আন্তর্জাতিক
জাপানে বাড়ছে বিদেশী শিক্ষার্থীদের ব্যয়

জাপান সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের কারণে দেশটিতে বিদেশী শিক্ষার্থীদের খরচ বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, দেশটিতে টিউশন ফির সর্বোচ্চ সীমা তুলে নেয়া হচ্ছে। এতে জাপানে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের এ বাবদ খরচ বেড়ে যেতে পারে। খবর নিক্বেই এশিয়া।
বর্তমানে জাপানের ৮৬টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ট্যান্ডার্ড টিউশন বার্ষিক ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ ইয়েন বা ৩ হাজার ৫০০ ডলার। তবে বিদ্যালয়ে ২০ শতাংশ বা ৬ লাখ ৪২ হাজার ৯৬০ ইয়েন পর্যন্ত টিউশন ফি দিতে পারে। এতদিন দেশটিতে দেশী ও বিদেশী শিক্ষার্থীদের একই পরিমাণ চার্জ প্রযোজ্য ছিল। তবে নতুন নিয়ম অনুসারে বিদেশীদের গুনতে হবে বাড়তি অর্থ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশী শিক্ষার্থীদের ফি সীমা তুলে দিতে চলতি মাসে কলেজ টিউশন বিষয়ে অধ্যাদেশ সংশোধন করবে জাপান। এর প্রভাবে বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য আরো বেশি চার্জ নিতে প্ররোচিত করতে পারে।
স্থানীয় সরকার পরিচালিত পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন এ নিয়ম অনুসরণ করবে।
দেশটিতে উচ্চ শিক্ষা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের বিশেষ কিছু প্রশিক্ষণের দরকার হয়। এর মধ্যে রয়েছে জাপানি ভাষা শিক্ষা ও জাপানি ভাষায় প্রতিবেদন লেখার প্রশিক্ষণ। এছাড়া আবাসন বাবদও শিক্ষার্থীদের বড় অংকের খরচ করতে হয়।
বিদেশী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে জাপান সরকারের কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। ২০৩৩ সালে বিদেশী ছাত্রদের সংখ্যা চার লাখে উন্নীত করতে চায় টোকিও, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। তবে এ লক্ষ্য অর্জনে উচ্চ খরচের দেশ জাপানকে অনেক পথ হাঁটতে হবে।
দেশটির রাজধানীতে অবস্থিত টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী ছাত্রের হিস্যা মাত্র ২ শতাংশ। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের দুই প্রধান উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ২৪ ও হার্ভার্ডে ১২ শতাংশের বেশি।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ইলন মাস্কের নেই: হোয়াইট হাউজ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সবচেয়ে’ ঘনিষ্ঠ মিত্র এখন ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া ও মার্কিন প্রশাসনের অনেক বিষয়েই হস্তক্ষেপ করেছেন বিশ্বের শীর্ষ এই ধনী। মার্কিন প্রশাসনের দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব তার হাতে তুলে দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে হোয়াইট হাউজ বলছে, প্রশাসনের কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই ইলন মাস্কের।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউজের প্রশাসনিক কার্যালয়ের পরিচালক জোশুয়া ফিশার সই করা এক নথিতে বলা হয়েছে, ইলন মাস্কের ভূমিকা ট্রাম্প প্রশাসনে একজন হোয়াইট হাউজ কর্মী ও প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে নির্ধারিত। তিনি সরকারি ডিওজিইর কোনো কর্মচারী নন ও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন না।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, মাস্ক কেবলমাত্র প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দিতে পারেন এবং প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা পৌঁছে দিতে পারেন। অন্যান্য জ্যেষ্ঠ হোয়াইট হাউজ উপদেষ্টাদের মতো, মাস্কের নিজস্ব বা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্য। ওই মামলার নথিতে ফিশার এসব কথা বলেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের কিছু পদক্ষেপের মধ্যে একটি হলো- মার্কিন প্রশাসন সংকুচিত করা। আর এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইলন মাস্ককে। তারই অংশ হিসেবে ডিওজিই সরকারি সংস্থাগুলোর ভেতরে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। সংস্কার আনতে ছাঁটাই করা হয়েছে হাজারো কর্মী।
