লাইফস্টাইল
গ্যাসের সমস্যা থাকলে সকালে যেসব খাবার খাবেন না

দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসেবে সকালের নাস্তাকে বিবেচনা করা হয়। সকালের এই খাবারই আপনাকে শক্তি যোগায়। অতএব, সকালে আপনি কী খাচ্ছেন তার খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
মেডিক্যাল নিউজ টুডে-এর মতে, আমাদের খাওয়া খাবারের কারণে পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দেওয়া একটি সাধারণ ঘটনা, কারণ শরীর খাবার হজম করার সময় গ্যাস তৈরি করে। তাই খাবার হজম হতে যত বেশি সময় লাগবে, গ্যাস উৎপাদনের ঝুঁকি তত বাড়বে, ফলে আপনার পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গ্যাসের সমস্যা কমাতে সকালের নাস্তায় আপনাকে অবশ্যই ৫টি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ভারতীয় পুষ্টিবিদ নমামি আগরওয়ালের মতে, অতিরিক্ত গ্যাস এবং পেট ফাঁপা অস্বস্তিকর, তবে খাদ্যতালিকায় সামঞ্জস্য করতে পারলে তা আপনার গ্যাসের সমস্যা কমিয়ে স্বস্তি দিতে পারে। তিনি সকালে আপনাকে যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে সেগুলোরও উল্লেখ করেছেন এবং এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।
১. অতিরিক্ত চা এবং কফি
অনেকেই এক কাপ চা বা কফি ছাড়া আপনার দিন শুরু করতে পারেন না। তবে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে পেটে অ্যাসিডের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করতে পারে, যার ফলে গ্যাসের গঠন বৃদ্ধি পায়। চায়ের সঙ্গে দুধ যোগ করলে তা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স বাড়িয়ে দিতে পারে, যা হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই সকালের ঘুম কাটাতে আপনার যদি চা কিংবা কফির প্রয়োজন হয়, তবে ভেষজ চা বেছে নিন।
২. ফুলকপি এবং বাঁধাকপি
ফুলকপি এবং বাঁধাকপি বেশ উপকারী সবজি। তবে এ ধরনের সবজি সকালে এড়িয়ে যাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। সকালে খাওয়ার বদলে এগুলো দুপুরে খেতে পারেন। এই দুই সবজিতে জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে যা হজম করা শক্ত। যে কারণে তা গ্যাস উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়।
৩. আপেল এবং নাশপাতি
প্রতিদিন একটি আপেল ডাক্তারকে দূরে রাখে – আমরা সবাই এই কথা শুনে বড় হয়েছি। কিন্তু এর মানে এই নয় যে এটি দিনের প্রথমে নাস্তা হিসেবে খাবেন। আপেল এবং নাশপাতি উভয়েই প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ এবং ফাইবার থাকে, যা পেট ফাঁপা এবং গ্যাসের কারণ হতে পারে। এর পরিবর্তে আপনার খাদ্যতালিকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যোগ করার জন্য একমুঠো বেরি খেতে পারেন।
৪. কাঁচা শসা এবং পেঁয়াজ
আপনি যদি সকালের নাস্তায় শসা-পেঁয়াজের সালাদ খেয়ে থাকেন, তাহলে এখনই তা করা বন্ধ করুন।বিশেষজ্ঞের মতে, কাঁচা শাক-সবজি, বিশেষ করে শসা এবং পেঁয়াজের মতো উচ্চ ফাইবারযুক্ত সবজি ভাঙতে অসুবিধা হতে পারে, যা গ্যাস সৃষ্টি করে। এর পরিবর্তে আপনার দিনটির স্বাস্থ্যকর শুরু করতে রান্না বা সেদ্ধ সবজি খেতে পারেন।
