আন্তর্জাতিক
যুক্তরাজ্যের আবাসন খাতে ইতিবাচক মোড়
যুক্তরাজ্যের আবাসন খাতে আগের তুলনায় ক্রেতা চাহিদা বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দাম বেড়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। এমন তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম আর্থিক প্রতিষ্ঠান নেশনওয়াইড। তবে দীর্ঘ মন্থর চাহিদার পর বাড়ির দাম বাড়াকে দেশটির আবাসন বাজারের জন্য একটি ইতিবাচক মোড় হিসেবে দেখছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। খবর ইউরো নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষকদের দেয়া পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে। মূলত নিম্ন মর্টগেজ রেট ও মূল্যস্ফীতির চাপ কমায় বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতার আস্থা ফিরে এসেছে। ঋণদাতারা বলছেন, এ খাতে খরচ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ জানুয়ারিতে বাড়ির গড় দাম ২ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৬ পাউন্ড থেকে বেড়ে ২ লাখ ৬০ হাজার ৪২০ পাউন্ডে দাঁড়িয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান এডিনবার্গ মর্টগেজ অ্যাডভাইজের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক ডায়াসন বিষয়টিকে ক্রেতাদের আস্থার প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেন। আবাসন বাজার পুনরুত্থানের বিষয়ে তিনি জানান, আবাসন খাতের কার্যক্রম ও দাম বাড়ায় আগের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে। সুদহার কমে আসা ও ক্রেতাদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসায় এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
অনেকেই বলছেন, বছরের শুরুতে যুক্তরাজ্যে মর্টগেজ রেট কমে আসার কারণে ক্রেতারা বাজারে ফিরে আসছেন। যদিও এখনো ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদহার ৫ দশমিক ২৫ শতাংশে রেখেছে। তবে ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতির চাপ কমে আসায় সম্ভাব্য সুদহার কমানোর প্রত্যাশা করেছিলেন ঋণদাতারা।
আর্থিক বিশ্লেষণী ওয়েবসাইট নার্ডওয়ালেট ইউকের কর্মকর্তা এমি নাইট জানান, গত এক বছর আবাসন খাতে কোনো প্রবৃদ্ধি ছিল না। তাই বাড়ির দাম ১ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। পাশাপাশি হাউজিং মার্কেটে আসন্ন বাজেটের প্রভাবকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তিনি।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
জাতিসংঘে ড. ইউনূসের সফল সফর, চিন্তায় নয়াদিল্লি: আনন্দবাজার
যুক্তরাষ্ট্র সফর সফলভাবেই শেষ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অনেক হাইপ্রোফাইল বিশ্ব নেতার সাথে আন্তরিক বৈঠক করেছেন তিনি। আর এই বিষয়টিই দিল্লির আশঙ্কা বাড়িয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনে নিজে বক্তৃতা দেওয়ার পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, পররাষ্টমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট, বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রধান এবং এডিবি-র শীর্ষকর্তার সঙ্গেও আলাদা করে আলোচনা হয়েছে তার। এই সব আলোচনার মূল সূর একটাই। শেখ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের সরকারি নেতৃত্বের প্রতি পশ্চিমি দুনিয়া এবং আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন এবং সহযোগিতা থাকবে ভবিষ্যতে। যে সহায়তার কৌশলগত, বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক ভূমিকা রয়েছে।
ভারতের চিন্তা বাড়িয়ে নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের আলোচনার তালিকা প্রসারিত হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, সার্ককে জাগিয়ে তোলা ও বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করা নিয়ে কথা হয় ইউনূস-শরিফের। ভারতীয় কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গত ১০০ দিনে কার্য তালিকায় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ না থাকলেও এই মুহূর্তে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্কের কৌশল রচনাই নরেন্দ্র মোদি সরকারকে অগ্রাধিকারের মধ্যে রাখতে হবে।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আপাতত দু’টি বিষয় স্পষ্ট। এক, এই অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক বৈধতা পেয়ে গিয়েছে সে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মধ্যে। দুই, ঢাকার সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্ক আগামী দিনে এগোলে তা নিয়ন্ত্রণ করার মতো কূটনৈতিক অস্ত্র এখনও ভারতের হাতে নেই। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, জাতিসংঘে বাংলায় বক্তৃতা দিয়েছেন ইউনূস। এই বার্তাই তিনি দিতে চেয়েছেন, বাংলাদেশের জাতিসত্তার স্বকীয়তাতেই তিনি বিশ্বাসী।
