জাতীয়
বস্ত্রখাতে অবদানের জন্য সম্মাননা পাচ্ছে ১১ সংগঠন-প্রতিষ্ঠান
![বস্ত্রখাতে অবদানের জন্য সম্মাননা পাচ্ছে ১১ সংগঠন-প্রতিষ্ঠান বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/02/00-206.jpg)
জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বাড়াতে ভূমিকা রাখায় সম্মাননা পাচ্ছে ১১টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এ তথ্য জানিয়েছেন।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপনের বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
এসময় বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নূরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট টেক্সটাইলে সমৃদ্ধ দেশ – বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং গৌরবময়। বস্ত্রখাত দেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বস্ত্রখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, যুগোপযোগীকরণ ও বিনিয়োগে আকৃষ্টকরণ এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বর ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ দেশব্যাপী উদযাপন করা হয়ে থাকে। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে বস্ত্রখাত থেকে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বস্ত্রখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি জানান, সরকার বস্ত্রখাতের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। এছাড়াও বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার মোতাবেক মিশন, ভিশন প্রস্তুত ও কার্যাবলী নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, দিবসটি উপলক্ষ্যে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।
তিনি বলেন, এ অনুষ্ঠানে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বাড়াতে ভূমিকা রাখায় ১১টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাত দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। সরকার বস্ত্রখাতের অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় করে এ খাতের উন্নয়নকে গতিশীল রাখার পাশাপাশি বস্ত্র অধিদপ্তর ও পোষক কর্তৃপক্ষের সব সেবা ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে দিচ্ছে। বস্ত্র শিল্পের উন্নয়ন ও বিকশিত করার নিবন্ধিত বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের মাধ্যমে কমপ্লায়েন্স পর্যবেক্ষণ ও নিশ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্পে উন্নতমানের ২০৬টি সবুজ কারখানার (গ্রিন ফ্যাক্টরি) নিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ।
সাম্প্রতিক ভারত সফরে তিস্তা ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিস্তা চুক্তির আগে দুই দেশের অনেক বড় বড় সমস্যাগুলো দুই সরকারের সদিচ্ছার কারণে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে বিষয়গুলো সমাধানও হয়েছে। ভারত আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু দেশ। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সীমারেখা দেওয়া যাবে না। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব রক্তের অক্ষরে লেখা। ভারতের সঙ্গে যে সমস্যা রয়েছে আমরা মনে করি, সমগ্র ভারত এখন নির্বাচন উন্মুখ এবং নির্বাচনমুখী। আমি যে কথা বলতে চেয়েছি, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। ভারতের এ গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সবাইকে আমি অপেক্ষার জন্য বলেছি। তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা অনেক দূর এগিয়ে রয়েছে। এখন সমাপ্তির জন্য অপেক্ষা করছি আমরা।
সম্মাননার জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস অ্যান্ড পাওয়ারলুম ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএসটিএমপিআইএ), বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ), বাংলাদেশে গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমএ), বাংলাদেশ এমব্রয়ডারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিইএমইএ) এবং বাংলাদেশ তাঁতী সমিতি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
হামলার আগে ১ লাখ নতুন সিমকার্ডধারী ঢাকায় ঢোকে: পলক
![হামলার আগে ১ লাখ নতুন সিমকার্ডধারী ঢাকায় ঢোকে: পলক বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/zunaid-ahmed-palak-1.jpg)
ঢাকা ও গাজীপুরে ১৮ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত নাশকতার স্থানগুলোতে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ সিম বাইরে থেকে ঢুকেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি জানান, বিএনপি-জামায়াতের লোকজনের গতিপ্রকৃতি নাশকতার স্থানগুলোমুখী ছিল। বাইরে থেকে প্রায় ১ লাখ সিম ঢুকে সেসব স্থানগুলোতে।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাকভবনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ ট্রি ফর পিস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পলক বলেন, বিভিন্ন জেলার যেসব স্থানে ‘রেড এলার্ট’ জারি ছিল সেখানে ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই কোন সহিংসতা হয়নি। ঢাকার যে ১০ থেকে ১৫টি জায়গায় অতিরিক্ত ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ নতুন সিমকার্ডের ব্যবহারকারীরা আসে, সেগুলোর তথ্য-উপাত্তা বিশ্লেষণে দেখা যায়- রেড এলার্টভুক্ত এলাকার বিএনপি, ছাত্রদল, জামাত-শিবিরের চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীরা ঢাকামুখী ছিল এবং ঢাকায় তারা অবস্থান গ্রহণ করেছে। তাদের অবস্থানকালেই ১৮ থেকে ২১ জুলাই সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি দাবি করে পলক বলেন, ঢাকা বিভাগের ১৭টি জায়গায় হামলা হয়েছে। মহাখালীতে তিনটি ডেটা সেন্টারে ১৮টি আইআইজির সিস্টেম রয়েছে। সেখানে থাকা আইএসপির ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। তাই ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছে। আমরা বন্ধ করিনি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে আঘাত আসায় এখনো কিছু ক্যাশ সার্ভার মেরামতের কাজ চলছে। হয়তো দুই চার দিনের মধ্যে টেলিযোগাযোগ পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। দেশে থাকা চার হাজারের ওপর ক্যাশ সার্ভার ঠিক হতে সময় লাগবে। গুগলের সব ক্যাশ সার্ভার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমানসহ অন্যান্যরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রোববার থেকে সরকারি অফিস ৯টা থেকে ৩টা
![রোববার থেকে সরকারি অফিস ৯টা থেকে ৩টা বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/office-1.jpg)
রবি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারি অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। শনিবার (২৭ জুলাই) জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সহিংসতার মধ্যে গত সপ্তাহে তিনদিন (রবি, সোম ও মঙ্গলবার) সাধারণ ছুটির পর বুধবার থেকে সীমিত পরিসরে চালু হয় সরকারি অফিস। বুধ ও বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে অফিস।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আন্দোলন চলাকালে নুরকে চার লাখ টাকা দেন এক নেতা: ডিবিপ্রধান
