প্রবাস
মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন, সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার টেলরস ইউনিভার্সিটির স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের সহযোগিতায় ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে বহুভাষিকতার প্রসার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপন করেছে।
মালয়েশিয়ার খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টেইলর’স বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ্র্যান্ড হলে’ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা, প্যানেল আলোচনা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং নয়টি দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ধারণকৃত বক্তব্য প্রচার করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ স্মরণে বিভিন্ন দেশ এবং বিভিন্ন ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠীকে নিয়ে আয়োজিত ভিন্নমাত্রিক এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মাতৃভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং স্বাধীনতার পথ দেখিয়েছে। তিনি ঐতিহাসিক মাতৃভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামীম আহসান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার শামীম আহসান তার বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন সারা বিশ্বে ভাষাগত বৈচিত্র্য উদযাপনের দিনে পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাসহ শহীদদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানের মূল আলোচনা সভায় অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, পরিচালক, সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস, বাংলাদেশ এবং, মাকি কাতসুনো-হায়াশিকাওয়া, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইউনেস্কো আঞ্চলিক অফিস, জাকার্তার ধারণকৃত বক্তব্য প্রচারিত হয়। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর ড. অনিন্দিতা দাশগুপ্ত, বিভাগীয় প্রধান-স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস, টেলরস ইউনিভার্সিটি। এ পর্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং মাকি কাতসুনো-হায়াশিকাওয়া তাদের ধারণকৃত বক্তব্যে বহুভাষিকতা রক্ষা ও প্রচারের জন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং এর ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রফেসর ড. অনিন্দিতা দাশগুপ্ত তার সমাপনী বক্তব্যে, শিক্ষায় মাতৃভাষার ব্যবহার এবং ভাষা সংরক্ষণে প্রযুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. ইয়াং হুই, এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অব ফিউচার ইন এডুকেশন অ্যান্ড সোসাইটির (এপিজেএফইএস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ড. কালাই ভানি রাজন্দ্রাম এবং স্যার এম বিশ্বেশ্বরায়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ব্যাঙ্গালোরের শিক্ষক গৌথম কুমার।
এসময় আলোচকরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে সব ভাষাভাষীর ঐক্যের চেতনার কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে তারা ঐক্যের একটি শক্তিশালী ও অনুপ্রেরণামূলক বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বর্ণনা করেন। বক্তারা বহুভাষিকতার প্রসারে প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের পাশাপাশি হাই কমিশনার শামীম আহসান বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এই প্রদর্শনীতে ’৫২ -র ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের ধারাবাহিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে, নয়টি দেশের শিল্পীদের সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। ভারত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নাইজেরিয়া, রাশিয়ান ফেডারেশন, সুদান, তানজানিয়া, নেপাল এবং বাংলাদেশ হাই কমিশন পরিবারের সদস্যরা এবং শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দর্শকদের বিমোহিত করে। একই মঞ্চে বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের বর্ণিল পরিবেশনা এক অনন্য সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
এছাড়াও আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরু হাইকমিশন প্রাঙ্গণে প্রভাতফেরির মাধ্যমে হাইকমিশনের অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদিতে হাইকমিশনার শামীম আহসানের নেতৃত্বে হাইকমিশন পরিবারের সদস্যরা পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর মালয়েশিয়ায় সফররত বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্সের সদস্যরা, স্থানীয় কমিউনিটির নেতারা এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংস্থার সদস্যরা পর্যায়ক্রমে পুস্পস্তবক অর্পণ করে।
এরপর বাংলাদেশের হাইকমিশনার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। দিবসের মূল অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে দিবসটিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং এ দিবস উপলক্ষ্যে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অত:পর হাইকমিশনে কর্মরত তামিল, ম্যান্ডারিন ও মালয় ভাষাভাষীর সদস্যগণ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য উল্লেখ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলন সংক্রান্ত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা সভায় মূল বক্তব্যে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ গঠনে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের একযোগে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো এবং প্রবাসী পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সফল করার জন্য তাদের সহযোগিতা কামনা করে।
অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
সংশোধিত আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে মালদ্বীপ
সংশোধিত আইনের মাধ্যমে মালদ্বীপে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন ভিসা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রী আলী ইহসান।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ মালদ্বীপের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রী আলী ইহসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় মালদ্বীপে অবস্থানরত আনডকুমেন্টেড প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধকরণ, নতুন ওয়ার্ক পারমিট চালু করা, ট্রান্সফার অব প্রিজনারস চুক্তি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও আলী ইহসান বলেন, শিগগিরই আনডকুমেন্টেড কর্মীদের বৈধকরণ কার্যক্রম শুরু হবে। এ সুযোগে তিনি সব আনডকুমেন্টেড কর্মীকে রেজিস্ট্রেশন করার ও বৈধ হওয়ার অনুরোধ জানান।
মন্ত্রী প্রবাসী কর্মীদের কোনো অবৈধ ব্যবসায় যুক্ত না হওয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে নতুন ভিসা চালু হলে বাংলাদেশ থেকে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স ছাড়া কোনো কর্মী গ্রহণ না করা এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশি কর্মী আনার ক্ষেত্রে উভয় দেশ থেকে যেন কোনো দালাল চক্র বিষয়টি প্রভাবিত করতে না পারে সেজন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য হন হাইকমিশনার ও মালদ্বীপের মন্ত্রী।
শেষে সম্প্রতি থিনাধু আইল্যান্ডে মিছিলে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে না দিতে পুনরায় অনুরোধ জানানো হয়। এসময় মিশনের কাউন্সেলর শ্রম মো. সোহেল পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের সুখবর দিল আমিরাত
অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) স্থানীয় একাধিক গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়। এতে দেশটিতে বসবাসরত প্রায় ৫০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন। আমিরাত সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
ফেডারেল অথরিটি সিটিজেনশিপ কাস্টম এন্ড পার্ট সিকিউরিটি-আইসিপি বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দেয়।
দেশটিতে বসবাসরত যেসব নাগরিক দীর্ঘদিন ভিসা না থাকায় অবৈধভাবে বসবাস করছেন, তারা এই সাধারণ ক্ষমার আওতায় পড়বেন।
নতুন এই সিদ্ধান্ত আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এই আইনের মাধ্যমে অবৈধ প্রবাসীরা যেকোনো নতুন স্পন্সর খুঁজে বৈধ হতে পারবেন। অথবা তারা চাইলে কোনো প্রকার জেল-জরিমানা ছাড়া নিজ দেশে ফেরত যেতে পারবেন।
২০২১ সালে করোনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা চালু হলে ভিজিট ও অন্যান্য ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমান অনেক বাংলাদেশি। ভিজিট ভিসায় যাওয়া অনেক বাংলাদেশি পরবর্তীতে ভিসা চেঞ্জ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেলেও, কেউ কেউ ভিজিট ভিসার মেয়াদ চলে যাওয়ায় অবৈধ হয়ে পড়েন।
তবে সাধারণ ক্ষমা ঘোষনায় বৈধ হওয়ার সুযোগ দেখছেন তারা।
আমিরাত সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ মিশনগুলো। দেশটির আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে প্রবাসীদের এই সুযোগকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে চীনে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ফ্রেন্ডশিপ ক্যাম্প
বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে চীনে ‘তরুণদের সাথে নিংশিয়ার বন্ধন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ২০২৪ ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ফ্রেন্ডশিপ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফ্রেন্ডশিপ ক্যাম্পের উদ্দেশ্য হল, চীনের স্বায়ীত্বশাসিত অঞ্চল নিংশিয়া এবং বিদেশী দেশগুলির মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি; প্রাণশক্তি, উন্মুক্ততা এবং উদ্ভাবনের সুন্দর নতুন নিংশিয়া পরিদর্শন করা।
