অর্থনীতি
শীতের অজুহাতে মাছের বাজারে আগুন!

শীতের অজুহাতে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে মাছের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েক দিনের ঠান্ডায় জেলেরা মাছ কম ধরছেন। ফলে বাজারে মাছের সরবরাহ কমেছে, বেড়েছে দাম। তবে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে সব জিনিসেরই দাম বেশি। শীত শুধু অজুহাত।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের খুচরা মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে স্বাভাবিকই আছে মাছের সরবরাহ। তবে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম।
বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে বাজারে আকার ও মানভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ২৪০ টাকা, বোয়াল ৬৫০ টাকা, সরপুঁটি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মিরকা ২৫০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, দেশি কই ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০ থেকে ২৬০ টাকা, পাঙ্গাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, বাইলা ৩০০ টাকা, পোয়া মাছ ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, মৃগেল ৩০০ টাকা, টুনা ৩০০ টাকা, চাপিলা ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, সুরমা ২৫০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৭০০ টাকা, কোরাল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ফাইস্যা ৫০০ টাকা, তপসী মাছ ৭০০ টাকা, আইড় ৮০০ টাকা, লাক্ষ্যা মাছ ৭৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংড়া ৬০০ টাকা, দেশি পুঁটি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাচকি ৪০০ টাকা, কালিবাউস ৩০০ টাকা, ফলি মাছ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, বাইম ৮৫০ টাকা, কাইক্যা মাছ ৪০০ টাকা, ভেদা মাছ ৫০০ টাকা, রূপচাঁদা ১১৫০ টাকা, শোল ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, দেশি শিং ১০০০ টাকা, চাষের শিং ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, দেশি মাগুর ১০০০ টাকা, চাষের মাগুর ৬০০ টাকা, টাকি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, প্রতি বছরই শীতের সময় মাছের দাম একটু বেশি থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রায় প্রত্যেক ধরনের মাছেই কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বা তারও বেশি বেড়েছে। পাশাপাশি নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুরে মাছের সংখ্যা দিন দিন কমছে বলেও জানান তারা। যার কারণে বাজারে মাছের সংকট রয়েছে বলে দাবি বিক্রেতাদের।
মাছের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, গত কয়েকদিনের ঠান্ডায় জেলেরা মাছ ধরতে পানিতে কম নামছে। যার কারণে বাজারে মাছের সরবরাহ কম এবং দাম বেশি। কেজিতে ২০-৩০ টাকা দাম বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মাছের।
মাছের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে ইলিশের। এক কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের কেজি রাখা হচ্ছে ২৪০০ টাকা, ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি রাখা হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, আধা কেজি ওজনের ইলিশের কেজি রাখা হচ্ছে ১১০০ টাকা। বর্তমানে জাটকা ধরা, মজুদ ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাজারে জাটকা পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে।
ইলিশের দাম বাড়ার কারণ হিসেবেও শীতকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা। তবে কারওয়ান বাজার রেলগেটে অবস্থিত মাছের আড়তের গাজী আল মামুন নামের এক ইলিশের আড়ৎদার বলেন, শীতের জন্য জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে যাচ্ছে না, ব্যাপারটা এমন নয়। নদ-নদীতেই ইলিশ কম। যার কারণে বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশ নেই, দামও অনেক গুণ বেশি।
মোস্তফা জামাল নামের এক ক্রেতা বলেন, মাছের দাম আগের তুলনায় অনেক গুণ বেড়েছে। আগে তো চাষের মাছ খেতে পারতাম। এখন সেটাও পারছি না। যে চাষের মাছের কেজি ছিল ১৫০ টাকা, সেটা এখন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। দেশি মাছ তো বাজারে পাওয়াই দুষ্কর। পেলেও দাম ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। ৬০০ টাকার নিচে এখন আর বাজারে কোনো দেশি মাছ পাওয়া যায় না। বিক্রেতারা সব সময় সুযোগ খোঁজে দাম বাড়ানোর। এখন শীতের অজুহাত দিচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এমআই

অর্থনীতি
তিন দেশ থেকে ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার সার কিনবে সরকার

সৌদি আরব, মরক্কো ও রাশিয়া থেকে এক লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন সার কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪০ টাকা। এরমধ্যে রয়েছে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া, ৪০ হাজার টন ডিএপি এবং ৩৫ হাজার টন এমওপি সার। এছাড়া বরগুনায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমকা সম্পন্ন একটি বাফার গোডাউন নির্মাণ কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) ভার্চ্যুয়ালি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জন্য সৌদি আরবের সাবিক কৃষি-পুষ্টি কোম্পানি থেকে ৫ম লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সৌদি আরব থেকে এ সার আনতে ব্যয় হবে ১৫১ কোটি ৭৭ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৪১৩.৩৩ মার্কিন ডলার।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৭ম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মরক্কো থেকে এই সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৩৬০ কোটি ০১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৭৩৫.৩৩ মার্কিন ডলার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৫ম লটের ৩৫ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
রাশিয়া থেকে এ সার আমদানিতে খরচ হবে ১৫২ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৫৬.২৫ মার্কিন ডলার।
এ ছাড়া বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ-৪ এর লট-৫ (বরগুনা— ১০ হাজার মেট্রিক টন) এর অধীন ১টি সাইটে গোডাউন নির্মাণ কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান এম/এস এমবিএল – আরএফএল। এতে ব্যয় হবে ৫১ কোটি ৭৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৯৫ টাকা।
অর্থনীতি
জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটি আজ দুটি প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদনের সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০২৬ সালের জন্য জিটুটি (সরকারের সঙ্গে সরকারের) চুক্তির মাধ্যমে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ই-পাসপোর্টের সরঞ্জাম ক্রয়।
এই বছরের ৩৪তম অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির সভাটি আজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
প্রস্তাব দুটি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এসেছিল।
প্রথম প্রস্তাবটির অধীনে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির অধীনে জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে পরিশোধিত জ্বালানি তেল ক্রয় ও আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন চেয়েছিল।
প্রস্তাবটি পর্যালোচনার পর, দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে তেলের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করার গুরুত্ব বিবেচনা করে কমিটি নীতিগতভাবে এটি অনুমোদনের সুপারিশ করে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক উত্থাপিত দ্বিতীয় আলোচ্যসূচির বিষয়টি ছিল ‘বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন এবং স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক চলমান প্রকল্প সংক্রান্ত।
সরাসরি চুক্তি ক্রয় পদ্ধতির অধীনে ৫৭ লক্ষ ই-পাসপোর্ট পুস্তিকা এবং সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ প্যাকেজের পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতিতে ৫০ লক্ষ পর্যন্ত কাঁচামালসহ এক কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য নীতিগতভাবে প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছে।
বিস্তারিত আলোচনার পর, কমিটি ই-পাসপোর্ট ইস্যুর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রকল্পের কৌশলগত গুরুত্ব উল্লেখ করে নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি সুপারিশ করেছে।
অর্থনীতি
শিশুখাদ্য আমদানিতে এলসি শর্ত শিথিল করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

শিশুখাদ্য আমদানিতে ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন রাখার বাধ্যবাধকতা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শিশুখাদ্য আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার সময় মার্জিনের হার নির্ধারণ করা যাবে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়। এতে সই করেন বিভাগের পরিচালক মো. আলা উদ্দিন।
সার্কুলারে বলা হয়, গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থাপনা সুসংহত রাখতে পণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের সময় ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। ওই সময় ‘নন সিরিয়াল ফুড’ অর্থাৎ অ-শস্য খাদ্যপণ্য এবং ‘প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য ও পানীয়’ যেমন— টিনজাত খাদ্য, চকলেট, বিস্কুট, জুস, কফি, সফট ড্রিংকস ইত্যাদি এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে সম্প্রতি কিছু ব্যাংক অত্যাবশ্যকীয় শিশুখাদ্যকে ওই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করে শতভাগ নগদ মার্জিন সংরক্ষণের শর্ত আরোপ করছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে আসে।
এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় শিশুখাদ্য এসব পণ্যের তালিকায় পড়বে না। ফলে শিশুখাদ্য আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে আর বাধ্যতামূলক ১০০ শতাংশ মার্জিন রাখতে হবে না। ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ হার নির্ধারণ করা যাবে।
অর্থনীতি
২০ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৮ কোটি ডলার

প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলে চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে দেশে ১৭৮ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অক্টোবরের প্রথম ২০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭৮ কোটি ডলার। আর গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ১৬৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
এ ছাড়া গত ২০ অক্টোবর একদিনে প্রবাসীরা দেশে ৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৯৩৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ।
এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত আগস্ট ও জুলাইয়ে যথাক্রমে দেশে এসেছিল ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
এদিকে গত ২০২৪-২৫ অর্থবছর জুড়ে দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা দেশের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড।
অর্থনীতি
একনেকে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় এক হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠকে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভয় প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন। অসুস্থ থাকায় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেননি পরিকল্পনা উপদেষ্টা।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, একনেক সভায় মোট ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
এর মধ্যে ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে পাওয়া যাবে ৫০ কোটি টাকা এবং বাকি টাকা সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করা হবে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৩টি, সংশোধিত প্রকল্প ৭টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির ৩টি প্রকল্প রয়েছে।
অনুমোদিত ১৩টি প্রকল্প হলো–
কৃষি মন্ত্রণালয়: ‘পিআরও-অ্যাক্ট বাংলাদেশ: রেজিলিয়েন্স স্ট্রেন্থেনিং থ্রু এগ্রি-ফুড সিস্টেমস ট্রান্সফর্মেশন ইন কক্সেস বাজার’ প্রকল্প।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়: “গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়) (প্রস্তাবিত ৩য় সংশোধন)”।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (৩টি):
“খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধন)”।
“জামালপুর শহরের নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধিত)”।
“গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ০১ থেকে ০৫ নং জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (৩য় সংশোধিত)”।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়: “উত্তরা লেক উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)” প্রকল্প।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: “অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ” প্রকল্প।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়: “কিশোরগঞ্জ (বিন্নাটি)-পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথমানে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত)” প্রকল্প।
শিল্প মন্ত্রণালয়: “বিএসটিআই’র পদার্থ (ফিজিক্যাল) ও রসায়ন (কেমিক্যাল) পরীক্ষণ ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন” প্রকল্প।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়: “ঘোড়াশাল ৩য় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প (২য় সংশোধিত)”।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়: “মানসিক হাসপাতাল, পাবনা-কে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রূপান্তর” প্রকল্প।
রেলপথ মন্ত্রণালয় (২টি):
“বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৪র্থ সংশোধিত)” প্রকল্প।
“বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৫ম সংশোধিত)” প্রকল্প।
একনেক সভায় অংশগ্রহণ করেন– পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন; পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা।