প্রবাস
আমিরাতে ৪৪ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী
যেন স্বপ্ন দেখছেন তিনি। আর সেই স্বপ্নে মুহূর্তের মধ্যে বদলে গেল তার জীবন। পেশায় স্থাপত্য নকশাকার। ভাগ্য বদলের আশায় দেশ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশে। কিন্তু তাতে ভাগ্যের খুব একটা বদল হয়নি। ভাগ্য বদলের আশায় প্রত্যেক বছর লটারির টিকিটি কাটেন তিনি। প্রথম টিকিট কিনেছিলেন তিন বছর আগে। এরপর আরও অনেকবার কিনেছেন, কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি তার। তবে আশা ছাড়েননি। এবার তিনি রাতারাতি লটারির প্রথম পুরস্কার জিতে পেয়ে গেলেন প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।
একেবারে আকস্মিকভাবে কোটিপতি বনে যাওয়া এই স্থাপত্য নকশাকারের নাম রাজীব আরিক্কাত। ভারতীয় এই নাগরিক দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করে আসছেন।
রবিবার দুবাইয়ে আমিরাতি মিলিয়ন দিরহাম সিরিজ-২৬০ বিগ টিকিট র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ২০২৪ সালের গ্র্যান্ড পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে প্রথম পুরস্কার জিতেছেন তিনি। পুরস্কার হিসেবে আমিরাতি দেড় কোটি দিরহাম পেয়েছেন তিনি। যা বাংলাদেশি ৪৪ কোটি ৮২ লাখ ৯৯ হাজার টাকার বেশি।
আমিরাতের আল-আইনের এই বাসিন্দাকে যখন বিগ টিকিট জয়ের খবর দেওয়ার জন্য লটারি কর্তৃপক্ষের একজন প্রতিনিধি টেলিফোন করেন, তখন কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছিলেনা তিনি।
রাজীব বলেন, আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না! গ্র্যান্ড পুরস্কার জয়কে একেবারে স্বপ্নাতীত বলে অভিহিত করেছেন তিনি। ভারতীয় এই প্রবাসী গত তিন বছর ধরে বিড় টিকিট র্যাফেল ড্রয়ের টিকিট কিনে আসছেন।
পাঁচ ও আট বছর বয়সী দুই সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে আমিরাতের আল-আইনে বসবাস করেন রাজীব। ঘনিষ্ঠ ২০ বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সাথে যৌথভাবে ওই টিকিট কিনেছিলেন তিনি। ভারতীয় এই প্রবাসী বলেন, আমি কখনই কল্পনা করিনি যে আমি গ্র্যান্ড পুরস্কার জিতব। এটা সত্যিই এক স্বপ্ন।
পুরস্কারের অর্থ কী করবেন, এই বিষয়ে কোনও পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে রাজীব বলেন, আমি এখনও এটা নিয়ে চিন্তা করিনি। বর্তমানে ঘুড়ির মতো আকাশে উড়ছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
সংশোধিত আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে মালদ্বীপ
সংশোধিত আইনের মাধ্যমে মালদ্বীপে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন ভিসা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রী আলী ইহসান।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ মালদ্বীপের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রী আলী ইহসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় মালদ্বীপে অবস্থানরত আনডকুমেন্টেড প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধকরণ, নতুন ওয়ার্ক পারমিট চালু করা, ট্রান্সফার অব প্রিজনারস চুক্তি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও আলী ইহসান বলেন, শিগগিরই আনডকুমেন্টেড কর্মীদের বৈধকরণ কার্যক্রম শুরু হবে। এ সুযোগে তিনি সব আনডকুমেন্টেড কর্মীকে রেজিস্ট্রেশন করার ও বৈধ হওয়ার অনুরোধ জানান।
মন্ত্রী প্রবাসী কর্মীদের কোনো অবৈধ ব্যবসায় যুক্ত না হওয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে নতুন ভিসা চালু হলে বাংলাদেশ থেকে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স ছাড়া কোনো কর্মী গ্রহণ না করা এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশি কর্মী আনার ক্ষেত্রে উভয় দেশ থেকে যেন কোনো দালাল চক্র বিষয়টি প্রভাবিত করতে না পারে সেজন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য হন হাইকমিশনার ও মালদ্বীপের মন্ত্রী।
