প্রবাস
মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন, সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার টেলরস ইউনিভার্সিটির স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের সহযোগিতায় ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে বহুভাষিকতার প্রসার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপন করেছে।
মালয়েশিয়ার খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টেইলর’স বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ্র্যান্ড হলে’ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা, প্যানেল আলোচনা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং নয়টি দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ধারণকৃত বক্তব্য প্রচার করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ স্মরণে বিভিন্ন দেশ এবং বিভিন্ন ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠীকে নিয়ে আয়োজিত ভিন্নমাত্রিক এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মাতৃভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং স্বাধীনতার পথ দেখিয়েছে। তিনি ঐতিহাসিক মাতৃভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামীম আহসান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার শামীম আহসান তার বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন সারা বিশ্বে ভাষাগত বৈচিত্র্য উদযাপনের দিনে পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাসহ শহীদদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানের মূল আলোচনা সভায় অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, পরিচালক, সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস, বাংলাদেশ এবং, মাকি কাতসুনো-হায়াশিকাওয়া, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইউনেস্কো আঞ্চলিক অফিস, জাকার্তার ধারণকৃত বক্তব্য প্রচারিত হয়। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর ড. অনিন্দিতা দাশগুপ্ত, বিভাগীয় প্রধান-স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস, টেলরস ইউনিভার্সিটি। এ পর্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং মাকি কাতসুনো-হায়াশিকাওয়া তাদের ধারণকৃত বক্তব্যে বহুভাষিকতা রক্ষা ও প্রচারের জন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং এর ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রফেসর ড. অনিন্দিতা দাশগুপ্ত তার সমাপনী বক্তব্যে, শিক্ষায় মাতৃভাষার ব্যবহার এবং ভাষা সংরক্ষণে প্রযুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. ইয়াং হুই, এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অব ফিউচার ইন এডুকেশন অ্যান্ড সোসাইটির (এপিজেএফইএস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ড. কালাই ভানি রাজন্দ্রাম এবং স্যার এম বিশ্বেশ্বরায়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ব্যাঙ্গালোরের শিক্ষক গৌথম কুমার।
এসময় আলোচকরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে সব ভাষাভাষীর ঐক্যের চেতনার কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে তারা ঐক্যের একটি শক্তিশালী ও অনুপ্রেরণামূলক বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বর্ণনা করেন। বক্তারা বহুভাষিকতার প্রসারে প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের পাশাপাশি হাই কমিশনার শামীম আহসান বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এই প্রদর্শনীতে ’৫২ -র ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের ধারাবাহিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে, নয়টি দেশের শিল্পীদের সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। ভারত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নাইজেরিয়া, রাশিয়ান ফেডারেশন, সুদান, তানজানিয়া, নেপাল এবং বাংলাদেশ হাই কমিশন পরিবারের সদস্যরা এবং শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দর্শকদের বিমোহিত করে। একই মঞ্চে বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের বর্ণিল পরিবেশনা এক অনন্য সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
এছাড়াও আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরু হাইকমিশন প্রাঙ্গণে প্রভাতফেরির মাধ্যমে হাইকমিশনের অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদিতে হাইকমিশনার শামীম আহসানের নেতৃত্বে হাইকমিশন পরিবারের সদস্যরা পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর মালয়েশিয়ায় সফররত বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্সের সদস্যরা, স্থানীয় কমিউনিটির নেতারা এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংস্থার সদস্যরা পর্যায়ক্রমে পুস্পস্তবক অর্পণ করে।