সোমবার ডিওজিই ও মার্কিন প্রশাসনে ইলন মাস্কের কার্যক্রম নিয়ে এক মামলা আদালতে ওঠে। মামলার উদ্দেশ্য, ইলন মাস্কের থেকে সরকারি সংস্থাগুলোর তথ্য ব্যবস্থা রক্ষা করা। ১৩ জন ডেমোক্রেটিক অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল জরুরি আদেশ চেয়ে মামলা করেছেন, যাতে মাস্ক ও ডিওজিইকে সরকারি সিস্টেমে প্রবেশ করা এবং সাতটি সংস্থার কর্মীদের বরখাস্ত করা থেকে বিরত রাখা যায়।
অ্যাটর্নি জেনারেলরা ইলন মাস্কের ডিওজিই দলকে শ্রম, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবসেবা, জ্বালানি, পরিবহন, বাণিজ্য বিভাগ ও কর্মী ব্যবস্থাপনা দপ্তরের তথ্য ব্যবস্থায় প্রবেশ থেকে নিষিদ্ধ করতে চান। তারা আরও দাবি করেছেন, বিচারক যেন মাস্ক ও ডিওজিই দলের সদস্যদের সরকারি কর্মচারীদের বরখাস্ত করা বা ছুটিতে পাঠানো থেকে বিরত রাখেন।
অঙ্গরাজ্যগুলো যুক্তি দিয়েছে, তাদের শিক্ষা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তারা মাস্কের দলকে সংস্থাগুলোর তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন উদ্যোগ বাতিল করা ও ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের অভিযোগ এনেছে।
মার্কিন জেলা বিচারক তানিয়া চাটকান বলেন, আমি যা শুনছি তা অবশ্যই উদ্বেগজনক, তবে আমি কোনো আদেশ দেওয়ার আগে আমাকে যথাযথ প্রমাণ ও তথ্য-উপাত্ত পেতে হবে। অঙ্গরাজ্যগুলো জরুরি নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি মানদণ্ড পূরণ করতে পেরেছে কি না, এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিচারক আরও বলেন, এটি অনেকটা প্রতিরোধমূলক নিষেধাজ্ঞার মতো, যা আইনত অনুমোদিত নয়। যদি অঙ্গরাজ্যগুলো শেষ পর্যন্ত মামলায় জয়ী হয়, তবেই তিনি নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবেন।
মাস্কের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন ফেডারেল আদালতে এ নিয়ে প্রায় ২০টি মামলা হয়েছে। শুক্রবার ডিওজিইর ওপর একটি সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছেন নিউইয়র্কের মার্কিন জেলা বিচারক জেনেট ভার্গাস। এ নিষেধাজ্ঞায় মাস্কের দলকে ট্রেজারি বিভাগের সেই সিস্টেমে প্রবেশ থেকে বিরত রেখেছে। এই সিস্টেমে প্রতিদিন কোটি কোটি ডলারের লেনদেন হয়। তবে ডিওজিই নিয়ে বেশির ভাগ মামলায় বিচারকেরা এখনো চূড়ান্ত রায় দেননি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কানাডায় ৮০ জন যাত্রী নিয়ে উল্টে গেলো প্লেন

টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডেল্টা এয়ার লাইন্সের একটি আঞ্চলিক জেট বিমান অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে উল্টে যায়। এতে কমপক্ষে ১৮ জন আহত হয়েছেন, তবে সৌভাগ্যবশত সবাই বেঁচে গেছেন।
বিমান সংস্থার প্রধান নির্বাহী ডেবোরা ফ্লিন্ট বলেছেন, আমরা খুবই কৃতজ্ঞ যে এই দুর্ঘটনায় কেউ মারা যায়নি এবং আহতরা তুলনামূলকভাবে কম গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।
দেশটির জরুরি সেবা দানকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় একজন শিশু এবং দুই প্রাপ্তবয়স্ক গুরুতর আহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ছবিগুলোতে দেখা গেছে, বিমানটি উল্টে গিয়ে বরফে ঢাকা রানওয়েতে পড়ে আছে এবং এর অন্তত একটি ডানা ভেঙে গেছে।
কানাডার ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর সিআরজে-৯০০ আঞ্চলিক জেটে থাকা ৮০ জনকে (৭৬ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু সদস্য) নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এয়ারলিফট করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার পর বিমানবন্দরের ফ্লাইট অপারেশন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল, তবে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে ফ্লাইট অপারেশন আবার চালু করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি, তবে আবহাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার সেখানে ২০ থেকে ৩০ মাইল বেগে বাতাস বইছিল। কানাডার পরিবহন সুরক্ষা বোর্ড এই দুর্ঘটনার তদন্ত করবে।
