ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনের কথা

ভাষা মানে হয়তো মায়ের ধমকানি, চিরসহিষ্ণু বাবার প্রশ্রয়ের হাসি। ভাই/বোনের অহেতুক খুনসুঁটি বা মানুষের ভীরে অযুত আঁখি ফাঁকি দিয়ে প্রেমিকার প্রতি স্বলজ্জ চোরাচাওনি। ওর অভিমানভরা চোখের সামনে কর্তব্যবিমূঢ় হাসি। ভাষা মানে হয়তো কৈশোরের খলখলানি, বার্ধ্যক্যের বিস্ময়ভরা চাহনি, জীবিকার তাগিদে রাস্তার মোড়ে কোন হকারের অনবরত জিহ্বার নাচুনি কিংবা ভাষা মানে আড্ডায় চায়ের কাপে কথার ঝুড়ি অথবা গভীর রাতে ভীষণ একাকীত্বে দুঃখ গলিয়ে টিস্যুর ভাজে ভাজে বিন্দু বিন্দু সুখের চুরি কিংবা ভাষা মানে আরও না বলা অনেক কিছু।
বিশ্বের বুকে ৫২’র ২১ শে ফেব্রুয়ারির বাঙালি তরুণরা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে বাংলা ভাষার প্রতি অগাধ ভালোবাসা প্রমাণ করেছিল এবং সেইসাথে বাঙালি জাতিসত্তাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়। তাদের অসামান্য অবদান প্রজন্ম হতে প্রজন্ম পর্যন্ত বহাল রাখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষের।
দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের তরুণ শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে মনের কথা ব্যক্ত করার চেষ্টা করেছেন ও গ্রন্থনা করেছেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অর্থসংবাদ’র প্রতিনিধি মো. সাকিব আসলাম।
আমি বাংলায় কথা বলি, আমি বাঙালী, আমি বাঙাল। আমি গর্বিত আমি বাঙাল।এটা যদি অনাধুনিকতা, অসামাজিকতা বা আভিজাত্যহীনতা হয় তবে তাই সই।
অর্ণব হাসান
লোক প্রশাসন বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
যে ভাষা স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে ভিন্ন ভাষার শব্দ গ্রহণ করতে পারে সে ভাষা ততবেশী সমৃদ্ধ, এটা ভাষাতাত্ত্বিকদের অভিমত। তবে, আমরা এ প্রজন্মের কথাতাত্ত্বিক তরু(ণ/ণী)রা আরো এক কাঠি এগিয়ে। বিগত কয়েক বছর ধরে, আমরা কথার মাঝে মাঝে ইংরেজি বা হিন্দি শব্দ ঢালাওভাবে ঢুকিয়ে বাংলা ভাষাকে হাস্যকর ভাবে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছি। শরীর দুলিয়ে, ঠোঁট বাকিয়ে বাংলা, ইংরেজি আর হিন্দি মিশিয়ে “বাংরেন্দি” নামক এক কিম্ভূত ভাষায় কথা বলাকেই আমরা “স্মার্টনেস” ভাবা শুরু করেছি। আমাদের তারকারা ভূলেভরা ইংরেজিতে কথা বলাকেই আভিজাত্য ভাবছেন, হুজুরেরা কথার মাঝে মাঝে আরবি, ফার্সি, উর্দুকে টেনে এক অদ্ভুতুড়ে ভাষায় কথা বলাকে ধার্মিকতা মনে করছেন। আমি ভিন্ন ভাষার প্রতি বিদ্বেষী হবার কথা বলছিনা। অন্যভাষা জানাটা নিঃসন্দেহে একটা শিল্পকর্ম তবে নিজ ভাষায় শুদ্ধ করে কথা বলাটা তার চেয়েও বড় ও অনুপম এক শিল্প। যে শব্দের প্রচলিত বাংলা শব্দ নেই সেখানে অন্য ভাষার প্রতিশব্দের ব্যবহার নিশ্চয়ই করবো তবে প্রচলিত ও সুন্দর বাংলা শব্দকে হটিয়ে তথায় ভিন্ন ভাষার শব্দকে জোর করে ব্যবহার করে অভিজাত হওয়ার ভান করা যে আধুনিকতার আবরণে অসুস্থতা তা কবে বুঝবো?
