পুঁজিবাজার
বিএসইসির চেয়ারম্যানের মা আর নেই

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের মা হাসিনা মমতাজ মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসি চেয়ারম্যানের পরিবার অর্থসংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের মা হাসিনা মমতাজ আজ রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৯ বছর। আগামীকাল সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাদ যোহর মরহুমার জানাযা ধানমন্ডির ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, হাসিনা মমতাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ছিলেন। ঢাবি থেকে অধ্যয়ন সম্পন্ন করেন তিনি। এছাড়া, ষাট ও সত্তরের দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ছিলেন হাসিনা মমতাজ। তিনি সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর স্বামী রফিকুল ইসলাম খান ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইউনিট দর পতন হয়েছে ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রবিবার (১৮ মে) ফান্ডটির ইউনিট দর আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা এনআরবি ব্যাংকের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমেছে। আর শেয়ারদর ৮ দশমিক ০৪ শতাংশ কমে যাওয়ায় তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।
তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে- বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, সিএপিএম ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড, আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, এসইএমএল গ্রোথ ফান্ড, এনআরবিসি ব্যাংক, শাহাজিবাজার পাওয়ার এবং পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে সোনারগাঁও টেক্সটাইল

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০২টির শেয়ারদর বেড়েছে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রবিবার (১৮ মে) ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা বাটা সু’র দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিন দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসা অপর কোম্পানিগুলো হলো- এইচ.আর টেক্সটাইল, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, শাইনপুকুর সিরামিক, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, রহিম টেক্সটাইল এবং স্টান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে বিচ হ্যাচারি

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রবিবার (১৮ মে) কোম্পানিটির ১৪ কোটি ৮৯ লাখ ০২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটি ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকার। আর ১২ কোটি ৭০ লাখ ৩৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে এনআরবি ব্যাংক পিএলসি।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শাইনপুকুর সিরামিক, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, উত্তরা ব্যাংক, বিএসসি, সিটি ইন্স্যুরেন্স, খান ব্রাদার্স এবং ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
২৪১ শেয়ারের দরপতন, প্রধান সূচক কমেছে ২৯ পয়েন্ট

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব মূল্যসূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলো মধ্যে ২৪১টির শেয়ারদর পতন হয়েছে। এদিন আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন সামান্য বাড়লেও প্রধান সূচক কমেছে ২৯ পয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রবিবার (১৮ মে) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ২৯ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৯১ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৬ দশমিক ৬২ পয়েন্ট কমে ১০৪৬ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৮ দশমিক ০১ পয়েন্ট কমে ১৭৮০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ ডিএসইতে ২৯২ কোটি ৬০ লাখ ৮৫ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ২৬২ কোটি ৮৬ লাখ ০১ হজার টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১০২টি কোম্পানির, বিপরীতে ২৪১ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
মাকসুদ কমিশনের সময়ে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ১ লাখ কোটি টাকা

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে। তারপরেও আস্থা ফিরেনি বিনিয়োগকারীদের মাঝে। বরং আরও অনাস্থা তৈরী হয়েছে। এতে ধারাবাহিক পতনের ফলে প্রতিনিয়ত পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। গত ১৮ আগস্ট কমিশনের পরিবর্তনের পরে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক কমেছে ৯৮৬ পয়েন্ট। এসময় বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকার পুঁজি।
এই পতনের জন্য বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অযোগ্যতা ও পুঁজিবাজার নিয়ে জ্ঞান শুন্যতাকে দায়ী করে আসছেন বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে শেয়ারবাজারের সব শ্রেণীর মানুষ। এমনকি বিএসইসির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং এই কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। অন্যদিকে তার অপসারনের দাবিতে নিয়মিত রাজপথে বিক্ষোভ করে আসছে বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের এখন মূল দাবিই মাকসুদের পদত্যাগ। যার পদত্যাগেই শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস বিনিয়োগকারীদের।
বিক্ষোভে বিনিয়োগকারীরা বলেন, মাকসুদ শেয়ারবাজার বুঝেন না। এটা শুধু সাধারন বিনিয়োগকারীদের কথা না। এই কথা এখন বিএসইসির সাবেক স্বনামধন্য চেয়ারম্যানসহ স্টেকহোল্ডারদের। তাই মাকসুদের অপসারন করা উচিত।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরে ১০ আগস্ট বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম পদত্যাগ করেন। এর ২দিন পরে ১২ আগস্ট পদত্যাগ করেন কমিশনার অধ্যাপক ড.শামসুদ্দিন আহমেদ ও ড. রুমানা ইসলাম। এরপরে গত ১৮ আগস্ট খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে চেয়ারম্যান এবং ২৮ আগস্ট মো. আলী আকবরকে ও ৩ সেপ্টেম্বর ফারজানা লালারুখ বিএসইসির কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে শেয়ারবাজারে ভালো হবে প্রত্যাশা করা হলেও তা হয়নি। উল্টা নতুন কমিশনের নিয়োগের দিন থেকে শনিবার (০৩ মে) পর্যন্ত ডিএসইর ডিএসইএক্স কমেছে ৯৮৬ পয়েন্ট।
অথচ আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরে ও মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পূণ:গঠনের আগে শেয়ারবাজারে অনেক ভালো হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। ওইসময় ৫ আগস্ট থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত মূল্যসূচক বেড়েছিল ৬৭৫ পয়েন্ট। যা পরবর্তীতে বিএসইসিতে যোগ্য লোকের অভাবে সম্ভব হয়ে উঠেনি।
গত ১৮ আগস্ট খন্দকার মাকসুদকে বিএসইসিতে নিয়োগের দিন লেনদেনের শুরুতে ডিএসইএক্স সূচকটি ছিল ৫ হাজার ৯০৪ পয়েন্ট। যে সূচকটি শনিবার (০৩ মে) ৯৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯১৮ পয়েন্টে। অর্থাৎ নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরে সূচকটি কমেছে ৯৮৬ পয়েন্ট বা ১৭ শতাংশ।
এদিকে, রাশেদ মাকসুদ বিএসইসিতে নিয়োগের দিন বাজার মূলধন বা সব সিকিউরিটিজের দাম ছিল ৭ লাখ ৮ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। যা ৩ মে নেমে এসেছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকায়। এই সরল হিসাবে বিনিয়োগকারীদের সিকিউরিটিজের দাম কমেছে ৫২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে আরও অনেক বেশি।
মাকসুদ কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরে ১৫টি ট্রেজারি বন্ড শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে লেনদেন শুরু করেছে। যেগুলোর দর বাজার মূলধনে যোগ হয়েছে। এখন ওইসব ট্রেজারি বন্ড যদি বাজার মূলধন থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে অনেক বেশি।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, মাকসুদ কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৫টি ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়েছে। যেগুলোর বাজার মূলধন বা সিকিউরিটিজের দাম আছে ৫৬ হাজার ৪২২ কোটি টাকা। এসব দর মাকসুদ কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরে বাজার মূলধনে নতুন করে যোগ হয়েছে। এগুলো বাদ দিলে মাকসুদের নিয়োগের পরে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে ১ লাখ ৮ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা।
এসএম