জাতীয়
যানবাহনে ফের বাধ্যতামূলক হচ্ছে বিমা
![যানবাহনে ফের বাধ্যতামূলক হচ্ছে বিমা ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/car.jpg)
যানবাহনের বিমা ফের বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘সড়ক পরিবহন (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বুধবার (১৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ধারা ১০৯ অনুযায়ী, তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমা বাধ্যতামূলক ছিল এবং এর অধীনে ১৫৫ ধারায় দণ্ডের বিধানও ছিল। তবে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-তে তৃতীয়পক্ষের বিমা তুলে দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে যানবাহনের বিমা ছেড়ে দেওয়া হয় মালিকের ইচ্ছার ওপর। অর্থাৎ, একজন ইচ্ছা করলে তার যানবাহনের বিমা করতে পারেন, আবার না করলেও কোনো সমস্যা নেই।
এ বিষয়ে ২০২০ সালের অক্টোবরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এর পর ওই বছরের ডিসেম্বরে তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমা তুলে দেয় বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
এর পর থেকেই মূলত মালিকরা পরিবহনের বিমা করা প্রায় বন্ধ করে দেন। বর্তমানে যেসব পরিবহন চলাচল করছে তার সিংহভাগেরই কোনো বিমা নেই। বিশেষ করে বিমা ছাড়াই চলাচল করছে মোটরসাইকেল।
তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমা তুলে দেওয়ার পর যানবাহনের বিমা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান বিমা ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তবে কম্প্রিহেনসিভ ইন্স্যুরেন্সে বাধ্যতামূলক করার সুযোগ না থাকায় বিকল্প পথ খুঁজতে থাকেন বিমা সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে বিমা মালিকদের অংশগ্রহণে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়।
সেখানে তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমার আদলে নতুন একটি বিমা প্রোডাক্ট চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে এখনো সেই বিমা প্রোডাক্ট চূড়ান্ত হয়নি। এর মধ্যেই ‘সড়ক পরিবহন (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিলো মন্ত্রিসভা।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, মোটরযান মালিককে বিমা করতে হবে বলে একটি ধারা যোগ করা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী মোটরযান মালিককে যথা নিয়মে বিমা করতে হবে। বিমা না করলে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
১৯৮৩ এর ধারা ১০৯ অনুযায়ী তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-তে তৃতীয়পক্ষের বিমা তুলে দেওয়া হয় এবং যানবাহনের বিমার বিষয়টি মালিকের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। এখন তাহলে মালিকরা যানবাহনের কোন ধরনের বিমা করবেন?- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে তার কোনো উত্তর দেননি মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এদিকে যানবাহনের বিমা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সড়ক পরিবহন আইনে আরও কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, ১২টি ধারায় বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি কমানো হয়েছে। বেশিরভাগই আর্থিক জরিমানার পরিমাণ কমানো হয়েছে। আগে তিনটি ধারায় অপরাধ অজামিনযোগ্য রাখা হলেও সেখানে এখন একটি ধারা অজামিনযোগ্য রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কারিগরি নির্দেশ না মানলে এতদিন তিন বছর জেল দেওয়ার বিধান ছিল। এই অপরাধের সাজা আগের মতো রাখা হলেও এটিকে অজামিনযোগ্য থেকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বা ওভারলোড করে গাড়ি চালানোর পর দুর্ঘটনা হলে সেটিকে অজামিনযোগ্য থেকে জামিনযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে। এখন শুধুমাত্র দুর্ঘটনায় মারা গেলে বা গুরুতর আহত হলে তা অজামিনযোগ্য অপরাধ হবে।’
২০১৮ সালে সড়ক পরিবহন আইন করা হয় জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর নেতৃত্বে সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল এই আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে আইন সংশোধন করা হচ্ছে।’
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুত সংক্রান্ত অপরাধ করলে এতদিন ২ বছর জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান ছিল, সেটিকে কমিয়ে ২ বছর জেল ও ৩ লাখ টাকা করা হচ্ছে। লাইসেন্স বাতিলের পরেও যানবাহন চালালে বর্তমান আইনে ৩ মাস কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এখন তা কমিয়ে ৩ মাস জেল ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ‘লাইসেন্স ছাড়া কন্ডাক্টরের দায়িত্ব পালন করলে এক মাস কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানার সাজা বহাল রাখা হয়েছে। এই ধারায় এখন কন্ডাক্টরের সঙ্গে সুপারভাইজর শব্দটি যোগ করা হয়েছে। ভাড়ার তালিকা না দেখালে বা বেশি ভাড়া নিলে এতদিন এক মাস জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হতো। দুটো অপরাধ একসঙ্গে করলে এতদিন এই শাস্তি দেওয়া হতো। এখন ভাড়ার তালিকা প্রদর্শন না করলে বা বেশি ভাড়া দাবি করলে এই সাজা দেওয়া হবে।’