আমি বাংলা ভাষার সাধনা করে কাউকে গীতগোবিন্দ বা পদ্মাবতী হতে বলছিনা, বলছিনা ভাষার জন্য জীবন দিয়ে শহীদ মিনারের খুঁটি হতে, আমাদের পূর্বজনেরা তা অনেক আগেই করেছেন, কেবল শুদ্ধ বাংলার চর্চা করতে অনুরোধ জানাচ্ছি। যেদিন ওয়াইক্লিফ ল্যাটিন ছেড়ে ইংরেজি, মধূসূদন ইংরেজি ছেড়ে বাংলা আর রামকৃষ্ণভাবশিষ্য বিবেকানন্দ তাঁর দীক্ষাগুরুর ভাষার বলয় ভেঙ্গে নিজ ভাষায় প্রবেশ করেছিলেন স্বার্থক তারা সে দিনেই হয়েছিলেন এবং আজও স্বমহিমায় টিকে আছেন।
সকল ভাষা শহীদ আর ভাষা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা।ভাষার মাসে কেবল শহীদ মিনার, কালো ব্যাচ, ফুলের তোড়া, খালি পায়ের মধ্যে আটকে না পড়ে আজ থেকে শুরু হোক শুদ্ধ ভাষার চর্চা। একজন বৃদ্ধ আনিসুজ্জামান বা আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ শুদ্ধ বাংলায় কথা বলে যদি হাজারো মানুষকে মুগ্ধ করতে পারেন তবে আমরা প্রাণবন্ত তরুণেরা কেন নয়?
বাংলা ভাষা জীবনের সামগ্রিক যোগসূত্র
শাহানীন সুলতানা মীম
ইংরেজি বিভাগ
শান্ত-মরিয়াম সৃজনশীল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
ভাষা যোগাযোগের একটি অন্যতম মাধ্যম। ভাষার মাধ্যমে আমরা আমাদের সুখ-দুঃখ, ভালো লাগা, খারাপ লাগা প্রকাশ করি। ভাষা একটি দেশের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। আর এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে ভাষা হচ্ছে শক্তিশালী হাতিয়ার। মাতৃভাষার প্রচলন কেবল ভাষাগত বৈচিত্র্য, বহু ভাষাভিত্তিক শিক্ষাকেই উৎসাহিত করবে না, বরং ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উন্নয়ন ও অনুধাবনের ক্ষেত্রে অতুলনীয় অবদান রাখবে। বাঙালি জাতি নিজের রক্ত দিয়ে প্রমাণ করেছে বাংলা তাদের নিকট ভালোবাসার মন্ত্র এবং সারা বিশ্বের নিকট তুলে ধরেছে ভাষা একমাত্র হতে পারে ভালোবাসার মন্ত্র। আমাদের মাতৃভাষা দিবসের মধ্যে দেশ, দেশের মানুষ, দেশের সংস্কৃতি ভালোবাসা’সহ নানা প্রেক্ষাপটের তাৎপর্য লুকিয়ে আছে।
বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি আত্মিক বন্ধনে অতপ্রোতভাবে জড়িত
নাজমুন নাহার
সমাজ কল্যাণ বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শুধুমাত্র একটি উদযাপন নয়, বরং এটি একটি ভাষার প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং সংস্কৃতির প্রতি দায়িত্ববোধ। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রতিবাদ করে। পুলিশের গুলিতে সেদিন রহিম উদ্দিন, সালাম, বরকত, জব্বার, রফিকসহ বেশ কয়েকজন ছাত্র শহীদ হন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই দিনটি সারা বিশ্বে বিভিন্নভাবে পালিত হয়। বাংলাদেশে, সরকারিভাবে এই দিনটি শোক ও শ্রদ্ধা দিবস হিসেবে পালিত হয়। সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। সারাদেশে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মিছিল ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। মাতৃভাষা মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধুমাত্র যোগাযোগের মাধ্যমই নয়, বরং সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পরিচয়েরও বাহক। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশ্বের সকল মানুষকে তাদের মাতৃভাষা গর্বের সাথে ধারণ করতে এবং বিশ্বের বহুভাষিকতা রক্ষা করতে অনুপ্রাণিত করে। ২১ ফেব্রুয়ারি শুধুমাত্র মাতৃভাষার জন্য নয়, বরং বাংলার সাথে আমাদের আত্মিক বন্ধন টিকে রাখার দিনও। ভাষা কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং এটি আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, পরিচয় এবং আবেগের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বাংলা ভাষা আমাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে এবং আমাদেরকে বাঙালি হিসেবে গড়ে তুলেছে। ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে বাংলা ভাষার জন্য কত মূল্যবান জীবন উৎসর্গ করা হয়েছে। সেই ভাষার প্রতি আমাদের কতটা দায়িত্ব আছে, তাও এই দিন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়।
