প্রবাস
মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন, সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার টেলরস ইউনিভার্সিটির স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের সহযোগিতায় ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে বহুভাষিকতার প্রসার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপন করেছে।
মালয়েশিয়ার খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টেইলর’স বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ্র্যান্ড হলে’ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা, প্যানেল আলোচনা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং নয়টি দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ধারণকৃত বক্তব্য প্রচার করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ স্মরণে বিভিন্ন দেশ এবং বিভিন্ন ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠীকে নিয়ে আয়োজিত ভিন্নমাত্রিক এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মাতৃভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং স্বাধীনতার পথ দেখিয়েছে। তিনি ঐতিহাসিক মাতৃভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামীম আহসান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার শামীম আহসান তার বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন সারা বিশ্বে ভাষাগত বৈচিত্র্য উদযাপনের দিনে পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাসহ শহীদদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানের মূল আলোচনা সভায় অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, পরিচালক, সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস, বাংলাদেশ এবং, মাকি কাতসুনো-হায়াশিকাওয়া, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইউনেস্কো আঞ্চলিক অফিস, জাকার্তার ধারণকৃত বক্তব্য প্রচারিত হয়। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর ড. অনিন্দিতা দাশগুপ্ত, বিভাগীয় প্রধান-স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস, টেলরস ইউনিভার্সিটি। এ পর্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং মাকি কাতসুনো-হায়াশিকাওয়া তাদের ধারণকৃত বক্তব্যে বহুভাষিকতা রক্ষা ও প্রচারের জন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং এর ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রফেসর ড. অনিন্দিতা দাশগুপ্ত তার সমাপনী বক্তব্যে, শিক্ষায় মাতৃভাষার ব্যবহার এবং ভাষা সংরক্ষণে প্রযুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. ইয়াং হুই, এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অব ফিউচার ইন এডুকেশন অ্যান্ড সোসাইটির (এপিজেএফইএস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ড. কালাই ভানি রাজন্দ্রাম এবং স্যার এম বিশ্বেশ্বরায়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ব্যাঙ্গালোরের শিক্ষক গৌথম কুমার।
এসময় আলোচকরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে সব ভাষাভাষীর ঐক্যের চেতনার কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে তারা ঐক্যের একটি শক্তিশালী ও অনুপ্রেরণামূলক বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বর্ণনা করেন। বক্তারা বহুভাষিকতার প্রসারে প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের পাশাপাশি হাই কমিশনার শামীম আহসান বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এই প্রদর্শনীতে ’৫২ -র ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের ধারাবাহিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে, নয়টি দেশের শিল্পীদের সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। ভারত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নাইজেরিয়া, রাশিয়ান ফেডারেশন, সুদান, তানজানিয়া, নেপাল এবং বাংলাদেশ হাই কমিশন পরিবারের সদস্যরা এবং শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দর্শকদের বিমোহিত করে। একই মঞ্চে বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের বর্ণিল পরিবেশনা এক অনন্য সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
এছাড়াও আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরু হাইকমিশন প্রাঙ্গণে প্রভাতফেরির মাধ্যমে হাইকমিশনের অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদিতে হাইকমিশনার শামীম আহসানের নেতৃত্বে হাইকমিশন পরিবারের সদস্যরা পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর মালয়েশিয়ায় সফররত বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্সের সদস্যরা, স্থানীয় কমিউনিটির নেতারা এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংস্থার সদস্যরা পর্যায়ক্রমে পুস্পস্তবক অর্পণ করে।
