আন্তর্জাতিক
রাশিয়ানদের আরও বেশি বেশি বাচ্চা নেওয়ার আহ্বান পুতিনের
রাশিয়ান নাগরিকদের আরও বেশি বেশি বাচ্চা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জাতিগত ভাবে টিকে থাকা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে তিনি এই আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিগত ভাবে টিকে থাকার স্বার্থে রাশিয়ার পরিবারগুলোকে অবশ্যই কমপক্ষে দুটি করে সন্তান জন্ম দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার তিনি আরও বলেছেন, যদি উন্নতি ও সাফল্য লাভ করতে হয় তাহলে রুশ পরিবারগুলোকে তিন বা তারও বেশি করে সন্তান জন্ম দিতে হবে।
রয়টার্স বলছে, প্রায় দুই বছর আগে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রক্তক্ষয়ী সেই যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে রাশিয়া ব্যাপক হতাহতের শিকার হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ সংঘাতের বিরোধিতা বা যুদ্ধে যোগ দেওয়ার ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। যদিও যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা রাশিয়া প্রকাশ করেনি।
ইউরাল অঞ্চলের একটি ট্যাংক কারখানার কর্মীদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, রাশিয়ার জনগণ যদি তাদের পরিচয় টিকিয়ে রাখতে চায় তবে প্রতি পরিবারে সর্বনিম্ন সংখ্যা হিসেবে দুটি শিশু থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যদি একটি জাতিগত গোষ্ঠী হিসাবে টিকে থাকতে চাই , বা রাশিয়ায় বসবাসকারী জাতিগত গোষ্ঠী হিসাবে টিকে থাকতে হয় – তাহলে (প্রতি পরিবারে) কমপক্ষে দুটি করে শিশু থাকতে হবে।
পুতিন আরও বলেন, যদি প্রতিটি পরিবারে একটি মাত্র সন্তান থাকে, তাহলে জনসংখ্যা কমে যাবে। আর উন্নতি ও সাফল্য লাভের জন্য আপনাদের কমপক্ষে তিনটি করে সন্তানের প্রয়োজন।
রয়টার্স বলছে, পুতিন নিজেকে পরিবার, জাতি এবং অর্থোডক্স খ্রিস্টান বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে ‘ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের’ সমর্থক হিসেবে ঘোষণা করেছেন। নিজের ২৪ বছরের শাসনে দেশটি যৌন অভিমুখীতা এবং লিঙ্গ পরিচয়ের প্রকাশকে কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করেছে এবং ‘এলজিবিটি আন্দোলনকে’ ‘চরমপন্থি’ হিসাবে আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধ করেছে।
উল্লেখ্য, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়া দুই দশক ধরে ধীরে ধীরে জনসংখ্যা হ্রাসের শিকার হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
ইসরায়েলকে ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি
ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর অধিগ্রহণের কোনো প্রচেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করবে না বরং এমন পদক্ষেপ নিলে ইসরায়েলকে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
টাইম ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, এটি হবে না, কারণ আমি আরব দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের প্রতি আরব বিশ্বের অনেক সমর্থন রয়েছে। ইসরায়েল যদি পশ্চিমতীর অধিগ্রহণের চেষ্টা করে, তাহলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সব সমর্থন হারাবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এনবিসি নিউজ ও দ্য টাইমস অব ইসরায়েল ট্রাম্পের এই সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের উগ্রপন্থি কয়েকজন এমপি ও মন্ত্রী পুরো পশ্চিমতীর এলাকা অধিগ্রহণের দাবি তুলেছেন এবং এ বিষয়ে দেশজুড়ে জনমত গঠনের চেষ্টা চলছে। ঠিক ঠিক সেই মুহূর্তে ট্রাম্পের এ মন্তব্য এলো।
ট্রাম্প আরও বলেন, আমি আরবদের কথা দিয়েছি— পশ্চিমতীরের ওপর কোনো ধরনের দখল বা সম্প্রসারণের পদক্ষেপ হবে না। যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা চায়, সংঘাত নয়।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি গাজা উপত্যকা পরিদর্শনের পরিকল্পনা করছেন। যদিও তিনি কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি।
পশ্চিম তীর নিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি এবারই প্রথম নয়। সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে দেবেন না। ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ইসরায়েলের কিছু উগ্র ডানপন্থি নেতা দেশটির সঙ্গে পশ্চিম তীর যুক্ত করে সেখানে নিজেদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাকে ধূলিসাৎ করতে চান। তাদের এ আহ্বান নাকচ করে দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে দেব না, কোনোভাবেই না। এটা হবে না।’ তিনি বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে। এবার থামতে হবে।’