২১ ফেব্রুয়ারি শুধু একটি দিনের উদযাপন নয়, বরং এটি একটি প্রতিজ্ঞার দিন। আমাদের সকলের উচিত এই দিনে বাংলার প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও আনুগত্যের প্রতিজ্ঞা নবায়ন করা। বাংলা ভাষা আমাদের গর্ব এবং আমাদের পরিচয়। ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে এই ভাষার জন্য কত ত্যাগ স্বীকার করা হয়েছে। আমাদের সকলের উচিত বাংলার সাথে আমাদের আত্মিক বন্ধন টিকিয়ে রাখা এবং এর প্রসার ও বিকাশে ভূমিকা রাখা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শুধুমাত্র একটি উদযাপন নয়, বরং এটি একটি ভাষার প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং সংস্কৃতির প্রতি দায়িত্ববোধ।
নিজভূমে পরবাসী
মো. মহাইমিনুল ইসলাম অপু
ইম্পেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, খুলনা
পৃথিবী জুড়ে সমাদৃত ও সম্মানিত হলেও অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় খোদ বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে বাংলা ভাষা যেন অবহেলিত। অযত্ন অনাদরে পড়ে আছে দুঃখিনী বাংলা। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন ও ব্যবহারে যে স্বপ্ন নিয়ে রক্ত দিয়েছিলেন বাংলার দামাল ছেলেরা, তাঁদের সে স্বপ্ন যেন আজ ক্রমশ ফ্যাকাশে হতে শুরু করেছে। ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আইন-আদালত, গণমাধ্যমসহ সর্বত্র উপেক্ষিত বাংলা। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষত উচ্চ শিক্ষায় বাংলা ব্যবহার নেই বললেই চলে। অথচ ভাষাগত দিক থেকে বাংলা যথেষ্ট সমৃদ্ধশালী। তথাপি বাংলা যেন নিজভূমে পরবাসী। কবি মাইকেল মুধুসূদন দত্তের ভাষায়- হে বঙ্গ, ভান্ডারে তব বিবিধ রতন; তা সবে, (অবোধ আমি) অবহেলা করি।
বাংলাকে সমৃদ্ধ করতে হলে আমাদের শিক্ষা সহ নানা ক্ষেত্রে বাংলার গুরুত্ব দিতে হবে সর্বপ্রথমে এবং বাংলা ভাষার সৌন্দর্যকে প্রজন্ম পর প্রজন্মের নিকট সুস্পষ্ট থাকে এ বিষয়ে যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শপথ নিলেন পিএসসির নতুন তিন সদস্য

সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) নতুন নিয়োগ পাওয়া তিন সদস্যকে শপথ পড়িয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ২টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এ শপথ হয়।
নতুন সদস্যরা হলেন—মো. মহিউদ্দিন, মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক) ও এম আমজাদ হোসেন (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক)।
রবিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদ ভূঁঞা। এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি ও পিএসসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২০ আগস্ট সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) তিনজন সদস্য নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিন প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক এ নিয়োগের কথা জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ১৩৮ (১) অনুচ্ছেদে বর্ণিত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই তিন কর্মকর্তাকে সদস্য পদে নিয়োগ করেছেন। সংবিধানের ১৩৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে তারা দায়িত্বভার গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর বা তাদের ৬৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার মধ্যে যা আগে ঘটে সেই সময় পর্যন্ত তারা সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য পদে বহাল থাকবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে পিএসসির সদস্য সংখ্যা ১৫। এই নিয়োগের ফলে পিএসসির সদস্য সংখ্যা ১৮-তে দাঁড়াল।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার নেবে আরএফএল গ্রুপ

শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান আরএফএল গ্রুপে ‘ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার’ পদে ২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। কোনো ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলেও আবেদন করা যাবে।
প্রতিষ্ঠানের নাম: আরএফএল গ্রুপ
বিভাগের নাম: ব্র্যান্ড
পদের নাম: ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার
পদসংখ্যা: ২০ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমবিএ অথবা বিবিএ (মার্কেটিং)
অভিজ্ঞতা: প্রযোজ্য নয়
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
বয়স: নির্ধারিত নয়
কর্মস্থল: ঢাকা (বাড্ডা)
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা এখানে RFL Group ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
সূত্র: বিডিজবস ডটকম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
‘ইকসু গঠন আন্দোলন’ আত্মপ্রকাশ ইবি শিক্ষার্থীদের, ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠন ও রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ‘ইকসু গঠন আন্দোলন’ নামে নতুন প্লাটফর্মের আত্মপ্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত ৯টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে (ক্যাফেটেরিয়া) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা আরম্ভ করে তারা। সংবাদ সম্মেলনে আগামী শনিবার (২৩ আগস্ট) অবস্থান কর্মসূচি ও ইকসু গঠনের পক্ষে শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর গ্রহণের কর্মসূচি ঘোষণা করেন প্লাটফর্মটি।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের দাবি-২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানের পরে আমরা যখন বারংবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ছাত্র সংগঠন গুলোকে ইকসু গঠনের দাবি নিয়ে যেতে দেখেছি, তখন আমরা বারবার আশায় বুক বাবলেও প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন না থাকার দোহাই দিয়ে ইকসু গঠনে অনাগ্রহ দেখিয়েছে।
আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, আইনে না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে ইকসু গঠন করা সম্ভব। কিন্তু অজানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার ইকসু গঠনে অনীহা দেখিয়েছে। অথচ আমাদের চব্বিশের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নয় দফার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিলো–প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তারা আরও বলেন, আমাদের বারবার ভাবিয়েছে সেটা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য নিবেদিত ও নির্ভরযোগ্য কোন প্লাটফর্ম এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠেনি। ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি নিয়ে প্রশাসনের সাথে আলাপ আলোচনা করে দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করলেও তার বাস্তবায়ন খুবই কম এবং তার অগ্রগতি খুব একটা হয়নি বললেই চলে।
প্রতিটি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন শিক্ষার্থীদের। জন্য বা ক্যাম্পাস সংস্কারের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করলেও রাজনৈতিক এজেন্ডা সমূহও এর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থের বাইরে যেয়ে নিরেট শিক্ষার্থীদের জন্য যে সবসময় দাবি-দাওয়া উপস্থাপন এবং প্রশাসনের সাথে আলাপ আলোচনা করে কার্যকরী সমাধান করতে পারে সেরকম এমন একটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ছাত্র সংসদ। কিন্তু অত্যন্ত হতাশা ও দুর্ভাগ্যের বিষয় যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫০ বছরের কাছাকাছি হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ছাত্র সংসদ গঠন করা হয়নি।
অভিযোগ তুলে তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অধিকার নিয়ে কথা বলা, অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত বাবস্থা, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক উন্নয়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখা, হলে সিট বণ্টনে প্রভোস্টকে সহযোগিতাসহ শিক্ষা ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট জাতীয় ইস্যুতে কথা বলার মাধ্যমে নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের সুযোগ করে দেয় ছাত্র সংসদ। কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের কোন অস্তিত্বই নেই। বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের নিজেদের স্বার্থে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতে দেয় না।
