কর্পোরেট সংবাদ
উত্তালের পরে ইবিতে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু

নানা বাঁধা বিপত্তির মধ্যদিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইমাম নিয়োগ বোর্ডের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ টায় নিয়োগ বোর্ড শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিকেল সাড়ে তিনটায় উপাচার্যের বাসভবনে এ পরিক্ষা আরম্ভ হয়। এসময় ১৮ জনের মধ্যে ১২ জন চাকরিপ্রার্থীকে ঢুকতে দেখা যায়।পরবর্তীতে লিখিত পরিক্ষা শেষে ৭জন ভাইভা পরিক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, এ নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে শিক্ষক-কর্মকর্তারা দুগ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। শিক্ষকদের একপক্ষ নিয়োগ স্থগিতের দাবিতে এবং অপরপক্ষ ও ছাত্রলীগ সম্মিলিত হয়ে নিয়োগ বোর্ড চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন। উপাচার্যের কার্যালয়ে বোর্ড বন্ধের দাবি নিয়ে যাওয়া শিক্ষকদের সঙ্গে বোর্ড চালু রাখার দাবি নিয়ে যাওয়া ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় শিক্ষকরা উপাচার্যের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে সকাল ১০ টার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কার্যালয়, মেইন গেইট, প্রশাসন ভবন এবং ভিসির বাস ভবনের সামনে দফায় দফায় এসব ঘটনা ঘটে। এতে পক্ষে বিপক্ষে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বক্তব্য তুলে ধরেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তারা।
এদিন সকাল থেকে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে একে একে জড়ো হতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তার সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট, ছাত্রলীগের বর্তমান নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে ইতিপূর্বে উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হওয়ায় নিয়োগ বোর্ড স্থগিত রাখার পক্ষে ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দাবি অনুযায়ী, উপাচার্যের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি তাকে নির্দোষ হিসেবে রায় দেওয়া পর্যন্ত তারাও উপাচার্যের সকল নিয়োগ বোর্ড বন্ধ রাখার পক্ষে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু অনুরোধ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম পদে নিয়োগ বোর্ড দেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর শেখ আব্দুস সালাম। তদন্ত কমিটির কাজ চলমান থাকার মধ্যেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তা সমিতির নেতৃবৃন্দ।
এদিন সকালে নিয়োগ বোর্ড আপাতত স্থগিত রাখার দাবি জানাতে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। তাদের কথোপকথনের একপর্যায়ে হুড়মুড়িয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করে ইবিতে দীর্ঘদিন বিভিন্ন দপ্তরে চুক্তিভিত্তিক কর্মরত সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তা সমিতির সদস্যরা। তারা একপর্যায়ে ভিসির বিপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান ও উপস্থিত শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও লাঞ্চিত করে। একই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। উপাচার্যের কার্যালয়ে তুমুল হট্টগোলের একপর্যায়ে অপদস্ত হয়ে, গালাগাল ও লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে শাপলা ফোরাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শিক্ষক সমিতির শিক্ষকবৃন্দ কার্যালয় থেকে বেরিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেন।
এসময় ইউজিসির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ বন্ধ রাখা, বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত অন্যান্য নিয়োগ বন্ধ রাখা, প্লানিং কমিটির সুপারিশ মোতাবেক বিশেষজ্ঞ সদস্য নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত সকল শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রাখা, মধ্যে প্রচারিত সকল দুর্নীতির তদন্ত দ্রুততময় শেষ করা সহ নানা দাবী তুলে ধরেন শিক্ষকরা।
এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ যারা ইতিমধ্যে শিক্ষাজীবন শেষ করেছে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এ বিশ্ববিদ্যালয় চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছে। তাদের দাবি, সঠিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা যদি যোগ্য হিসেবে প্রতীয়মান হয়, প্রশাসনের যদি মনে হয় যে তারা যোগ্য তবে তারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেতে চায়। তবে এক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ বিপক্ষে দাঁড়ানোর মত কোন বিষয় আছে বলে আমার মনে হয় না।
ঘটনাস্থলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এই মুহূর্তে দেখলাম নিচে মাইক বাঁধিয়ে এক ধরনের বক্তব্য, কর্মকাণ্ড হয়েছে। এক পর্যায়ে ওখান থেকে একটা টিম ভিসি অফিসে দাবি নিয়ে আসছে। বিষয়টা হচ্ছে মানুষের দাবি-দাওয়া থাকতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা চাই যে কেউ অফিসে ঢুকার আগে পিএস’র সাথে কথা বলে বা অনুমতি নিয়ে ঢুকুক। কিন্তু পর্যায়ক্রমে না ঢুকে প্রথমে কর্মচারী-কর্মকর্তার মাঝে আদর্শিক শিক্ষক গ্রুপ, পরক্ষণেই ছাত্রলীগ ঢুকে পড়েছে। আমি জানি না পিএসের সাথে অনুমতি নিয়েছে কিনা। একটু ডেকোরামের মাধ্যমে একটা গ্রুপ শেষ হলে অন্য গ্রুপ আসবে এভাবে তো শৃঙ্খলা থাকে। আমার প্রথম পরিচয় শিক্ষক, দ্বিতীয়ত আমি দায়িত্বশীল ব্যক্তি। সবার প্রতি এটাই অনুরোধ থাকবে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ইমামের মতো একটি পদ নিয়ে এমন হয়েছে, এটি অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। আমি নিজেই এখানে শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারী ছিলাম। আমি দেখেছি, এখানে যারা এসেছে তাদের অধিকাংশেরই ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে। তারা আমাদের এখানে উপস্থিত শিক্ষকদের সম্মানহানি করেছে।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীন বলেন, যেহেতু নিয়োগ নিয়ে একটি বিষয় তদন্তাধীন রয়েছে তাই আমরা বলেছিলাম যে তদন্ত প্রতিবেদন ইতিবাচক না হওয়া পর্যন্ত আপনি নিয়োগে যাবেন না। আর যদি নিয়োগে আপনি নির্দোষ প্রমাণিত হন বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক নিয়োগের মত ভাল একটি কাজ দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। এই সামান্য কথাটি আমরা বলা শেষ করতে পারেনি কিন্তু অনেক সন্তান সমতুল্য শিক্ষার্থী, অছাত্র বা বহিরাগতদের আমাদের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ভাবে দাঁড় করানো হয়েছে, আমাদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন পদ পদবীতে থাকলেও নিয়ম মেনে সেখানে যাই, কিন্তু এরকম একটা মিছিল কিভাবে সেখানে প্রবেশ করল, কারা নেতৃত্বে ছিল, কারা তাদের সাপোর্ট দিয়েছে, তা বের করার প্রয়োজন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, যারা আজকের এই কাল্পনিক ঘটনা ঘটিয়েছে আমি মনে করি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিৎ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি কোনো ধরনের নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে কখনোই জড়িত নই। এসব অভিযোগের সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি আমার সততা নিয়ে এসব অভিযোগ মোকাবিলা করতে চাই।

কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এসএম
কর্পোরেট সংবাদ
শরীয়তপুরের উত্তর তারাবুনিয়ায় নুসার উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নে নড়িয়া উন্নয়ন সমিতি (নুসা) সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় একটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ মেডিকেল ক্যাম্পে তিন শতাধিক রোগীকে ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়।
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কর্মসূচি সমন্বয়কারী মো. খোরসেদ আলম, স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ডা. তন্ময় পদ্দার, ডা. মো. শামীম আহসান, উত্তর তারাবুনিয়া ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. মোস্তফা মাদবর, উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মেহেদী হাসান সীপন।
নুসার উদ্যোগে প্রতি তিন মাস অন্তর বিশেষজ্ঞ তিনজন চিকিৎসকের সমন্বয়ে এ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। এবারের ক্যাম্পে গাইনী, মেডিসিন ও চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা উপস্থিত থেকে রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। ক্যাম্পে চোখের ছানি পরীক্ষা, গাইনী ও মেডিসিন পরামর্শ, উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা- সেবা প্রদান করা হয় হয়।
এছাড়া চোখের ছানি রোগী বাছাই করে তাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ছানি অপারেশনের ব্যবস্থাও করা হয়।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান নুসা জানায়, এলাকার সাধারণ জনগণ যেন সহজে চিকিৎসা সেবা পায়— এ লক্ষ্যেই নিয়মিতভাবে এ ধরনের বিনামূল্যের মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করা হয়ে থাকে।
স্থানীয় সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে অসহায় ও গরিব জনগণ, এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে জানান— এ ধরনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের ধারাবাহিকতা যেন সবসময় বজায় থাকে, যাতে গরিব ও অসহায় মানুষ ঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রাইম ব্যাংকের নতুন সিএফও হলেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন

প্রাইম ব্যাংক পিএলসির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) ও ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিভিশনের (এফএডি) প্রধান হিসেবে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন-কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ২০০৫ সাল থেকে প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত আছেন। দীর্ঘ এই সময়ে তিনি ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে আইসিসিডি বিভাগের প্রধান, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান এবং ফ্যাসিলিটি ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ট্রাস্ট ব্যাংক, পিকেএসএফ ও প্রাইম ব্যাংকসহ প্রায় ২৫ বছরের বহুমাত্রিক পেশাগত অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
তিনি একজন ফেলো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (এফসিএ)। প্রাইম ব্যাংক তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণে আন্তরিক অভিনন্দন জানায় এবং ব্যাংকের আর্থিক উৎকর্ষতা ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা এগিয়ে নিতে তার সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছে।
এসএম
কর্পোরেট সংবাদ
সাতক্ষীরার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে ব্র্যাক ব্যাংকের ইনস্ট্যান্ট লোন বিতরণ

সাতক্ষীরার প্রান্তিক কৃষক, ছোট ব্যবসায়ী ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ইনস্ট্যন্ট লোন বিতরণ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট (এফআইডি) পরিচালিত ১০, ৫০ ও ১০০ টাকা হিসাবধারীদের জন্য পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় এ লোন বিতরণ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সাতক্ষীরায় আয়োজিত এই কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল প্রান্তিক কৃষক, নিম্ন আয়ের ব্যক্তি, ছোট ব্যবসায়ী ও স্কুল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টধারীদের তাৎক্ষণিক ঋণসুবিধা প্রদান করা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট পরিচালিত এই উদ্যোগটি প্রান্তিক অঞ্চলের ব্যক্তিদের জন্য অর্থায়ন সুবিধা নিশ্চিত করে দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসারের লক্ষ্যে ডিজাইন করা হয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংক লিড ব্যাংক হিসেবে এই অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করে, যেখানে অংশ নেয় এই অঞ্চলে পরিচালিত আরও ৩৬টি ব্যাংক। আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং তৃণমূল পর্যায়ের সুবিধাভোগীদের একই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করতে এই উদ্যোগটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলো ৫০০ জন ঋণগ্রহীতার মাঝে মোট ৪ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে। এর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক ১৩১ জন ক্ষুদ্র কৃষক, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক জেলের মাঝে ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করে।
এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক ইকবাল মহসীন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী হোসেন। অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য ব্যাংকের প্রতিনিধি, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, গণমাধ্যমকর্মী, গ্রাহক ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মাত্র ৭ শতাংশ ইন্টারেস্ট রেটে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে ‘জীবিকা প্লাস’ ইনস্ট্যান্ট লোন বিতরণ করে। জামানতবিহীন এই ডিজিটাল লোন মাত্র কয়েক মিনিটেই প্রসেস করা হয়, যা ব্যাংকটির গ্রাহকবান্ধব সেবার প্রতিফলন। আয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক ও উপস্থিত অন্যান্য ব্যক্তিবর্গরা ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
এই উদ্যোগটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন, গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ এবং উদ্ভাবনী সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বোৎকৃষ্ট ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
কর্পোরেট সংবাদ
স্বপ্ন’র নতুন আউটলেট এখন ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে

রাজধানীর ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে চালু হল রিটেইল চেইন শপ ‘স্বপ্ন’র নতুন আউটলেট। এটি আউটলেটটির ৭৫৪ তম শাখা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় এ আউটলেটের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্বপ্নর বিজনেস ডিরেক্টর সোহেল তানভীর খান, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (অপারেশনস) সাইফুল আলম রাসেল , রিজিওনাল হেড অব অপারেশনস মিস ক্বারিন, হেড অব মার্চেন্ডাইজিং ইহসান মাবুদ, জোনাল অপারেশন ম্যানেজার সাব্বির হোসেনসহ আরও অনেকে।
জানানো হয়, নতুন এই শাখার উদ্বোধন উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য রয়েছে মাসব্যাপী আকর্ষণীয় অফার। থাকছে হোম ডেলিভারির সেবা।
নতুন এই শাখার ঠিকানা হলো-এডিসি এম্পায়ার প্লাজা, হোল্ডিং (পুরাতন-১৮৩), (নতুন-৯১), রোড-১২/এ, সাত মসজিদ রোড (আবাহনী মাঠের দক্ষিণ পাশে)।