পুঁজিবাজার
ফ্লোর প্রত্যাহারের দুইদিনে বিএটিবিসির মূলধন কমেছে ৪২শ কোটি টাকা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেডের (বিএটিবিসি) ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের আজ দ্বিতীয় দিন। আজও বাজারে শেয়ারের দর হারিয়েছে কোম্পানিটি। শেয়ারটির আজকের বাজারদর গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ কমেছে। সেই সঙ্গে দুইদিনে কোম্পানিটির বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
সূত্র মতে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ‘এ’ ক্যাটাগরির অধীনে তালিকাভুক্ত বিএটিবিসির শেয়ারের উপর থেকে গত রবিবার (৪ মার্চ) ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়। এদিন থেকে কোম্পানিটির শেয়ারদরের সঙ্গে মূলধন কমার প্রবণতা দেখা যায়। দুইদিনে শেয়ারটির দর উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ডিএসই সূত্র মতে, ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহার আগে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৫১৮ টাকা ৭০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের প্রথমদিনে শেয়ারের দাম ৩৮ টাকা ৯০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ কমেছে। বাজার শেষে শেয়ারের দর দাড়িয়েছিলো ৪৭৯ টাকা ৮০ পয়সায়। এদিনেই বাজার মূলধন ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে ২৫ হাজার ৯০৯ কোটি টাকায় নেমে আসে।
আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) শেয়ারটির ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের দ্বিতীয় দিনে শেয়ারের দাম আরেকটি উল্লেখযোগ্য পতনের সম্মুখীন হয়। একদিনেই ৩৯ টাকা বা ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ কমে ৪৪০ টাকা ৮০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। ফলস্বরূপ, বাজার মূলধন আরও ২ হাজার ৮০ কোটি টাকা হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে ২৩ হাজার ৮২৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ দুই কার্যদিবসে কোম্পানিটির বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ১৮০ কোটি টাকা।
জানা গেছে, বিএটিবিসি স্টক এক্সচেঞ্জের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানিটির শেয়ারদর গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ কমেছে। ২০২২ সালের ১৬ মার্চ শেয়ারটির দর ছিলো ৫৯৫ টাকা ৩০ পয়সায়। আর আজ বাজার শেষে শেয়ারটি অবস্থান করছে ৪৪০ টাকা ৮০ পয়সায়। অর্থাৎ দুই বছরে শেয়ারটির দর কমেছে ১৫৪ টাকা ৫০ পয়সা।
আজ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের প্রধান সূচক ৪৪ দশমিক ১০ শতাংশ কমেছে। এদিন ডিএসইতে ৮৪৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১০২টি কোম্পানির, বিপরীতে ২৩২ কোম্পানির দর কমেছে। আর ৬৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
এসএম

পুঁজিবাজার
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ব্যর্থ রাশেদ মাকসুদ ও অর্থ উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইলেন বিনিয়োগকারীরা