এরপর বাংলাদেশের হাইকমিশনার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। দিবসের মূল অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে দিবসটিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং এ দিবস উপলক্ষ্যে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অত:পর হাইকমিশনে কর্মরত তামিল, ম্যান্ডারিন ও মালয় ভাষাভাষীর সদস্যগণ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য উল্লেখ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলন সংক্রান্ত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা সভায় মূল বক্তব্যে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ গঠনে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের একযোগে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো এবং প্রবাসী পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সফল করার জন্য তাদের সহযোগিতা কামনা করে।
অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
লটারিতে পাঁচ তারকা হোটেলের মালিক হলেন কাতার প্রবাসী জাহেদুল
কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ এম এইচ এম স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে আয়োজনে বাংলাদেশ ট্রেড, রিয়েল এস্টেট, রেমিট্যান্স ফেয়ারে গোল্ড স্যান্ডস গ্রুপের লটারিতে পুরস্কার জিতেছেন কাতার প্রবাসী নির্মাণ শ্রমিক জাহেদুল ইসলাম। তিনি কক্সবাজার অথবা কুয়াকাটায় নির্মাণাধীন চলমানকৃত বিশ্ব মানের চেইন ম্যানেজমেন্টের পাঁচ তারকা হোটেলের একটি সুইট এর আংশিক মালিকানা পান। যার মূল্য ৬ লক্ষ টাকা, যা আগামী কয়েক বছরে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা মূল্য হবে বলে ধারণা করা হয়।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে দোহা আল হেলাল বাংলাদেশ দূতাবাসে গোল্ড স্যান্ডস গ্রুপের সিনিয়র পরিচালক শাহাদাত হোসেন বাহার এ চুক্তিপত্রের দলিল হস্তান্তর করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম ও দূতাবাসের কাউন্সিলর ডেপুটি চিফ অফ মিশন ওয়ালিউর রহমান।
এর আগে ২১শে ডিসেম্বর মেলার সমাপনী দিনে হাজারো দর্শকের সামনে কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম হাজারো র্যাফেল ড্র কুপন এর মধ্যে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির নাম ঘোষণা করেন।
গোল্ড স্যান্ডস গ্রুপের সিনিয়র পরিচালক শাহাদত হোসেন বাহার বলেন, চার লাখ কাতার প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের মধ্যে অন্তত এক জনকে পুরস্কার দিতে পেড়ে আমি আনন্দিত। গোল্ড স্যান্ডস গ্রুপ প্রবাসীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে কক্সবাজার এবং কুয়াকাটায় আন্তর্জাতিক ফাইভ স্টার নির্মাণের পাশাপাশি ঢাকায় পূর্বাচল এবং মাওয়াতে দুটি আধুনিক ল্যান্ড প্রজেক্ট এবং বসুন্ধরাতে ওয়ার্ল্ড ক্লাস অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্ট নির্মাণ করছে গ্রুপটি। বর্তমানে ট্যুরিজম ইনফ্রাটেকচার ডেভেলপমেন্ট এ প্রাইভেট সেক্টর এ সবচেয়ে বেশী বিনিয়োগ রয়েছে গোল্ড স্যান্ডস গ্রুপের বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের স্বনামধন্য কোম্পানিগুলোর আগমনে কাতার প্রবাসীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে এবং কাতার-বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে এই ধরনের মেলার আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসময় গোল্ড স্যান্ডস গ্রুপের এমন ভিন্নধর্মী আয়োজনের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত।
রাফেল ড্র বিজয়ী কাতার প্রবাসী জাহেদুল ইসলাম, বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
বাংলাদেশিদের রেকর্ড পরিমান ভিসা দিচ্ছে সৌদি আরব
প্রতিদিন ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার বাংলাদেশিকে ভিসা দিচ্ছে সৌদি আরব। আগামীতে এই হার অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) গালফ নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত নভেম্বরে ৮৩ হাজার বাংলাদেশিকে শ্রমিক ভিসায় প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে সৌদির সরকার। এটিও রেকর্ড, কারণ এর আগে কখনও একমাসে এত সংখ্যক বাংলাদেশিকে শ্রমিক ভিসায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি দেশটি।
সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনার অধীনে উচ্চাভিলাষী উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ত্বরান্বিত করার সঙ্গে সঙ্গে কর্মী চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০৩৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ এবং ২০৩০ সালের রিয়াদ এক্সপোসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব। এসব ইভেন্টের জন্য এয়ারপোর্ট, রেলওয়ে ও স্টেডিয়ামের মতো বিশাল অবকাঠামো প্রকল্প রয়েছে। এই আয়োজনগুলো সফল করতে সৌদি আরব দ্রুত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে শ্রমশক্তির চাহিদা বাড়িয়েছে।