৫. ভুট্টা
ভুট্টায় সেলুলোজ থাকে যা এক ধরণের ফাইবার। এটি কারও কারও জন্য হজম করা কঠিন হতে পারে। যদি ভুট্টার তৈরি খাবার অস্বস্তি সৃষ্টি করে, তবে এর বিকল্প হিসেবে কুইনো বা চালের মতো বিকল্প শস্য বেছে নিন।
কাফি

লাইফস্টাইল
ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে যেসব ব্যায়ামে

ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ব্যায়াম। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে দেহের কোষগুলোকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানীরা ব্যায়াম নিয়ে গবেষণা করে দেখিয়েছেন, শুধু একটি সেশন ব্যায়াম করলেই ক্যানসার কোষের বৃদ্ধির গতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিতে পারে। এক দফার ব্যায়ামে ক্যানসারের কোষবৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা কমতে পারে অন্তত ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।
ব্যায়ামের উপকারিতা নিয়ে এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, কেবল স্তন ক্যানসার বা ডিম্বাশয়ের ক্যানসার নয়, ব্যায়াম করলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায়।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আমেরিকার শিকাগোতে আয়োজিত বিশ্ব ক্যানসার কনফারেন্সে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে জানা যায়, স্টেজ ২ এবং স্টেজ ৩ কোলন ক্যানসারের রোগীদের অপারেশন ও কেমোথেরাপি দেওয়ার পর একটি দলকে সাধারণ জীবনযাপন করতে বলা হয়, অন্য দলকে নিয়মিত ব্যায়াম, শরীরচর্চার মধ্যে দিয়ে যেতে বলা হয়। দেখা যায়, প্রথম দলের তুলনায় দ্বিতীয় দলের রোগীদের ক্ষেত্রে ক্যানসার থেকে ফিরে আসার ঝুঁকি অনেকখানি কমে এসেছে। তাই এখন কোলন ক্যানসার রোগীদের নিয়মিত শরীরচর্চা করতে বলা হচ্ছে। শুধু কোলন ক্যানসার নয়, একাধিক ক্যানসারের ঝুঁকিই কমাতে পারে প্রতিদিনের নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীরচর্চা।
কোন ব্যায়াম কার্যকরী এবং কতক্ষণ করা উচিত
রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং (আরটি)-এর অর্থ হলো পেশি মজবুত করার জন্য নির্দিষ্ট ব্যায়াম। ডাম্ববেল, কেটলবেল, ভারোত্তোলন করা হয় এই ধরনের শরীরচর্চায়। তা ছাড়া স্কোয়াট, পুশ-আপ, প্ল্যাঙ্ক, বাইসেপস কার্ল-ও রয়েছে তালিকায়।
হাই-ইন্টেনসিটি ইন্টারভ্যাল ট্রেনিং (এইচআইআইটি)-এর অর্থ হলো অল্প সময়ে প্রবল পরিশ্রম, তার পর সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রাম। যেমন ৩০ সেকেন্ড জাম্পিং জ্যাক, ১৫ সেকেন্ড বিশ্রাম, ৩০ সেকেন্ড বার্পি। আধাঘণ্টার মতো এই ভাবে ব্যায়াম করতে থাকলে নানাবিধ উপকার মিলতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে পাঁচ দিনই শরীরচর্চা করতে হবে। দিনের কোনো এক সময়ে ২০-৩০ মিনিট ব্যায়াম করলে ফল পাওয়া যাবে।
লাইফস্টাইল
কর্মীদের চাপে রাখলে কি অফিস লাভবান হয়, নাকি ক্ষতিগ্রস্ত?