২০২৫-২৬ অর্থবছরে অর্ন্তবর্তী সরকারের ঘোষিত বাজেটের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশননের (বিএসইসি) অযোগ্য-ব্যর্থ চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ চেয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের মতে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সর্বোচ্চ পদে থেকেও বাজেটে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছুই আনতে পারেনি। বাজেটে যে আশার আলো খুঁজছিলেন বিনিয়োগকারীরা, তা পূরণ হয়নি। এটি রাশেদ মাকসুদের ব্যর্থতা। এখন বাজারের চাহিদা হলো আস্থা। তার সাথে বাজারের চাহিদা হলো রাশেদ মাকসুদ এবং অর্থ উপদেষ্টার অপসারণ। তাদের অপসারণই হবে এই সরকারের ঈদ উপহার।
বুধবার (৬ জুন) রাজধানীর ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ) বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এসময় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করা সংগঠনটির পক্ষ থেকে রাশেদ মাকসুদের ব্যর্থতা তুলে ধরে তার অপসারণের দাবি জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) প্রেসিডেন্ট এস.এম ইকবাল হোসাইন, সংগঠনের প্রধান মুখপাত্র মো. নুরুল ইসলাম মানিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময় সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট এস.এম ইকবাল হোসাইন বলেন, পুঁজিবাজারে টাকা লাগবে না, শুধু পলিসি লাগবে। অবস্থা এমন মনে হচ্ছে যেন রাশেদ মাকসুদের অপসারণ এই সরকারের জন্য পরাজয়। ওনারা পুঁজিবাজারটাকে শেষ করার জন্য গলা চেপে ধরেছে। যেখানে তিন হাজার কোটি টাকা ট্রেড হতো এখন দুইশো কোটি টাকার ট্রেড ভলিয়ম হয়ে গেছে। ড. ইউসূসের উদ্দেশ্যে বলছি, কোন কোন পরাজয় জয়ের চাইতেও গ্লানিকর হবে।
বাজেট বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে তিনি বলেন, আমরা বাজেটে কি পেলাম? আমরা সাধারণ একটা দাবি জানিয়েছিলাম যে, অপ্রদর্শিত আয় শেয়ার বাজারে প্রবেশ করার সুযোগ দিতে পারে। ছোট্ট একটা দাবি। আমরা শর্ত দিয়েছিলাম যে, বৈধ টাকাই যেটাতে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া হয়েছে সেটাকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হোক। সেটাতে ২৫ শতাংশ ট্যাক্স আরোপ করা হোক। নিদ্বিধায় সে যেন এটা বিনিয়োগ করতে পারে। সেইসাতে একটা নির্দিষ্ট সময় বেধে দেওয়া যায় যাতে সেই সময়ের মধ্যে শুধু লভ্যাংশ নিতে পারে কিন্তু ক্যাপিট্যাল উত্তোলন করতে পারবে না। আমরা তো চুরি-ডাকাতি, যারা টাকার বস্তা ফেলে গেছে তাদের টাকা আমরা কখনই এসব টাকা চাইনা। পুঁজিবাজারে যেন একটা প্রতিযোগীতা চলছে এটাকে শেষ করে দেওয়ার জন্য। এটাতো হতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টানা ৯ মাস চরম সংকট চলছে পুঁজিবাজারে। বাজেটে যে আশার আলো খুঁজছিলেন বিনিয়োগকারীরা, তা পূরণ হয়নি। টানা দরপতন আর কমে যাওয়া লেনদেনে বিপর্যস্ত পুঁজিবাজারে প্রত্যক্ষ কোনও প্রণোদনা না থাকায় বিনিয়োকারীদের হতাশা আরও বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ছিলো বাজেটে শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে কার্যকর ও স্পষ্ট উদ্যোগ থাকবে, থাকবে মূলধনি মুনাফা বা লভ্যাংশ আয়ে কর রেহাই। কিন্তু এসব কিছুই মেলেনি ঘোষিত বাজেটে। অথচ নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ বাজেটে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো উদ্যোগ নিয়ে আসতে পারেনি। তিনি এটা হেলায় ছেড়ে দিয়েছেন- যা হওয়ার হবে এমন অবস্থায়।
এসময় বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ৯ মাস টানা পতনে রয়েছে বাজার। এটা বিশ্বের কোনো শেয়ারবাজারে দেখা যায় না। রাশেদ মাকসুদ দায়িত্ব সেয়ার পর থেকেই পুঁজিবাজার পতনের বৃত্তে আটকে গেছে। তিনি যে ফ্যাসিস্টের দোসর তার প্রমাণ দিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগ ছাড়া মার্কেট ঘুরে দাড়ানোর সম্ভাবণা নেই। তাঁর পদত্যাগেই একমাত্র সমাধান।
এসময় বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, পুঁজিবাজারের মূল শক্তি বিনিয়োগকারী। তবে তাদের জন্য কোনো উদ্যোগ রাখা হয়নি। অথচ তাদের মূলধনি মুনাফা বা লভ্যাংশ আয়ে কর রাখা হয়েছে। নিজের ব্যক্তিগত অর্থ বিনিয়োগ করে যদি উপার্জিত আয় থেকে লাভের প্রায় অর্ধেক কর বাবদ দিয়ে দিতে হয় তাহলে পুঁজিবাজারে মানুষ কেনো বিনিয়োগ করবে। অবশ্যই বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ আয়ে কর রেহাই দরকার ছিলো। সেই সঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট যে তিনটি উদ্যোগ বাজেটে রাখা হয়েছে সেগুলো একটিও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য না। এমনকি
এসএম
পুঁজিবাজার
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের নাম সংশোধনে সম্মতি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রস্তাবিত নাম সংশোধনে সম্মতি দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির নাম ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড’-এর পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসি’ হবে। আগামী ১৫ জুন থেকে কোম্পানিটি নতুন নামে পুঁজিবাজারে লেনদেন করবে।
নাম সংশোধন ছাড়া কোম্পানিটির অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।
এসএম
পুঁজিবাজার
দেড় ঘণ্টায় লেনদেন মাত্র ৫৪ কোটি টাকা

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন চলছে। তবে এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে মাত্র ৫৪ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (০৪ জুন) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ১৬ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৬৮১ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ ২ দশমিক ২২ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক বেড়েছে ৫ দশমিক ৬১ পয়েন্ট।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ৫৪ কোটি ২২ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯২টির, কমেছে ৭১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০০ কোম্পানির শেয়ারদর।
এসএম
পুঁজিবাজার
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স পিএলসির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এ+’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-২’ রেটিং হয়েছে।
কোম্পানিটির গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ১৭ জুন বিকাল ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সভায় ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মাচ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম