ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
নেকাব ইস্যুতে নতুন সিদ্ধান্ত জানালো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সেমিস্টার ফাইনালের মৌখিক পরীক্ষায় নেকাব না খোলায় ভাইভা দিতে না পারা নারী শিক্ষার্থীকে এবার নেকাব পরে ভাইভা দেয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। খাদিজা মোবাশশিরা তুবা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী।
গত বুধবার (২৩ জানুয়ারি) তাকে ভাইভা পরীক্ষার জন্য ডাকা হলে আসতে দেরি হয়। এ কারণে আগামী শনিবার (২৭ জানুয়ারি) তার মৌখিক পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার তিনি নেকাব না খুলে পরীক্ষায় অংশ নেবেন। বিষয়টি হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শিমুল রায় তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, উপাচার্যের নির্দেশে গতকাল (২৩ জানুয়ারি) তাকে ভাইভার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তার ক্যাম্পাসে আসতে দেরি হওয়ায় আগামী শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ভাইভা পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তুবা বলেন, এ বিষয়ে ম্যাম ফোন করেছিলেন। তিনি আমাকে আগামী শনিবার ভাইভার জন্য যেতে বলেছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঘটনাটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা দুই দফায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা সেই ছাত্রীর পুনরায় ভাইভা নেওয়ার জন্য দাবি তুলেন।
এর আগে, গত ১৩ ডিসেম্বর বিভাগটির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষের ভাইভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ওই নারী শিক্ষার্থী নেকাব পরিহিত অবস্থায় ভাইভা দিতে আসেন। ভাইভা বোর্ডে উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ তার পরিচয় নিশ্চিতের জন্য নেকাব খুলতে বলেন। তবে ওই শিক্ষার্থী নেকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানায়। এবং প্রয়োজনে নারী শিক্ষকের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করার দাবি জানান। তবে সে নেকাব না খোলায় উপস্থিত শিক্ষকরা তার ভাইভা পরীক্ষা নিতে অসম্মতি জানান।
এরপর দীর্ঘ এক মাস ওই নারী শিক্ষার্থীর ভাইভা না নেওয়ার অভিযোগ উঠে বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। জানা যায়, এই বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি শিমুল রায়, পরীক্ষা কমিটির সভাপতি উম্মে সালমা লুনা এবং বিভাগের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ।
অর্থসংবাদ/এমআই/সাকিব

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন সংক্রান্ত পেইজে বিভ্রান্তমূলক মন্তব্য, জানেন না ইবি কর্তৃপক্ষ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) পরিবহন প্রশাসকের অধীনে দীর্ঘদিন ধরে ‘ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। গ্রুপে দেয়া এক শিক্ষার্থীর স্টাটাসে ওই পেইজ থেকে বিভ্রান্তমূলক মন্তব্যসহ চাঞ্চল্যকর তথ্য ওঠে এসেছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী রেদওয়ানুল ইসলাম ‘ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি’ নামের গ্রুপে নবীন শিক্ষার্থীদের আগমন উপলক্ষে বাস-ভোগান্তি কমাতে স্টাটাস দেন এবং স্টাটাসে ওই শিক্ষার্থী লিখেন, “২০২৪-২৫ ব্যাচ এসেছে, প্রত্যেকটা গাড়ি ওভারলোড। ডাবল ডেকার ওভারলোড হয়ে যাওয়ার জন্য দাঁড়াচ্ছে না (রাস্তা খারাপ)। এমতবস্থায় আমরা রোজ কি ভাড়া দিয়ে ক্যাম্পাসে যাবো? হয় কালকের মধ্যে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হোক, না হলে একটা গাড়িও শহর থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে যেতে দেয়া হবে না। ধন্যবাদ।”
ওই স্টাটাসের প্রত্যুত্তরে প্রশাসনের পেইজ থেকে মন্তব্য ঘরে বলছেন, কালকের মধ্যে বাস বাড়বে না। এবার আপনার যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেন। কোনো কিছুর প্রতিকার হুমকি দিয়ে হয় না। আপনি যেহেতু হুমকি দিয়েছেন আপনি আপনার কাজ করেন। সব শিক্ষার্থীকে বাসে আটকিয়ে তাদের কষ্ট বাড়ালে আমরা আপনার নামই বলবো।