গত ২৬ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ফ্রেন্ডশিপ ক্যাম্পটির উদ্বোধন ও সমাপনী অনুষ্ঠান নিংশিয়া হুই অটোনমাস রিজিওনে অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক যুব বন্ধুত্ব শিবিরটি নিংশিয়া হুই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরকারের বৈদেশিক বিষয়ক কার্যালয় আয়োজন করে। সমাপনী অনুষ্ঠানে ইয়ুথ ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়।
স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের পররাষ্ট্র বিষয়ক অফিসের মহাপরিচালক বাই ইউঝেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন এবং ক্যাম্পের পতাকা হস্তান্তর করেন।
পাঁচ দিনের সফরে তরুণরা পরিবেশগত সুরক্ষা, চমৎকার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি এবং প্রথা, স্থানীয় নাগরিকদের বাড়িতে এবং মরুভূমির ক্যাম্পে থাকার অভিজ্ঞতা অর্জন করে। তাছাড়া, নিংশিয়ার উচ্চ-মানের উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং চীনা-শৈলীর আধুনিকীকরণের নিংশিয়ার অর্জন সম্পর্কে জানতে পেরেছে।
এই ফ্রেন্ডশিপ ক্যাম্পে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, জিম্বাবুয়ে, ইন্দোনেশিয়া এবং কাজাখস্তান সহ ১২টি দেশের ৩৪ জন যুব প্রতিনিধি এবং নিংশিয়া থেকে ১৩ জন চীনা যুব প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে। এর মাধ্যমে নিংশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ফ্রেন্ডশিপ ক্যাম্প সফলভাবে ১৯টি সেশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। গত ২০ বছরে, এক হাজারেরও বেশি বিদেশী তরুণ প্রতিনিধি নিংশিয়া ভ্রমণ করেছে জ্ঞান ভাগাভাগি করতে এবংনিংশিয়া যুবকদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে।
এই যুব ইন্টারেক্টিভ প্ল্যাটফর্মটি জনগণের সাথে জনগণের সংযোগ প্রচারের মাধ্যমে, এটি নিংশিয়া এবং আন্তর্জাতিক বোন শহরগুলির মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নে গতি ও প্রাণবন্ততা এনেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় ২২ বাংলাদেশিসহ আটক ৫৯
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫৯ জন অভিবাসীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। কুয়ালালামপুর ও সেলাঙ্গরে পৃথক অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর ওয়ান মোহাম্মদ সাউপি ওয়ান ইউসুফ বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, অনুমতিপত্র, পরিচয়নথি ছাড়া কাজ করার অপরাধে শুক্রবার (২৬ জুলাই) কুয়ালালামপুরের কমপ্লেক্স দামাই এলাকা থেকে ৩৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়।
এছাড়া বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সেলাঙ্গরের ক্লাং উপত্যকায় অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে আটক হয়। আটকদের মধ্যে ২২ বাংলাদেশি, নেপালি, ভারতীয়, পাকিস্তানি এবং ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক রয়েছেন।
মালয়েশিয়ায় থাকার বৈধ পাসপোর্ট বা পারমিট না থাকা, অতিবাহিত হওয়া এবং পাসপোর্টের শর্ত মেনে চলতে ব্যর্থ হন তারা। ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সী আটকদের ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী আরো তদন্তের জন্য ইমিগ্রেশন ডিপোতে তাদের রাখা হয়েছে।
আটক অবৈধ অভিবাসীরা হকার, মুদি দোকানের কর্মী, রেস্তোরাঁর কর্মী, নাপিত, বিনোদন কেন্দ্রে ওয়েটার এবং গাড়ির ওয়ার্কশপের কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১১ অভিবাসী আটক
মালয়েশিয়ায় অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশিসহ ১১ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। আজ ১৭ জুলাই ভোরে সেরেম্বানের তামান বন্দর সেনাওয়াংয়ে অভিযান চালিয়ে ৪ বাংলাদেশিসহ ১১ অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে নেগেরি সেম্বিলান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেআইএমএনএস)।
বুধবার রাজ্যের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক কেনিথ তান আই কিয়াং এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তামান বন্দর সেনাওয়াং-এর জঙ্গলের কাছে অবৈধ বসতিতে তিন ঘণ্টা ধরে চলা অভিযানে ২৪ থেকে ৬০ বছর বয়সী আট নারীসহ মোট ৬৯ জন ইন্দোনেশিয়ান ও বাংলাদেশি নাগরিকের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়।
এর মধ্যে অভিবাসন ১৯৫৯/৬৩ আইনে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। ধারা ৬ (১) (সি) অনুযায়ী বৈধ পাসপোর্ট এবং ভ্রমণ নথি নেই এবং ১৫(১) (সি) ধারা যা সময়ের বাইরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা।
অধিকতর তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে আটকদের লেংগেং ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে বলে জানান রাজ্যের ইমিগ্রেশন পরিচালক।
কাফি