আন্তর্জাতিক
ইন্দোনেশিয়ায় তাপীয় কয়লা রফতানি বেড়েছে ২৪ শতাংশ

বিশ্বে তাপীয় কয়লা রফতানিতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। চলতি বছরের প্রথম ২ মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশ থেকে জ্বালানিটির রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেড়েছে। সে হিসেবে বছর শেষে রফতানি গত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর রয়টার্স।
বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কেপলারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়া নয় কোটি টনের ওপরে তাপীয় ও বিটুমিনাস কয়লা রফতানি করেছে, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ২৪ শতাংশ বেশি।
২০২৩ সালে দেশটি-এ যাবৎকালের সর্বাধিক কয়লা রফতানি করেছিল। রফতানির পরিমাণ ছিল ৫০ কোটি ৪৬ লাখ টন। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসের মতো রফতানিতে যদি ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে এ বছরের শেষে রফতানি নতুন রেকর্ড স্পর্শ করতে পারে বলে জানিয়েছে কেপলার। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ইন্দোনেশীয় কয়লার শীর্ষ বাজার ছিল চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ও ফিলিপাইন। এর মধ্যে মোট রফতানির ৩৩ শতাংশ চীনে, ১৫ শতাংশ ভারতে, ৫ দশমিক ৮ শতাংশ দক্ষিণ কোরিয়ায় ও ৫ দশমিক ১ শতাংশ ফিলিপাইনে সরবরাহ করা হয়েছে। গত বছরও এ পাঁচ দেশই ছিল ইন্দোনেশীয় তাপীয় কয়লার শীর্ষ গন্তব্য।
চলতি মাসের এখন পর্যন্ত চীনে ২১ কোটি ৯৪ লাখ টন তাপীয় কয়লা রফতানি করেছে ইন্দোনেশিয়া, যা আগের বছরের প্রথম দুই মাসের তুলনায় ৯ শতাংশ কম। তবে কেপলারের তথ্যমতে, ২ কোটি ১০ লাখ টন কয়লা জাহাজে লোডিং পর্যায়ে রয়েছে। এসব কয়লা কোন দেশে সরবরাহ করা হবে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে চীনই সম্ভাব্য গন্তব্য বলে মনে করছে বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে ফেব্রুয়ারির এখন পর্যন্ত ভারতে ১ কোটি ৩৫ লাখ টন তাপীয় কয়লা রফতানি করেছে ইন্দোনেশিয়া। ২০২০ সালের পর বছরের শুরুর দিকে দেশটিতে এত বেশি কয়লা আর কখনো রফতানি হয়নি। ২০২৩ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে মোট ১০ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টন তাপীয় কয়লা আমদানি করেছিল ভারত। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত আমদানি বেড়েছে প্রায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, জাপান ও মালয়েশিয়ায় রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কিছুটা কমেছে। এ মাসের শেষ দিকে রফতানি ফের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরতে পারে। এসব দেশে রফতানি প্রবৃদ্ধি নির্ভর করছে চীনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর।
আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে কয়লার সরবরাহ চাহিদার চেয়েও বেশি। তার ওপর এবার শীতের তীব্রতা কম থাকায় হিটিং জ্বালানি হিসেবে এর ব্যবহার কমেছে। উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোয় শীত শেষ হয়ে এলে তা আরো কমে যেতে পারে। বাড়তি সরবরাহের বিপরীতে ব্যবহার কমায় চলতি বছরজুড়ে তাপীয় কয়লার বৈশ্বিক দাম নিম্নমুখী থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
উত্তেজনা বাড়ালে কেউ আমাদের থামাতে পারবে না, পাকিস্তানের হুঁশিয়ারি

প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় প্রাণহানির ঘটনার পরই এই অবস্থা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ভারত যদি উত্তেজনা ছড়ায়, তাহলে আমাদের কেউই থামাতে পারবে না।
রোববার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পুরো পাকিস্তান আজ সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ভারত যদি উত্তেজনা ছড়ায় তাহলে আমরা পুলওয়ামার ঘটনায় যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলাম ঠিক সেভাবে মোদির সরকারকে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
পুরো পাকিস্তানে সশস্ত্র বাহিনীর পেছনে ঐক্যবদ্ধ আছে বলে দাবি করেন খাজা আসিফ। তিনি যেকোনও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।
খাজা আসিফ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পারমাণবিক শক্তিধর দুই রাষ্ট্রের যেকোনও সংঘাত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হুমকি হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, এই বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে আনা হয়েছে। তারা পেহেলগামের এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করতে পারে।
ভারতকে সতর্ক করে দিয়ে পাকিস্তানের এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘উত্তেজনা যদি বাড়তে থাকে, তাহলে কেউই আমাদের থামাতে পারবে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদি উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলার পথ বেছে নেন, তাহলে আমরা তাকে পুরো পথে তাড়া করব।’’