সময়মতো অফিসে আসা, নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণ এবং নিয়ম মেনে কাজ করা—এসবই একজন আদর্শ কর্মীর বৈশিষ্ট্য। কিন্তু এই ‘আদর্শ’ ধারণার আড়ালে অনেক সময় লুকিয়ে থাকে এক ধরনের অসহনীয় চাপ, যা কর্মজীবনকে করে তোলে বিষাক্ত। অতিরিক্ত চাপের কারণে কর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় অবসাদ ও ভুলভ্রান্তি
অফিসে দীর্ঘসময় অতিরিক্ত চাপে থাকতে হলে কর্মীদের মধ্যে দেখা দিতে পারে অবসাদ, ঘুমের সমস্যা, মেজাজের অবনতি এবং মানসিক ক্লান্তি। এইসব সমস্যার কারণে পরদিন কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। হঠাৎ করে ছোটখাটো ভুল, সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারা, কিংবা সহকর্মীদের সঙ্গে মনোমালিন্য—এসবই তখন ঘন ঘন ঘটতে শুরু করে।
কাজের চাপ যখন পেরিয়ে যায় অফিসের গণ্ডি
একজন কর্মী অফিসের বাইরেও যদি কাজের চাপ বয়ে বেড়ান, তা হলে তার ব্যক্তিজীবন ও সামাজিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ভারসাম্যহীনতা ধীরে ধীরে কাজের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেয়। এমনকি সৃজনশীলতাও হারিয়ে যায়।
চাপ বেশি মানেই কাজ বেশি? গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় কাজ করেন, তাদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ এবং হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ১৭ শতাংশ বেশি।
মানবদেহ কোনো যন্ত্র নয়
একটানা দীর্ঘ সময় কাজ করলে শরীর ও মস্তিষ্ক—দুটোই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জানাচ্ছে, একটানা ৯০ মিনিট কাজ করলে কাজের মান কমে যায় এবং ভুলের হার বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত চাপের কারণে আর্থিক ক্ষতিও কম নয়
মার্কিন গবেষণায় উঠে এসেছে একজন অবসন্ন কর্মীর কারণে কোম্পানিকে বছরে গড়ে ৪ হাজার থেকে ২১ হাজার ডলার পর্যন্ত ক্ষতি হয়, ১ হাজার কর্মীর জন্য বছরে লোকসান: ৫.৩ মিলিয়ন ডলার। অতিরিক্ত চাপে থাকা কর্মীদের মধ্যে ভুল করার হার: ১১ গুণ বেশি। অসুস্থতাজনিত ছুটির হার: ৮ গুণ বেশি। অফিসে থেকেও অকার্যকর হওয়ার হার: ৪ গুণ বেশি
সুস্থ কর্মী, সফল অফিস: করণীয় কী?
প্রতিষ্ঠানের উচিত এমন একটি কর্মপরিবেশ গড়ে তোলা, যেখানে কর্মীরা চাপমুক্তভাবে কাজ করতে পারেন। কাজের পর কর্মীদের যেন সময় থাকে পরিবার, বন্ধু ও নিজের যত্ন নেওয়ার।
সহজ কিছু উদ্যোগ:
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষের লক্ষ্য
অতিরিক্ত ওভারটাইম না করিয়ে কাজের বণ্টন সুষম করা
মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া
কর্মীদের সৃজনশীলতাকে মূল্যায়ন করা
চাপ নয়, যত্নই প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়
অতিরিক্ত কাজ বা চাপ যতটা না লাভ দেয়, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি ডেকে আনে। সুস্থ, সুখী, এবং উৎসাহী কর্মীরাই প্রতিষ্ঠানকে সফলতার পথে নিয়ে যেতে পারেন। সুতরাং, কর্মীদের শ্বাস নেওয়ার সুযোগ দিন, চাপ নয়—দিন সহানুভূতি ও সহায়তা।
লাইফস্টাইল
এয়ার কুলারের বাতাস এসির মতো ঠান্ডা হবে ৩ কৌশলে

তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে এসি কিনছেন অনেকেই। যাদের বাজেট আরেকটু কম তারা প্রচণ্ড গরমে স্বস্তি পেতে অনেকেই ভরসা রাখছেন এয়ার কুলারে। এয়ার কন্ডিশনারের চেয়ে কম খরচ হওয়ায় এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তবে অনেকের অভিযোগ থাকে এয়ার কুলারে এসির মতো ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায় না। অনেক সময় এমন হয় যে কুলার সামনে থাকলেও ঠান্ডা বাতাস দেয় না। অনেক কারণে এমনটা হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে কুলারের এই অবস্থা ঠিক করা যায়।