এরপর বাংলাদেশের হাইকমিশনার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। দিবসের মূল অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে দিবসটিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং এ দিবস উপলক্ষ্যে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অত:পর হাইকমিশনে কর্মরত তামিল, ম্যান্ডারিন ও মালয় ভাষাভাষীর সদস্যগণ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য উল্লেখ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলন সংক্রান্ত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা সভায় মূল বক্তব্যে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ গঠনে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের একযোগে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো এবং প্রবাসী পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সফল করার জন্য তাদের সহযোগিতা কামনা করে।
অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

প্রবাস
মালয়েশিয়ায় ৫১ বাংলাদেশিকে প্রবেশে বাধা

প্রয়োজনীয়তার শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) দিয়ে ৫১ বাংলাদেশির প্রবেশে বাধা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার অবৈধভাবে মালয়েশিয়া প্রবেশের চেষ্টাকালে তাদের প্রবেশে বাধা দেয় মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস)।
শুক্রবার (২১ মার্চ) এক বিবৃতিতে একেপিএস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক প্রবেশপথে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তার শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের প্রবেশ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
কেএলআইএ টার্মিনাল- ১ এ আসলে ৬৭ জন বিদেশিকে তল্লাশি চালানো হয়। এদের মধ্যে ৫১ জনকে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়ে শনাক্ত করা হয়। এরপর আরও তদন্তের জন্য আটক বাংলাদেশিদের অপারেশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিদর্শনে দেখা গেছে যে তারা বিভিন্ন অপরাধ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ভুয়া হোটেল বুকিং নথি ব্যবহার করা এবং অভিবাসন চেক এড়ানোর চেষ্টা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, স্ক্রিনিংয়ের ফলে মোট ৫১ বাংলাদেশি নাগরিককে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। কারণ, তারা ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইনের অধীনে নির্ধারিত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ভুয়া নথি ব্যবহার ছাড়াও মালয়েশিয়ায় তাদের থাকার সময় ব্যয় বহন করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা এবং মালয়েশিয়ায় প্রবেশের স্পষ্ট উদ্দেশ্য উল্লেখ না করাও তাদের প্রবেশ প্রত্যাখ্যানের কারণ।
এদের মধ্যে কেউ কেউ কাজ খোঁজার উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের কথা স্বীকার করেছেন। বিবৃতি অনুসারে, ৫১ জনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্লাইটের মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ৩৬ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়া প্রবেশকালে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪৫ জনকে আটক করেছে দেশটির সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা একেপিএস। এদের মধ্যে ৩৬ জনই বাংলাদেশি নাগরিক।
বুধবার (১৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে একেপিএস।
বিবৃতিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে তিন ঘণ্টা ধরে পরিদর্শন অভিযান চালানো হয়েছিল। পরিদর্শন অভিযানে মোট ১১৫ জন বিদেশিকে কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়েছিল। তারপর দেখা গেছে যে ৪৫ জন এই দেশে প্রবেশের প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করেনি। এর মধ্যে ৩৬ জন বাংলাদেশি এবং বাকি ৯ জন পাকিস্তানি।
কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের অবতরণ করতে দেওয়া হবে না। আরও তদন্তের জন্য আটকদের মনিটরিং ইউনিটের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে একেপিএস।
এর আগে, ১৭ মার্চ ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টাকালে ১৫ জন বাংলাদেশিকে আটক করে সংস্থাটি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
আইরিশ বাংলাদেশ ফ্রান্সের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল

ফ্রান্সে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে আইরিশ বাংলাদেশ ফ্রান্স। রোববার (৯ মার্চ) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আলম শিশির ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ কবির হোসেন পাটোয়ারী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী কবির আহমেদ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলার প্রবাসী নেতা ও সমাজসেবক ইলিয়াস কাজল, সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মশিউর রহমান, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ দেলোয়ার খান, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলম খান, সংগঠনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ তায়েফ আহমেদ,মোহাম্মদ রুবেল ভূইয়া, মোহাম্মদ রাশেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দেশ-প্রবাস ও জাতীর কল্যাণে কাজ করার জন্য বিভিন্ন জেলার প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি কথা উল্লেখ করা হয়। প্রধান অতিথিসহ সকল অতিথিবৃন্দ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। বিশেষ করে প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে নানান কর্মসূচির কথাও জানানো হয়।