খাজা আসিফ বলেন, নরেন্দ্র মোদি পুলওয়ামার সময় ব্যবহৃত একই কৌশলের পুনরাবৃত্তি করে মিথ্যা প্রচারণার জন্য পরিচিত। তবে পাকিস্তান কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী রয়েছে।
গত মঙ্গলবার কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ ভারতীয় ও এক নেপালি নাগরিকের প্রাণহানির ঘটনার পর ভারতের পক্ষ থেকে বুধবার বেশ কিছু কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই হামলার ঘটনায় ভারতের সরকার পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘‘সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদে’’ সহায়তার অভিযোগ এনে দেশটির সঙ্গে স্বাক্ষরিত দীর্ঘদিনের সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত এবং উভয় দেশের মধ্যকার প্রধান স্থল সীমান্তও বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। পাশাপাশি পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার এবং ইসলামাবাদ থেকে ভারতীয় সামরিক উপদেষ্টাকে প্রত্যাহার ও হাইকমিশনে নিযুক্ত কর্মীদের সংখ্যা কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি।
ভারতের আকস্মিক এমন পদক্ষেপের পর পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) জরুরি বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে প্রায় একই ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি আটক

ভারতের গুজরাটে এক হাজার জনেরও বেশি বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অবৈধ অভিবাসনের অভিযোগে রাজ্যের সুরাট ও আহমেদাবাদ থেকে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভির নির্দেশে শুরু এ অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল অঞ্চলটিতে বসবাসকারী বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুজরাট পুলিশের নেতৃত্বে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি), ক্রাইম ব্রাঞ্চ, অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ) এবং স্থানীয় পুলিশ ইউনিটগুলোর সমন্বিত অভিযানে শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোরবেলা সন্দেহভাজন এই অবৈধ অভিবাসীদের আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র আহমেদাবাদ থেকেই ৮৯০ বাংলাদেশি আটক হয়েছেন। অন্যদিকে সুরাটের অভিযানে আটক করা হয়েছে ১৩৪ জনকে।
কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, আটকরা সবাই বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে অঞ্চলটিতে বসবাস করছিলেন তারা। বলা হচ্ছে, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।
গুজরাট পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (এসওজি) রাজদীপ সিং নাকুম বলেছেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং জাল কাগজপত্র নিয়ে বসবাস করছিলেন। তদন্ত শেষে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
রাজ্য পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ শাখা) শরদ সিংহল বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ মহাপরিচালকের সরাসরি নির্দেশে এই অভিযান চালানো হয়েছে। এর আগে, ২০২৪ সালের এপ্রিলের পর ১২৭ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৭৭ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এদিকে ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি বলেন, অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেছিলেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
গুজরাটে এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য গুজরাট থেকে এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। শুক্রবার রাতভর রাজ্যের আহমেদাবাদ ও সুরাটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ওই বাংলাদেশিরা গ্রেপ্তার হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি এই তথ্য জানিয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে কমপক্ষে ৮৯০ বাংলাদেশি ও সুরাটে ১৩৪ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গুজরাটে এখন পর্যন্ত এটিই বৃহত্তম অভিযান বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।
গুজরাটে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের এই মন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকাল মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি বলেছেন, ‘‘অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।’’
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। গুজরাটের এই মন্ত্রী বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।