![আন্দোলন চলাকালে নুরকে চার লাখ টাকা দেন এক নেতা: ডিবিপ্রধান বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/harun-or-rashid.jpg)
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে এক নেতা চার লাখ টাকা দিয়েছেন। সেই টাকা কোথায় কীভাবে খরচ করা হয়েছে সেসব বিষয় ঢাকা মহানগর (গোয়েন্দা) পুলিশ জানার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তবে রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় নুরুল হক নুরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (২৬ জুলাই) পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
হারুন অর রশীদ বলেন, নুরকে আমরা রিমান্ডে নিয়েছিলাম। তার কাছ থেকে অনেক তথ্য পেয়েছি। সেই তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আন্দোলন চলাকালীন একজন নেতা তাকে চার লাখ টাকা দিয়েছেন। নুর এ কথা স্বীকার করেছেন। আমরা সেই নেতাকেও তুলে নিয়ে এসেছি। তিনি চার লাখ টাকা নুরকে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। কী জন্য সেই নেতা নুরকে টাকা দিয়েছেন সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে ডিজিটাল যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ডিবিপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি (বিজেপি) ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ পাঁচদিনের রিমান্ডে রয়েছেন আমাদের কাছে। তার কাছ থেকে কিছু বিষয় জানার চেষ্টা করছি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ছয় দিনেও আসেনি এক দিনের সমান প্রবাসী আয়
![ছয় দিনেও আসেনি এক দিনের সমান প্রবাসী আয় বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/remittance.jpg)
গত এক সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে প্রবাসী আয়। ১৯ থেকে ২৪ জুলাই ছয় দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। অথচ চলতি মাসের প্রথম ১৮ দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার। তাতে দেখা যাচ্ছে, মাসের প্রথম ভাগে এক দিনের যে পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছিল, সর্বশেষ গত ছয় দিনে এসেছে তার সমপরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্স সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ১৯ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত অবশ্য ব্যাংকিং কার্যক্রম চলেছে মাত্র এক দিন। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ন্ত্রণে ১৯ জুলাই শুক্রবার রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর মঙ্গলবার পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ ছিল। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ব্যাংকের অনলাইন লেনদেনও বন্ধ ছিল। কয়েক দিন লেনদেন বন্ধের পর ২৪ জুলাই ব্যাংক চালু হয়। ওই দিন লেনদেন চলে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা। ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ১৯ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই বৈধ পথে তথা ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে প্রবাসী আয় আসাও সম্ভব ছিল না। এ সময়ের মধ্যে যাঁরা বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন, গত বুধবার ব্যাংক খোলার প্রথম দিনেই তা দেশের ব্যাংকে জমা হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু সেটি হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, যদি কেউ বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় পাঠিয়ে থাকেন, ব্যাংকগুলো তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিতরণ করতে বাধ্য; কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশের প্রবাসী আয় প্রেরণকারী রেমিট্যান্স হাউসগুলো যদি এ আয় ধরে রাখে, তাতে তা দেশে আসতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
গত বছরের ১ থেকে ২৪ জুলাই দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৫৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। চলতি মাসের একই সময়ে এসেছে ১৫০ কোটি ডলার। গত ১৯ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত অবশ্য ব্যাংকিং কার্যক্রম চলেছে মাত্র এক দিন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১ থেকে ১৮ জুলাই প্রবাসী আয় এসেছিল ১২৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর চলতি বছরের ১ থেকে ১৮ জুলাই দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় এসেছে ১৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার। ফলে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের জুলাইয়ের প্রথম ১৮ দিনে প্রবাসী আয়ে বড় উল্লম্ফন শুরু হয়েছিল। চলতি মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত বছরের ১ থেকে ২৪ জুলাই দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৫৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। চলতি মাসের একই সময়ে এসেছে ১৫০ কোটি ডলার। এর মধ্যে প্রথম ১৮ দিনে এসেছিল ১৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর ১৯ থেকে ২৪ জুলাই ছয় দিনে এসেছে ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর আগে গত জুনে ২৫৪ কোটি ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। জুনে দেশে যে পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছিল, তা একক কোনো মাসের হিসাবে গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুলিশ বাহিনী: ধর্মমন্ত্রী
![আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুলিশ বাহিনী: ধর্মমন্ত্রী বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/foridul-haq-khan.jpg)
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের পুলিশ বাহিনী।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত কোটা সংস্কারের নামে বিএনপি, জামায়াতের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, ছাত্ররা কোটা সংস্কারের নামে যে আন্দোলন করেছে সে আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করি। ছাত্ররা যা করেছে ঠিক করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের কথা রেখেছেন। ছাত্রদের আন্দোলনে সুযোগ নিয়ে বিএনপি জামায়াত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিল। এ আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের পুলিশ বাহিনী। আজকে পুলিশ বাহিনী হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। অনেক পুলিশ বাহিনীকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, আজকে মেট্রোরেলের মাধ্যমে মানুষ খুব অল্পসময়ের মধ্যে আসা-যাওয়া করতে পারতো, এখন সে মেট্রোরেলে হামলা চালানো হয়েছে। এখন সাধারণ জনগণ যাতায়াত করতে কষ্ট পাচ্ছেন। বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়ার জন্য দেশের প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা (বিএনপি-জামায়াত) হামলা করেছে। ক্ষয়ক্ষতি করার চিন্তা যারা করে ইসলাম তাদের কখনো সমর্থন করে না। যারা দেশ জুড়ে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
কাফি