ওয়াশিংটন ডিসির রিগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জানুয়ারিতে একটি মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পরেই এই ঘটনাটি ঘটলো। সেই দুর্ঘটনায় আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি আঞ্চলিক জেট এবং একটি আর্মি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের মাঝ আকাশে সংঘর্ষ ঘটে যেখানে ৬৪ জন নিহত হয়েছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইউক্রেনে শান্তি স্থাপনে সেনা পাঠাতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য

ইউক্রেনের শান্তিরক্ষায় দেশটিতে ব্রিটিশ সেনা মোতায়েনে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এ কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার।
এদিন প্যারিসে ইউরোপীয় নেতাদের জরুরি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে ডেইলি টেলিগ্রাফে লেখা এক নিবন্ধে তিনি বলেন, আমরা যদি ভবিষ্যতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আরও আগ্রাসন আটকাতে চাই, তাহলে ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
স্টার্মার আরও বলেন, আমরা ইউক্রেনের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে প্রস্তুত, প্রয়োজনে সেখানে আমাদের নিজস্ব সেনা মোতায়েন করতেও রাজি আছি। এটি আমি হালকাভাবে বলছি না। ব্রিটিশ সেনাদের ঝুঁকির মধ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্তের গুরুদায়িত্ব আমি গভীরভাবে অনুভব করি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মতে, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা মানেই ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তবে সাবেক ব্রিটিশ সেনাপ্রধান লর্ড ড্যানাট জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনী এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, তারা ইউক্রেনে কোনো সম্ভাব্য শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনা করতে পারবে না। তিনি বলেন, ইউক্রেনে শান্তি বজায় রাখতে প্রায় এক লাখ সেনা দরকার হবে, যেখানে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে অন্তত ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করা লাগবে, যা বর্তমানে সম্ভব নয়।
ট্রাম্পের ভূমিকা ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। স্টার্মার জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা গ্যারান্টি ছাড়া ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি সম্ভব নয়, কারণ কেবল যুক্তরাষ্ট্রই পুতিনকে প্রতিরোধ করতে পারে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সৌদি আরবে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। তবে ইউক্রেন সরকার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার আলোচনায় তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
ট্রাম্প সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন এবং জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ আলোচনা শুরু করা হবে।
ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও তিনি তার পরিকল্পনার ব্যাপারে অবহিত করেছেন এবং ইউরোপীয় দেশগুলো যেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র কিনতে পারে, সে ব্যবস্থা করবেন।
স্টার্মার সতর্ক করে বলেছেন, আমরা এমন এক পরিস্থিতি চাই না যেখানে আফগানিস্তানের মতো যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করে কাবুল সরকারকে উপেক্ষা করেছিল। আমি নিশ্চিত যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এটি এড়াতে চাইবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভূমিকম্পে কাঁপলো দিল্লি

ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো দিল্লি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৩৬ মিনিটে কেঁপে ওঠে ভারতের রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাসিন্দাদের মধ্যে। লোকজন ছুটোছুটি করে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (এনসিএস) তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল চার। এর উৎপত্তিস্থল দিল্লির মধ্যেই এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার গভীরে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, সাধারণত ৫ বা ১০ কিলোমিটার গভীরতার অগভীর ভূমিকম্পগুলো তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করতে পারে।
