জাতীয়
একজন প্রতিবন্ধীর মাসিক আয় ১০ হাজার ৪৭০ টাকা: বিবিএস
![একজন প্রতিবন্ধীর মাসিক আয় ১০ হাজার ৪৭০ টাকা: বিবিএস ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/potibondhi-bbs.jpg)
জাতীয় পর্যায়ে একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সপ্তাহে ৩৮ ঘণ্টা এবং শহরে ৪০ ঘণ্টা এবং গ্রামীণ এলাকায় ৩৬ ঘণ্টা কাজ করেন। ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী প্রতিবন্ধী ব্যক্তির গড় মাসিক আয় জাতীয় পর্যায়ে ১০ হাজার ৪৭০ টাকা, শহরাঞ্চলে ১১ হাজার ৫২৩ টাকা এবং গ্রামীণ এলাকায় ৯ হাজার ৪১৭ টাকা।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তির শ্রমশক্তি অংশগ্রহণের হার ২২ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যেখানে পুরুষদের জন্য ৩২ দশমিক ২২ শতাংশ এবং নারীদের জন্য ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ ছিল।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘শ্রমশক্তি জরিপের মাধ্যমে শ্রমবাজার তথ্যের উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের আওতাধীন শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২ এর ডাটার ভিত্তিতে আইএলও সহযোগিতায় এটি প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইব্রাহিম খান এবং আইএলওএর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটাইনেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
জরিপে উঠে এসেছে, দেশে পুরুষ প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা বেশি। ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী কর্মক্ষম প্রতিবন্ধীর মধ্যে ৫৩ দশমিক ৬২ শতাংশ পুরুষ। অন্যদিকে নারী রয়েছে ৪৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এর মধ্যে গ্রামাঞ্চলে প্রতিবন্ধী ৭৪ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে প্রতিবন্ধী রয়েছে ২৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
এছাড়া শ্রমবাজারে প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণও কাঙ্ক্ষিত নয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে কৃষি খাতে নিযুক্ত আছেন সর্বোচ্চ ৫২ দশমিক ১৬ শতাংশ, এরপরে সেবায় ৩৬ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং শিল্পে ১১ দশমিক ১৩ শতাংশ। শিক্ষাক্ষেত্রে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব প্রতিবন্ধীদের মধ্যে শিক্ষিত ৩৭ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ৬২ দশমিক ৮৯ শতাংশ নিরক্ষর ছিল।
সর্বোচ্চ পাশের শ্রেণির ক্ষেত্রে প্রাইমারি সম্পন্ন প্রতিবন্ধী ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, যা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আরও কম। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ নিয়েছে শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ এবং এদের মধ্যে পুরুষ শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ এবং নারী শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দশমিক ৩৩ শতাংশ এক থেকে তিন মাসের জন্য প্রশিক্ষণ নেন।
এরপরে ২২ দশমিক ১৪ শতাংশ এক সপ্তাহের কম এবং ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ তিন থেকে ৪ সপ্তাহের জন্য প্রশিক্ষণ পায়। নারীদের জন্য ২২ দশমিক ৫৭ শতাংশ এক সপ্তাহের কম সময়ের জন্য, ১৮ দশমিক ৬১ শতাংশ এক থেকে তিন মাসের জন্য এবং ১৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ চার থেকে ৬ মাসের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। পুরুষদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ এক থেকে ৩ মাসের জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এরপর ২১ দশমিক ৯০ শতাংশ এক সপ্তাহের কম এবং ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ ৬ মাসের বেশি সময় ধরে প্রশিক্ষণ পায়।
জরিপে উঠে এসেছে, জাতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণের ধরণ অনুযায়ী ২০ দশমিক ৮৭ শতাংশ কৃষি ফসল উৎপাদন এবং সংরক্ষণের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এছাড়া ১৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ তৈরি পোশাকে এবং ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ বিদেশি ভাষায় প্রশিক্ষণ নিয়েছে। পুরুষদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৮ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ কৃষি ফসল উৎপাদন ও সংরক্ষণে প্রশিক্ষণ নেয়।