যেভাবে এয়ার কুলার ব্যবহার করলে দ্রুত ঘর ঠান্ডা হবে
১. অনেক সময় ধুলার কারণে কুলারের কার্টেন বন্ধ হয়ে যায়। যদি কার্টেনের মধ্য দিয়ে বাতাস যাওয়ার জায়গা না থাকে, তাহলে বাতাস ঠিকমতো প্রবেশ করতে পারবে না এবং সেখান থেকে শীতল বাতাসও আসবে না। যে কোনো ক্ষেত্রে শীতল বাতাস প্রবাহের জন্য কার্টেনের মধ্যে জায়গা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে মাঝে মাঝে ধুলা কার্টেনে জমে যায়। তাই কুলারের কার্টেন পুরোনো হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। অন্যথায় একটি জেট ক্লিনিং পাইপ দিয়ে কার্টেন ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
২. আরেকটি ব্যাপার খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। তা হচ্ছে ঘরের ভেতরে কুলারটি কোথায় রাখা হয়েছে। কুলার কখনই বন্ধ জায়গায় রাখা উচিত নয়। কুলার তখনই ঠান্ডা হয় যখন এটি বাইরের বাতাস গ্রহণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে ঘরের ভেতরে কুলার রাখলে ভেতরে বাতাস সঞ্চালিত হতে থাকবে এবং বাতাস ঠান্ডা হবে না। বরং এতে ঘরের আর্দ্রতা আরও বেড়ে যাবে।
৩. যখনই কুলার চালানো হবে, কিছুক্ষণের জন্য পাম্প চালু রাখার চেষ্টা করতে হবে। এর অর্থ হলো কুলারটি যখন সম্পূর্ণ ভিজে যাবে তখন এর ফ্যানটি চালু করা উচিত, এতে বাতাস শুষ্ক এবং গরম হবে না তবে শীতল আসতে শুরু করবে। তবে আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে আবহাওয়া আর্দ্র থাকলে কুলারটি সঠিক ভাবে ঠান্ডা বাতাস দিতে পারে না।
লাইফস্টাইল
কিডনি ড্যামেজ হওয়ার ৬ লক্ষণ

কিডনির ক্ষতি প্রাথমিক পর্যায়ে খুব একটা টের পাওয়া যায় না। যে কারণে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ (CKD) হওয়ার আগে এর প্রাথমিক লক্ষণ বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। যেসব লক্ষণ চোখ এড়িয়ে গেলে কিডনি ফেইলিওরের মতো ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে। তবে আগেভাগে সতর্কতা সংকেতগুলো চিনতে পারলে সমস্যার প্রতিকার করা সহজ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. ফেনা বা বুদবুদযুক্ত প্রস্রাব
কিডনির ক্ষতির প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো প্রস্রাবে ক্রমাগত ফেনা বা বুদবুদ। এই পরিস্থিতির নাম প্রোটিনুরিয়া। এর অর্থ হলো কিডনির ফিল্টারিং ইউনিট গ্লোমেরুলি প্রোটিনকে, যেমন অ্যালবুমিনকে প্রস্রাবে প্রবেশ করতে দিচ্ছে। স্বাভাবিক কিডনি সাধারণত প্রচুর প্রোটিন প্রবেশ করতে দেয় না, তাই খালি চোখে দৃশ্যমান ফেনা একটি সতর্কতা সূচক যা চিকিৎসকের দ্বারা পরীক্ষা করা উচিত।
২. গোড়ালি, পা বা চোখের চারপাশে ফোলাভাব
কিডনি সোডিয়াম এবং তরল ভালোভাবে ফিল্টার করতে সক্ষম না হলে অতিরিক্ত পানি এবং লবণ শরীরে জমা হয়। এটি সাধারণত দৃশ্যমান ফোলাভাব সৃষ্টি করে, বিশেষ করে গোড়ালি, পা এবং চোখের চারপাশের অংশে। বিশেষ করে সকালের সময় এসব স্থানে ফোলাভাব সাধারণত অকার্যকর কিডনি পরিস্রাবণের কারণে পানি ধরে রাখার ফলে হয়।
৩. প্রস্রাব বৃদ্ধি, বিশেষ করে রাতে
কিডনির কার্যকারিতা হ্রাসের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো প্রস্রাবের ধরণ পরিবর্তন। এতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ঘন ঘন প্রস্রাব করার তাগিদ অনুভব করেন, বিশেষ করে রাতে। একে নকটুরিয়া বলা হয়। কিডনি ভালোভাবে প্রস্রাব ঘনীভূত করতে না পারলে এমনটা ঘটে। তাই প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং ঘন ঘন প্রস্রাব করার প্রয়োজন দেখা দেয়।
৪. ক্লান্তি এবং দুর্বলতা