সৌহার্দ্যের নিদর্শন হিসেবে সৌদি আরব সম্প্রতি বাংলাদেশে ৩৭২ টন মাংস পাঠিয়েছে অনুদান হিসেবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তারা জানান, ৬৪টি জেলার ৯৫টি অঞ্চলের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, অনাথ ও দরিদ্রদের মধ্যে এ মাংস বিতরণ করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় পোশাক কারখানা থেকে ৩৫ বাংলাদেশি আটক
মালয়েশিয়ার একটি পোশাক কারখানা থেকে অবৈধভাবে কাজ করা ৫০জন অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। আটকদের মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
আজ শনিবার মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুয়ালালামপুরের চেরাসে অবস্থিত এক পোশাক কারখানায় এ অভিযান শুরু হয়। গোয়েন্দা ও বিশেষ অভিযান বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এতে আরও বলা হয়, গত দুই সপ্তাহ ধরে জনগণের অভিযোগ এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানিক দলটি ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে একজন ৪৬ বছর বয়সী বাংলাদেশি পুরুষকে আটক করে। তাকে কোম্পানির ম্যানেজার হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে এবং অবৈধভাবে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৪ জন বাংলাদেশি পুরুষ ও ১৫ জন বার্মিজ নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সবার বয়স ২০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
অভিযানে ৪০টি কার্ড এবং সেলাইয়ের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। পোশাক কারখানাটি গত দুই বছর ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বলে জানা যায়।
এদিকে, কোম্পানির ম্যানেজার সন্দেহে আটক বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন আইন ১৯৬৯/৬৩ এর ধারা ৫৫বি ও ৫৫ ই অনুযায়ী অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(৩) এবং ইমিগ্রেশন বিধিমালা ১৯৬৩ এর ধারা ৩৯(বি) অনুযায়ী গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং তাদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুকিত জালিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
সৌদিতে পলাতক কর্মীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ
সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রবাসী যারা কফিল (স্পন্সর) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বা পলাতক কর্মীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তাদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে দেশটির সরকার। আর এ সুযোগ থাকছে ২০২৫ সালের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট মামুনুর রশিদ বলেন, ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত যেসব প্রবাসী এই পরিস্থিতিতে রয়েছেন, তারা আগামী বছরের জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে বৈধ হতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত যাদের ইতোপূর্বে হুরুব দেওয়া হয়েছে, এই হুরুবপ্রাপ্ত কর্মীরা চাইলে এখন বৈধ হতে পারবেন। এর জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে ১ নভেম্বর থেকে আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের এই লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট বলেন, হুরুব প্রাপ্তদের বৈধ হওয়ার এই প্রক্রিয়া কেবল সৌদি সরকারের অনুমোদন পাওয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে সম্পন্ন হবে। আর এর জন্য প্রবাসীদের নির্ধারিত কাগজপত্র ও প্রাসঙ্গিক তথ্য জমা দিতে হবে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাহায্যের জন্য বিভিন্ন তথ্যসেবা চালু রাখা হয়েছে জানিয়ে দূতাবাস থেকে আরও বলা হয়, প্রবাসীরা চাইলে দূতাবাসে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা নিতে পারবেন। এ ছাড়া যারা এখনও বৈধ হওয়ার চেষ্টা করেননি, তারাও দ্রুত এই সুযোগ নিতে পারেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সৌদি আরবে প্রায় ২০ হাজার প্রবাসী গ্রেপ্তার
সৌদি আরবের বিভিন্ন আইন ভঙ্গের অভিযোগে এক সপ্তাহে ১৯ হাজার ৬৯৬ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির সরকার। তাদের বিরুদ্ধে সৌদির আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১১ হাজার ৩৩৬ জনকে আবাসন আইন ভঙ্গের অভিযোগে, ৫ হাজার ১৭৬ জনকে অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে এবং ৩ হাজার ১৮৪ জনকে শ্রম-সংক্রান্ত বিষয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১ হাজার ৫৪৭ জনকে অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ ইথিওপিয়া, ৩২ শতাংশ ইয়েমেন এবং বাকি ৩ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক। এ ছাড়া তাদের যানবাহন ও আশ্রয় দিয়ে সহায়তার অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এমআই