জাতিসংঘের এই সফরে মোদির সাথে ড. ইউনূসের কোনো দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি। যদিও নানা গণমাধ্যমে প্রথমদিকে একটি সাইডলাইন বৈঠকের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। অনেক বিশ্লেষকই মনে করছেন, এখানেও কূটনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে ভারত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনে বিএনপির উদ্যোগে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর স্মরণে চীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর প্রীতি ম্যাচ। ম্যাচে গুয়াংজু একাদশ এবং শেনজেন একাদশ এই দুইটি দল অংশগ্রহণ করে।
মঙ্গলবার টুর্নামেন্টটি চীনের গুয়াংজু শহরে অবস্থিত ফুসান খেলার মাঠ অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের বৃহত্তর চীন শাখার নেতা-কর্মীরা।
খেলার শুরুতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শেনজেন একাদশ। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৮৬ রান করে গুয়াংজু একাদশ। জবাবে ৮৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান করে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় শেনজেন একাদশ। টুর্নামেন্টে ১ উইকেট এবং ২০ রান নিয়ে ম্যান অব দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় মো. আবির। টুর্নামেন্টের স্পনসর ছিল রাধুনী রেস্টুরেন্ট এবং স্টার ড্রাগন ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড।
পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসিফ হক রুপু, মো. রুহুল আমিন, মাসুদ আহমেদ, মো. সাখাওয়াত হোসেন কানন, হোসাইন মোহাম্মদ সাখাওয়াত, জাহিদুল ইসলাম, মো. ওয়ালী উল্লাহ, শেখ মাহবুবুর রশিদ, মো. নাদিম আহমেদ, মোহাম্মদ হাসমত আলী মৃধা, মনোয়ার মোঃ বায়েজিদ, সালাউদ্দিন রিক্তাসহ আরো অনেক।
প্রীতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে শতাধিকেরও বেশি বিএনপির বৃহত্তর চীন শাখার নেতাকর্মীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা দর্শক হিসেবে মাঠে থেকে খেলোয়াড়দের উৎসাহ প্রদান করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ফোর্বসের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় ৮ জনই প্রযুক্তি খাতের
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী শীর্ষ ৪০০ ধনীর তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস। তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ ধনীর মধ্যে ৮ জনই প্রযুক্তি খাতের। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, শীর্ষ ২৫ ধনীর মোট সম্পদের মূল্য প্রায় আড়াই লাখ কোটি বা ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা তালিকায় থাকা ৪০০ ধনীর মোট সম্পদের প্রায় অর্ধেক। শুধু তা–ই নয়, শীর্ষ ২৫ ধনীর প্রত্যেকেরই সম্পদ গত বছরের তুলনায় এ বছর গড়ে ৩১ শতাংশ বেড়েছে।
শীর্ষ তালিকায় প্রযুক্তি উদ্যোক্তারা
ফোর্বস–এর তালিকার প্রথমেই আছেন এক্স, টেসলা, স্পেসএক্সসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের মালিক ইলন মাস্ক। ৫৩ বছর বয়সী ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ২৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর তাই ফোর্বস ইলন মাস্ককে টেকনোকিং বা প্রযুক্তি–রাজা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সম্প্রতি টেসলার বাজার কিছুটা পড়ে যাওয়ার কারণে শেয়ারের দাম ১৪ শতাংশ কমে যাওয়ায় প্রায় ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খুইয়েছেন ইলন মাস্ক। তারপরও ফোর্বসের তালিকায় অন্যদের তুলনায় সম্পদের দিক থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
১৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। ৬০ বছর বয়সী জেফ বেজোস অ্যামাজন ছাড়াও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান লেভিয়াথানের ৯ শতাংশের মালিক। লেভিয়াথানের শেয়ারের দাম ২৯ শতাংশ বাড়ায় জেফের সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে। জেফ বেজোস বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর মহাকাশ পর্যটন নিয়ে কাজ করছেন।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। ৪০ বছর বয়সী এই ধনীর সম্পদের পরিমাণ ১৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত এক বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জাকারবার্গের সব প্রতিষ্ঠানের আয়ের পরিমাণ প্রতি ৩ মাস পরপর ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে।
ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন আছেন চতুর্থ অবস্থানে। শীর্ষ ধনীর তালিকায় সবচেয়ে বেশি বয়সী তিনি। ৮০ বছরের ল্যারির মোট সম্পদের মূল্য ১৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওরাকলের ৪০ ভাগ শেয়ারের মালিক ল্যারি। এ বছর ওরাকলের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১২ শতাংশ। আর তাই ল্যারিরও সম্পদ বেড়েছে।
