জাতীয়
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য বাড়াতে জাপানের সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘সরকার একটি গ্রাম, একটি পণ্য’ কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য বাড়াতে কাজ করছে। এ কর্মসূচি সফল করতে জাপানের অভিজ্ঞতা দিয়ে সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি এ কর্মসূচিকে সাধুবাদ ও সহযোগিতার আশা প্রকাশ করে জানান, জাপান বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে চায়। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় জাপান অংশীদার হয়ে কাজ করতে আগ্রহী। আগামী বছর জাপানে অনুষ্ঠেয়ে ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫’ আয়োজনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ আশা করি।
এরপর বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে জানান, জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে সকল সহযোগিতার আশা করি।

জাতীয়
নবম দিনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নবম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষকেরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে রোববার (১৯ অক্টোবর) শিক্ষকদের ভুখা মিছিল কর্মসূচি পুলিশি বাধার মুখোমুখি পড়লে শিক্ষক নেতাদের পক্ষ থেকে আমরণ অনশন ও সর্বাত্মক কর্মবিরতির ডাক দেয়া হয়। শিক্ষকেরা সরকার কর্তৃক বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখান করছেন এবং তিন দফা দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
শিক্ষকদের আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি, গণ অধিকার পরিষদ ও এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একাত্মতা পোষণ করেছে। শিক্ষক নেতারা জানান, সরকারের কোনো পদক্ষেপ না নিলে আন্দোলন আরও শক্তিশালী আকার নিতে পারে।
জাতীয়
ভোটের মাঠে থাকবে ৯০ থেকে ১ লাখ সেনা: ইসি সচিব

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯০ থেকে ১ লাখ সেনা দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ মতবিনিময় সভা শুরু হয়।
সভা শেষে ইসি সচিব বলেন, অবশ্যই নির্বাচন করার পরিবেশ আছে। সেনা ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ, পুলিশ দেড় লাখ দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া ভোটে সাড়ে ৫ লাখ আনসার দায়িত্ব পালন করবে।
নানা জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। ভোটের পরিবেশ আছে কি? এই প্রসঙ্গে সচিব বলেন, সভায় আগুন লাগার বিষয়ে আলোচনা হয়নি। ‘
লুট হওয়া অস্ত্র প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, লুট হওয়া ৮৫ শতাংশ রিকভারি হয়েছে, বাকিটা হয়নি কাজ চলমান।
জাতীয়
পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষে রোববার (১৯ অক্টোবর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এবারও বাংলাদেশে বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এবার ২০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস একযোগে পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য- ‘ড্রাইভিং চেঞ্জ উইথ কোয়ালিটি স্ট্যাটিসটিক্সস এন্ড ডাটা ফর এভরিওয়ান’ যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, সঠিক ও মানসম্মত উপাত্ত কেবল সরকারের নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রেই নয়, বরং সেগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) বিশ্বমানের সংস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও আধুনিকীকরণের একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে তা উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রকাশ প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর, প্রযুক্তিনির্ভর ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে তুলবে।
তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, উপাত্তের সর্বজনীন প্রাপ্যতা ও মানসম্মত উপাত্তের ব্যবহার দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং উন্নয়নকে আরও জনমুখী করে তুলবে।
ড. ইউনূস বলেন, দেশের সব নীতিনির্ধারক, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী, পরিকল্পনাবিদ, গবেষক, পরিসংখ্যানবিদ এবং তথ্য ব্যবহারকারীদের সম্মিলিত প্রয়াসে ‘সবার জন্য মানসম্মত পরিসংখ্যান ও উপাত্ত’ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
সবশেষে প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
জাতীয়
সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা লক্ষ্যে সোমবার (২০ অক্টোবর) সেনাবাহিনীসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (১৯ অক্টোবর) ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আশাদুল হক জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
ইসির উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন এ সংক্রান্ত চিঠি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের পাঠিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনি এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে মতবিনিময় ও প্রাক প্রস্তুতিমূলক সভা ২০ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের (নির্বাচন ভবন) সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় অন্য নির্বাচন কমিশনাররাও উপস্থিত থাকবেন। সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
যাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন— সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমান বাহিনী প্রধান, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/কোস্টগার্ড/আনসার ওভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই/এনটিএমসি/র্যাব-এর মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক [স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)/সিআইডি]।
বৈঠকে ইসির চিহ্নিত একডজন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হবে। এগুলো হলো- ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও নির্বাচনি এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ডে সমন্বয় সাধন ও সুসংহতকরণ, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার রোধ ও নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচনে বিদেশি সাংবাদিক ও প্রাক পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদান, কৃত্রিম প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল ও মিথ্যা তথ্যের প্রচারণা রোধে কৌশল নির্ধারণ, পোস্টাল ভোটিং ব্যবস্থাপনা, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে মোতায়েন পরিকল্পনা, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ন্ত্রণ, অঞ্চল, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের মতামত/পরামর্শের আলোকে শান্তিশৃঙ্খলা বিষয়ক কার্যক্রম গ্রহণ, পার্বত্য/দূর্গম এলাকায় নির্বাচনি দ্রব্যাদি পরিবহন এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্য হেলিকপ্টার সহায়তা প্রদান ও ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি গুছিয়ে নিচ্ছে ইসি। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হতে পারে তফসিল।
জাতীয়
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি সম্পর্কিত সুপারিশ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে আবারও আলোচনা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনে কমিশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ভার্চ্যুয়ালি এই আলোচনায় অংশ নেন।
এই সভায় ইতঃপূর্বে আলোচিত বিষয়গুলো পুনরায় পর্যালোচনা করা হয়। কমিশনের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া।
জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এসময় উপস্থিত ছিলেন।