হর্ষ সাংঘভি বলেন, শিগগিরই ওই বাংলাদেশিদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘তারা ভারতে ও গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য যে জাল নথি ব্যবহার করতেন, সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে যারা তাদের জাল নথি তৈরি করে দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের আশঙ্কা

ইরানের বন্দরনগরী বন্দর আব্বাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যা রাজধানী তেহরান থেকে ১ হাজারের বেশি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ১১৫ জন আহত হয়েছেন।
ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা দেশটির সরকারি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, এটি ইরানের সবচেয়ে আধুনিক সামুদ্রিক বন্দর। যা হোরমোজগানের প্রাদেশিক রাজধানী বন্দর আব্বাস থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে এবং হরমুজ প্রণালীর উত্তর দিকে অবস্থিত। যেখান দিয়ে পৃথিবীর মোট উৎপাদিত তেলের পাঁচ ভাগের এক ভাগ পরিবহণ করা হয়।
হোরমোজগান বন্দর ও সামুদ্রিক প্রশাসনের কর্মকর্তা ইসমাইল মালেকজাদেহ বলেছেন, “শনিবার (২৬ এপ্রিল) শহীদ রাজী বন্দরের ডকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আমরা আগুন নেভানোর কাজ করছি।”
হোরমোজগান প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার পরিচালক মেহেরদাদ হাসানজাদেহ সরকারি টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে বিস্ফোরণে ঠিক কতজন হতাহত হয়েছেন সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণ এলাকা থেকে কালো ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলি বের হচ্ছে। অন্যান্য ভিডিওতে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন এবং গাড়ি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ওই সময় অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন বা গাড়ি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, শহীদ রাজী বন্দর দিয়ে মূলত জাহাজে কনটেইনার ওঠানামা করা হয়। তবে সেখানে তেলের ট্যাংক এবং পেট্রলজাত রাসায়নিক পদার্থের অবকাঠামোও আছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কাশ্মীরে হামলার নিরপেক্ষ তদন্তে পাকিস্তান উন্মুক্ত: শাহবাজ শরিফ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার যে কোনো নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তদন্তের জন্য তার দেশ উন্মুক্ত।
আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) কাকুলে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে পাসিং আউট কুচকাওয়াজের ভাষণের তিনি এ কথা বলেন।
শাহবাজ বলেন, পহেলগামে সাম্প্রতিক ট্র্যাজেডি ভারতের চিরস্থায়ী দোষারোপের আরেকটি উদাহরণ। যা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে পাকিস্তান তার ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। পাকিস্তান যে কোনো নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে অংশগ্রহণের জন্য উন্মুক্ত।
তিনি ভারতের সমালোচনা করে বলেন, বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত বা যাচাইযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং মিথ্যাচারের ওপর ভিত্তি করে শোষণের ধরন অব্যাহত রেখেছে ভারত। কিন্তু আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের বীর সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সম্পূর্ণরূপে সক্ষম এবং প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কায়েদ-ই-আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঠিকই বলেছেন। জিন্নাহ বলেছেন, কাশ্মীর পাকিস্তানের ঘাড়ের শিরা। দুর্ভাগ্যবশত, জাতিসংঘের একাধিক প্রস্তাব সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এই বিরোধ অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, কোনো সন্দেহ নেই। পাকিস্তান কাশ্মীরি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সমর্থন করে যাবে; যতক্ষণ না তারা তাদের মহান সংগ্রাম এবং ত্যাগের মাধ্যমে তাদের অধিকার অর্জন করতে পারে।
এদিকে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তিনি বলেছেন, ‘সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে।’
সিন্ধু নদী ডাকাতির চেষ্টা করছে ভারত- এমন মন্তব্য করে বিলাওয়াল বলেন, সিন্ধু সভ্যতার প্রকৃত উত্তরাধিকারীরা পাকিস্তানে বাস করেন। সিন্ধু সভ্যতার বৈধ উত্তরাধিকারী হিসেবে পাকিস্তান কখনই নদীর ওপর তার দাবি ত্যাগ করবে না।
নয়াদিল্লি যখন ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে এবং ইসলামাবাদের দোরগোড়ায় যুদ্ধের ঢোল বাজাচ্ছে তখন শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) পাকিস্তান পিপলস পার্টি ওই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ থেকে ভারতকে কঠোর বার্তা এবং দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।