অন্যান্য
শিক্ষকদের থেকে অর্থ আদায়ে সতর্ক করলো মন্ত্রণালয়
মিনিস্ট্রি অডিটের নাম করে লালমনিরহাটে শিক্ষকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ধরনের অবৈধ লেনদেনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বা সরকারের কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী জড়িত থাকলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
লালমনিরহাটে শিক্ষকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টিকে কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কোনো দফতর বা সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে জানিয়ে বলা হয়েছে, এ ধরনের অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কোনো দপ্তর বা সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত বহু আগে থেকেই মফস্বলের শিক্ষক সমাজের কাছে ‘মিনিস্ট্রি অডিট’ নামে পরিচিত। যদিও ‘ডিআইএ’ নামে এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দাবি করে থাকেন, অডিট এবং তদন্ত ভিন্ন। কিন্তু নিজেরা যখন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যান তখন নিজেদের ‘মিনিস্ট্রি কর্মকর্তা’ এবং ‘অডিট করতে এসেছেন’ এই দুই শব্দ ব্যবহার করে শিক্ষক-কর্মচারীদের জিম্মি করে ফেলেন।
সম্প্রতি লালমনিরহাটে ‘মিনিস্ট্রি অডিট’ এর নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে ও প্রলোভনে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
এর আগে গত বছর যশোরের মণিরামপুর পৌর শহরের মণিরামপুর মহিলা আলিম মাদ্রাসা, হাজরাকাঠি মহিলা আলিম মাদ্রাসা, ডুমুরখালি দাখিল মাদ্রাসা, মনোহরপুর দাখিল মাদ্রাসা, বালিধা-পাঁচাকড়ি দাখিল মাদ্রাসা, রোহিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাজীআলী নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দেলুয়াবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে অডিট করবে জানিয়ে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর।
যশোর জেলা ও মণিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে পাঠানো চিঠিতে, অডিটে নিযুক্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতার অনুরোধ জানানো হয়। পরে অধিদপ্তরের পরিদর্শক পদমর্যদার কর্মকর্তা ড. এনামুল হক যশোরে এসে একটি রেস্ট হাউজে ওঠেন এবং শিক্ষা অফিসের কর্মচারীদের মাধ্যমে ওই ১০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে রেস্ট হাউজে দেখা করতে বলেন। এরপর কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ড. এনামুল হকের সঙ্গে দেখা করে অডিটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা বলেন, ‘তিনি একজন আজব অডিট কর্মকর্তা এবং আজব অডিট করে গেলেন’। কারণ হিসেবে বলেন, ‘ওই রেস্ট হাউসে দেখা করলে তিনি প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের কাছে সরাসরি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ধরে বলেন, আপনাদের অনেক ফাঁক-ফোকর! প্রকৃত অডিট হলে পুরাতন-নতুন বহু শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা ধরা পড়বে। এতে তার বেতন বন্ধ হবে, অবসরে গেলে পেনশন পেতে দুর্ভোগ হবে আবার ক্ষেত্রবিশেষ বহু শিক্ষকের চাকরিও যাবে। ফলে, আপনারা ঝামেলা না চাইলে, আমিও ঝামেলা করতে চাই না। আপনারা কোন পথে যাবেন, নিজেরা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ঠিক করেন। ’
অডিটরের কথা মতো এবং পুরাতন রেওয়াজ অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা স্ব স্ব বিদ্যালয়ে ফিরে কথাগুলো শিক্ষক-কর্মচারীদের জানিয়ে দিয়ে বলেন, ‘এটা নতুন কিছু না, প্রতি ১০ বছর অন্তর ‘মিনিস্ট্রি অডিট’ হয়। ফলে আমাদের বাড়াবাড়ি না করে এ মাসের বেতন তাকে ঘুষ হিসেবে দিয়ে ঝামেলামুক্ত হওয়া ভালো। ’
পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনের আওতায় যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করেন।