অথচ শিক্ষক সমিতির নিয়মিত নির্বাচন হয়, কর্মকর্তা সমিতির নির্বাচন হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ও নির্বাচন হয়; কিন্তু ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়াতে যেমন ছাত্ররা অধিকার আদায়ে ব্যর্থ হচ্ছে, তেমনি দেশ কোনো মেধাবী নেতৃত্ব পাচ্ছে না। অপরদিকে নব্বই দশকের পর থেকে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন দলের আধিপত্য, হল দখল, গেস্টরুম কালচার থামছেই না।
তারা বলেন, বিভিন্ন সময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দকে আমরা দেখেছি বিভিন্ন নাবিদাওয়া উপস্থাপনের পাশাপাশি গুরুত্ব সহকারে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ইকসু গঠনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি সিতে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইকসু গঠনের জন্য কোন পদক্ষেপ তো নেয় ই নি বরং বারবার আইনের দোহাই দেখিয়ে ইকসু গঠনকে থামিয়ে দিয়েছে। দীর্ঘদিনের অচলায়তন ভেঙে যেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং রাকসু নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠন এবং নির্বাচন অত্যন্ত জরুরী।
স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের অধিকার এবং কোনমতেই এই অধিকার থেকে কোন অজুহাতে শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা চলবে না। হুকযু কোন একক বাক্তির বা একক সংগঠনের না, ইকসু আমার, আপনার এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ হাজার শিক্ষার্থীর। ইকসুর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছিলেন তাদের উদাত্তকণ্ঠে আমাদের এই ইকসু গঠন আন্দোলন-এর সাথে একাত্মতা প্রকাশের আহ্বান জানাই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ইকসু গঠনের স্বার্থে প্রয়োজনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেকোনো ব্যানার বা কর্মসূচিতে মাঠে থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্লাটফর্মটি। তবে ৮ জনের নাম উল্লেখ করা সংবাদ সম্মেলনটি সবার প্রতিনিধিত্ব করে কিনা প্রশ্ন উঠেছে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর দাবি- ইকসু গঠনের জন্য নারী শিক্ষার্থী, সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।
অর্থসংবাদ/কাফি/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রথম ভর্তি পরীক্ষা আজ

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে একত্রিত করে গঠিত হয়েছে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ)। প্রতিষ্ঠানটির প্রথমবারের মতো ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আজ।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার শিক্ষার্থী চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মোট আসন সংখ্যা ১১ হাজার ১৫০টি। ভর্তি পরীক্ষা কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে তিনটি ভাগে নেয়া হবে। আগের আবেদন, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজে করা হয়েছিল, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিসিইউতে গ্রহণযোগ্য হবে।
পরীক্ষার সময়সূচি
কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট: ২২ আগস্ট, বিকেল ৩টা–৪টা
বিজ্ঞান ইউনিট: ২৩ আগস্ট, সকাল ১১টা–১২টা
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট: ২৩ আগস্ট, বিকেল ৩টা–৪টা
পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে। প্রবেশপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (https://collegeadmission.eis.du.ac.bd) থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
পরীক্ষার কাঠামো ও পাস নম্বর
এমসিকিউ পদ্ধতিতে মোট ১০০ নম্বর
কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান
বিজ্ঞান ইউনিটে পদার্থ, রসায়ন ও অন্যান্য বিষয়
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটেও ১০০ নম্বরের এমসিকিউ
পাশ নম্বর: ৪০, তবে বাংলা বা ইংরেজিতে অন্তত ১০ নম্বর থাকতে হবে
মেধাক্রম ও ভর্তি প্রক্রিয়া