তারপরে ১৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ তৈরি পোশাকে এবং ১৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ কম্পিউটারে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। নারীদের জন্য সর্বাধিক ২৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ কৃষি কর্মকাণ্ডের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য ও প্যারামেডিকেল পরিষেবায় ২৭ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং তৈরি পোশাকে ২০ দশমিক ২৯ শতাংশ প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী প্রতিবন্ধী জনসংখ্যার মধ্যে কর্মে নিয়োজিত শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী নয় ৯৯ দশমিক ৩ শতাংশ। বেকারত্বের হার প্রতিবন্ধী জনসংখ্যার মধ্যে ছিল জাতীয় পর্যায়ে এক দশমিক ৬৩ শতাংশ। পুরুষদের জন্য এক দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং নারীদের জন্য এক দশমিক ৯৩ শতাংশ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুলিশ বাহিনী: ধর্মমন্ত্রী
![আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুলিশ বাহিনী: ধর্মমন্ত্রী ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/foridul-haq-khan.jpg)
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের পুলিশ বাহিনী।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত কোটা সংস্কারের নামে বিএনপি, জামায়াতের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, ছাত্ররা কোটা সংস্কারের নামে যে আন্দোলন করেছে সে আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করি। ছাত্ররা যা করেছে ঠিক করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের কথা রেখেছেন। ছাত্রদের আন্দোলনে সুযোগ নিয়ে বিএনপি জামায়াত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিল। এ আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের পুলিশ বাহিনী। আজকে পুলিশ বাহিনী হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। অনেক পুলিশ বাহিনীকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, আজকে মেট্রোরেলের মাধ্যমে মানুষ খুব অল্পসময়ের মধ্যে আসা-যাওয়া করতে পারতো, এখন সে মেট্রোরেলে হামলা চালানো হয়েছে। এখন সাধারণ জনগণ যাতায়াত করতে কষ্ট পাচ্ছেন। বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়ার জন্য দেশের প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা (বিএনপি-জামায়াত) হামলা করেছে। ক্ষয়ক্ষতি করার চিন্তা যারা করে ইসলাম তাদের কখনো সমর্থন করে না। যারা দেশ জুড়ে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকবে ইন্টারনেটের ধীরগতি
![সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকবে ইন্টারনেটের ধীরগতি ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/internet.jpg)
কক্সবাজারে স্থাপিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৪ এর সিঙ্গাপুর প্রান্তে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। এর ফলে কক্সবাজার থেকে সিঙ্গাপুর রুটে যুক্ত সার্কিটগুলোর মাধ্যমে সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। ফলে এই সার্কিটের সঙ্গে যুক্ত গ্রাহকদের আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহারে কিছুটা ধীরগতির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ শনিবার (২৭ জুলাই) বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এর মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (সি-মি-উই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে টুয়াস ল্যান্ডিং স্টেশনের কাছে কনসোর্টিয়াম কর্তৃক ল্যান্ড ক্যাবলের ত্রুটি নিরসনের লক্ষ্যে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে এই সময়ে সি-মি-উই-৪ এর মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে সিঙ্গাপুর রুটে যুক্ত সার্কিটগুলোর মাধ্যমে সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে। তবে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিপিএলসি) সি-মি-উই-৪ এবং সি-মি-উই-৫ নামের দুটি আন্তর্জাতিক সাবমেরিন কেবল কনসোর্টিয়ামের (কোম্পানি) সদস্য। যেটি বাংলাদেশে সাবমেরিন ক্যাবলসের অধিক ক্ষমতা ও পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করে। বর্তমানে সি-মি-উই-৪ এবং সি-মি-উই-৫ কেবল দুটির মাধ্যমে বাংলাদেশের ইন্টারনেট এবং আন্তর্জাতিক ভয়েস ট্র্যাফিক চলছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গ্রাহকের মেয়াদোত্তীর্ণ মোবাইল ডাটার কী হবে
![গ্রাহকের মেয়াদোত্তীর্ণ মোবাইল ডাটার কী হবে ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/internet.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হয় মোবাইল ইন্টারনেটের ধীরগতি। এরপর সহিংসতা ও গুজব প্রতিরোধ করতে সরকারের মৌখিক নির্দেশে ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে বন্ধ হয়ে যায় থ্রি-জি ও ফোর-জি পরিষেবা। যার করণে ২৭ জুলাই (শনিবার) ১০ দিন ধরে গ্রাহকরা মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে অনলাইনে কাজ করতে পারছেন না। এমন অবস্থায়, যেসব গ্রাহকের ইন্টারনেট ডাটা অব্যবহৃত অবস্থায় মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটি জানতেই এখন উদগ্রীব সবাই।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের স্বার্থের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সবার আগে চিন্তা করা হবে। গ্রাহকরা যে ডাটা ব্যবহার করতে পারেননি সেটি যেন ব্যবহারযোগ্য করা যায় সে বিষয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা আছে। এমন একটি নির্দেশনা আমরা অপারেটরদের দেবো।
বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এখনও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। আমরা সবসময় গ্রাহকদের স্বার্থে কাজ করি। বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকদের দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।
একইসঙ্গে এই মাসের ২৮ বা ২৯ তারিখ থেকেই মোবাইল ডাটা চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালু হলেও এখনও ফেসবুক, মেসেঞ্জারের ক্যাশ সার্ভার বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, ফেসবুক-টিকটক তাদের নিজেদের পলিসি গাইডলাইনস নিজেরাই মেনে চলে না। তারা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা নেয়।
অথচ আমাদের দেশে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে, পুলিশকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করার ছবি-ভিডিও প্রকাশ করে উসকানি ছড়িয়ে দিচ্ছে, যেগুলোকে তারা ব্লক করছে না। এগুলোকে তারা ছড়িয়ে দিচ্ছে, এমনকি তারা সেই কন্টেন্টের বুস্টিং থেকে আয় করছে, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
তিনি আরও বলেন, ফেসবুক-টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়ে আলোচনায় বসা হবে। তারা যদি সেখানে অংশ নিয়ে সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারে, তবে তাদের প্রতি আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
![পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/home-minister.jpg)
পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে। সে পর্যন্ত সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শুক্রবার রাতে নিজ বাসভবনে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আতে পারে বলেও জানান তিনি।
এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এ সময় কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও জানান।
তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে সহিংসতার জেরে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে কারফিউ জারি করে সরকার। এ সময় গত শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ দিন নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অর্থনীতিকে পঙ্গু করতেই দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
![অর্থনীতিকে পঙ্গু করতেই দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/prime-minister-pm.jpg)
দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতেই দেশজুড়ে সহিংসতা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ঘটনায় দেশবাসীর কাছে নাশকতাকারীদের বিচার চাইলেন তিনি।
শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) সাম্প্রতিক সহিসংতায় আহতদের খোঁজখবর নিতে গিয়ে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনীতিকে পঙ্গু করতেই ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। আন্দোলনের নামে এতগুলো পরিবারের ক্ষতি হলো এর দায়িত্ব কার? দেশবাসীর কাছে নাশকতাকারীদের বিচার চাই।’
এ সময় সরকার আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা করবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে আহতদের খোঁজখবর নেন। তিনি চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলেন। আহতদের সব ধরনের চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন।
তার আগে ওই দিন রাজধানীর রামপুরায় নাশকতাকারীদের হামলা ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শন করেন সরকারপ্রধান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার চিন্তা নিয়েই দুর্বৃত্তরা আক্রমণ করে। মেট্রোরেল যা ছিল সারা বিশ্বের সব বাঙালির গর্বের সম্পদ, সেটাকে ধ্বংস করল। আর এই টেলিভিশনটা। যেসব জিনিস মানুষের সেবা করে, মানুষের কাজ করে বেছে বেছে সেই জায়গাগুলোতেই তারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি-জামায়াত অতীতের মতোই অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। এবার তারা আলাদা; তারা গান পাউডার ব্যবহার করেছে। দেশের বাইরে আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট ও মানুষের রুটি-রুজি বন্ধের পাঁয়তারা করছে তারা।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত সপ্তাহে সারা দেশে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিটিভিসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি নামানো হয়।
কাফি