অন্যান্য
জাকসুর ভোট গণনা শেষ হতে পারে বিকেল ৪টায়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা বিকেল ৪টায় শেষ হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য ড. লুৎফুল এলাহী।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ তথ্য জানান।
লুৎফুল এলাহী জানান, এখন পর্যন্ত তিনটি হলের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। সারারাত ভোট গণনা চলেছে। দ্রুত গণনা সম্পন্ন করতে সকালে অভিজ্ঞ লোকবল আনার চিন্তা করছে কমিশন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। তবে নির্ধারিত সময়ের বাইরে, শেষ মুহূর্তে ভোটারদের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল ও তাজউদ্দীন আহমদ হলে ভোট শেষ হতে দেরি হয়। পরে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট গণনা শুরু হয়। আর সেই দৃশ্য এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হচ্ছে।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৭ জন। বিভিন্ন পদে মোট ১৭৮ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১০টি ছাত্রী হল ও ১১টি ছাত্র হল। প্রতিটি কেন্দ্রে রয়েছেন একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং কর্মকর্তা ও ৬৭ জন সহকারী পোলিং কর্মকর্তা।
অন্যান্য
নির্বাচনের জন্য দেড় লাখ পুলিশকে দেওয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পুলিশ। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেড় লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সরকারি কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কাজী জিয়া উদ্দিন জানান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা দেড় লাখ বা তারও বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রশিক্ষণ দেব।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন যে, আসন্ন নির্বাচন দেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে।
ডিআইজি জিয়া উদ্দিন জানান, পুলিশ সদর দফতরের মানবসম্পদ (এইচআর) উন্নয়ন বিভাগ গত তিন মাসে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে মোট নয়টি প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করেছে। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআর)-এর নেতৃত্বে এই কোর্সটি ডিজাইন করা হয়েছে, যা নির্বাচনকালীন যেকোনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করতে পুলিশ সদস্যদের প্রস্তুত করবে বলে তিনি আশাবাদী।
এই প্রশিক্ষণের জন্য দেশের ১৩০টি ছোট এবং চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্যবহার করা হবে। প্রশিক্ষণকে আরও কার্যকর করতে দুটি প্রামাণ্যচিত্র, একটি ১৫ মিনিটের অডিও-ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট এবং একটি ৯ মিনিটের ফিল্ম তৈরি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি একটি বুকলেটও বিতরণ করা হবে।
ইতোমধ্যে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার পুলিশ সদর দফতরে মডিউল অনুযায়ী ১৫০ জন মাস্টার ট্রেইনারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামীতে দেশের ১৯টি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১,২৯২ জন ‘ট্রেইনার অব ট্রেইনার্স’ (টিওটি) তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এই মাস্টার ট্রেইনাররাই পরবর্তীতে দেড় লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেবেন।
এই প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো বাস্তবমুখী মহড়া। পুলিশ সদর দফতরের কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনের সময় সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সব ট্রেইনারকে বাস্তবমুখী মহড়া প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যা তাদের হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা দেবে।
আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এই ব্যাপক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনকালীন সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশ সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য
শেষ কার্যদিবসে সূচকের পতন, সামান্য কমেছে লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে টাকার অংকে সামান্য কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১৭ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬১৪ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৩ দশমিক ৬২ পয়েন্ট কমে ১২৩০ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১৩ দশমিক ০৭ পয়েন্ট কমে ২১৮২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ ডিএসইতে ১ হাজার ৩৩৮ কোটি ৫৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৯৭ কোটি ৫৬ লাখ ৬২ হাজা টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৫টি কোম্পানির, বিপরীতে ১৪৫ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৭২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর ছিলো অপরিবর্তিত।
কাফি
অন্যান্য
২৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৪ কোটি ডলার

চলতি (আগস্ট) মাসের প্রথম ২৩ দিনে ১৭৪ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২১ হাজার ৩৩২ কোটি ৯২ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, আগস্টের ২৩ দিনে ১৭৪ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) ২৪ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৯ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার ডলার। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
এর আগে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স আসে, বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। তবে ওই মাসে ৮ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল বছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড। আর পুরো অর্থবছর (২০২৪-২৫) জুড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল: জুলাইয়ে ১৯১ দশমিক ৩৭ কোটি ডলার, আগস্টে ২২২ দশমিক ১৩ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ দশমিক ৪১ কোটি ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ দশমিক ৫০ কোটি ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা ও প্রবাসী আয়ের পথ সহজ করায় রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।
অন্যান্য
৭ জেলায় ঝড়-বজ্রবৃষ্টির আভাস, সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা

দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। এছাড়া সাত জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়া হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য জারি করা সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝেড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়া অফিসের সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী সোমবারের (২৫ আগস্ট) মধ্যে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
You must be logged in to post a comment Login