এভাবে চলতে থাকেন সাইবার যুদ্ধ। এক পর্যায়ে সেশনজট, আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশ্ন তোলা সহ ইত্যাদি বিষয়ে কমেন্ট সেকশনে পাল্টাপাল্টি আলাপ করতে দেখা যায়। রাকিব নামের আরেক শিক্ষার্থী এসে ‘প্রশাসনের এ্যপ্রোচ এমন হওয়া উচিত নয়’ বলে মন্তব্য করেন এবং মন্তব্যগুলো হুমকি হিসেবে নেন শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্যের ঘরে কর্তৃপক্ষের পেইজ থেকে আরও বলেন, ‘পরিবহন বিভাগ বাসের সংখ্যা বাড়াতে অতিরিক্ত চারটি ডাবল ডেকার বাস আনার পরিকল্পনা নিয়েছে, যা ট্রেজারার অফিসের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া, আগামী বছরের আগে বাস ভাড়া বাড়ানো সম্ভব নয় এবং মন্ত্রণালয় থেকে নিজস্ব বাস কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এক সময়ে ক্যাম্পাসে আসার কারণে বাসে চাপ বেশি পড়ে, তাই বিভাগের মধ্যে সমন্বয় ও একাডেমিক কাউন্সিলের পদক্ষেপ অত্যাবশ্যক। পরিবহন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় ও ধৈর্যের প্রয়োজন।’
এসব মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক জানেন না বলে নিশ্চিত করেছেন। তবে জানা যায়, পেইজে এডমিন হিসেবে যুক্ত আছেন ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অভশান। জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমার কাছে যেসকল তথ্য আছে তার ভিত্তিতে উত্তর দেয়ার এখতিয়ার আছে এবং প্রশাসন থেকে পূর্ব থেকেই অনুমোদিত। আমি অযৌক্তিক কোনো রিপ্লাই দেইনি।’
এদিকে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. শেখ মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘শিক্ষার্থীর স্টাটাসটা আমি দেখেছি এবং স্ক্রিনশট নিয়ে ট্রেজারার স্যারকে পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছি। উনি বিআরটিসির চারটি ডাবল ডেকার বাস কেনার অনুমোদন দিয়েছেন। আশা করি খুব দ্রুতই বাস সংকট সমস্যার সমাধান হবে।’
পেইজে দেয়া মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন আছে কি-না সেটা একান্ত অফিশিয়াল বিষয়। রিপ্লাইগুলো দেখিনি। তাছাড়া যেকোনো কমেন্টের রিপ্লাই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়ে যুক্তি দেখানোর অনুমোদন কারো নাই।’
অর্থসংবাদ/কাফি/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
মিনিস্টারে চাকরির সুযোগ

সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মিনিস্টার হাই টেক পার্ক লিমিটেড। আগ্রহ ও যোগ্যতা থাকলে আবেদন করতে পারেন।
পদের নাম ও সংখ্যা: শোরুম ম্যানেজার, ১০ জন।
আবেদনের যোগ্যতা: প্রার্থীর ডিপ্লোমা (ইইই) অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। এ ছাড়া ৩ থেকে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। শুধু পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। বয়স সর্বনিম্ন ২৭ বছর হতে হবে। কর্মস্থল দেশের যে কোনো স্থানে।
বেতন: মাসিক বেতন ২০,০০০-৪০,০০০ টাকা করে দেয়া হবে।
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা বিজ্ঞপ্তিটি বিস্তারিত দেখে আবেদনের নিয়ম জানতে ক্লিক করুন এখানে।
আবেদনের সময়সীমা: আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ কেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে। এর কেন্দ্রের পরিবর্তে প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে লিখিত পরীক্ষা। আনন্দ মোহন কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি এ কথা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৪ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট ময়মনসিংহ কেন্দ্রের ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা আনন্দ মোহন কলেজের পরিবর্তে প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
গবেষণায় শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস ইবি উপাচার্যের

শিক্ষার্থীদের দৃঢ়তার সাথে গবেষণায় সম্পৃক্ত হতে হবে। এ গবেষণার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও সহযোগিতা করবো বলে আশ্বাস দেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের গগন হরকরা গ্যালারিতে ইবি গবেষণা সংসদ আয়োজিত ‘দ্য আনভেইলিং: গবেষণা অন্তর্দৃষ্টি ও নেতৃত্বের রূপান্তর’ শীর্ষক সেমিনার ও প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানের মা। উৎপাদনের জন্য দরকার গবেষণা, ভাবনা ও আবিষ্কার। গবেষণা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পর্যায়ে থেকে যায়। রাষ্ট্রের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তার সমাধান খুঁজে বের করাই গবেষণার মূল কাজ।
