টেলিকম ও প্রযুক্তি
ফের দ্রুতগতির মোবাইল নেটওয়ার্কের স্বীকৃতি পেলো বাংলালিংক

উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক দেশের ‘দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক’- এর স্বীকৃতি হিসেবে ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। গত চার বছর ধরে নিয়মিতভাবে বাংলালিংক এই পুরস্কার পেয়ে আসছে।এই স্বীকৃতি বাংলালিংক-এর নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত নেটওয়ার্ক সেবা দেওয়ার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে নির্দেশ করে।
সোমবার বাংলালিংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩২ দশমিক ৬৫ এমবিপিএস স্পিড স্কোর নিয়ে ২০২৩ সালের তৃতীয় ও চতুর্থ প্রান্তিকের ওকলা স্পিডটেস্ট রিপোর্টে গত চার বছরে টানা অষ্টমবারের মতো প্রথম স্থানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাপ থেকে প্রতিদিন সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই ফলাফল নির্ধারণ করা হয়। নেটওয়ার্কের সক্ষমতা, মান ও উপযোগিতা সঠিকভাবে জানার জন্য বিশ্বব্যাপী এটি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অ্যাপ।
এই অর্জন সম্পর্কে বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, দেশের দ্রুততম মোবাইল ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলালিংকের গ্রাহককেন্দ্রিক নীতির প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মানুষের আস্থাভাজন ও দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক সেবা দেওয়ার জন্য আমরা নেটওয়ার্ক অবকাঠামো সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি দ্বিগুণ করা হয়েছে। বাংলালিংক দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের সেবার মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করছে। এছাড়াও, টেলিকম সেক্টরে ইন্টারনেট সেবার উৎকর্ষ সাধনের ক্ষেত্রে বাংলালিংক একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
ওকলার প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিফেন বাই বলেন, স্পিডটেস্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের অংশগ্রহণমূলক পরীক্ষা নিরীক্ষা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করার পর, বাংলালিংককে দেশের ‘দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক’-এর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে টানা আট বার শুধু বাংলালিংক ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে।
স্টিফেন আরও বলেন, ২০২৩ সালের তৃতীয় থেকে চতুর্থ প্রান্তিকে বাজারে নেটওয়ার্ক সেবাপ্রদানকারী সব মোবাইল নেটওয়ার্কের গতি ও কর্মক্ষমতা তুলনার ভিত্তিতে শুধু একটি মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। বাংলালিংককে টানা চার বছর বাংলাদেশের দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্কের স্বীকৃতি দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। এটি গ্রাহকদের জন্য বাংলালিংক-এর মান সম্পন্ন ও দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক সেবা দেওয়ার একনিষ্ঠ প্রচেষ্টারই ফলাফল।
দেশজুড়ে চার কোটি ৩০ লাখের বেশি দ্রুতবর্ধনশীল গ্রাহকসংখ্যা ও ১৬ হাজার মোবাইল টাওয়ার নিয়ে গড়ে ওঠা গ্রাহক প্রতি সর্বোচ্চ স্পেকট্রাম বরাদ্দকারী মোবাইল অপারেটর হিসেবে বাংলালিংকের জন্য এই অর্জনটি নিঃসন্দেহে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থসংবাদ/এমআই

টেলিকম ও প্রযুক্তি
যেসব ফোনে আর চলবে না ইউটিউব

জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব ব্যবহার করেন সব বয়সী মানুষ। শিশুদের জন্য রয়েছে ইউটিউব কিডস। এছাড়া বিজ্ঞাপন ছাড়া ভিডিও দেখার জন্য ইউটিউব সাবস্ক্রিপশন করার সুযোগ আছে। খুব অল্প টাকায় এই সাবস্ক্রিপশন কেনা যায় মাসিক কিংবা বাৎসরিক।
তবে ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো প্ল্যাটফর্মটি। অনেক ফোনেই আর চলবে না অ্যাপটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব ফোনেরই সফটওয়্যার আপডেট হয়। একইভাবে অ্যাপগুলোও নিজেদের আপডেট করে। নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হয় ব্যবহারকারীদের স্বার্থেই।
তবে একটা সমস্যা হচ্ছে দীর্ঘদিনের পুরোনো মডেলগুলোতে একটা সময়ের আর নতুন আপডেটেড অ্যাপ সাপোর্ট করে না। ফলে পুরোনো ফোনগুলোতে অ্যাপগুলোর আপডেটের ভার্সন ব্যবহার করা যায় না। সেই নিয়মেই এবার বহু ফোনে খুলবে না ইউটিউব।
আইফোনের ক্ষেত্রে আইওএস-১৬ বা তার পরবর্তী অপারেটিং সিস্টেমেই সাপোর্ট করবে ইউটিউব। তার আগের ফোনগুলোতে চলবে এই অ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে আইফোন ৬এস, আইফোন ৬এস প্লাস, আইফোন ৭, আইফোন ৭এস, আইফোন এসই (প্রথম জেনারেশন), আইপড টাচ ৭ম জেনারেশন।
তবে অ্যাপ সাপোর্ট না করলেও এই ফোনগুলোতেও দেখতে পাবেন ইউটিউব। ভাবছেন তো কীভাবে? তার জন্য চলে যান গুগলে। খুলুন m.youtube.com.। অর্থাৎ গুগলে ব্রাউজ করে ইউটিউব চালাতে পারবেন।
কাফি
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বৈরী আবহাওয়ায় টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত, ৫ হাজারের বেশি সাইট ডাউন