সুস্থ কিডনি এরিথ্রোপয়েটিন তৈরি করে। এটি একটি হরমোন যা লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে। ক্ষতিগ্রস্ত কিডনি এই হরমোন কম নিঃসরণ করে, যার ফলে রক্তস্বল্পতা হতে পারে। ত্রুটিপূর্ণ কিডনি কার্যকারিতার কারণে রক্তে টক্সিন জমা হওয়ার ফলে এই লক্ষণগুলো দেখা দেয়।
৫. অনবরত চুলকানি
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ফলে রক্তে বর্জ্য পদার্থ জমা হতে পারে। যার ফলে তীব্র চুলকানি হয়, যাকে প্রুরিটাসও বলা হয়। এই চুলকানি সাধারণত স্থায়ী হয়, টপিকাল লোশন বা ক্রিম প্রয়োগ করলেও উপশম হয় না। এটি রাতে আরও বেশি হতে পারে।
৬. ক্ষুধামন্দা
হঠাৎ ক্ষুধা কমে যাওয়াও হতে পারে কিডনির সমস্যার লক্ষণ। রক্তে বর্জ্য পদার্থ জমা হলে তা হজম ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে। যার ফলে বমি বমি ভাব, মুখে দুর্গন্ধ, এমনকি বমিও হতে পারে, যা খাবারের প্রতি আগ্রহ হ্রাস করে।
লাইফস্টাইল
স্মার্ট সিদ্ধান্ত নিতে এসি কেনার আগে এই ৭টি টিপস জেনে নিন

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে এসি আমাদের জীবনে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। অনেকেই এই সময় নতুন এসি কেনার কথা ভাবছেন। তবে এসি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় ভাবনার জায়গা হলো বিদ্যুৎ বিল। যদিও সঠিক ব্যবহার ও পরিকল্পনায় এসি খুব একটা বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে না।
যদি আপনি প্রথমবার এসি কেনার কথা ভাবেন, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। এতে আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী মানসম্মত একটি এসি কিনতে পারবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী —
-
সঠিক টন ও ঘরের আকার মিলিয়ে নিন
এসির টন বাছাই করবেন ঘরের আয়তনের ভিত্তিতে। ছোট ঘরের জন্য ১ টন এসি যথেষ্ট হলেও, মাঝারি বা বড় ঘরের জন্য ১.৫ থেকে ২ টন এসি উপযুক্ত। -
উইন্ডো না স্প্লিট? বুঝে বেছে নিন
ছোট ঘরের জন্য উইন্ডো এসি সহজলভ্য ও সহজে ইনস্টলযোগ্য। অন্যদিকে, বড় ঘরের জন্য স্প্লিট এসিই ভালো, কারণ এটি তুলনামূলকভাবে কম শব্দ করে এবং বেশি কার্যকর। -
স্টার রেটিং দেখে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করুন
এসির এনার্জি ইফিশিয়েন্সি রেটিং (স্টার রেটিং) অবশ্যই দেখে নিন। ৫-স্টার রেটিংয়ের এসি বিদ্যুৎ কম খরচ করে এবং দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমায়। -
বাজেট ও ইনস্টলেশনের খরচ বিবেচনা করুন
আপনার বাজেটের মধ্যে থেকেই এসি নির্বাচন করুন। শুধু মূল দামের দিকেই নয়, ইনস্টলেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচের বিষয়েও আগে থেকেই ধারণা রাখুন। উৎসবকালীন সময়ে ডিসকাউন্ট বা অফারের সুযোগও নিতে পারেন। -
বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড বেছে নিন
ভালো ব্র্যান্ডের এসি কিনলে মানসম্পন্ন পারফরম্যান্স, দীর্ঘমেয়াদি ওয়ারেন্টি এবং সঠিক বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যায়, যা ভবিষ্যতের ঝামেলা কমায়। -
আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ফিচার দেখুন
আধুনিক এসিগুলোতে ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি, অটো-ক্লিন, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টারসহ নানা স্মার্ট ফিচার থাকে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ফিচার যুক্ত এসি বেছে নিন। -
রিভিউ ও রেটিং দেখে কিনুন
এসি কেনার আগে অনলাইনে ব্যবহারকারীদের রিভিউ ও রেটিং দেখে নিন। এতে প্রোডাক্টের কার্যকারিতা ও মান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
এমএস
You must be logged in to post a comment Login