অনুষ্ঠানে আলোচনার মূল বিষয় ছিল — ‘Navigating the Research and Higher Study Landscape: A Multi-Disciplinary Perspective’। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক হাবিবুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া, চারটি ভিন্ন ডিসিপ্লিনের আলোচনায় অংশ নেন— বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মনজুর রহমান, ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. গাজী মো. আরিফুজ্জামান খান এবং চারুকলা বিভাগের সভাপতি ও আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান।
এসময় ইবি গবেষণা সংসদের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বলেন, আজকের কর্মশালাটি আমাদের সংগঠনের জন্য একটি স্মরণীয় মাইলফলক হয়ে থাকবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, গবেষণার মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করা তরুণ গবেষকদের দেশ ও জাতির বৃহত্তর উন্নয়নে সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম করবে। সদিচ্ছা ও সহায়তা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণার প্রতি গভীর আগ্রহ সৃষ্টি করবে।
চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান বলেন, যখন মানুষ গবেষণাকে ভয় পায়, তখনও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল যুবক সেই কাজটি করে যাচ্ছে। গবেষণা ছাড়া একটি দেশ সামনে এগোতে পারে না। ধারণার দাম পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি।
উল্লেখ্য, আলোচনায় প্যানেলিস্টরা গবেষণার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ, কার্যকর নেতৃত্বের গুরুত্ব, ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং সৃজনশীলতাকে বাস্তব প্রভাবের রূপ দেওয়ার উপায় নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।প্যানেল ডিসকাশন, শ্রোতাদের প্রশ্নোত্তর পর্ব, শিক্ষার্থীদের গবেষণা, নেতৃত্ব ও সৃজনশীলতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ শেষে সংগঠনপর ২০২৫-২০২৬ সেশনের কমিটি গঠন করা হয় এবং সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে এন্টি র্যাগিং ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ক সভা

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এন্টি-র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটি এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধকল্পে পুনর্গঠিত কমিটির যৌথ এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। র্যাগিং ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপাচার্য সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক, এন্টি-র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান, কমিটির সদস্য ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী, ফাইন আর্টস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান এবং সদস্য-সচিব উপ-রেজিস্ট্রার মো. সালাউদ্দিন মোল্লা, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধকল্পে পুনর্গঠিত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি, কমিটির সদস্য আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহা. শরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. খোদেজা খাতুন, অধ্যাপক ড. হামিদা খাতুন, তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাহেদ হাসান।
এন্টি র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটির বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, র্যাগিং বিরোধী প্রচারে আমরা বেশ কিছু কাজ হাতে নিয়েছি। যেমন: অনুষদ ভবনগুলোতে এন্টি র্যাগিং বিষয়ক ব্যানার স্থাপন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং জিরো-টলারেন্স। র্যাগিং এর সাথে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমাদের সমাজে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ করতে চায় না। ফলে অপরাধীরা ছাড় পেয়ে যায়। অভিযোগ করলেও, তা করে চূড়ান্ত মুহূর্তে। যে সময় অভিযোগ করলে জাতীয় পত্রিকায় আসবে, এসময় অভিযোগ করে। তখন কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে আর কিছু থাকে না।
এজন্য তিনি কমিটির সদস্যদের মাঝে বিভিন্ন জায়গা ভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দেয়ার নির্দেশনা দেন। সেই সাথে তিনি কমিটি দু্ইটির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদা অফিস রুমের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।