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল, এসএসসি ও এইচএসসি নম্বর মিলিয়ে মোট ১২০ নম্বরে মেধাক্রম তৈরি করা হবে। বিষয় বরাদ্দ ২০ অক্টোবর এবং ভর্তি শেষ হবে ২৫ অক্টোবর। ক্লাস শুরু ৩০ অক্টোবর।
বিশেষ বিধান
ঢাকা কলেজে কেবল ছাত্র, ইডেন ও বদরুন্নেসা কলেজে কেবল ছাত্রী ভর্তি হবে। অন্য চার কলেজে উভয় লিঙ্গের শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, উপজাতি, প্রতিবন্ধী, হরিজন-দলিত, ক্রীড়াবিদ ও হিজড়া কোটার শিক্ষার্থীদেরও ন্যূনতম পাস নম্বর থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী প্রশাসক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ কে এম ইলিয়াস বলেন, ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ডিসিইউর যাত্রা শুরু হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা প্রথম দিন থেকেই একটি সুশৃঙ্খল ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার অভিজ্ঞতা পাবেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন নিয়ে নতুন নির্দেশনা

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের টাকা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে পাঠানোর জন্য ২৩ আগস্টের মধ্যে এ মাসের বিল অনলাইনে সাবমিট করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। একই সঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল তথ্য দেয়ার কারণে কোনো শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওর টাকা ইএফটিতে পাঠানো না হলে তার দায়ভার প্রতিষ্ঠান প্রধানের ওপর বর্তাবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওর অর্থ ইএফটিতে পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের দাখিল করা তথ্যই চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতি মাসে যথাসময়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান অনলাইনে বিল সাবমিট না করলে শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওর টাকা ইএফটিতে পাঠানো হবে না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের সাবমিট করা বিলের কপি ডাউনলোড করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও সভাপতির স্বাক্ষরসহ সংরক্ষণ করতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, অধিদফতরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওর টাকা ১ জানুয়ারি থেকে ইএফটিতে দেয়া হচ্ছে এবং জুলাই মাস পর্যন্ত সরাসরি শিক্ষক-কর্মচারীদের স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাব নম্বরে পাঠানো হয়েছে।
আগস্ট মাস থেকে এমপিও এর টাকা ইএফটিতে পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান থেকে মাসভিত্তিক এমপিওভুক্ত জনবলের বিল সাবমিট করার ব্যবস্থা অনলাইনে যুক্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, প্রতিষ্ঠান প্রধান তার প্রতিষ্ঠানের এমপিও সংক্রান্ত কাজের জন্য ব্যবহৃত আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ইএমআইএস সিস্টেমের এমপিও-ইএফটি মডিউলে লগ-ইন করে বিল দিতে হবে। এক্ষেত্রে, সংযুক্ত নির্দেশিকা অনুসারে তার প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য আলাদা আলাদাভাবে বিধি মোতাবেক প্রাপ্য এমপিও এর টাকা সঠিকভাবে নির্ধারণ করে বিল সাবমিট করবেন।
দাখিল করা বিলের একটি কপি ডাউনলোড করে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি স্বাক্ষর করে নিজ প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করবেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানের দাখিল করা তথ্য অনুসারে এমপিও এর টাকা ইএফটিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাব নম্বরে পাঠানো হবে।
প্রতিষ্ঠানের এমপিও তালিকায় বিদ্যমান শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে কেউ মৃত্যুবরণ বা পদত্যাগ করলে প্রতিষ্ঠান প্রধান সংশ্লিষ্ট মাসে বিধিমোতাবেক তার প্রাপ্যতা নির্ধারণ করে বিল সাবমিট করবেন।
এছাড়া, সাময়িক বরখাস্ত, অনুমোদনহীন অনুপস্থিতি বা অন্য কোনো কারণে বিধিমোতাবেক কোনো শিক্ষক-কর্মচারীর আংশিক বা সম্পূর্ণ বেতন কর্তন বা বন্ধ করার প্রয়োজন হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিল সাবমিট অপশনে তা উল্লেখ করবেন।