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবচেয়ে কড়া ভাষায় ইসরায়েলের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। একে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছে দেশটি। ইসরায়েলের এ পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব। আর নিন্দা জানিয়ে জর্ডান বলেছে, এই পদক্ষেপ দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ভিত্তি নষ্ট করবে।
আন্তর্জাতিক
ইউরোপজুড়ে বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব, দেশে দেশে পোলট্রি খামার লকডাউন
ইউরোপজুড়ে বিভিন্ন দেশে বার্ড ফ্লুর নতুন ঢেউয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এবং সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বেলজিয়ামসহ একাধিক দেশ পোলট্রিকে ঘরে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইউরোপজুড়ে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বেলজিয়াম সরকার বৃহস্পতিবার থেকে সব ধরনের পোলট্রিকে ঘরে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
দেশটির ফেডারেল ফুড সেফটি এজেন্সি জানিয়েছে, সম্প্রতি এক খামারে বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ ধরা পড়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক বছরে বার্ড ফ্লুতে ইউরোপে শত শত কোটি পোলট্রির মৃত্যু হয়েছে বা সংক্রমণ শনাক্তের পর বাধ্যতামূলকভাবে নিধন করা হয়েছে। এতে সরবরাহ ব্যবস্থা যেমন ব্যাহত হয়েছে, তেমনি খাদ্যদ্রব্যের দামও বেড়েছে এবং নতুন এক মহামারির আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
এছাড়া ফ্রান্সও গত মঙ্গলবার বেলজিয়ামের মতো একই পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউওএএইচ) জানিয়েছে, বেলজিয়ামের উত্তরাঞ্চলীয় শহর ডিকসমুইডের কাছে একটি টার্কি খামারে এ সপ্তাহে এইচ৫এন১ ধরনের বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়েছে। এতে ৩১৯টি টার্কির মৃত্যু হয়। এছাড়া আরও ৬৭ হাজার ১১০টি পাখি নিধন করা হয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, স্লোভাকিয়াতেও একটি পোলট্রি খামারে বার্ড ফ্লুর নতুন প্রাদুর্ভাব শনাক্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে ইউরোপজুড়ে ভাইরাসটির দ্রুত বিস্তারের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে নেদারল্যান্ডস সরকার বুধবার জানিয়েছে, দেশটির মধ্য-পূর্বাঞ্চলে একটি পোলট্রি খামারে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হওয়ার পর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মুরগি নিধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় দরপতন
বিশ্ববাজারে সোনার দামে পতন অব্যাহত রয়েছে। ২০২০ সালের পর মঙ্গলবার সবচেয়ে বড় পতনের পর বুধবারও এর দাম আরো কমেছে। কিছুটা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করলেও বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেওয়া এবং ডলারের শক্তিশালী হওয়ার কারণে নতুন করে বিক্রয় চাপ সৃষ্টি হওয়ায় এ পতন ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৩ মিনিটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, স্পট গোল্ডের দাম ২.৬ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে চার হাজার ১৭ দশমিক ২৯ ডলারে নেমে এসেছে, যা প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এর আগে দিনের শুরুতে দাম চার হাজার ১৬১ দশমিক ১৭ পর্যন্ত উঠেছিল। ডিসেম্বর ডেলিভারির জন্য ইউএস গোল্ড ফিউচার্সের দাম ১.৯ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে চার হাজার ৩২ দশমিক ৮০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন ডলার সূচক ০.২ শতাংশ বেড়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে, যা ডলারের মূল্যে নির্ধারিত সোনার দামকে অন্যান্য মুদ্রা ধারণকারীদের জন্য আরো ব্যয়বহুল করে তুলেছে।
এর আগের সেশনে সোনা চার হাজার ৩৮১ দশমিক ২১-এর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছলেও মঙ্গলবার এর দাম ৫.৩ শতাংশ কমে যায়।
ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মার্কিন সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা এবং শক্তিশালী ইটিএফ প্রবাহের কারণে এ বছর এখনো পর্যন্ত সোনার দাম ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।
বিনিয়োগকারীরা এখন যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যসূচক প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছেন, যা শুক্রবার প্রকাশিত হওয়ার কথা। এই তথ্য ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর গতিপথ সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে। সোনা, যা একটি অ-উৎপাদনশীল সম্পদ, তা কম সুদের হারের পরিবেশে লাভবান হয়।