সর্বশেষে দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৯৬ অভিবাসী গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়ায় অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অন্তত ৯৬ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্য থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে বলেছেন, এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন, ডিপো এবং ডিটেনশন ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন, প্রিভেনশন ডিভিশন, ইন্টিগ্রিটি ডিভিশন, পুত্রজায়া হেডকোয়ার্টার এবং মালয়েশিয়ান সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের বিভিন্ন পদের ১১৬ জন কর্মকর্তার একটি বাহিনী নিয়ে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিল।
এই অভিযানে, মোট ১৩৫ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছিল। পরে এর মধ্যে থেকে ৯৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তাররা বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। তবে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে সেই তথ্য জানায়নি ইমিগ্রেশন। একটি ব্যক্তিগত জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে অবৈধ অভিবাসীরা বাসা ভাড়া করে থাকতো।
তিনি বলেন, ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইন, ১৯৬৬ সালের পাসপোর্ট আইনের অধীনে অবৈধ অভিবাসীরা সেখানে বসবাস করছিলেন এবং জনসাধারণের কাছ থেতে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তার মতে, তদন্ত এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সবাইকে কেএলআইএ ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অভিবাসন বিভাগ ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইন, ১৯৬৬ সালের পাসপোর্ট আইন, ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশন এবং ২০০৭ সালের ব্যক্তি পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান বিরোধী আইনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ এবং সুরক্ষা প্রদানকারী যেকোনো দলের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক জানান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় ৮৫ বাংলাদেশিসহ ৫৯৮ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ার ক্লাং শহরের মেরু’র একটি বাজারে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযানে ৬৩০ জনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৫৯৮ জনকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। আটকদের মধ্যে ৮৫ জন বাংলাদেশি ছাড়াও ২ জন নারীও রয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে এসব অভিবাসীদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৫৩০ জন মিয়ানমারের নাগরিক। বাকিরা হলেন- ইন্দোনেশিয়া ৭ জন, ভারতের ৫ জন ও নেপালের নাগরিক একজন।
দেশটির অভিবাসন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (অপারেশনস) জাফরি এমবোক তাহা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শনিবার ভোর রাতে সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে ৫৯৮ জন অভিবাসীদের আটক করা হয়। অভিবাসন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে এ সময় মেরুর পুরো বাজার এলাকা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং লোকজন এদিকে-ওদিকে ছোটাছুটি শুরু করে। অনেকে টেবিলের নিচে, ড্রেনে কিংবা গোপন স্থানে লুকিয়ে ছিল। তবে তাদের বেশিরভাগকে খুঁজে বের করে আটক করতে অভিবাসন বিভাগ সামর্থ্য হয়।
আটকদের অনেকেই ইউএন কার্ডধারী বলে দাবি করলেও তার বৈধতা পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে বলেন তিনি।
আটকের পর শাহরিয়াল জিমিন (৪০) নামে এক অভিবাসী বলেন, ‘ইমিগ্রেশনের উপস্থিতি টের পেয়ে আমি পালাতে গিয়ে আহত হয়েছি। আসলে বৈধ কাগজ না থাকায় আমি পালাতে চেয়েছিলাম।’ ২০০৪ সালে মালয়েশিয়ায় আসেন শাহরিয়াল। তবে ২০০৬ সালে অভিবাসন বিভাগ আটক করে তাকে দেশে পাঠায়। এরপর ২০২২ সালে তিনি আবারও মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেন। তবে ২ বছর ধরে তার বৈধ কাগজপত্র নেই বলে জানান তিনি।
আরেক ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক মেরি মানু (৩৫) জানান, মাছ কিনতে এই বাজারে এসে আটক হয়েছেন তিনি। তবে তার কাছে ইউএন কার্ড আছে যদিও তার মেয়াদ গত বছরের নভেম্বরে শেষ হয়েছে। ২০১৯ সালে নৌকায় করে মালয়েশিয়ায় এসেছেন তিনি, এরপর থেকে পাইকারি বাজার থেকে মাছ কিনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করেন।
অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আটকদের সিমিনি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।