নিম্নচাপজনিত ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে, যার প্রভাব পড়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ সেবায়।
শুক্রবার (৩০ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।
তিনি লেখেন, নেটওয়ার্ক পুনরুদ্ধারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন পল্লী বিদ্যুৎসহ টেলিযোগাযোগ সেবাকর্মীরা।
দুর্যোগের প্রভাবে পাঁচ হাজারের বেশি টেলিকম সাইট (টাওয়ার) অকেজো হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বরিশাল, সিলেট, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা উত্তর, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রামের উত্তরাঞ্চলে এর প্রভাব বেশি।
মোট ৮ হাজার ২৬২টি (৪৪%) টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৬৪ শতাংশ টাওয়ারে পুনঃসংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এখনো ৫ হাজার ৯৬০টি (৩৫%) টাওয়ার অকেজো অবস্থায় রয়েছে।
সেবা সচল রাখতে ইতোমধ্যে ৬২৪টি টাওয়ারে পোর্টেবল জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। আরও ৫০৪টি টাওয়ারে পোর্টেবল জেনারেটর স্থাপনের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে স্থল গভীর নিম্নচাপ ধীরে ধীরে দুর্বল হলেও এর প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে।
কাফি
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বিশ্বে ৮৩ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ভিডিও গেমস খেলেন

বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলে যাচ্ছে মানুষের বিনোদনের ধরন। আগে যেখানে খেলার মানে ছিল মাঠে গিয়ে বল ছোঁয়া বা ক্রিকেট ব্যাট ধরার অভ্যাস, এখন তার জায়গা দখল করেছে স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে খেলা ভিডিও গেম। এই গেমিং ট্রেন্ড এখন আর কেবল তরুণদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—সব বয়সের মানুষ এতে যুক্ত হচ্ছেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে ৮৩.৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এখন কোনো না কোনোভাবে ভিডিও গেম খেলার সঙ্গে যুক্ত। এই হার বোঝায়, আজকের দিনে ইন্টারনেট ব্যবহার মানেই গেমিং জগতের সঙ্গে কমবেশি সম্পর্ক থাকা।
বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষে গ্লোবাল গেমারের সংখ্যা পৌঁছবে প্রায় ৩৩২ কোটিতে। যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা, স্মার্টফোনের বিস্তার, সাশ্রয়ী ডেটা এবং মোবাইল গেম অ্যাপগুলোর জনপ্রিয়তা এই বৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
বিশ্বের গেমারদের মধ্যে এশিয়া সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। এ অঞ্চলে গেমারদের সংখ্যা প্রায় ১৪৮ কোটি। যা বৈশ্বিক গেমিং জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ। চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের মতো দেশগুলোতে মোবাইল গেমিং-এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা এই বৃদ্ধির কারণ।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপ, যেখানে গেমারদের সংখ্যা প্রায় ৪৫ কোটি। এরপর রয়েছে লাতিন আমেরিকা, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইন গেমিং, ই-স্পোর্টস এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
আজকের গেমিং জগৎ শুধুই ভিডিও গেম খেলা নয়। বরং এটি এখন একটি বহুমুখী ইকোসিস্টেম। এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে-
ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্ট: কোটি কোটি ডলার পুরস্কার নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আয়োজন হয়। লাইভ স্ট্রিমিং: Twitch, YouTube Gaming-এর মতো প্ল্যাটফর্মে লাখো গেমার নিয়মিত গেম খেলে ও তা লাইভ দেখিয়ে আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। গেম ডেভেলপমেন্ট: লক্ষ লক্ষ ডেভেলপার এখন নতুন গেম তৈরির সঙ্গে জড়িত, যা একটি বিশাল কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও ক্লাউড গেমিং: ভবিষ্যতের গেমিং অভিজ্ঞতাকে নিয়ে যাচ্ছে এক নতুন উচ্চতায়।
গবেষণা বলছে, ২০২৫ সালের মধ্যে গেমিং ইন্ডাস্ট্রির বাজার মূল্য ৩৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আগে যেখানে গেমিং ছিল কনসোল ও কম্পিউটার নির্ভর, এখন তার সবচেয়ে বড় অংশ হয়ে উঠেছে মোবাইল গেমিং। Subway Surfers, PUBG Mobile, Free Fire, Candy Crush—এইসব গেমের মাধ্যমে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সবাই গেমিংয়ে অংশ নিচ্ছে। এতে অংশ নিচ্ছে ছাত্র, চাকরিজীবী, গৃহিণী এমনকি অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও।
তবে এই গেমিং প্রবণতা নিয়ে অনেকের উদ্বেগও রয়েছে। অতিরিক্ত গেম খেলার ফলে আসক্তি, চোখের সমস্যা, মানসিক চাপ ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন। তাই অভিভাবক ও তরুণদের সচেতনভাবে গেম খেলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাতীয়
জুলাই থেকে ইন্টারনেটের দাম কমবে ২০ শতাংশ

চলতি বছরের জুলাই থেকে আইএসপি (ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী) এবং আইআইজি (আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে) স্তরে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ কমবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তাইয়্যেব।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবস উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার(১৫ মে) আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফয়েজ তাইয়্যেব এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ১ জুলাই থেকে আইএসপি এবং আইআইজি স্তরে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ কমানো হবে। পরবর্তীতে ভোক্তা পর্যায়েও দাম কমানো হবে।
তাইয়্যেব মোবাইল অপারেটরদের এই উদ্যোগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার আহ্বান জানান। ‘আমাদের লক্ষ্য নাগরিকদের সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া।’
সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. জহুরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ-উল-বারী উপস্থিত ছিলেন।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম

দেশে নতুন করে তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।
আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানান তিনি।
ফয়েজ আহমেদ লিখেছেন, ফাইবার অ্যাট হোমের ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করেছেন নতুন তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমছে। এরমধ্যে আইটিসি পর্যায়ে ১০ শতাংশ, আইআইজি পর্যায়ে ১০ শতাংশ এবং এনটিটিএন বা ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূল্য হ্রাস করবেন তারা।
‘এর আগে, আইএসপি লাইসেন্স প্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঁচ এমবিপিএসের পরিবর্তে ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। তারও আগে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি সকল আইআইজি এবং আইএসপি গ্রাহকদের জন্য ১০ শতাংশ এবং পাইকারি গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশসহ মোট ২০ শতাংশ দাম কমিয়েছে। এ নিয়ে ইন্টারনেট লাইসেন্স রেজিমের মোট তিন থেকে চারটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাকি আছে শুধু মোবাইলসেবা দাতা ৩টি বেসরকারি কোম্পানির দাম কমানোর ঘোষণা।’
ইতোমধ্যেই সরকার মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বিডব্লিউডিএম এবং ডার্ক ফাইবার সুবিধা প্রদান করেছে জানিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেটের দাম না কমানোরও কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ কিংবা অজুহাত অবশিষ্ট থাকে না।
‘সরকার মোবাইল সেবাদাতা কোম্পানিগুলোকে পলিসি সাপোর্ট দিয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় স্তরগুলোতে পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেটের দামও কমিয়েছে। এখন তাদের জাতীয় উদ্যোগে শরিক হওয়ার পালা। আশা করছি মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর পদক্ষেপে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিও সামান্য কিছুটা কমে আসবে।’
ফয়েজ আহমেদ জানান, ঈদুল ফিতরের দিন থেকে সরকারি মোবাইল সেবা টেলিটক ১০ শতাংশ মূল্য ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিল। সরকার আশা করে অতি দ্রুতই তিনটি বেসরকারি মোবাইল কোম্পানি অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য পতনের ঘোষণা দেবে। সরকার এখানে দুই ধরনের মূল্য ছাড় আশা করে।
১. মার্চ মাসে এসআরও অ্যাডজাস্টমেন্ট বাবদ মোবাইল কোম্পানিগুলো যে মূল্য বাড়িয়েছিল সেটা কমাবে। (সরকার শুল্ক বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়ে তা থেকে সরে এসেছে, কিন্তু সে মতে বর্ধিত মূল্য কমায়নি মোবাইল কোম্পানিগুলো।)
২. আন্তর্জাতিক গেটওয়ে/আইটিসি, আইআইজি এবং ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে যতটুকু পাইকারি দাম কমানো হয়েছে তার সমানুপাতিক হারে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমাবে।
প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী ফেসবুকে আরও লিখেছেন, বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের মানে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে। মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। এমতাবস্থায় গ্রাহকস্বার্থে যৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।