অর্থনীতি
ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রণয়নের আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির

আগামী অর্থবছরে ব্যবসা বান্ধব বাজেট প্রণয়ন এবং আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানিয়েছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
এসময় ডলার সংকটের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ও (সাপ্লাই চেইন) সরবরাহ ব্যবস্থায় যাতে কোন বিঘ্নের সৃষ্টি না হয় সেজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। পাশাপাশি এলসি খোলার ক্ষেত্রে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাও যাতে এলসি খুলতে পারে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঘোষিত রেটে ডলার কিনতে পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাথে বেসরকারি খাতের পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক আরও উন্নতকরণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায় এফবিসিসিআই। কর ব্যবস্থাপনার সহজিকরণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা এবং অটোমেশনের মাধ্যমে দেশে ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্প সম্প্রসারণের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আহরণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এসময় গুরুত্ব সহকারে এফবিসিসিআই সভাপতির কথা শুনেন। এ সময় জাতীয় বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নসহ অর্থমন্ত্রণালয়ের সকল উদ্যোগে বেসরকারি খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ আহ্বান করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আসন্ন জাতীয় বাজেটে এফবিসিসিআই’র প্রস্তাবনা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা ও নীতি সহায়তায় দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় পাশে থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
এ সময় এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোঃ আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এমআই

অর্থনীতি
এস আলম সুগার কারখানাসহ প্রুপের ১১ একর সম্পত্তি নিলামে

এস আলম গ্রুপের সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা পাওনা আদায়ে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজসহ প্রায় ১১ একর সম্পত্তির নিলাম ডেকেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এ নিলাম ডাকে ব্যাংকটির খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখা।
এর আগেও ২০ এপ্রিল এসব সম্পত্তি নিলামে ডাকা হয়। তখন এই ঋণে এস আলম গ্রুপের কাছে ব্যাংকটির পাওনা ছিল ৯ হাজার ৯৪৮ কোটি ৪২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
চট্টগ্রামের স্থানীয় এক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার বিনিয়োগ গ্রাহক এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাছান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের কাছ থেকে ২০২৫ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত মুনাফা, ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য চার্জসহ ব্যাংকের খেলাপি বিনিয়োগ বাবদ পাওনা ১০ হাজার ৫৩৮ কোটি ৬৮ লাখ ৮ হাজার ৮৮৯ টাকা ৮০ পয়সা আদায়কাল পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য খরচ আদায়ের নিমিত্তে অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩এর ১২ (৩) ধারা মোতাবেক বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে বিক্রয়ের জন্য আগ্রহী ক্রেতাদের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, তিনটি রেজিস্টার্ড মর্টগেজ চুক্তি অনুসারে ১০ দশমিক ৯৩ একর জায়গা এবং এসব জায়গার ওপর কারখানা, মেশিনারিজ, অফিস বিল্ডিংসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা নিলামে তোলা হয়।
এরমধ্যে ২০১৪ সালের ১৩ ও ১৬ মার্চের ৩৭৪৬ নম্বর, ২০১৩ সালের ২৮ ও ২৯ মের ৮০৫৭ নং এবং ২০১৩ সালের ১৪ ও ১৫ জুলাইয়ের ৩৩২৭ নম্বর রেজিস্টার্ড মর্টগেজ চুক্তিবদ্ধ সম্পদ রয়েছে।
অর্থনীতি
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
চিঠিতে ট্রাম্প লেখেন, ‘প্রিয় ড. ইউনূস, আপনাদের কাছে এই চিঠি পাঠানো আমার জন্য একটি বড় সম্মানের বিষয়। আমাদের বাণিজ্য সম্পর্কের শক্তি ও প্রতিশ্রুতি এবং আপনার মহান দেশের সাথে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। তবে পরবর্তী বাণিজ্য কেবল আরও ভারসাম্যপূর্ণ এবং ন্যায্য, বাণিজ্যের সাথে হবে। অতএব, আমরা আপনাকে বিশ্বের এক নম্বর বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অসাধারণ অর্থনীতিতে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে বহু বছর ধরে আলোচনা হয়েছে এবং আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, বাংলাদেশের শুল্ক এবং অ-শুল্ক, নীতি ও বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতার কারণে সৃষ্ট এই দীর্ঘমেয়াদি এবং অত্যন্ত স্থায়ী বাণিজ্য ঘাটতি থেকে আমাদের অবশ্যই সরে আসতে হবে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ২০২৫ সালের ১ আগস্ট থেকে শুরু করে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরিত যেকোনো এবং সব বাংলাদেশি পণ্যের ওপর বাংলাদেশ থেকে আগত পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক নেব। উচ্চতর শুল্ক এড়ানোর জন্য প্রেরিত পণ্যগুলো সেই উচ্চতর শুল্কের সাপেক্ষে হবে। দয়া করে বুঝবেন, ৩৫ শতাংশ শুল্কটি আপনার দেশের সাথে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতির বৈষম্য দূর করার জন্য যা প্রয়োজন, তার চেয়ে অনেক কম। আপনারা জানেন, বাংলাদেশ বা আপনার দেশের কোম্পানিগুলো যদি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেই পণ্য তৈরি বা উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে কোনো শুল্ক থাকবে না।
চিঠিতে বাংলাদেশ যদি এই শুল্কের বিরুদ্ধে পাল্টা কোনো ব্যবস্থা নেয় তাহলে শুল্ক আরও বাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
তিনি চিঠিতে লেখেন, যদি কোনো কারণে আপনি মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন, তবে আপনি যে সংখ্যাটি বাড়াতে চান তা আমরা যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছি সেটির সঙ্গে যুক্ত করা হবে। দয়া করে বুঝুন যে এই শুল্কগুলো বাংলাদেশের বহু বছরের শুল্ক, এবং অ-শুল্ক, নীতি এবং বাণিজ্য বাধাগুলো সংশোধন করার জন্য প্রয়োজনীয়। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এই অস্থিতিশীল বাণিজ্য ঘাটতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঘাটতি আমাদের অর্থনীতি এবং প্রকৃতপক্ষে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি।
ট্রাম্প আরও লেখেন, সামনে দীর্ঘ সময় আমরা বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে আপনার সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ। আপনি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আপনার পূর্বে বন্ধ থাকা ট্রেডিং মার্কেটগুলো খুলতে চান এবং আপনার দেশের শুল্ক এবং অ-শুল্ক, নীতি এবং বাণিজ্য বাধা দূর করতে চান তাহলে আমরা সম্ভবত এই চিঠির একটি সমন্বয় বিবেচনা করব। আপনার দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে এই শুল্কগুলি ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী করা যেতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে আপনি কখনোই হতাশ হবেন না। এই বিষয়ে আপনার মনোযোগের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এর আগে গত এপ্রিলে বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। যা ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছিল। তবে বিশ্ব অর্থনীতিতে টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে এসব শুল্ক ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেন তিনি। যা আগামী ৯ জুলাই শেষ হচ্ছে। এর আগেই নতুন করে বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন তিনি।
অর্থনীতি
স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ১ হাজার ৫৭৫ টাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ভরিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫৭৫ টাকা কমানো হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার ৫৫১ টাকা।
সোমবার (৭ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। সোমবার প্রতি ভরি সোনা এক লাখ ৭২ হাজার ১২৬ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৭০ হাজার ৫৫১ টাকা, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি এক লাখ ৬২ হাজার ৭৯৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ৩৯ হাজার ৫৪৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৫ হাজার ৩৯২ টাকা।
সোনার দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮১১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কাফি
অর্থনীতি
দেশে জুনে মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ

জুনে বাংলাদেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হার কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ। জুনে মূল্যস্ফীতি প্রায় তিন বছরেরও মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।
সোমবার (০৭ জুলাই) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএস বলছে, গত জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয় ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
এদিকে এর আগে ২০২২ সালের জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি হার ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এরপর মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরেই থাকলেও ৩৫ মাস পর মূল্যস্ফীতি কমে সাড়ে ৮ শতাংশের নিচে নামলো। জুনে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। আগের মাসে তা ছিল ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর মে মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এদিকে আজ দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জুনের মূল্যস্ফীতির তথ্য জানিয়েছেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সুচিন্তিত নীতি–কৌশলের ফলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমছে। জুন (২০২৫ সাল) মাসের উপাত্ত অনুযায়ী পয়েন্ট–টু–পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের তুলনায় ২ শতাংশ–বিন্দু কম। ’
শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘খাদ্য মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও কমতে শুরু করেছে এবং আগামী দিনে তা খুব দ্রুত কমে আসবে। ’
কাফি
অর্থনীতি
দেশের ৬১টি ব্যাংকে ১২ গ্রুপে ভাগ করা হবে: গভর্নর

ঝুঁকি ও ব্যবসার ধরন বিবেচনায় দেশের ৬১টি ব্যাংকে ১২ গ্রুপে ভাগ করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সোমবার (৭ জুলাই) ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক নজরদারি বা রিস্ক বেইজড সুপারভিশনের বাস্তবায়ন অগ্রগতির বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আহসান বলেন, ২০টি ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক নিরীক্ষা কার্যক্রম শেষ হয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে সব ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। ২০২৬ এর জানুয়ারি থেকে ব্যাংক রিস্ক বেইসড সুপারভিশন শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, আর্থিকভাবে রাজনৈতিক চাপ মোকাবিলায় রাজনীতিকে পরিশুদ্ধ হতে হবে। রাজনৈতিক গুণগত পরিবর্তন প্রাতিষ্ঠানিক ঝুঁকি নজরদারি দিয়ে সম্ভব নয়।
কাফি