করলে বা বেশি ভাড়া দাবি করলে এই সাজা দেওয়া হবে।’
মিটার টেম্পারিং করলে ৬ মাসের জেল, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতো। এখন এই অপরাধের জন্য তিন মাসের কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে, সঙ্গে এক পয়েন্ট কাটা যাবে- জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত হারের থেকে টার্মিনাল চার্জ বেশি নিলে তা চাঁদাবাজি হিসেবে আমলে নিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমান আইন অনুযায়ী ট্রাফিক সাইন ও সংকেত না মানলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হতো। এখন জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে ২ হাজার টাকা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতিরিক্ত ওজন বহন করলে ৩ বছর জেল ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হতো। এখন সেটিকে বদলে এক বছর জেল, এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হচ্ছে। এর সঙ্গে চালকের এক পয়েন্ট কাটা যাবে। পরিবেশ দূষণকারী মোটরযান চালালে এতদিন ৩ মাস জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হতো। এটিকে কমিয়ে এক মাস জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করালে বর্তমান আইনে ৫ হাজার টাকা জরিমানার সঙ্গে চালকের এক পয়েন্ট কাটা হতো। এটিকে বদলে শুধু এক হাজার টাকা জরিমানার বিধান করা হচ্ছে। কী অবস্থায়, কীভাবে গাড়ি চালাতে হবে সেই নির্দেশনা অমান্য করলে এতদিন ৩ মাস জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল। সেটিকে বদলে এক মাস জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান করা হচ্ছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
জিডি করলেন ভোক্তা অধিকারের পরিচালক জব্বার মন্ডল

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডলের নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ খোলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
সোমবার (৩১ মার্চ) তেজগাঁও থানায় করা জিডিতে (জিডি নম্বর: ১৬৯৯) আব্দুল জব্বার মন্ডল উল্লেখ করেন, তার নামে এবং তার ছবি ব্যবহার করে একাধিক ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ খোলা হয়েছে। এতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি ভুয়া অ্যাকাউন্ট ও পেজগুলোর স্ক্রিনশট যুক্ত করে দেন এবং সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি তিনি লেখেন, ‘আমার নামে এবং আমার ছবি ব্যবহার করে কিছু নকল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ফেসবুক পেজ খোলা হয়েছে। এ বিষয়ে জিডি করা হয়েছে। সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হলো।’
পোস্টের শেষে তিনি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম। ঈদ মোবারক।’
উল্লেখ্য, মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে বাজারে অতিরিক্ত দাম, ভেজাল পণ্য ও প্রতারণার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে অসাধু ব্যবসায়ীরা শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন এবং বাজারে ন্যায্য দাম প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। তার শান্ত ও ধৈর্যশীল আচরণের মাধ্যমে একদিকে ব্যবসায়ীদের সঠিক দামে পণ্য বিক্রিতে বাধ্য করা হচ্ছে, অন্যদিকে ক্রেতারা উপকৃত হচ্ছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মিয়ানমারে দ্বিতীয় দফায় ত্রাণ সহায়তা পাঠালো বাংলাদেশ

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দ্বিতীয় দফায় জরুরি ওষুধ ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (বিএ) এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) তিনটি পরিবহন বিমানের মাধ্যমে এ সরবরাহ ও ওষুধ পাঠানো হয়েছে।
মিশনে তিনটি বাহিনীর উদ্ধার বিশেষজ্ঞ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) ডাক্তার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর (বিএ) ডাক্তার এবং বেসামরিক ডাক্তারদের সমন্বয়ে গঠিত উদ্ধার ও চিকিৎসা দল রয়েছে।
উদ্ধারকারী ও চিকিৎসকের মোট সংখ্যা ৫৫ (পঞ্চান্ন)। অতিরিক্তভাবে তিনটি বিমানে ৩৭ জন ক্রু সদস্য রয়েছেন।
উদ্ধার ও চিকিৎসা দল তাদের আত্মরক্ষামূলক জিনিসপত্র (রেশন, স্বাস্থ্যবিধি সুবিধা, যোগাযোগ সরঞ্জাম, রান্নার সরঞ্জাম ইত্যাদি) বহন করে।
এছাড়াও, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আট টন শুকনো খাবার, আড়াই টন পানি, চার টন ওষুধ, এক টন স্বাস্থ্যবিধি পণ্য এবং ১.৫ টন ত্রাণ তাঁবু পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রোববার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে মিয়ানমারে জরুরি ত্রাণ সামগ্রীর প্রথম মিশন পাঠানো হয়েছিল, যার মধ্যে রয়েছে ওষুধ, তাঁবু, শুকনো খাবার এবং চিকিৎসা দল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ছুটি কাটিয়ে মেট্রোরেল ও আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু

ঈদের দিন ছুটি কাটিয়ে রাজধানীর গণপরিবহন মেট্রোরেল ও সারা দেশের আন্তঃনগর ট্রেন পুনরায় চলাচল শুরু করেছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে নির্দিষ্ট সময় মতো এই গণপরিবহন দুটি চলাচল শুরু করে।
জানা গেছে, রুটিনমাফিক মেট্রোরেলের প্রথম ট্রিপ সকাল ৭টা ১০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে ছেড়ে যায় এবং মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেন সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশে যাত্রা করে।
একইভাবে ঈদের পর দিনের প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন হিসেবে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে।
এর আগে, মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুধুমাত্র ঈদের দিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে অন্যান্য দিন যথানিয়মে চলবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ঈদের আগে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় জানান, ঈদের দিন সারা দেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে ঈদের আগে সব ট্রেনের ডে-অফ বাতিল থাকবে এবং ঈদের পর তা আবার কার্যকর হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঈদের দিনে সড়কে ঝরলো ২১ প্রাণ

ঈদের দিন ১০ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন। এছাড়া আহত অবস্থায় ২৮ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম
এদিন ভোরে সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাস চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিল। পথে লোহাগাড়ার চুনতি জাঙ্গালিয়ায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘঠনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৬ জন।
গাজীপুর
সকালে গাজীপুরের শিববাড়িতে বাসচাপায় শিশুসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
নওগাঁ
সকালে নওগাঁর সাপাহারে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহিন আলম (১৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের আরও দুই বন্ধু।
বগুড়া
দুপুরে বগুড়ার শেরপুরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ও মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
পিরোজপুর
দুপুরে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহিউদ্দিন তুহিন (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন তার স্ত্রী মিম আক্তার।
গাইবান্ধা
বিকেলে গাইবান্ধায় প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজন চিকিৎসাধীন। বিকেলে উপজেলার আগরপুর-পোড়াদিয়া সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মেহেরপুর
মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন। বিকেলে শহরের আহম্মদ আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন দুজন। সন্ধ্যার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় রাজমনি হোটেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এছাড়া যশোর ও ঝিনাদহে আলাদা দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শান্তিপূর্ণ ঈদ উদযাপনে সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

জনসাধারণের জানমালসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ঈদের ছুটি চলাকালীন যে কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা রুখে দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে, ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেড এবং ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটের সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনার পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এসব তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, সাধারণ জনগণের নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রামে যাতায়াত নিশ্চিত করতে এবং টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে বাস টার্মিনালে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
পাশাপাশি, আজ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহ মাঠে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এছাড়াও, গোয়েন্দা সূত্র মারফত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্যের চালান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রাজধানীবাসীকে একটি ঝামেলামুক্ত ও আনন্দঘন ঈদ উপহার দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।