বিনোদন
বাবা হারালেন চিত্রনায়িকা পপি
চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপির বাবা আমির হোসেন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পপির পারিবার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে পপির বাবা আমির হোসেন বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। কয়েক মাস ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
দীর্ঘ দিন ধরেই পর্দার অন্তরালে রয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া ঢালিউডের এই চিত্রনায়িকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
মারা গেছেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী সিলভিয়া পিনাল
কিংবদন্তি মেক্সিকান অভিনেত্রী সিলভিয়া পিনাল মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
দ্য হলিউড রিপোর্টার প্রতিবেদনে বলা হয়, মেক্সিকোর সংস্কৃতি সচিব, ক্লডিয়া কুরিয়েল ডি ইকাজা, পাশাপাশি অ্যাসোসিয়েশন ন্যাসিওনাল ডি ইন্টারপ্রেটস সোশ্যাল মিডিয়ায় পিনালের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেছেন।
সাত দশক ধরে দুর্দান্ত অভিনয় এবং প্রযোজনা করেছেন পিনাল৷ ১৯৬০-এর দশকের তিনটি ক্লাসিক টপলাইন করার জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন: দ্য পামে ডি’অর সহ-বিজয়ী ভিরিডিয়ানা (১৯৬১), দ্য এক্সটারমিনেটিং অ্যাঞ্জেল (১৯৬২) এবং সাইমন অফ মরুভূমি (১৯৬৫)।
পিনাল ১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে কিউবান-জন্মকৃত পরিচালক রাফায়েল ব্যাঙ্কেলসের সঙ্গে কাজ করে থিয়েটারে তার সূচনা করেছিলেন, যিনি তার চার স্বামীর মধ্যে প্রথম। তিনি ১৯৫০ সালে প্রথমবারের মতো সিনেমা জগতে সাফল্যের দেখা পান পান। যখন ১৮ বছর বয়সে তিনি মেক্সিকোর সবচেয়ে বড় দুই চলচ্চিত্র তারকার বিপরীতে একের পর এক প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন। প্রথমে জার্মান ভালদেস (ওরফে টিন-টান) কমেডি দ্য কিং-এ।
দ্য নেবারহুড এবং দ্য ডোরম্যান-এ মারিও মোরেনো (ওরফে ক্যান্টিনফ্লাস)-এর সঙ্গে। তিনি উন রিনকন সেরকা দেল সিলো (১৯৫২) ছবিতে বিখ্যাত অভিনেতা-গায়ক পেড্রো ইনফ্যান্টের সঙ্গেও কাজ করেছিলেন। পিনালের ১০০-এর বেশি অভিনয়ের কৃতিত্বের মধ্যে, তিনি বেশিরভাগই মেক্সিকোতে কাজ করেছেন। যদিও তিনি হলিউডের প্রতিভার বৈশিষ্ট্যযুক্ত বেশ কয়েকটি ছবিতে উপস্থিত হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে এমজিএম সহ-প্রযোজনা গানস ফর সান সেবাস্টিয়ান (১৯৬৮), অ্যান্থনি কুইন এবং চার্লস ব্রনসন এবং স্যামুয়েল অভিনীত একটি অ্যাকশন ফিল্ম। ফুলার্স শার্ক (১৯৬৯), বার্ট রেনল্ডস সমন্বিত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
আজ ঢাকার মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম
পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম আজ শুক্রবার ঢাকার মঞ্চ মাতাবেন। রাতে আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ কনসার্টে গাইবেন তিনি। এ উপলক্ষে গত ২৮ নভেম্বর বিকেলে ঢাকায় পৌঁছেছেন তিনি।
কনসার্টের আয়োজক প্রতিষ্ঠান ট্রিপল টাইম কমিউনিকেশন জানায়, আজ রাত আটটার পর মঞ্চে উঠবেন আতিফ। এর আগেও বেশ কয়েকবার ঢাকায় এসেছেন তিনি।
কনসার্টে আতিফ ছাড়াও আরও পারফর্ম করবেন পাকিস্তানি তরুণ শিল্পী আবদুল হান্নান, বাংলাদেশের তাহসান খান ও ব্যান্ড কাকতাল। এ ছাড়া এই কনসার্টে বিশেষ চমক থাকবে, যা এখনই প্রকাশ করছে না আয়োজক কমিটি।
বিকেল পাঁচটা থেকে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হবে কনসার্টটি। দুপুর ১টায় দর্শকের জন্য গেট খুলে দেওয়া হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন আজ
মহারাজ তিনি। লেখক নন কেবল, স্বপ্নবান। যাপন যেন উৎসবের হয়, সেটাই ছিল তার আরাধ্য পথ। লিখেছেন তিনি, বুদ হয়েছেন পাঠক। এখনো তিনি আছেন গান-নাটক আর হিমু-রুপাদের সংলাপে-সংগীতে। জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক-লেখক হুমায়ূন আহমেদের আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) ৭৬তম জন্মবার্ষিকী।
তিনি ছিলেন জীবন ও জগতকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো এক স্বপ্নচারী জাদুকর। শুধু নিজে স্বপ্ন দেখেননি সেই সঙ্গে একটি জাতি কিংবা পুরো প্রজন্মের স্বপ্নের কান্ডারী হয়ে আছেন।
তার অমিয় গদ্য রসে বুঁদ হয়ে পুরো সমাজ হয়েছে পাঠমুখি। শব্দ মালার গাথুনীতে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন হাজারো হিমু-রূপাকে। তাইতো আজও নীল শাড়ি পরে কোনো এক রূপার অনন্ত অপেক্ষার নাম হুমায়ূন আহমেদ।
হুমায়ূন আহমেদ শুধু তার লেখনি দিয়ে মুগ্ধ করেই নিজের দায় সারেননি, নিজের কাধেঁ টেনে নিয়েছিলেন পুরো প্রকাশনা শিল্পকে। তার হাত ধরে শুধু পাঠক তৈরি হয়নি বরং লেখক প্রকাশকদের ভরসার নাম হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছেন হুমায়ূন আহমেদ।