শেষে সম্প্রতি থিনাধু আইল্যান্ডে মিছিলে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে না দিতে পুনরায় অনুরোধ জানানো হয়। এসময় মিশনের কাউন্সেলর শ্রম মো. সোহেল পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের সুখবর দিল আমিরাত
অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) স্থানীয় একাধিক গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়। এতে দেশটিতে বসবাসরত প্রায় ৫০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন। আমিরাত সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
ফেডারেল অথরিটি সিটিজেনশিপ কাস্টম এন্ড পার্ট সিকিউরিটি-আইসিপি বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দেয়।
দেশটিতে বসবাসরত যেসব নাগরিক দীর্ঘদিন ভিসা না থাকায় অবৈধভাবে বসবাস করছেন, তারা এই সাধারণ ক্ষমার আওতায় পড়বেন।
নতুন এই সিদ্ধান্ত আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এই আইনের মাধ্যমে অবৈধ প্রবাসীরা যেকোনো নতুন স্পন্সর খুঁজে বৈধ হতে পারবেন। অথবা তারা চাইলে কোনো প্রকার জেল-জরিমানা ছাড়া নিজ দেশে ফেরত যেতে পারবেন।
২০২১ সালে করোনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা চালু হলে ভিজিট ও অন্যান্য ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমান অনেক বাংলাদেশি। ভিজিট ভিসায় যাওয়া অনেক বাংলাদেশি পরবর্তীতে ভিসা চেঞ্জ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেলেও, কেউ কেউ ভিজিট ভিসার মেয়াদ চলে যাওয়ায় অবৈধ হয়ে পড়েন।
তবে সাধারণ ক্ষমা ঘোষনায় বৈধ হওয়ার সুযোগ দেখছেন তারা।
আমিরাত সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ মিশনগুলো। দেশটির আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে প্রবাসীদের এই সুযোগকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে চীনে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ফ্রেন্ডশিপ ক্যাম্প
বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে চীনে ‘তরুণদের সাথে নিংশিয়ার বন্ধন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ২০২৪ ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ফ্রেন্ডশিপ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফ্রেন্ডশিপ ক্যাম্পের উদ্দেশ্য হল, চীনের স্বায়ীত্বশাসিত অঞ্চল নিংশিয়া এবং বিদেশী দেশগুলির মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি; প্রাণশক্তি, উন্মুক্ততা এবং উদ্ভাবনের সুন্দর নতুন নিংশিয়া পরিদর্শন করা।
গত ২৬ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ফ্রেন্ডশিপ ক্যাম্পটির উদ্বোধন ও সমাপনী অনুষ্ঠান নিংশিয়া হুই অটোনমাস রিজিওনে অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক যুব বন্ধুত্ব শিবিরটি নিংশিয়া হুই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরকারের বৈদেশিক বিষয়ক কার্যালয় আয়োজন করে। সমাপনী অনুষ্ঠানে ইয়ুথ ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়।
স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের পররাষ্ট্র বিষয়ক অফিসের মহাপরিচালক বাই ইউঝেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন এবং ক্যাম্পের পতাকা হস্তান্তর করেন।
পাঁচ দিনের সফরে তরুণরা পরিবেশগত সুরক্ষা, চমৎকার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি এবং প্রথা, স্থানীয় নাগরিকদের বাড়িতে এবং মরুভূমির ক্যাম্পে থাকার অভিজ্ঞতা অর্জন করে। তাছাড়া, নিংশিয়ার উচ্চ-মানের উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং চীনা-শৈলীর আধুনিকীকরণের নিংশিয়ার অর্জন সম্পর্কে জানতে পেরেছে।