ভূমিকম্পের পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে এক বার্তায় জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং সতর্কতার সঙ্গে নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে।
দিল্লি অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। এটি ভারতের ভূমিকম্প সংবেদনশীল ‘জোন ৪’ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিতে পড়ে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দিল্লিতে একাধিকবার চার বা এর বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শহরটি প্রায়ই দূরবর্তী ভূমিকম্পের কম্পন অনুভব করে, বিশেষ করে হিমালয়, আফগানিস্তান ও চীন থেকে উৎপন্ন ভূমিকম্পগুলোর প্রভাব সেখানে টের পাওয়া যায়।
সাধারণত ভূগর্ভের ১০০ কিলোমিটার বা তার বেশি গভীরে উৎপন্ন ভূমিকম্প অনেকটা দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। তবে যত দূরে উৎপত্তি হয়, এর শক্তি তত কমে যায় এবং কম্পনের মাত্রা দুর্বল হয়ে যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশ-ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা বাতিল

বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে বড় ধরনের সহায়তা অর্থায়ন বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মসূচিও বাতিল করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ভারতের জন্য নির্ধারিত ২১ মিলিয়ন ডলারের কর্মসূচিও বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ও বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) এই ঘোষণা দিয়েছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। এতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন বাজেট কমিয়ে আনার জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং এর আওতায় ভারত-বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের তহবিল বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) রোববার বলেছে, ভারতে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষ্যে ২১ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নির্ধারিত ২৯ মিলিয়ন ডলারের কর্মসূচি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সাহায্যে বৃহত্তর কাটছাঁটের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভারতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় উন্নতির লক্ষ্যে নেওয়া মূল উদ্যোগগুলোকে প্রভাবিত করবে।
ইলন মাস্ক অবশ্য বারবারই জোর দিয়ে বলেছেন, বাজেট কাটছাঁট ছাড়া চলতে থাকলে “আমেরিকা দেউলিয়া হয়ে যাবে” এবং এই উদ্যোগটি প্রশাসনের পরিকল্পনা করা বাজেট ওভারহলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।
ইন্ডিয়া টুডে বলছে, ভারতের জন্য বরাদ্দ করা ২১ মিলিয়ন ডলারের তহবিলটি বিশেষভাবে দেশটির নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছিল। যাইহোক ভারত এখন আর এই তহবিল পাবে না বলে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) ঘোষণা করেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দেখা করার কয়েকদিন পরেই ভারতে সহায়তার বিষয়ে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যদিও বৈঠকের পর দুই নেতা মার্কিন-ভারত সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে যৌথ বিবৃতি বা সংবাদ সম্মেলনে এর উল্লেখ পাওয়া যায়নি।
আর বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রোগ্রামটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি এবং গণতান্ত্রিক শাসনকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে গত বছরের আগস্টে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যান এবং ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার এখন দেশ শাসন করছে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডিওজিই) এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশও প্রভাবিত হবে।
এর মধ্যে মোজাম্বিকের জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার, কম্বোডিয়ার জন্য ২.৩ মিলিয়ন ডলার, সার্বিয়ার জন্য ১৪ মিলিয়ন ডলার, মলদোভায় ২২ মিলিয়ন ডলার, নেপালে দুটি উদ্যোগে ৩৯ মিলিয়ন ডলার এবং মালিতে ১৪ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পের ওপর প্রভাব পড়বে।
এছাড়া বিশ্বের আরও অনেক দেশ ও অঞ্চলও তহবিল বাতিলের এই তালিকায় রয়েছে।