মিটার টেম্পারিং করলে ৬ মাসের জেল, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতো। এখন এই অপরাধের জন্য তিন মাসের কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে, সঙ্গে এক পয়েন্ট কাটা যাবে- জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত হারের থেকে টার্মিনাল চার্জ বেশি নিলে তা চাঁদাবাজি হিসেবে আমলে নিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমান আইন অনুযায়ী ট্রাফিক সাইন ও সংকেত না মানলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হতো। এখন জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে ২ হাজার টাকা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতিরিক্ত ওজন বহন করলে ৩ বছর জেল ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হতো। এখন সেটিকে বদলে এক বছর জেল, এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হচ্ছে। এর সঙ্গে চালকের এক পয়েন্ট কাটা যাবে। পরিবেশ দূষণকারী মোটরযান চালালে এতদিন ৩ মাস জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হতো। এটিকে কমিয়ে এক মাস জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করালে বর্তমান আইনে ৫ হাজার টাকা জরিমানার সঙ্গে চালকের এক পয়েন্ট কাটা হতো। এটিকে বদলে শুধু এক হাজার টাকা জরিমানার বিধান করা হচ্ছে। কী অবস্থায়, কীভাবে গাড়ি চালাতে হবে সেই নির্দেশনা অমান্য করলে এতদিন ৩ মাস জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল। সেটিকে বদলে এক মাস জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান করা হচ্ছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
আরব আমিরাতে রিহ্যাবের আবাসন মেলা, শুরু ৬ সেপ্টেম্বর
![আরব আমিরাতে রিহ্যাবের আবাসন মেলা, শুরু ৬ সেপ্টেম্বর ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/rehab1.jpg)
প্রবাসে উপার্জন স্বদেশে আবাসন- স্লোগানকে সামনে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা শহরে আবাসন মেলা করতে যাচ্ছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। আগামী ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর শারজা এক্সপো সেন্টারে রিহ্যাব হাউজিং অ্যান্ড রেমিট্যান্স ফেয়ার-২০২৪ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর মেলার উদ্বোধন করবেন। রিহ্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
রিহ্যাব জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে রিহ্যাবের আবাসন মেলা নিয়ে ইতিমধ্যে উৎসাহ–উদ্দীপনা লক্ষ করা যাচ্ছে। মেলায় প্রবাসীদের গৃহঋণ নেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে। এর জন্য এবারের মেলায় আবাসন কোম্পানির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
রিহ্যাব ইন্টারন্যাশনাল ফেয়ার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলিম উল্ল্যাহ এবং কো–চেয়ারম্যান মো. ইমদাদুল হক সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত রিহ্যাব হাউজিং অ্যান্ড রেমিট্যান্স ফেয়ার সফলভাবে আয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিত হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবিপ্রধান
![পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিত হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবিপ্রধান ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/harun-or-rashid.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত অনেকবার গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা বা দেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পুলিশের কারণে তারা বার বার ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য তারা এবার পুলিশকেই টার্গেট করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।
হারুন বলেন, জামায়াত ও বিএনপির ক্যাডাররা কীভাবে নির্মমভাবে পিটিয়ে আমাদের দুই পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ গড়েছিল পুলিশ। পুলিশই দুর্দিনে প্রথম এগিয়ে আসে। ২৮ অক্টোবরে আমরা দেখেছি রাষ্ট্রীয় স্থাপনা, বিচারপতির বাসভবনে হামলার চিত্র। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এর আড়ালে আমরা দেখলাম রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ও পুলিশকে টার্গেট করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ী শনির আখড়া, রায়েরবাগ এলাকায় গিয়ে তারা পুলিশকে টার্গেট করেছে। পুলিশ মারতে পারলেই ১০ হাজার টাকাও তারা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
তিনি বলেন, বাড়িবাড়ি তল্লাশি করেছে তারা। উদ্দেশ্য ছিল একটাই— পুলিশকে ডিমরালাইজড করা। পুলিশকে ডিমরালাইজড করতে পারলে তারা হয়ত মনে করেছিল আন্দোলন সাকসেস হবে। পুলিশ দুর্বল হলে পিছিয়ে যাবে। তখন তারা এই রাষ্ট্রকে অকার্যকর এবং সরকারের পতন ঘটাতে পারবে মনে করেছিল। দেশ ও মানুষের জন্য পুলিশ সদস্যরা নানা সময়ে আত্মাহুতি দিয়েছি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক। এই কোটা আন্দোলনে তিন পুলিশ সদস্যকে হারিয়েছি। কিন্তু পুলিশের মনোবল মোটেও ভাঙ্গেনি।
হারুন বলেন, যারা পুলিশকে হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, স্বপ্নের মেট্রোরেলসহ সরকারি স্থাপনায় নাশকতা চালিয়েছে। যারা এসবের নেতৃত্ব দিয়েছে, অর্থ আদান-প্রদান করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তারা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
![তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/hasan-mahmud-2.jpg)
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমানের ভয়েস সরকারের হাতে এসেছে। সে বলছে যে, কারফিউ ভঙ্গ করো, না হলে পদ ছাড়ো। বিএনপির এক নেতা বলেছে-তোমরা আন্দোলনে ঢুকে যাও, নৈরাজ্য সৃষ্টি করো। এভাবে কোনো রাজনৈতিক দল দেশের ক্ষতি করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন স্থাপিত হয়েছে ১৯৬৪ সালে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে বিটিভিতে কখনও হামলা, ভাঙচুর হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিটিভির কিছু কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিল। কিন্তু কখনও বিটিভিতে হামলা হয়নি’
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ভাঙচুর প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দুর্যোগের সময়ে মানুষ যে মন্ত্রণালয়ে ছুটে যায়, সেই ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। ঢাকাবাসীর গর্ব, দেশবাসীর গর্ব মেট্রোরেল জ্বালিয়ে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি, সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে সমাধান হবে। আমরা শেষ পর্যন্ত দেখেছি সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমেই সমাধান হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যা চেয়েছিল, তার থেকে বেশিই পেয়েছে। কোটা থাকলেও সবাইকে মেধার মাধ্যমে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ভুল বুঝানো হয়েছে। যদি শিক্ষার্থীরা একটু ধৈর্য ধরতো, তাহলে বিএনপি-জামায়াত এই সুযোগটা পেত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা আন্দোলনকারীদের রক্ষা করেছে। লক্ষ্য করে দেখুন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ মারা যায়নি, সব বাইরে হয়েছে। অর্থাৎ এর সাথে কোটা সংস্কারের দাবির কোনো শিক্ষার্থী জড়িত নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দিয়েছেন কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হবে না।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কোটা আন্দোলনকারীদের ‘ইমার্জেন্সি হেলথ ফোর্স’ গঠন
![কোটা আন্দোলনকারীদের ‘ইমার্জেন্সি হেলথ ফোর্স’ গঠন ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Reform-Quota-Shahbag.jpg)
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ‘ইমার্জেন্সি হেলথ ফোর্স’ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই সঙ্গে সারা দেশে প্রতিটি জেলায় মেডিকেল শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সমন্বয়কদের স্ব-উদ্যোগে ‘ইমার্জেন্সি হেলথ ফোর্স’ গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকায় ‘ইমার্জেন্সি হেলথ ফোর্স’ এর সমন্বয় করবেন- মো. মাহিন সরকার, রিফাত রশিদ এবং সারা দেশে ‘ইমার্জেন্সি হেলথ ফোর্স’ এর সমন্বয় করবেন- আব্দুল হান্নান মাসুদ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সারা দেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হয়রানির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মামলা হয়েছে এবং অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আইনি সহায়তা দেয়ার উদ্দেশ্যে ‘লিগ্যাল এইড ফর স্টুডেন্টস’ গঠনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। লিগ্যাল এইড ফর স্টুডেন্টস’ এর সমন্বয় করবেন- আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন। একই সঙ্গে সারা দেশে প্রতিটি জেলায় আইনজীবী, আইনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও সমন্বয়কদের স্ব-উদ্যোগে ‘লিগ্যাল এইড ফর স্টুডেন্টস’ গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
২৬ ও ২৭ জুলাই সারাদেশে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা নিশ্চিতে ‘ইমার্জেন্সি হেলথ ফোর্স’ ও আইনি সহায়তা নিশ্চিতে ‘লিগ্যাল এইড ফর স্টুডেন্টস’ কে জোরালো কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও শুক্রবার সারা দেশে মসজিদগুলোতে দোয়া ও মোনাজাত এবং মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা করার আহ্বান জানানো হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কোটা আন্দোলন ঘিরে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে: কাদের
![কোটা আন্দোলন ঘিরে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে: কাদের ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Obaidul-Quader1.jpg)
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও বিচার হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, যারা সহিংসতা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমরা বরাবরই শিক্ষার্থীদের দাবি সমর্থন করে আসছি।
তিনি বলেন, ৭১ সালে যারা বেঈমানি করেছে, হত্যাকাণ্ড করেছে তারা এখনো বেঈমান। ৭১’র খুনি, ৭৫’র খুনি, ২১ আগস্টের খুনি, ২৪ সালের একই খুনি ও বিশ্বাসঘাতক। তারা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপানো হয়েছে। আমাদের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে। নজিরবিহীন তাণ্ডব চালানো হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো।
এমআই