এই ফ্রেন্ডশিপ ক্যাম্পে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, জিম্বাবুয়ে, ইন্দোনেশিয়া এবং কাজাখস্তান সহ ১২টি দেশের ৩৪ জন যুব প্রতিনিধি এবং নিংশিয়া থেকে ১৩ জন চীনা যুব প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে। এর মাধ্যমে নিংশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ফ্রেন্ডশিপ ক্যাম্প সফলভাবে ১৯টি সেশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। গত ২০ বছরে, এক হাজারেরও বেশি বিদেশী তরুণ প্রতিনিধি নিংশিয়া ভ্রমণ করেছে জ্ঞান ভাগাভাগি করতে এবংনিংশিয়া যুবকদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে।
এই যুব ইন্টারেক্টিভ প্ল্যাটফর্মটি জনগণের সাথে জনগণের সংযোগ প্রচারের মাধ্যমে, এটি নিংশিয়া এবং আন্তর্জাতিক বোন শহরগুলির মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নে গতি ও প্রাণবন্ততা এনেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় ২২ বাংলাদেশিসহ আটক ৫৯
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫৯ জন অভিবাসীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। কুয়ালালামপুর ও সেলাঙ্গরে পৃথক অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর ওয়ান মোহাম্মদ সাউপি ওয়ান ইউসুফ বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, অনুমতিপত্র, পরিচয়নথি ছাড়া কাজ করার অপরাধে শুক্রবার (২৬ জুলাই) কুয়ালালামপুরের কমপ্লেক্স দামাই এলাকা থেকে ৩৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়।
এছাড়া বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সেলাঙ্গরের ক্লাং উপত্যকায় অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে আটক হয়। আটকদের মধ্যে ২২ বাংলাদেশি, নেপালি, ভারতীয়, পাকিস্তানি এবং ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক রয়েছেন।
মালয়েশিয়ায় থাকার বৈধ পাসপোর্ট বা পারমিট না থাকা, অতিবাহিত হওয়া এবং পাসপোর্টের শর্ত মেনে চলতে ব্যর্থ হন তারা। ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সী আটকদের ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী আরো তদন্তের জন্য ইমিগ্রেশন ডিপোতে তাদের রাখা হয়েছে।
আটক অবৈধ অভিবাসীরা হকার, মুদি দোকানের কর্মী, রেস্তোরাঁর কর্মী, নাপিত, বিনোদন কেন্দ্রে ওয়েটার এবং গাড়ির ওয়ার্কশপের কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১১ অভিবাসী আটক
মালয়েশিয়ায় অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশিসহ ১১ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। আজ ১৭ জুলাই ভোরে সেরেম্বানের তামান বন্দর সেনাওয়াংয়ে অভিযান চালিয়ে ৪ বাংলাদেশিসহ ১১ অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে নেগেরি সেম্বিলান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেআইএমএনএস)।
বুধবার রাজ্যের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক কেনিথ তান আই কিয়াং এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তামান বন্দর সেনাওয়াং-এর জঙ্গলের কাছে অবৈধ বসতিতে তিন ঘণ্টা ধরে চলা অভিযানে ২৪ থেকে ৬০ বছর বয়সী আট নারীসহ মোট ৬৯ জন ইন্দোনেশিয়ান ও বাংলাদেশি নাগরিকের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়।
এর মধ্যে অভিবাসন ১৯৫৯/৬৩ আইনে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। ধারা ৬ (১) (সি) অনুযায়ী বৈধ পাসপোর্ট এবং ভ্রমণ নথি নেই এবং ১৫(১) (সি) ধারা যা সময়ের বাইরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা।
অধিকতর তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে আটকদের লেংগেং ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে বলে জানান রাজ্যের ইমিগ্রেশন পরিচালক।
কাফি