অর্থনীতি
সুদহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব: ড. ফরাসউদ্দিন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, টাকার মূল্যমান কমে আসাটা চিন্তার কারণ। দেশে ক্রয়ক্ষমতা, বিনিময় হার ও সুদহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। মূল্যস্ফীতি হলে যাদের ক্রয়ক্ষমতা কম, তারা বেশি ভোগেন। গরিব মানুষের বেশি কষ্ট হয়। বিনা প্রশ্নে ব্যাংকে ছয় মাস টাকা জমা রাখার সুযোগ দেয়া যেতে পারে। তাহলে লুকানো টাকা অন্তত ব্যাংকের মাধ্যমে ফিরে আসবে। মূল্যস্ফীতি যা হবে, বাজেটে তাই উল্লেখ করতে হবে। তথ্য-উপাত্তের বিশ্বাসযোগ্যতা খুব দরকার। সঠিক তথ্য-উপাত্ত থাকা উচিত।
‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং’ বিষয়ে তৃতীয় এ, কে, এন, আহমেদ মেমোরিয়াল লেকচার অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক এই গভর্নর বলেন, কমার্শিয়াল ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা পায় কই। তফসিলি ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা আসে কোথায় থেকে। তারা কী মানিলন্ডারিং করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা কিনছে কেন?
ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, শুল্ক কমিয়ে দেয়ার পরও ক্রেতা সুবিধা পায় না। বিক্রেতার সুবিধা আরো বাড়ে। এটা অদ্ভুত এক দেশ। মধ্যসত্ত্বভোগীদের পেটে এসব টাকা চলে যায়।
এবারের বোরোর ফলন ভালো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা ভালো লক্ষণ। তবে, সরকারের খাদ্যশস্য সংগ্রহ অভিযানে ঝামেলা আছে। চাষি থেকে না কিনে পেছনের দরজা দিয়ে কেনা হয়। এগুলো মজুত করা হয়। সংকট তৈরি করা হয়। এটা ঠেকাতে সমবায়ভিত্তিক ফসল চাষ ও গুদামজাত করা যেতে পারে।
১৯৭২-৭৪ সালে গগনচুম্বী মূল্যস্ফীতি ছিল, বঙ্গবন্ধু সেটা নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন, টিসিবির মাধ্যমে। ১৯৯৮ সালে বন্যার ফলে খাদ্যসংকট দেখা দেয়। তখন শেখ হাসিনার সরকার বিনামূল্যে ৯ মাস খাদ্য বিতরণ করে সেটা নিয়ন্ত্রণে এনেছিল।
লেকচার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম-এর গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
বক্তব্যে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, রফতানি, আমদানি ও রেমিট্যান্স; মানে কারেন্ট অ্যাকাউন্টের যেসব লেনদেন, এগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক টাচ করে না। কমার্শিয়াল ব্যাংক টাচ করে, সরাসরি। যা ব্যালান্স এমাউন্ট তাদের কাছে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্সের কোনো টাকা দেশে আসে না। এর সবই পরিচালনা করা হয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে। তাদের মাধ্যমে রপ্তানি আয় আসে। যেহেতু, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট এখন আমাদের সারপ্লাস। ২০২০-২১ অর্থবছরে কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ডিপোজিট ছিল জিডিপির প্রায় চার শতাংশ। গত বছর আমরা বিভিন্নভাবে কমিয়ে জিডিপির এক শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছিলাম। সেটা এই বছরে জানুয়ারি পর্যন্ত চার বিলিয়ন ডলার সারপ্লাস, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট। এসব টাকা কমার্শিয়াল ব্যাংকে জমা আছে।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি রোধে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এতে বাজার থেকে টাকা উঠে এসেছে। একই সময়ে সরকারের অনেক প্রকিউরমেন্ট আছে, যেগুলো কমার্শিয়াল ব্যাংক সাপোর্ট করতে পারছিল না। সেগুলো সাপোর্ট করার জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার দিচ্ছি। ডলার বিক্রি হওয়ায় বাজার থেকে আরো টাকা উঠে এসেছে। এতে বাজারে সিরিয়াস লোকাল কারেন্সির ক্রাইসিস শুরু হয়। তখন কমার্শিয়াল ব্যাংককে আমরা বলেছি, আমাদের কাছ থেকে টাকা নাও। যখন তোমার টাকা হবে আমাদের দিয়ে দিও। তখন সোয়াপ শুরু হয়। এটা অনেকটা উইন উইন সিচুয়েশন। আমার রিজার্ভ বাড়ছে। এটা অন্যভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মো: আখতারুজ্জামান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক এবং পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন এবং পরামর্শ) মো. শিহাব উদ্দিন খান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালক, পরিচালক, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অর্থনীতিবিদ, বিভিন্ন ব্যাংকের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রধান, বিআইবিএমমের অনুষদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে এ, কে, এন, আহমেদ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড হিসেবে ৮ জন মাস্টার্স ইন ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (এমবিএম) শিক্ষার্থীকে ভালো ফলাফলের জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং একটি সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রয়াত এ কে এন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বিতীয় গভর্নর । তিনি ১৯৭৪ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৭৬ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অর্থনীতি
৯ হাজার কোটি টাকার জ্বালানি তেল কিনছে সরকার