রয়টার্সের অর্থনীতিবিদদের এক জরিপ অনুযায়ী, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ আগামী সপ্তাহে এবং ডিসেম্বরেও তার মূল সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট করে কমাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যান্য ধাতুর মধ্যে স্পট সিলভারের দাম ১.৮ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে ৪৭ দশমিক ৮৪ ডলারে নেমে এসেছে। এটি মঙ্গলবার ৭.১ শতাংশ কমেছিল।
প্লাটিনামের দাম ১.৪ শতাংশ কমে এক হাজার ৫৩০ দশমিক ৩৫ ডলারে এবং প্যালাডিয়ামের দাম ১.২ শতাংশ কমে এক হাজার ৩৯১ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ৫ শতাংশ কমলো
রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর বিশ্ববাজারে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সোনার দামে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। সাধারণত অনিশ্চিত সময়ে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত মূল্যবান এই ধাতুটির মূল্য এদিন ৫ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে।
মঙ্গলবার বেচাকেনায় সোনার দাম ৫.২ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ১৩০.৪০ ডলারে নেমে আসে। যা করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে সবচেয়ে বড় একদিনের পতন।
এর আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১.৫২ ডলার ছুঁয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক রেকর্ড দামের পর বিনিয়োগকারীদের লাভ তুলে নেওয়ার প্রবণতা এই পতনের প্রধান কারণ।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশিসহ সব বিদেশি কর্মীর বড় সুখবর দিলো সৌদি
বিদেশি কর্মীদের জন্য যুগান্তকারী এক পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি আরব। আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের ৫০ বছরের পুরোনো কাফালা (পৃষ্ঠপোষকতা) ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে দেশটির সরকার। বহুদিন ধরেই এই প্রথার কারণে বিদেশি কর্মীদের ভাগ্য নির্ভর করত নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার ওপর। দাসপ্রথার মতো এ ব্যবস্থার কারণে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে গিয়ে অমানবিক শোষণের শিকার হতে হয়েছে অগণিত শ্রমিককে।
২০২৫ সালের জুনে ঘোষিত এই বড় সংস্কারের ফলে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ বিদেশি শ্রমিক সরাসরি উপকৃত হবেন, যাদের বেশিরভাগই দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে সৌদিতে কাজ করতে গেছেন। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন এই সংস্কারের মাধ্যমে প্রবাসীরা এখন থেকে কাজ পরিবর্তন, দেশ ত্যাগ বা ভিসা নবায়নের ক্ষেত্রে আগের মতো কঠোর নিয়ন্ত্রণের মুখে পড়বেন না। কাফালা ব্যবস্থার পরিবর্তে নতুন এক চুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থান মডেল চালু করেছে সৌদি সরকার, যা প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)-এর তথ্যমতে, নতুন এই ব্যবস্থায় অভিবাসী কর্মীরা এখন থেকে তাদের বর্তমান নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়াই চাকরি পরিবর্তন, এক্সিট ভিসা ছাড়াই দেশ ত্যাগ, এবং আগে কাফালা কাঠামোর অধীনে প্রাপ্য আইনি সুরক্ষা পাওয়ার সুযোগ পাবেন।
এই সংস্কার মূলত সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ উদ্যোগের অংশ, যার লক্ষ্য দেশের অর্থনীতিকে আধুনিক করা এবং বিদেশি শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করা।
নতুন এই পদক্ষেপকে একটি ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ হিসেবে দেখছে সৌদি সরকার। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও একে সৌদির শ্রম ইতিহাসে ‘একটি নতুন অধ্যায়’ বলে অভিহিত করেছে। তবে সংস্থাগুলোর মতে, প্রকৃত পরিবর্তন আনতে হলে এই সংস্কারের বাস্তবায়ন ও তদারকি আরও শক্তিশালী করতে হবে।
আরবি ‘কাফালা’ শব্দটির অর্থ ‘স্পন্সরশিপ’। ১৯৫০-এর দশকে উপসাগরীয় অঞ্চলে গড়ে ওঠে এই আধুনিক আইনি কাঠামো। মূলত, সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলোতে এই কাফালা ব্যবস্থা চালু ছিল।
এই ব্যবস্থার অধীনে অভিবাসী শ্রমিকদের আইনি মর্যাদা সরাসরি তাদের নিয়োগকর্তা বা ‘কাফিল’-এর সঙ্গে যুক্ত থাকত। ফলে নিয়োগকর্তা শ্রমিকের কাজ পরিবর্তন, দেশ ত্যাগ, এমনকি আইনি সহায়তা নেওয়ার বিষয়েও পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতেন। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে বহু শ্রমিককে শোষণ, নির্যাতন ও অধিকারহীনতার মুখে পড়তে হয়েছে। নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়া চাকরি পরিবর্তন বা আইনি সুরক্ষা পাওয়ার কোনও সুযোগই পেতেন না বিদেশি শ্রমিকরা।




