আন্তর্জাতিক
হজযাত্রীদের জন্য স্যানিটাইজিং তসবিহ চালু
হজযাত্রীদের জন্য প্রথমবারের মতো স্যানিটাইজিং তসবিহ চালু করেছে সৌদিয়া এয়ারলাইন্স। আসন্ন রমজান এবং ওমরাহ মৌসুমে যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে এমন উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি আরবের জাতীয় পতাকাবাহী এ উড়োজাহাজ কর্তৃপক্ষ। খবর আরব নিউজ।
বিশেষ এ তসবিহ বেশ কয়েকটি ক্রিয়েটিভ এজেন্সির যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। নবসৃষ্ট এ তসবিহ একসঙ্গে দুটি কাজে ব্যবহৃত হবে। একদিকে এর মাধ্যমে তসবিহ গণনা হবে। এছাড়া তসবিহ গণনার পাশাপাশি হাতের স্যানিটাইজেশন হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঐতিহ্যগতভাবে তসবিহ গণনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে নতুন এ উদ্ভাবনী।
এটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে চা গাছের তেল। যা স্যানিটাইজিং উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এর মাধ্যমে তসবিহ গণনার পাশাপাশি যাত্রীদের হাত হবে জীবাণু মুক্ত।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশের আঁচ পশ্চিমবঙ্গে ছড়ালে বিহারও বাদ যাবে না: মমতা
বাংলাদেশ ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেছেন, সবচেয়ে বড় সীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশের সাথে, তাই বাংলাদেশে কিছু ঘটলে তার আঁচ এসে পড়ে পশ্চিমবঙ্গেও। বাংলাদেশের আঁচ যদি এখানে এসে কেউ আগুন লাগায় তাহলে কিন্তু আগুনটা বিহার অবদি বাদ যাবে না। এর কারণটা হচ্ছে যেহেতু আমরা পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে জড়িত এবং আমাদের বর্ডার সবারই এক। আমি চাই না এটা হোক।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ এর সাথে সাক্ষাৎকারে মমতা বলেন, এটা আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় ইস্যু। কেবল ভারত সরকার তাতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমি শুধু বলতে চাই প্লিজ আমাদের লোকদের রক্ষা করুন।
পশ্চিমবঙ্গের জেলে গ্রেপ্তারের বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বলেন, অনেক সময় জেলেরা পানির মধ্যে সীমান্ত বুঝতে পারে না তাই ভুল করে অন্য সীমান্তে প্রবেশ করে ফেলে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, ভারত-বাংলাদেশ একটা সমস্যা হয়েছে। আপনারা বসে ঠিক করে নিন। আমি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে চাই না।
শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানো প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সব দেশেই পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য বাহিনী আছে জাতিসংঘের কাছে। শ্রীলঙ্কাতেও রাজীব গান্ধীর আমলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বাহিনী পাঠানো হয়েছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বে এক দশকে বিলিওনিয়ার বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি
বিশ্বে বিগত দশ বছরে কোটিপতি ও বিলিয়নিয়ারদের মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১৪ ট্রিলিয়ন ডলার বা ১২১ শতাংশ। সে হিসেবে বিশ্বজুড়ে ডলার বিলিওনিয়ারের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
সুইজারল্যান্ডের বৃহত্তম ব্যাংক ইউবিএস শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আজ থেকে ১০ বছর আগে— অর্থাৎ ২০১৫ সালে বিশ্বে ডলার বিলিওনিয়ারের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭৫৭ জন। বর্তমানে এই সংখ্যা পৌঁছেছে ২ হাজার ৬৮২ জনে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল আরও বেশি ২ হাজার ৬৮৬ জন।
১০০ কোটি ডলার বা তার চেয়েও বেশি অর্থ-সম্পদ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের বলা হয় ডলার বিলিওনিয়ার।
১০ বছরে সবচেয়ে বেশি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে প্রযুক্তি ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত বিলিওনিয়ারদের সম্পদ। ইউবিএসের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৫ সালে টেক বিলিওনিয়ারদের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৭৮৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে এই সম্পদের পরিমাণ পৌঁছেছে ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে।
“সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন বিলিওনিয়াররা ই-কমার্স, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ডিজিটাল পেমেন্ট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, ফিনটেক, থ্রি ডি প্রিন্টিং এবং রোবোটিক্সকে ব্যাপকভাবে বাণিজ্যিকীকরণের আওতায় কারণে তাদের সম্পদের পরিমাণ নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
ইউবিএসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে প্রতি বছর বিলিওনিয়ারদের অর্থ-সম্পদ বেড়েছে ১০ শতাংশ হারে। তবে ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির সময় তা অনেক কমে গিয়েছিল। ওই বছর বিশ্বের বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ বেড়েছে মাত্র ১ শতাংশ। ২০১৫ সালে চীনা বিলিয়নিয়ারদের মোট সম্পদ ছিল ৮৮৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, ২০২০ সালে তা বেড়ে পৌঁছায় ২ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলারে।
তবে ২০২০ সালের পর থেকে কমতে শুরু করে চীনা বিলিওনিয়ারদের সম্পদ। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলারে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো— উত্তর আমেরিকার এই তিন দেশের বিলিওনিয়ারদের মোট সম্পদ ২০২০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার বা শতকরা ৫৮ দশমিক ৫ ভাগ।
২০২৪ সালে বিশ্বের বিলিওনিয়ারদের তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ২৬৮টি নতুন মুখ। নতুন এই বিলিওনিয়ারদের ৬০ শতাংশই উদ্যোক্তা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সামরিক আইন জারির জন্য ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
আকস্মিকভাবে দেশজুড়ে সামরিক শাসন আইন জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল। এতে করে দেশের পুরো রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। যার করণে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। এমন পরিস্থিতিতে তার রাজনৈতিক দল পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইউন সুক ইয়োল বলেন, “সম্প্রতি যা ঘটে গেল, সেজন্য আমি খুবই দুঃখিত এবং সবার কাছে অন্তর থেকে ক্ষমা চাইছি।”
“রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য আমার দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা বিনা আপত্তিতে মেনে নেবো। আমি আর এই পদে থাকব কি না- সে ব্যাপারেও দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত থাকবে।”
প্রেসিডেন্টের ভাষণ শেষ হওয়ার পর পিপিপির শীর্ষ নেতা হান ডং হুন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ ইস্যুতে দল কোনোভাবেই ছাড় দেওয়ার পক্ষপাতী নয়। হান বলেন, “প্রেসিডেন্ট তার পদে থাকা এবং দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা হারিয়েছেন। তাকে পদত্যাগ করতেই হবে। এটা আবশ্যিক।”
গত ৩ ডিসেম্বর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে আকস্মিকভাবে দেশজুড়ে সামরিক শাসন জারি করেন ইউন সুক ইয়োল। ইউন বলেছিলেন, পারমাণবিক শক্তিধর উত্তর কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সমর্থক শক্তিগুলোর হাত থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং সংবিধানকে রক্ষা করতে সামরিক আইন প্রয়োজন। তবে ভাষণে তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকির কথা উল্লেখ করেননি।
টেলিভিশনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেওয়ার পরপরই তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন পার্লামেন্টের বিরোধী ও সরকারি এমপিরা। কারণ সামরিক আইন জারি হলে পার্লামেন্ট ও রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হবে এবং গণমাধ্যম ও প্রকাশকদের সামরিক আইন কমান্ডের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। পার্লামেন্টের ক্ষুব্ধ আইনপ্রণেতারা একযোগে প্রেসিডেন্ট ইউনের জারি করা এ ডিক্রি প্রত্যাখ্যান করেন।
এদিকে প্রেসিডেন্ট সামরিক আইন জারি ঘোষণার পরপরই হেলমেট পরা সশস্ত্র সেনারা জানালা ভেঙে পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করেন। একই সময়ে পার্লামেন্টের ছাদের ওপরে চক্কর দিতে শুরু করে হেলিকপ্টার। পার্লামেন্টের কর্মীরা অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র থেকে গ্যাস স্প্রে করে সেনাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে প্রতিবাদকারীরা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন।
পার্লামেন্টের চাপের মুখে সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টা পরই তা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন ইওল। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রায়াত্ত বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সামরিক আইন জারির পর মধ্যরাতেই মন্ত্রিসভা আইন বাতিল করার ব্যাপারে একমত হয়। এরপর বুধবার সকালে এমপি’রা প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করার আহ্বান জানান।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ইউন সুক ইয়োল সামরিক শাসন জারির পর দেশটির রাজনীতি যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল, গত কয়েক দশকে এমনটা দেখা যায়নি। বিরোধীদলীয় এক এক এমপি ইয়োনহ্যাপকে বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করুন আর নাই করুন, আমরা তাকে অভিসংশন করব।”
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতীয়দের জন্য ভিসা সীমিত করল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে উত্তেজনার মধ্যেই কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনে ভারতীয়দের জন্য বাংলাদেশের ভিসা সীমিত করেছে ঢাকা। দুই দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন শক্ত পদক্ষেপ নিলো বাংলাদেশ। আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেয়া না হলেও বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) গোপন এক দাপ্তরিক চিঠির মাধ্যমে কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনকে বাংলাদেশ সরকারের তরফে ভারতীয়দের ঢালাও ভিসা দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে সেই নির্দেশ কার্যকরও শুরু করেছে করেছে কলকাতা দূতাবাস।
এর আগে ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে দুবৃত্তদের হামলা ও ভাঙচুরের পর সেখানে সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করে বাংলাদেশ সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারতীয়দের ভিসা দেওয়ার সব ধরনের প্রক্রিয়া।
তবে দিল্লি বা আসাম মিশনের ক্ষেত্রে এমন কোন নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা ও ত্রিপুরার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দিল্লি ও আসামের ক্ষেত্রেও একই রকমের নির্দেশনা আসতে পারে।
এর আগে গত বুধবার এক সংক্ষিপ্ত নোটিশে ত্রিপুরার সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ ও কলকাতার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার সিকদার মো. আশরাফুল রহমানকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং তার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্ক হিমশীতল অবস্থায় পৌঁছেছে। এখন নতুন করে সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও টানাপোড়ন দেখা দিয়েছে।
ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তারের পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ভারতের একাধিক স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। এ ছাড়া গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনায় শক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। শুধু প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশ থেমে যায়নি। ঘটনার একদিন পর ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে ক্ষোভ জানায় ঢাকা।
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ভারতও গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছে। এ ছাড়া হামলার ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারত এবং তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বে সবচেয়ে সুন্দরের স্বীকৃতি পেলো জায়েদ ইন্টারন্যাশানল এয়ারপোর্ট
বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর বিমানবন্দর হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির জায়েদ ইন্টারন্যাশানল এয়ারপোর্ট। জাতিসংঘের বৈশ্বিক শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো দিয়েছে এই স্বীকৃতি।
মূলত স্থাপত্যশৈলীর জন্যই জায়েদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেস্কোর সদরদপ্তরে এক উৎসবমুখর পরিবেশে এ স্বীকৃতির পাশাপাশি বিমানবন্দর স্থাপনা ও নকশা কমিটিকে ‘ওয়ার্ল্ড আর্কিটেকচার অ্যান্ড ডিজাইন’ পুরস্কারও প্রদান করা হয়েছে।
গত ২ ডিসেম্বর এই স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। এই দিনটি একই সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় দিবস এবং জায়েদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন দিবস। ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর এ বিমানবন্দরটি উদ্বোধন করা হয়েছিল।
দেখতে অনেকটা ইংরেজি অক্ষর এক্স আকৃতির এই বিমানবন্দরটির আয়তন ৭ লাখ ৪২ হাজার মিটার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের চিরায়ত স্থাপত্য ঐতিহ্য অনুসরণ করে তৈরি করা এ বিমানবন্দরটি একই সঙ্গে ১১ হাজার যাত্রী এবং ৭৯টি উড়োজাহাজ ধারণ করতে সক্ষম।
এর আগে এইউএইচ নামের যে বিমানবন্দরটি ছিল আবুধাবিতে, সেটির যাত্রী এবং উড়োজাহাজ ধারণক্ষমতা জায়েদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের তুলনায় অর্ধেক ছিল।