আন্তর্জাতিক দরপত্র (কোটেশন) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের তিন প্রতিষ্ঠান থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। দেশের জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বরের (ছয় মাস) জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই জ্বালানি তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, সিঙ্গাপুরের তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তিনটি প্যাকেজে এ তেল আমদানি করা হবে। প্যাকেজ বি- পেট্রোচিনা ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেড, প্যাকেজ সিতে- ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড এবং প্যাকেজ ডিতে সিনোচেম আন্তর্জাতিক তেল (সিঙ্গাপুর) পিটিই লিমিটেড সিঙ্গাপুর। এতে মোট ব্যয় হযে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে ২০২৫ সালের জানুয়ারি টু জুন সময়ের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ম করপোরেশন (বিপিসি)’র ২০২৫ সালের পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব গত বছরের ২৪ অক্টোবর সিসিইএ বৈঠকে নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়।
দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে মেয়াদি চুক্তির আওতায় জি-টু-জি ভিত্তিতে নেগোসিয়েশন করা চীনের দুটি এবং ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ওমানের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ের জন্য ১৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
এই জ্বালানি তেলের মূল্য প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসসহ ৯৫ কোটি ৬৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩২ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১১ হাজার ৪৭৯ কোটি ৪ লাখ টাকা। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে সভায় এই প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিয়েছে।
এরমধ্যে গ্যাস অয়েল ৮ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন, জেট এ-১: ১ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন, মোগ্যাস ৭৫ হাজার মেট্রিক টন, ফার্নেস অয়েল ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং মেরিন ফুয়েল ৩০ হাজার মেট্রিক টন কেনা হবে।
কাফি
অর্থনীতি
১৭২ কোটি টাকায় পুলিশের জন্য কেনা হবে গাড়ি

বাংলাদেশ পুলিশের অপারেশনাল কাজে ব্যবহারের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে ২০০টি ডাবল কেবিন পিকআপ ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে খরচ হবে ১৭২ কোটি টাকা।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জননিরাপত্তা বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ পুলিশের অপারেশনাল কাজে ব্যবহারের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম)-এর মাধ্যমে ২০০টি ডাবল কেবিন পিকআপ ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বাংলাদেশ এর কাছ থেকে এই গাড়ি কিনতে খরচ হবে ১৭২ কোটি টাকা।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আমরা কতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরমধ্যে ধারাবাহিকভাবে এলএনজি আনা যাতে জ্বালানির বিষয়ে আমরা সেভ থাকি।
তিনি বলেন, বৈঠকে শস্য গুদামজাত করার জন্য সাইলো নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পুলিশের অনেকগুলো গাড়ি ডেমেজ হয়েছে। এজন্য গাড়ি কেনার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। একইসঙ্গে পুলিশের জন্য ঢাকার কাছাকাছি আমরা একটা বিশেষ স্থান করেছি। তারা সেখানে হাউজিং কমপ্লেক্স করবে।
এছাড়া বৈঠকে এমওপি, টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের কিছু লাইট হাউজ আছে সেগুলো চর কুকড়িমুকড়ি মতো বিভিন্ন জায়গায় করার জন্য অনুমোদন দিয়েছি। জলযান ও সেলভেজ ভেইক্যাল এর মতো একটা জাহাজ রিপেয়ার করবে সেটার জন্য টাকা অনুমোদন করেছি।
অর্থনীতি
৩৭৯ কোটি টাকায় ১০০ টন সার কিনবে সরকার

রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে কানাডা ও রাশিয়া থেকে ৭০ মেট্রিক টন এমওপি সার এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ইউএই থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন রক ফসফেট আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৭৯ কোটি ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯০০ টাকা।
বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সার উৎপাদনকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের (টিএসপিসিএল) জন্য ৩০ হাজার মেট্রিক টন রক ফসফেট (৭০ শতাংশ বিপিএল মিনিমাম) আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মেসার্স জেনট্রেড এফজেডই থেকে এ রক ফসফেট আনতে ব্যয় হবে ৮৯ কোটি ৫০ লাখ ৩৪ হাজার ৭০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ২৩২ দশমিক ৯০ মার্কিন ডলার।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন (সিসিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে এ সার আনতে ব্যয় হবে ১৬৫ কোটি ৭৩ লাখ ৯৪ হাজার ৪০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৩৯ দশমিক ৬৩ মার্কিন ডলার।
এছাড়া বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার জেএসসি ও বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ সার আনতে ব্যয় হবে ১২৪ কোটি ৩০ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৩৯ দশমিক ৬৩ মার্কিন ডলার।
অর্থনীতি
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে অর্থনীতি স্থবির হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

ঈদে টানা ১০ দিনের দীর্ঘ ছুটিতে দেশের অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না বা স্থবির হবে না জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (০৪ জুন) সচিবালয়ে দুপুরে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ঈদে টানা ১০ দিনের ছুটি এ সময় দেশের অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা বা স্থবির হবে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, স্থবির হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, ব্যবসায়ীরা তাদের মতো করে ব্যবসা করবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে কোন কোন দিন, কোন কোন স্থানে ব্যাংক খোলা থাকবে… গরুর হাটে কীভাবে থাকবে।
তিনি বলেন, এ রকম হলিডে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আরও বেশি থাকে। বড়দিনে ২০ থেকে ২৫ দিন ছুটি থাকে। নেপালে দুর্গাপূজার সময় ৩০ দিন ছুটি থাকে। তখন তাদের দেশ চলে না? সুতরাং দেশ চলবে। ইতোমধ্যে আমরা বাজেট দিয়ে দিয়েছি। বাজেটে মোটামুটি কর্মপন্থা কী হবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদের পর বাজেটের ওপর কার কী মন্তব্য, সাজেশন থাকবে সেটি নেব। ১৯ জুন পর্যন্ত মতামত দিতে পারবে বাজেটের বিষয়ে। ২২ তারিখ কেবিনেট বৈঠকে বাজেট অনুমোদন হবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে দারিদ্র্যদের জন্য সুখবর আছে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সুখবর আছে, আপনারা বাজেটের কোথায় কোথায় পরিবর্তন হয়েছে সেটি একটু দেখেন।
এতে সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ফিরবে বলে মনে করেন? এ প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বাজেটে স্বস্তি আছে।
অর্থনীতি
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা

ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে ঘরমুখো হচ্ছে মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।এদিকে বাড়ছে যমুনা সেতুতে টোল আদায়ের পরিমাণ। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু থেকে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ এবং এর বিপরীত ৩৩ হাজার ৫৬৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৫৬৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৭ হাজার ৬৫৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৫০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৯০৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪১ লাখ ৮১ হাজার ৫০ টাকা।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই যানজট। যানজট নিরসনে যমুনা সেতু পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য ৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর ওপর কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেই জন্য দুইটি রেকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমাদের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় আছে। সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে। মানুষ যেন নির্বিঘ্নে গন্তব্য পৌঁছাতে পারে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে, নেই যানজট। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ মহাসড়কে সার্বক্ষণিক রাত-দিন কাজ করছে। মানুষ যেন নির্বিঘ্নে গন্তব্য পৌঁছাতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।