কোনো এক জোছনা রাতে ৭/৫ না ভেবেই তুলে নিয়েছিলেন কলম, লিখেছিলেন নন্দিত নরকে, আর এর পরের গল্পটা কেবলই বিজয়ের, কেবলই নন্দনের। তার গদ্য, পদ্য বা নির্মাণ, তা সে ছোট পর্দায়ই হোক বা বড় পর্দায়, একজন পাঠক বা দর্শককে দিয়েছে কেবলই মুগ্ধতা। আজও ইতিহাস, ঐতিহ্য বা যেকোনো নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পায় হুমায়ূন আহমেদের গল্প।
তিনি ছিলেন একজন ম্যাজিশিয়ান। সব বয়সীদের মনের খোরাক লিপীবদ্ধ করেছেন সাদা কাগজে। মানুষের মনের অলিন্দে গভীরভাবে নাড়া দিয়ে গেছেন। তাই তো, একজন হুমায়ূন বেচে আছেন বৃষ্টিস্নাত ভোরে, জোছনা রাতের চাঁদের আলোয়, আর লাখো পাঠকের মনের মণিকোঠায়।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে তার জন্ম। তার ডাকনাম ছিল কাজল। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে তার শরীরে মারণব্যাধি ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর উন্নত চিকিৎসা নিতে তিনি চলে যান যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে।
সেখানে প্রথমে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলেও পরে আবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শেষে ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাকে নেয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। সে অবস্থায়ই ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে হুমায়ূন আহমেদ শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
অভিনেতা মনোজ মিত্র আর নেই
পশ্চিমবঙ্গের নাট্যকার, নাট্যব্যক্তিত্ব ও গুণী অভিনেতা মনোজ মিত্র মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে কলকাতার একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন মনোজ মিত্র। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার ভাই সাহিত্যিক অমর মিত্র।
১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার ধূলিহার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মনোজ মিত্র। ওই গ্রামেই শৈশব কেটেছে তার। পরে ১৯৫০ সালে ১২ বছর বয়সে কলকাতায় চলে যান তিনি। অভিনেতার বাবা অশোক কুমার মিত্র স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ঢাকায় ভারতের দূতাবাসে চাকরি করেছেন।
১৯৫৭ সালে কলকাতার নাট্যমঞ্চে প্রথম অভিনয় করেন মনোজ মিত্র। ১৯৭৯ সালে সিনেমা জগতে প্রথম পা রাখেন তিনি। অভিনয়ের জন্য সংগীত নাটক একাডেমি পদকসহ নানা পুরস্কার পান তিনি। কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যক্ষও ছিলেন এই অভিনেতা।
মনোজ মিত্রের লেখা প্রথম নাটক ‘মৃত্যুর চোখে জল’। ১৯৭২ সালে ‘চাকভাঙা মধু’ নাটক দিয়ে পর্দার সামনে আসেন তিনি। এ ছাড়া মঞ্চনাটক, যাত্রা, আকাশবাণীর নাটকে অবাধ বিচরণ ছিল তার।
মনোজ মিত্রের লেখা উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো— ‘চাকভাঙা মধু’, ‘দর্পণে শরৎশশী’, ‘নরক গুলজার’, ‘সাজানো বাগান’, ‘নৈশভোজ’, ‘চোখে আঙ্গুল দাদা’, ‘কাল বিহঙ্গ’, ‘অশ্বত্থথামা’, ‘মেশ ও রাখাল’, ‘অলকানন্দর পুত্রকন্যা’ উল্লেখযোগ্য।
মনোজ মিত্র অভিনয় করেছেন ৫৭টি সিনেমায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘৬১ নম্বর গড়পার লেন’, ‘উমা’, ‘প্রেম বাইচান্স’, ‘অমর সাথি’, ‘ভালোবাসি শুধু তোমাকে’, ‘আগুন’, ‘চক্র’, ‘দত্তক’, ‘হিংসা’, ‘আবির্ভাব’ ও ‘তুফান’।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
এবার ফারুকীকে অভিনন্দন জানালেন জয়!
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যুক্ত হলেন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান এ পরিচালক।
তার সঙ্গে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আরও দুজন যুক্ত হয়েছেন। তারা হলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও ব্যবসায়ী শেখ বশির উদ্দিন।
রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন উপদেষ্টাদের শপথ পড়ান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে জায়গা পাওয়ায় বিনোদন জগতের তারকারা ফারুকীকে অভিনন্দন জানান। প্রথম অভিনন্দন বার্তাটি পাঠিয়েছেন অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়।
সন্ধ্যা ৭টায় এ নির্মাতা শপথগ্রহণের আগেই ফারকীর একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তাকে অভিনন্দন জানান তিনি। যেখানে জয় লিখেছেন— ‘অভিনন্দন ফারুকী ভাই। আমাদের মানুষ। আমাদের আস্থা। শান্তির বার্তা দিয়ে হোক শুরু আপনার নেতৃত্ব।’
জয়ের সেই স্ট্যাটাসে ভক্তরাও ফারুকীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তার হাত ধরে এবার দেশের শোবিজ অঙ্গনে বড় কিছু পরিবর্তন আসবে বলেও প্রত্যাশা করেছেন তারা।
এমআই