তালিকার ষষ্ঠ অবস্থানে আছেন গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ৫১ বছর বয়সী ল্যারি পেজ। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সপ্তম অবস্থানে আছেন গুগলেরই আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন। ১৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদের মালিক ৫১ বছর বয়সী সের্গেই। গত জুলাই মাসে গুগলের শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছিল। শেয়ারের দাম বাড়ার কারণে সের্গেই ও ল্যারির সম্পদ বেড়েছে।
শীর্ষ ধনীর তালিকার অষ্টম অবস্থানে আছেন মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভ বলমার। ৬৮ বছর বয়সী স্টিভের সম্পদের পরিমাণ ১২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১৪ বছর মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করার পর ২০১৪ সালে অবসরে যান তিনি।
মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস আছেন তালিকার নবম অবস্থানে। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৬৮ বছর বয়সী বিল গেটস মাইক্রোসফটের দায়িত্ব ছাড়লেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), চিকিৎসাসহ বিভিন্ন গবেষণা বিষয়ে কাজ করছেন।
তালিকায় ১১তম স্থানে আছেন হাল আমলের আলোচিত প্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব জেনসেন হুয়াং। সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের আলোচিত মুখ হুয়াংয়ের মোট সম্পদের পরিমাণ ১০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি প্রসেসর নির্মাতা এনভিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা। এনভিডিয়ার শেয়ার গত বছরের তুলনায় ১৬২ শতাংশ বাড়ায় তাঁর সম্পদ গত বছরের তুলনায় ৬৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়েছে। ১৯৯৩ সালে তিনি এনভিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। সাম্প্রতিক সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির জন্য এনভিডিয়ার তৈরি প্রসেসরের চাহিদা বেড়েছে।
ডেল টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ৫৯ বছর বয়সী মাইকেল ডেল রয়েছেন তালিকার ১২তম স্থানে। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১০১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বছর ডেল টেকনোলজিসের শেয়ারের দাম বাড়ায় তাঁর সম্পদ গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
কনিষ্ঠ ধনী যাঁরা
ফোর্বসের ৪০০ জনের তালিকায় ২৬ জন আছেন, যাঁদের বয়স ৫০ বছরের কম। দুজনের বয়স ৩০–এর ঘরে। ১০ জন ধনীর গড় বয়স ৪২ বছর বা তার কম। শীর্ষ ১০ কনিষ্ঠ ধনীর মোট সম্পদের পরিমাণ ১৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ তালিকায় বেশ কয়েকজন আছেন প্রযুক্তি খাতের।
কনিষ্ঠ ধনীদের তালিকায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছেন ফেসবুকের দুই সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ও ডাস্টিন মস্কোভিৎজ। ৪০ বছর বয়সী মার্ককে সারা পৃথিবী চিনলেও প্রযুক্তি খাতে কিছুটা অপরিচিত ৪০ বছর বয়সী ডাস্টিন। জাকারবার্গের সম্পদের পরিমাণ ১৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর ডাস্টিনের ১৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মেটাতে ডাস্টিন মস্কোভিৎজের অংশীদারত্ব আছে। এ ছাড়া আসানা নামের একটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে তাঁর।
তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন এয়ারবিএনবির সহপ্রতিষ্ঠাতা ৪১ বছর বয়সী নাথান ব্লেচারজিক। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ কয়েন বেজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রায়ান আর্মস্ট্রং আছেন তালিকার ষষ্ঠ স্থানে। ৪১ বছর বয়সী ব্রায়ান আর্মস্ট্রংয়ের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কয়েন বেজের শেয়ার গত বছরের চেয়ে ১২৩ শতাংশ বাড়ায় এ বছর সম্পদ বেড়েছে ব্রায়ান আর্মস্ট্রংয়ের।
তালিকার ১০ নম্বরে আছেন ই–কমার্স উদ্যোক্তা আর্নেস্ট গার্সিয়া। ৪২ বছর বয়স্ক আর্নেস্টের মোট সম্পদের মূল্য ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর্নেস্ট গার্সিয়া ২০১২ সালে ই–কমার্স প্ল্যাটফর্ম কারভানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাবার সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে আর্নেস্ট গাড়ি কেনাবেচার ই–কমার্স চালু করেন। ২০১৭ সালে শেয়ারবাজার থেকে কারভানা ২২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছিল।
প্রথমবারের মতো তালিকায় যাঁরা
তালিকায় ৪০০ জনের মধ্যে নতুন সদস্য হিসেবে ২ জন প্রযুক্তি উদ্যোক্তার নাম রয়েছে। ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদ নিয়ে তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন আলেকজান্ডার কার্প। তিনি ডেটা মাইনিং প্রতিষ্ঠান প্যালান্টির টেকনোলজিসের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী কর্মকর্তা। গত ১২ মাসে তাঁর প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ১৭০ শতাংশ।
এনভিডিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম ব্যক্তিগত শেয়ারের মালিক ৬৬ বছর বয়সী টেঞ্চ কোক্সি। এনভিডিয়ার শেয়ার গত বছরের তুলনায় ১৬২ শতাংশ বাড়ায় তাঁর সম্পদও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। আর তাই ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ নিয়ে ফোর্বসের তালিকায় প্রথমবারের মতো নাম লিখিয়েছেন তিনি। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানও রয়েছে টেঞ্চ কোক্সির। সূত্র: ফোর্বস
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
অ্যাকসিলারেট এনার্জির উপদেষ্টা হলেন পিটার হাস
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানিকারক বহুজাতিক কোম্পানি অ্যাকসিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক উপদেষ্টা পদে যোগ দিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পিটার হাসের যোগদানের খবরটি জানিয়েছে অ্যাকসিলারেট এনার্জি।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সার্ভিস থেকে অবসরে যান পিটার হাস। বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহের জন্য কক্সবাজারের মহেশখালীতে সমুদ্রে ভাসমান একটি টার্মিনাল আছে অ্যাকসিলারেট এনার্জির। এর বাইরে আরও একটি টার্মিনাল নির্মাণের কথা রয়েছে তাদের। এছাড়া ২০২৬ সাল থেকে বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহে একটি চুক্তি করেছে অ্যাকসিলারেট।
বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাকসিলারেট এনার্জির প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন কোবোস বলেন, কূটনৈতিক জীবনে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন পিটার হাস। ভূরাজনীতি ও বাজার সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে তার। পিটার হাস অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব বিশ্বজুড়ে অ্যাকসিলারেটের গ্রাহকদের জ্বালানি নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৭তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন পিটার হাস। ২০২২ সালের মার্চ থেকে গত এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকায় দায়িত্ব পালন করেন এই পেশাদার কূটনৈতিক।
অ্যাকসিলারেট এনার্জি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের উডল্যান্ডে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এলএনজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এলএনজি সরবরাহের পাশাপাশি এলএনজি রূপান্তরের ভাসমান টার্মিনাল, অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে তারা। বাংলাদেশ ছাড়াও আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুরসহ বেশি কিছু দেশে ব্যবসা রয়েছে তাদের।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
হিজবুল্লাহর আরেক নেতাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
লেবাননে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর মৃত্যুর পর বৈরুতে বিমান হামলায় গোষ্ঠীটির আরেক শীর্ষ নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের উপ-প্রধান নাবিল কাউক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে এই ঘটনায় হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তারা হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। আইডিএফের মতে, এই হামলাগুলো হিজবুল্লাহর অস্ত্র এবং সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর করা হয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী এবং শিশুরাও রয়েছে।
চীন ও ইরানের প্রতিক্রিয়া
হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরাল্লাহর মৃত্যুর পর চীন এই ইসরায়েলি হামলার তীব্র সমালোচনা করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। চীন সব পক্ষকে, বিশেষ করে ইসরায়েলকে, উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, ইরান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে। ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানি জাতিসংঘকে পাঠানো এক চিঠিতে অভিযোগ করেছেন যে, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরবরাহকৃত বাঙ্কার-বাস্টার বোমা ব্যবহার করে বৈরুতের আবাসিক এলাকায় সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়েছে।
বেসামরিক মানুষের দুর্ভোগ
ইসরায়েলের এই আক্রমণে লেবাননে মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার কারণে দুই লাখ মানুষ লেবাননের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ পার্শ্ববর্তী সিরিয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, এই সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত হলে অঞ্চলটিতে মানবিক বিপর্যয় আরো ঘনীভূত হতে পারে।